পাপাত্মা গান্ধীর মুখোশ উন্মোচন

পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1gu8rNYbMFJ0tXKR5zuDsQyYsJgYO3lc8
 পাপাত্মা গান্ধীর মুখোশ উন্মোচন

একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্লভ দলিল সংকলণ

যে যতো বেশি লম্পট ও বদচরিত্র:
Image result for গান্ধীহিন্দু সম্প্রদায় তথা তাবৎ কাফির সম্প্রদায়ের নিকট সে ততোবেশি শ্রদ্ধার পাত্র ও সম্মানিত পাপাত্মা গান্ধীর ন্যায় বিকৃতাচারী, কামুক ও অসুস্থ রুচিসম্পন্ন মুশরিক, কাফিরদের ইতিহাসেও বিরল;
এ কারণেই তাকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে উপমহাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় কিন্তু মুসলমানরা গান্ধীর ইতিহাস কতোটুকু জানে?
বাঙালি মুসলমানদের অজ্ঞতার সুযোগেই এদেশে এই চরম বদচরিত্র, বিকৃতরুচির পাপাত্মাকে ‘মহাত্মা’ বলে প্রচার করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
إِنَّ أَكْرَ‌مَكُمْ عِندَ اللَّـهِ أَتْقَاكُمْ
অর্থ: তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত ঐ ব্যক্তি, যিনি আল্লাহ পাক উনাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করেন। (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩)
মুসলমানগণ উনাদের নিকট সবচেয়ে বেশি সম্মানিত হচ্ছেন ঐ ব্যক্তি, যাঁর তাকওয়া সবচেয়ে বেশি। যিনি সবচেয়ে বেশি চরিত্রবান। বিপরীতভাবে কাফির-মুশরিকদের নিকট সবচেয়ে বেশি সম্মানিত হচ্ছে ঐ লোক, যে সবচেয়ে বেশি ইসলামবিদ্বেষী। যে সবচেয়ে বেশি লম্পট, যে সবচেয়ে বেশি বদচরিত্র। গু-া ও ছিনতাইকারীদের সমাজে সবচেয়ে বড় গু-া ও ছিনতাইকারীকেই সম্মান দেখানো হয়।
উনবিংশ শতাব্দীতে যখন ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত ছিল, তখন ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ এর ন্যায় ভারতবর্ষের মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের সমস্ত কুটচক্র ও হীন কর্মকা-ের সঙ্গী ছিল হিন্দু সম্প্রদায়। ব্রিটিশদের তল্পিবাহক এই হিন্দুদের কোনো নীতি-নৈতিকতার বালাই ছিল না, কারণ তাদের উত্থানই হয়েছিল শঠতা ও বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে। যে যতো বেশি অনৈতিক কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রাখতো, হিন্দুদের সমাজে তার সম্মান ছিল ততো বেশি।
উদাহরণস্বরূপ, আমাদের সমাজে কোনো ভাল ছাত্রকে তার রেজাল্ট দ্বারা, কিংবা কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে তার পদের দ্বারা সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অপরের নিকট পরিচিত করানো হয়। কিন্তু হিন্দুরা এভাবে একজনের নিকট আরেকজনকে পরিচয় করাত “আদালতের আমলা, মোক্তার প্রভৃতি পদস্থ ব্যক্তিগণ পরস্পরকে পরিচিত করিয়া দিবার সময়ে- ‘ইনি ইহার রক্ষিতা স্ত্রীলোকের পাকা বাড়ি করিয়া দিয়াছেন’ এই বলিয়া পরিচিত করিত। রক্ষিতা স্ত্রীলোকের পাকাবাড়ি করিয়া দেওয়া একটা মানসম্ভ্রমের ব্যাপার ছিল।” (সূত্র: অবিদ্যার অন্তঃপুরে: নিষিদ্ধ পল্লীর অন্তরঙ্গ কথকতা, আবুল আহসান চৌধুরী, পৃষ্ঠা ১৮)
এখন সাধারণ হিন্দুদেরই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে হিন্দুদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত তথা ‘জাতির পিতা’র পদ যাকে দেয়া হবে; তাকে কতোটা বেশি লাম্পট্যের সাক্ষর রাখতে হবে, তাকে কতোটা বদচরিত্র হতে হবে, তা ফিকির করা উচিত।
গতানুগতিকভাবে যাদেরকে ‘মহামানব’ বলে সম্বোধন করে বিধর্মীচালিত মিডিয়াগুলো, তাদের মধ্যে হিন্দুদের জাতির পিতা পাপাত্মা গান্ধীই হলো সবচেয়ে বিকৃত রুচিবিশিষ্ট, লম্পট ও বদচরিত্র। তার বিকৃত রুচি ও আপন মেয়ে ও নাতনীসম্পর্কের আত্মীয়াদের সাথে ব্যভিচারের ইতিহাস জানলে কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ শ্রদ্ধা তো দূরে, কিভাবে ঘৃণা করবে সেটাই বুঝতে পারবে না। গান্ধীর বিকৃত যৌনতার বর্ণনা খোদ জওহরলাল নেহরুর লেখাতেও রয়েছে। তার বিকৃতাচার সহ্য করতে না পেরে তাকে পরিত্যাগ করেছিল কংগ্রেসের বল্লভ প্যাটেল, যে পরবর্তীতে ভারতের উপ-প্রধানমন্ত্রী হয়েছিল।
পাপাত্মা গান্ধীর লাম্পট্যের এসব ইতিহাস নিয়ে ভারতে, ব্রিটেনে ও আন্তর্জাতিক স্তরে বহু বই লেখা হয়েছে। জ্যাড এডামসের লেখা ‘মধহফযর: হধশবফ ধসনরঃরড়হ’, জোসেফ লেলিভেল্ডের লেখা ‘মৎবধঃ ংড়ঁষ’ প্রভৃতি হলো গান্ধীর বদচরিত্রের প্রামাণ্য ইতিহাস নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তর-পর্যায়ের লেখা বই, যেগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ভারত থেকে প্রকাশিত হয়েছে গোলাম আহমদ মোর্তজার লেখা ‘এ এক অন্য ইতিহাস’, অলোককৃষ্ণ চক্রবর্তীর লেখা ‘গান্ধীজির অপকর্ম’ ইত্যাদি বই।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, আন্তর্জাতিক স্তরে গান্ধীর বদচরিত্রের বিষয়টি মশহুর হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের কোনো মুসলমান লেখক আজ পর্যন্ত পাপাত্মা গান্ধীর অপকর্ম নিয়ে একটি বইও লিখেনি। বরং এদেশে আবুল মকসুদ গংদের নেতৃত্বে গান্ধীর স্তাবকদলের উপস্থিতি দেখা যায়, যারা গান্ধীর নামে সভা-সেমিনার করে, পাপাত্মা গান্ধীর নানাবিধ প্রশংসাসূচক বই লিখে এদেশের মুসলমানদের পবিত্র ঈমান-আমল হরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
কাফির-মুশরিকদের দালাল এসব মুসলমান নামধারী মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে হলে মুসলমানগণ উনাদেরকে অবশ্যই পাপাত্মা গান্ধীর সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। পাপাত্মা গান্ধীর সম্পর্কে নিম্নোক্ত বর্ণনাটি কলকাতার বিশ্ববঙ্গীয় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত, গোলাম আহমাদ মোর্তজা রচিত ‘এ এক অন্য ইতিহাস’ গ্রন্থের ‘বিচিত্র ব্যক্তি গান্ধীজী’ অধ্যায় থেকে উদ্ধৃত।
গান্ধী নিজের যৌনজীবন নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিল। গান্ধীর সেক্রেটারী পিয়ারীলাল তার স্মৃতিকথায় এ সম্পর্কে বিশদ উল্লেখ করেছে। নেহরুর সেক্রেটারী এম. ও. মাথাইও নিজের স্মৃতিকথা “জবসরহরংপবহবং ড়ভ ঃযব হবযৎঁ ধমব” গ্রন্থে এ বিষয়টি বিবৃত করেছে এইভাবে: ‘ঋৎববফড়স ধঃ সরফহরমযঃ’ গ্রন্থে নোয়াখালিতে মনুর সঙ্গে গান্ধীর সম্পর্কের ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। এটা স্পষ্ট, ‘সত্যে’র সাথে গান্ধীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই ব্যাপারটি যে তারও অনেক আগে শুরু হয়েছিলÑ লেখকদ্বয় তা জানত না। তার স্ত্রী কস্তুরবার জীবদ্দশাতেই এর শুরু। গান্ধীর সঙ্গী সমস্ত মহিলারাই (অর্থাৎ যারা সহকর্মিনী হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করতো) এর সঙ্গে জড়িত ছিল। রাজকুমারী অমৃত কাউরও ছিল এদের মধ্যে একজন। সে পরে আমার সঙ্গে ব্যাপারটি সম্বন্ধে অবাধ ও খোলাখুলি আলোচনা করে। গান্ধী রাজকুমারী অমৃত কাউরের নিকট স্বীকার করেছিল যে, পরীক্ষারত অবস্থায় একাধিকবার তার মনে ‘খারাপ চিন্তা’র উদয় হয়েছিল। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গ্রন্থে (ঈড়ষড়হরধষরংস, ঞৎধফরঃরড়হ ধহফ ৎবভড়ৎস: অহ ধহধষুংরং ড়ভ মধহফযর’ং ঢ়ড়ষরঃরপধষ ফরংপড়ঁৎংব, ংধমব ঢ়ঁনষরপধঃরড়হং, ঘবি উবষযর) গান্ধীর যৌন পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপর তথ্যপূর্ণ আলোচনা করেছে শ্রী ভিখু পারেখ। ভিখু পারেখ যঁষষ ঁহরাবৎংরঃু এর পলিটিক্যাল থিওরীর অধ্যাপক। সে ব্রিটেনের ঈড়সরংংরড়হ ভড়ৎ জধপরধষ ঊয়ঁধষরঃু এর ডেপুটি চেয়ারম্যান। সে বরোদা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদেও আসীন ছিল।
পাপাত্মা গান্ধী যৌনতা ও ব্রহ্মচর্যের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে একপর্যায়ে মহিলাদের সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় শুতে আরম্ভ করে। এদের মধ্যে ছিল তার আত্মীয়া উনিশ বছরের মনু ও আভা, তার চিকিৎসক সুশীলা নায়ার এবং লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণের স্ত্রী প্রভাবতী নারায়ণ প্রমুখ সমাজকর্মী। ভিখু পারেখের পুস্তক থেকে একটি অংশ নিচে উদ্ধৃত করা হচ্ছে:
গান্ধী ১৯০১ সালে প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করে যে, সে সমস্ত প্রকার যৌনাচার থেকে বিরত থাকবে। এ ব্যাপারে সে তার স্ত্রীর মতামত নেওয়া কিংবা পরামর্শ করার প্রয়োজন বোধ করেনি। এ সময় গান্ধীর বয়স ছিল ৩৭ বছর এবং সে তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় তার প্রথম ‘সত্যাগ্রহ’ শুরু করতে যাচ্ছে। ‘ব্রহ্মচর্য’ পালনে নেমে পাপাত্মা গান্ধীর খেয়াল হলো, কাজটি তার জন্য মোটেই সহজ নয়। যেহেতু গান্ধী তার দৈহিক আত্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে পূর্ণ ‘আত্মবিশ্বাসী’ ছিল, সুতরাং সে তার মহিলা সহযোগীদের সাথে নিবিড় দৈহিক স্পর্শ বজায় রাখে। অনেক ভারতীয়ই এটি অপছন্দ করতো, বিশেষ করে তার মহিলাদের কাঁধে হাত রাখার অভ্যাসটি। বেশ কয়েকজন লোক ব্যক্তিগত আলোচনায় ও প্রকাশ্যেও ব্যাপারটি তার নিকট তুলেছিল। এই সব সমালোচনার প্রত্যুত্তরে ১৯৩৫ সালের সেপ্টেম্বরে গান্ধী ‘জনসাধারণের মঙ্গলের জন্য’ ঐ অভ্যাস পরিত্যাগ করার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করে।
কিন্তু কয়েক বৎসর পর সেবাগাঁওতে সে তা ভঙ্গ করে। পাপাত্মা গান্ধী তার ‘যুক্তি’ দেখায় যে, নারীস্পর্শ পরিহার করে চলার প্রতিজ্ঞার মধ্যে তার স্ত্রী, সুশীলা নায়ার, মনু এবং অন্য কিছু মেয়ে যারা তার কাছে ‘কন্যা’র মতো (!) Ñতাদের অন্তর্ভুক্ত করার অভিপ্রায় তার ছিল না।
মীরা বেন এবং অমৃত কাউরÑ উভয়েই মেয়েদের সঙ্গে সমস্ত সংশ্রব ত্যাগ করার জন্য পাপাত্মা গান্ধীকে পরামর্শ দিলো। কেবলমাত্র মহিলাদের স্পর্শ করা নয়, বরং সেইসঙ্গে সকল ধরনের সান্নিধ্য, কথাবার্তা, দৃষ্টি বিনিময় ও চিঠিপত্র পরিহার করার জন্য তারা জোর দেয়। মীরা বেন তাকে বলে যে, ‘এপ্রিলের ঘটনাটি’ কোনো এক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, কারণ সে ইতঃপূর্বে একবার লক্ষ্য করে যে, গান্ধী ঘুমের মধ্যে তার এক মহিলা সহযোগীর গলা জড়িয়ে ধরে রয়েছে। সে (পাপাত্মা গান্ধী) সতর্ক হলো এবং তাকে চিহ্নিত করে দমন করার জন্য ‘নয়া পদ্ধতি’ বের করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলো। কিন্তু কয়েকমাস পরে গান্ধী আবার যথেষ্ট ‘আত্মবিশ্বাসী’ হয়ে উঠলো এবং তার মহিলা সহকর্মীদের সাথে ঘনিষ্ঠ শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখার পুরনো অভ্যাসটি পুনরায় চালু করলো। মহিলা সহকর্মীদের বেশ কয়েকজন অনেক সময় তার পাশেই শয়ন করতো। আর সুশীলা নায়ার (পাপাত্মা গান্ধীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক) তো গান্ধীর সঙ্গে ‘এক বিছানায় শুত’ তাকে উষ্ণতা দিয়ে গরম রাখার জন্য। (নাউযুবিল্লাহ!) সুশীলা তাকে ম্যাসাজ করতো এবং ওষধিযুক্ত পানি দ্বারা গোসল করিয়ে দিতো। এই গোসল প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে চলতো।
গান্ধীর বিকৃত জীবনযাত্রা প্রণালী সম্বন্ধে প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করা হয় ‘বোম্বে ক্রনিকল’ পত্রিকায় ১৯৩৯ সালের অক্টোবর মাসে। পত্রিকাটির এলাহাবাদ সংবাদদাতা গান্ধীর ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে ‘চমকপ্রদ জানকারী’ প্রদান করে। একটি প্রাদেশিক হিন্দু মৌলবাদী পত্রিকা আরো অনেক রসালো গল্প ছাপে। তারা সুশীলা নায়ারের নাম উল্লেখ করে গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘অধর্ম’ ও চরম ইন্দ্রিয়পরায়ণতার অভিযোগ উত্থাপন করে।
কিছু আমেরিকান পত্রপত্রিকা, যারা আগে ‘মেডেলিন সেøড’ নাম্œী মহিলার সঙ্গে ১৯৩১ সালে উভয়ের লন্ডন সফরকালে গান্ধীর সঙ্গে ‘অবৈধ’ সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়েছিলÑ তারা আরো খোলাখুলি নানা কাহিনী প্রকাশে মেতে উঠে।
পাপাত্মা গান্ধী কিন্তু এসবের ফলে বিন্দুমাত্র বিচলিত হয়নি। সমালোচনা অভিযানে মোটেই দমে না গিয়ে গান্ধী শুধু যে মহিলাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সংসর্গ বজায় রাখলো তাই নয়, সেই সঙ্গে গান্ধী নতুন করে এক অস্বাভাবিক আচার শুরু করলো। বিগত কয়েক বৎসর ধরে সে মেয়েদের সঙ্গে একই কামরায় শয়ন করতো, কিন্তু দুরত্ব বজায় রেখে। সম্প্রতি সে তাদের কয়েকজনের সঙ্গে ‘একসাথে শুতে’ আরম্ভ করেছিল। এবার পাপাত্মা গান্ধী সিদ্ধান্ত নিলো, তার এক নতুন ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’র পরবর্তী ধাপ হিসেবে সে উলঙ্গ হয়ে তার মহিলা সহকর্মীদের সঙ্গে শুবে। নাউযুবিল্লাহ!
সে এটা শুরু করেছিল ১৯৪৪ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারিতে তার স্ত্রী মারা যাবার পর। ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে বিড়লাকে লেখা পত্রে পাপাত্মা গান্ধী নিজের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে, “সেইসব মহিলা বা কিশোরীরা যারা আমার সঙ্গে উলঙ্গ হয়ে শয়ন করেছিল”- যা থেকে বোঝা যায় বেশ কয়েকজন হিন্দু মহিলা এই বিকৃত কর্মকা-ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। সুশীলা নায়ার ছাড়াও প্রভাবতী নারায়ণ (জয়প্রকাশ নারায়ণের স্ত্রী), আভা গান্ধী, মনু গান্ধী এই কথিত ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’য় অংশ নিয়েছিল। লীলাবতী, রাজকুমারী অমৃত কাউর এবং আরও বেশ কয়েকজন হিন্দু মহিলা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল।
এ সম্বন্ধে পাপাত্মা গান্ধী ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসে মুন্নালাল শাহকে এক পত্র লেখে: “আমার পরিচয় হলো, আমি যা-আমি তাই। সমাজের কল্যাণের কথা তুলে কোন লাভ নেই। আমি যতদূর সম্ভব একসাথে শোয়ার ব্যাপারটি স্থগিত রেখেছি। কিন্তু আমি এটি একেবারে ছেড়ে দিতে পারব না। আমি যদি মেয়েদের সঙ্গে একসাথে শোয়ার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ছেড়ে দিই, তাহলে আমার ব্রহ্মচর্যকে ‘কলঙ্কিত’ করা হবে। তাই এ ধরণের বাধা-নিষেধ আমার ওপর আরোপ করা উচিত নয়।”
পাপাত্মা গান্ধী ১৯৪৬ সালের অক্টোবর মাসে মনু গান্ধীকে ডেকে পাঠালো (মনু ছিল গান্ধীর পুত্র হরিলালের মেয়ে, যে হরিলাল তার পিতার সাথে বিদ্রোহ করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিল)। পাপাত্মা গান্ধীর স্ত্রীর মৃত্যুর সময় এই মনু নিষ্ঠা সহকারে তার দাদীর ভরপুর সেবা করেছিল।  
নিজের কাছে আসার জন্য লেখা এক পত্রে গান্ধী মনুকে লেখে: “তোমাকে ডেকে পাঠাচ্ছি, কিন্তু এর উদ্দেশ্য তোমাকে অসুখী করা নয়। তুমি কি আমাকে ভয় পাও? তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কিছু করতে আমি তোমাকে কখনোই বাধ্য করবো না।”
১৯৪৬ সালের ২০শে ডিসেম্বর পাপাত্মা গান্ধী তার ১৯ বছর বয়সী নাতনী মনুর সঙ্গে বস্ত্রহীন হয়ে শোয়ার কথিত ‘পরীক্ষা’ শুরু করে। পাপাত্মা গান্ধী মনুর পিতা, অর্থাৎ তার পুত্র হরিলালকে এ সম্পর্কে কিছুই জানায়নি। পাপাত্মা গান্ধীর এই চরম বিকৃত কর্মকা-ের বিষয়টি লোকমুখে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লো এবং পাপাত্মা গান্ধী বিষয়টিকে ‘উড়ো আলাপ’, ‘কানাঘুষা’, ‘বক্রোক্তি’ বলে অভিহিত করতো। প্রথমে বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার পেল। শেষ পর্যন্ত তা জনসাধারণের অসন্তোষ ও তীব্র গণ-প্রতিক্রিয়ায় পরিণত হয়।
পাপাত্মা গান্ধীর অনেক অনুসারী বিশেষতঃ বেশ কিছু গুজরাটি সহকর্মী তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। হরিজন পত্রিকার দু’জন সম্পাদক প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করে। অনেকে পাপাত্মা গান্ধীর সঙ্গে ‘নন কো-অপারেশন’ করতে আরম্ভ করে। বল্লভ প্যাটেল খুবই ক্রোধান্বিত হয় এবং পাপাত্মা গান্ধীর সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করে দেয়। ‘বিনোবা ভাবে’ নামক পাপাত্মা গান্ধীর একজন প্রধান অনুসারী তাকে অসন্তুষ্টি জানিয়ে পত্র লেখে। পাপাত্মা গান্ধীর পুত্র দেবী দাস তাকে উত্তেজিত ও তীব্র সমালোচনা মূলক এক পত্র প্রেরণ করে। পাপাত্মা গান্ধীর একান্ত অনুগত স্টেনোগ্রাফার পরশুরাম তার চাকরি করা ছেড়ে দেয়।
জওহরলাল নেহরুও বিচলিত হয়ে পড়ে। পাপাত্মা গান্ধীর অন্য বেশ কিছু সংখ্যক ভক্ত এ ব্যাপারে সন্তোষজনক কৈফিয়ত দাবী করে। কিন্তু এত সমালোচনা ও ছিঃ ছিঃ সত্ত্বেও পাপাত্মা গান্ধী কিন্তু অনুশোচনার ধারে কাছেও গেল না।
১৯৪৬ সালের ২০শে ডিসেম্বর পাপাত্মা গান্ধী তার ১৯ বছর বয়সী নাতনী মনুর সঙ্গে বস্ত্রহীন হয়ে শোয়ার কথিত ‘পরীক্ষা’ শুরু করে। পাপাত্মা গান্ধী মনুর পিতা, অর্থাৎ তার পুত্র হরিলালকে এ সম্পর্কে কিছুই জানায়নি। পাপাত্মা গান্ধীর এই চরম বিকৃত কর্মকা-ের বিষয়টি লোকমুখে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লো । শেষ পর্যন্ত তা জনসাধারণের অসন্তোষ ও তীব্র গণ-প্রতিক্রিয়ায় পরিণত হয়।
পাপাত্মা গান্ধীর অনেক অনুসারী বিশেষতঃ বেশ কিছু গুজরাটি সহকর্মী তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। হরিজন পত্রিকার দু’জন সম্পাদক প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করে। অনেকে পাপাত্মা গান্ধীর সঙ্গে ‘নন কো-অপারেশন’ করতে আরম্ভ করে। বল্লভ প্যাটেল খুবই ক্রোধান্বিত হয় এবং পাপাত্মা গান্ধীর সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করে দেয়। ‘বিনোবা ভাবে’ নামক পাপাত্মা গান্ধীর একজন প্রধান অনুসারী তাকে অসন্তুষ্টি জানিয়ে পত্র লেখে। পাপাত্মা গান্ধীর পুত্র দেবী দাস তাকে উত্তেজিত ও তীব্র সমালোচনা মূলক এক পত্র প্রেরণ করে। পাপাত্মা গান্ধীর একান্ত অনুগত স্টেনোগ্রাফার পরশুরাম তার চাকরি করা ছেড়ে দেয়।
জওহরলাল নেহরুও বিচলিত হয়ে পড়ে। পাপাত্মা গান্ধীর অন্য বেশ কিছু সংখ্যক ভক্ত এ ব্যাপারে সন্তোষজনক কৈফিয়ত দাবী করে। কিন্তু এত সমালোচনা ও ছিঃ ছিঃ সত্ত্বেও পাপাত্মা গান্ধী কিন্তু অনুশোচনার ধারে কাছেও গেল না।
তবে পাপাত্মা গান্ধী স্বীকার করলো যে, তার আচরণের দ্বারা সে তার প্রিয় ও কাছের লোকজনদের হারিয়েছে। কিন্তু সে জেদের সঙ্গে বলে যে, “যদি সারা দুনিয়াও আমাকে (পাপাত্মা গান্ধীকে) পরিত্যাগ করে, তাহলেও আমি যা ‘সত্য’ (!) বলে মনে করি তা ছাড়তে পারবো না।”
তার আচরণ তার অনুসারীদের হতাশ করে। তারা তার সম্বন্ধে বাজে ধারণা পোষণ করতে আরম্ভ করে নিশ্চিত হয়ে যায় যে সে সত্যিই পাপাত্মা। পাপাত্মা গান্ধী উলঙ্গ হয়ে আশ্রমে ঘুরে বেড়াত। তার নিজের তেমন কোন সচেতনতা এ ব্যাপারে ছিলনা, তার মহিলা সহকর্মিরাও এতে কোনরকম বিব্রত বোধ করতো না।
তবে যারা যারা গান্ধীর বিরোধী হয়ে গিয়েছিল, তারা অচিরেই খেয়াল করলো যে, পাপাত্মা গান্ধী হলো ব্রিটিশদের খাছ এজেন্ট। ব্রিটিশদের কৃপাদৃষ্টি পাপাত্মা গান্ধীর ওপর রয়েছে এবং ইউরোপের বড় বড় পত্রিকায় পাপাত্মা গান্ধীকে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। ফলে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে তাদের উন্নতির মইটাই ভেঙে যেতে পারে। ফলে গান্ধী বিরোধীদের বেশির ভাগই ফিরে এসে পাপাত্মা গান্ধীর বিকৃত চিন্তাধারাকে সমর্থন করতে লাগলো।
তারা তার সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে শুধু নয়, তারা প্রকাশ্যেও স্বীকার করতে আরম্ভ করে যে, পাপাত্মা গান্ধীর প্রতি তারা ‘চরম অবিচার’ (!) করেছিল। থাক্কর বাপা বিষয়টি একান্তে মনুকে বুঝিয়ে বললো, মনুও ‘পরীক্ষা’য় অংশগ্রহণ থেকে বিরত হতে সম্মত হয় এবং পাপাত্মা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলে।
পাপাত্মা গান্ধীও সেসময় মনুর কথা মেনে নেয়। সে তার অনুসারী বিনোবাভাবেকে লেখা এক চিঠিতে বলে: “এখন আর মনু আমার সঙ্গে বিছানায় শোয় না, এটি ঘটেছে তারই (মনুর) ইচ্ছা অনুযায়ী আর এর পেছনে কাজ করেছে থাক্কর বাপার এক মর্মন্তুদ চিঠি।”
তবে নিজের সমালোচকদের আগাম নোটিশ দিয়ে ১৯৪৭ সালের মে মাসে পাপাত্মা গান্ধী তার পুরাতন খাছলত চরিতার্থ করতে শুরু করে। তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার এই বিকৃত কর্মকা- সে চালু রেখেছিল। ”

গান্ধীর নিজের আত্মজীবনীতে তার বদচরিত্রের স্বীকৃতি:
তবে শুধু বিভিন্ন লেখকের বইতেই নয়, বরং পাপাত্মা গান্ধীর নিজের লেখা আত্মজীবনীতেও তার অপকর্মের স্বীকৃতি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ তার আত্মজীবনীতে লেখা রয়েছে যে-
বন্ধু আমাকে একদিন বেশ্যা-গৃহে লইয়া গেল। সমস্ত ব্যবস্থাই পূর্ব হইতে ঠিক করা ছিল। টাকাও দেওয়া হইয়া গিয়াছিল। আমি একেবারে পাপের মুখের ভিতর গিয়া পড়িলাম। কিন্তু ‘ভগবানের অপার করুণা’ আমাকে ‘রক্ষা’ (!) করিল। সেই গৃহে আমি অন্ধের মতো হইয়া গেলাম। আমার কথা বলার মতো শক্তিও ছিল না। ‘লজ্জায় স্তব্ধ হইয়া’ সেই স্ত্রীলোকের পাশে খাটিয়ায় বসিয়া ছিলাম। স্ত্রীলোকটি ক্রুদ্ধ হইয়া প্রথমে আমাকে দুই-চার কথা শুনাইল, তারপর আমাকে দরজা দিয়া বাহির করিয়া দিলো।
তখন আমার পুরুষত্ব লাঞ্ছিত হইল বলিয়া মনে হইয়াছিল। পৃথিবী দ্বিধা হোক আমি তাহাতে প্রবেশ করি, লজ্জায় এমনি মনে হইতেছিল। কিন্তু আজ সেদিনকার উদ্ধার, ঈশ্বরের অপার কৃপা বলিয়া মনে করিতেছি। এই ধরণের ঘটনা আমার জীবনে আরও দুই চারবার হইয়াছে। তাহাতেও বিনা চেষ্টায়, কেবল ঘটনার যোগাযোগবশত আমি বাঁচিয়া গিয়াছি। কিন্তু বিশুদ্ধ দৃষ্টিতেও এই ঘটনায় আমি পতিত হইয়াছি বলিয়াই গণ্য করিতে হইবে। মনে মনে ‘ভোগের ইচ্ছাই’ আমাদের ছিল।” (গান্ধী রচনা সম্ভার: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, পৃষ্ঠা ২৪,২৫,২৮,২৯)                                                                                         
উপরোক্ত বর্ণনাটি পড়েই পাঠকেরা বুঝতে পারছেন যে, পাপাত্মা গান্ধী কতোটা শঠ, ভ- ও প্রতারক চরিত্রের ছিল। সে নানাভাবে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে নিজের অভিপ্রায়কে ‘সৎ’ বলে দাবি করতে চেয়েছে, পতিতালয়ে গিয়ে অনুশোচনায় জর্জরিত হয়েছে বলে দাবি করেছে। কিন্তু অনুশোচনা জাগলে কি পাপাত্মা গান্ধীর ভাষ্য অনুযায়ী “এই ধরণের ঘটনা আমার জীবনে আরও দুই চারবার হইয়াছে” হওয়াটা সম্ভব!
মূলত মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ অনুযায়ী এই গান্ধী সত্যিকার অর্থেই ‘পাপাত্মা’, যে তার আত্মা তথা অন্তরের গালিজ ও বদচরিত্রকে ঢেকে রাখতে বারবার ‘ব্রহ্মচর্যে’র দোহাই দিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করতো। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় ইতিহাসবিদ গোলাম আহমাদ মোর্তজা রচিত ‘এ এক অন্য ইতিহাস’ গ্রন্থের ‘বিচিত্র ব্যক্তি গান্ধীজী’ প্রবন্ধ রয়েছে-
এবার পাপাত্মা গান্ধী সিদ্ধান্ত নিল, তার এক নতুন ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’র পরবর্তী ধাপ হিসেবে সে উলঙ্গ হয়ে তার মহিলা সহকর্মীদের সঙ্গে শুবে। (নাউযুবিল্লাহ!) সে এটা শুরু করেছিল ১৯৪৪ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারিতে তার স্ত্রী মারা যাবার পর। ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে বিড়লাকে লেখা পত্রে পাপাত্মা গান্ধী নিজের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে,  সেইসব মহিলা বা কিশোরীরা যারা আমার সঙ্গে উলঙ্গ হয়ে শয়ন করেছিল’- যা থেকে বোঝা যায় বেশ কয়েকজন হিন্দু মহিলা এই বিকৃত কর্মকা-ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। সুশীলা নায়ার ছাড়াও প্রভাবতী নারায়ণ (জয়প্রকাশ নারায়ণের স্ত্রী), আভা গান্ধী, মনু গান্ধী এই কথিত ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’য় অংশ নিয়েছিল। লীলাবতী, রাজকুমারী অমৃত কাউর এবং আরও বেশ কয়েকজন হিন্দু মহিলা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল।
এ সম্বন্ধে পাপাত্মা গান্ধী ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসে মুন্নালাল শাহকে এক পত্র লেখে: ‘আমার পরিচয় হলো, আমি যা-আমি তাই। সমাজের কল্যাণের কথা তুলে কোনো লাভ নেই। আমি যতদূর সম্ভব একসাথে শোয়ার ব্যাপারটি স্থগিত রেখেছি। কিন্তু আমি এটি একেবারে ছেড়ে দিতে পারব না। আমি যদি মেয়েদের সঙ্গে একসাথে শোয়ার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ছেড়ে দিই, তাহলে আমার ব্রহ্মচর্যকে ‘কলঙ্কিত’ করা হবে। তাই এ ধরনের বাধা-নিষেধ আমার উপর আরোপ করা উচিত নয়।”
 আসলে হিন্দুধর্মটিই হলো ব্যভিচার ও বিকৃত যৌনতাকে বৈধতা দেয়ার প্রক্রিয়াবিশেষ। কারণ শুধু পাপাত্মা গান্ধীই নয়, বরং ভারতের প্রত্যেক মন্দিরেই পুরোহিতরা ‘ব্রহ্মচর্যে’র দোহাই দিয়ে দেবদাসী ও সেবাদাসী পোষে, যাদেরকে তারা তাদের বিকৃত যৌনতা চরিতার্থ করতে ব্যবহার করে। যেখানে হিন্দুদের দুর্গাপূজা পতিতালয়ের দরজার মাটি ছাড়া হয় না, সেখানে হিন্দুজাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে লাম্পট্য ও বদচরিত্র বিরাজ করবে এটিই তো স্বাভাবিক। হিন্দুদের জাতটাই খারাপ। যেভাবে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, ঠিক সেভাবেই হিন্দুর জাত কখনো ভালো হতে পারে না।
শুধু গান্ধী নয়, বরং হিন্দুদের প্রত্যেক কথিত ‘মহামানব’ই ছিল একেকটি মহা-লম্পট। তাদের কথিত বিশ্বকবি গরুদেব রবীন্দ্র ঠগের পারিবারিক ব্যবসা ছিল ৪৩টি পতিতালয়ের ব্যবসা। রবীন্দ্র ঠগের দাদা দ্বারকানাথ ঠগের প্রতিষ্ঠিত উক্ত ৪৩টি পতিতালয়ের অপবিত্র পয়সাতেই পৌত্তলিক রবীন্দ্র ঠগ লালিত পালিত হয়েছে। পতিতালয়ের পয়সাতেই রবীন্দ্র ঠগের নাপাক দেহ গঠিত হয়েছে।

(দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার মধ্যে গত ২০১৪ সালের ২৮শে অক্টোবর, ২৯শে অক্টোবর, ৭ই নভেম্বর, ১১ই নভেম্বর ও ১৮ই নভেম্বরে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত)
- সমাপ্ত-