২০২৪ সালের পর দেশে আর কোন গরীব থাকবে না : বাণীতে মাল মুহিত
২০২৪ সালের পর দেশে আর কোন গরীব থাকবে না : বাণীতে মাল মুহিত
Image result for নদী
২০২৪ সালের পর দেশে আর কোন গরীব থাকবে না : বাণীতে মাল মুহিত
চলছে গরীব নির্মূল করে কর্মসূচি। গরীব নির্মূল শেষে ঐ স্থানকে লস অ্যাঞ্জেলস আর প্যারিস বানানো হবে।
(ভিডিও: গতকালকে ভাষানটেক বস্তিতে আগুনের পর বস্তিবাসীর বক্তব্য)
https://www.facebook.com/noyonchatterjee5/videos/1203409993162130/?t=13
বাংলাদেশের আবুল জনগণ আছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ
বাংলাদেশের আবুল জনগণ আছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ
Image result for নদী
বাংলাদেশের আবুল জনগণ আছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (!) নিয়ে
আর এদিকে যে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে, সে দিকে তাদের হুশ নাই। পুরান ঢাকায় বিষ্ফোরক কেমিকেলের বিরুদ্ধে অভিজানের কথা প্রথম বলা হলেও এখন পুরো বিষয়টি ষ্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন বলা হচ্ছে, যে কোন ধরনের ‘পর্দাথ’ হলেই গোডাউন ও কারখানা সিলগালা করা হবে। প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে, পুরান ঢাকা থেকে কারখানা অপসারণ করা হবে। বিদেশী ইনভেস্টের লোভ আর পর্যটন এলাকা তৈরীর জন্য পুরান ঢাকায় ৪০০ বছর ধরে গড়ে ওঠা দেশীয় শিল্পাঞ্চল ধ্বংস প্র্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এটা হলে বাংলাদেশে নতুন করে ৩-৪ কোটি লোক বেকার হয়ে পড়বে। ফলে বাংলাদেশ আফ্রিকার মত দরিদ্র ও অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠবে।
পুরান ঢাকায় অভিজানের পূর্বে কথিত টাস্কফোর্সেকে তিনটি বিষয়টি পুরোপুরি স্পষ্ট করার দাবী তুলতে হবে:
১) পুরান ঢাকা কি আবাসিক এলাকা নাকি বাণিজ্যিক এলাকা ?
২) রাসায়নিক বলতে তারা কোন কোন মৌল বা যৌগ বুঝাচ্ছে তা স্পষ্ট করা ?
৩) গোডাউন কাকে বলে ? কত কেজি মালামাল রাখলে তা গোডাউন হিসেবে ধরা হবে ?
এ তিনটি বিষয় যদি স্পষ্ট না করা হয়, তবে অবশ্যই ধরে নিতে হবে, এ অভিজান বিষ্ফোরক রাসায়নিকের বিরুদ্ধে অভিজান নয়, এই অভিযান পুরান ঢাকায় ৪শ’ বছর ধরে গড়ে ওঠা দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি করার অভিযান।
https://www.facebook.com/noyonchatterjee5/videos/657481431321942/?t=9
“এই খবর করার জন্য তোমরা কতটাকা পেয়েছো ?”
“এই খবর করার জন্য তোমরা কতটাকা পেয়েছো ?”
Image result for নদী
ড কামাল হোসেন খামোশ বলার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়েছিলো,
“এই খবর করার জন্য তোমরা কতটাকা পেয়েছো ?”
ড. কামাল ও তার পরিবার যে পরিমাণ বিদেশী নেটওয়ার্ক এর সাথে জড়িত, তাদের হাটুর সমান যোগ্যতা আজকালকার সাংবাদিকদের নাই। সেই ড. কামাল যখন সাংবাদিকদের প্রশ্ন করে, তাদের খবরের পেছনে আর্থিক যোগান সম্পর্কে, তখন সেই কথা ফেলে দেয়ার মত নয়। গত কয়েকদিন যাবত বাংলাদেশের মিডিয়া ‘কেমিকেল’র নাম দিয়ে সত্য মিথ্যা মিলিয়ে যে খবর করছে, তা স্পষ্ট বলে দিচ্ছে, এর পেছনেও রয়েছে বিশাল টাকার খেলা।
আসুন খবরগুলো একটু দেখি:
১) সময়টিভির লাইভ সংবাদ (https://bit.ly/2INJcw1) এ দেখাচ্ছে, আরমানিটোলায় কেমিকেল গুদামে অভিজান। বাংলাদেশে যে ৮০-৯০ জন ইহুদী থাকে (ইহুদী পরিচয়ে থাকে না, থাকে ‘জিহোভার সাক্ষী’ নামে) তার অধিকাংশ থাকে এই আরমানিটোলায়। তাদের রক্ষা করতে বাহিনী আগে গেছে আরমানিটোলায়। (নিচের) ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, বিধ্বংসী (!) কেমিকেলের বস্তা পাওয়াতে সিলগালা করে দিয়েছে কথিত ট্যাস্কফোর্স। যে কেমিকেল বস্তায় স্পষ্ট লেখা ‘সাইট্রিক এসিড’। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের ক্লাস ৫ এর একটা বাচ্চাও জানে লেবুর রস হচ্ছে সাইট্রিক এসিড। সেই লেবু আমরা হরহামেসা খাচ্ছি, কিন্তু বিষ্ফোরণ তো দেখছি না। সাইট্রিক এসিডের অনেকগুলো ধরণ আছে, এর মধ্যে মনো-সাইট্রিক এসিডের বস্তা যদি পান, তবে সেটা দিয়ে ট্যাং এর মত জুস বানায় খাইতে পারবেন। আর ছবির বস্তাটা হলো অ্যানহাইড্রাস সাইট্রিক এসিড। এটা কৃষিতে ও ওষধ শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এটা দিয়ে আপনার জীবন বাচে, ধ্বংস না। আমি নিশ্চিত এটা বন্ধ করায় কয়েকদিন পর বাংলাদেশে খাদ্যদ্রব্য আর ওষধের দাম হু হু করে বাড়বে।
সময়টিভির লাইভ সংবাদ লিঙ্কে যান (https://bit.ly/2INJcw1) সেখানে আরো বলতেছে, দাহ্য প্লাস্টিকের গুটি পাওয়ায় কারখানা সিলগালা করে দেয়া হইছে। খুব ভালো হইছে। আপনার ঘরেও তো অনেক প্লাস্টিক আছে, সেগুলোও তো সমপরিমাণ দাহ্য, তাহলে আপনার বাসা সিলগালা করবে কবে ? আর এই যে প্লাস্টিক কারখানাগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে, এগুলোতে কিন্তু প্রতিদিন ঢাকা শহর ও তার আশাপাশের ডাস্টবিন থেকে আগত অসংখ্য প্লাস্টিক বোতল এবং অন্যান্য প্লাস্টিক থাকে, যা রিসাইক্লিং হয়। দাহ্য পদার্থের অজুহাতে প্লাস্টিক কারখানা বন্ধ করায় কয়েকদিন পর দেখবেন, পুরো ঢাকা শহর আবার প্লাস্টিকের ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। আর ঐ কারাখানায় বেকার হওয়া টোকাইরা আপনার মোবাইল আর আপনার বউয়ের চেইন ছিনতাই করবে, তখন কি করবেন ?
২) বণিকবার্তার খবর: অনুমোদন ছাড়া দাহ্যবস্তু ও রাসায়নিকের ব্যবসা চলছে সারা দেশে (https://bit.ly/2EJrTIp)
মন্তব্য: সরকার অনুমোদন দিলেই তো বৈধ হয়ে যায়। দেশীয় উপায়ে গড়ে ওঠা এই শিল্প এলাকায় অসংখ্য লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে, এটা চালু রাখতে তো সরকারের নিজেরই উদ্যোগী হওয়ার দরকার ছিলো।
৩) বিবিসিরি খবর: “পুরনো ঢাকার সংস্কার করা কি সম্ভব হবে? বাড়ীর মালিকরা রাজী হবেন?” (https://bbc.in/2C13bkZ)
মন্তব্য: সংস্কারের অজুহাতে একবার যদি কারখানাগুলো বন্ধ করা যায়, তবে পুরান ঢাকায় গড়ে ওঠা বিশাল দেশীয় শিল্প ধ্বংস করা সহজ হবে। তবে বিবিসি খবরে মিথ্যা বলছে। বলছে পুরান ঢাকার লোকরা নাকি এটা বলছে পুরান ঢাকার লোকরা নাকি এটা চাচ্ছে। এটা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। এই কাজ গত ২ বছর ধরে করতেছে সাঈদ খোকন। সে পুরান ঢাকার বিভিন্ন কমিউনিটিগুলোকে বুঝাইছে, তোমাদের বাড়িঘরগুলো ভেঙ্গে নতুন করে গুলশান-বনানীর মত প্ল্যান করে বানিয়ে দেবো। কিন্তু বাড়ির মালিকরা রাজী হয় নাই। তাদের বক্তব্য হলো: তারা নিশ্চিত না, সরকার তাদের জমি যে হারে বুঝে নেবে, সেই হারেই ফিরিয়ে দিবে কি না ? এছাড়া নতুন করে বাড়ি বানালে আরো জমি ছোট হয়ে যাবে, এর মধ্যে রয়েছে অনেক অংশীদার, সবাই কি ভাগ পাবে ? পাশাপাশি অধিকাংশ জমি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা চলতেছে, সেগুলোরই বা কি হবে ? তাই তারা বাড়ি ভাঙ্গতে রাজী না।
৪) সমকালের খবর: রাসায়নিক গুদামের টাকা যায় কোথায় : বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার অবৈধ কারবার, লাভের গুড় অনেকের পকেটে (https://bit.ly/2Vwkb9Q)
মন্তব্য: সত্য মিথ্যা বানায় খবর। পুরো ব্যবসাকে বানায় দিলো অবৈধ। হায়রে দেশীয় শিল্প ধ্বংস করতে কত টাকা খেয়েছো বিদেশীদের থেকে ?
৫) এনটিভির খবর: “রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম স্থানান্তরই কি সমাধান?” (https://bit.ly/2SDw5x4)
মন্তব্য: এনটিভি’র খবর পড়লে দেখবেন, তারা আসছে ‘কমপ্ল্যায়েন্স’ নিয়ে। গার্মেন্টস এর মত বড় শিল্প ক্লমপ্লায়েন্স মেটাতে গিয়ে অর্ধেক গামেন্টস বন্ধ করে দিছে (https://bit.ly/2tL3tro )। আর পুরান ঢাকার কারখানাগুলোতো রুম-বাথরুম আর বারান্দার মধ্যে গড়ে উঠছে। ওদের কাছে কমপ্ল্যায়েন্স চাওয়া আর কারখানা বন্ধ করে দেয়া একই কথা।
তবে আশার কথা হলো, আজকে দুপুরে অভিজান চালানোর সময় ব্যবসায়ীরা এক হয়ে প্রতিবাদ করে কথিত টাস্কফোর্সের অভিজান বন্ধ করে দিয়েছে (https://bit.ly/2IMZMfo )। আমি ব্যবসায়ীদের এই কাজ ১০০% সমর্থন জানাই। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপনাদের এই প্রতিবাদ অবশ্যই অভিবাদন পাওয়ার যোগ্য। আপনারা আরো বড় আকারে সবাই এক হোন, সবাই রাস্তায় নামেন, প্রতিবাদ করুন। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাহিনী আসলে তাদের পিটিয়ে হাড়গুড়ো করে দিন, প্রয়োজনে ষড়যন্ত্রকারীদের ২-৪টা লাশ ফেলে দিন। যে সাঈদ খোকন কিছুদিন আগে কলকাতা থেকে পুরান ঢাকার শিল্পকারখানা ধ্বংসের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসেছে (https://bit.ly/2GWbd2E), তার বাসার সামনে গিয়ে আন্দোলন করুন, তাকে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করুন।
মনে রাখবেন, আপনাদের এই কাজের মাধ্যমে পুরান ঢাকার ভিতর-বাহিরে কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, জনগণ বিদেশী পণ্যের বদলে কমমূল্যে দেশী সামগ্রী পাচ্ছে, এক পুরান ঢাকা সমস্ত ময়লা আকড়ে ধরে পুরো ঢাকা শহরকে পরিষ্কার করেছে। এই অবদান অসামান্য। সারা বিশ্বে দেশীয় শিল্পকে রাষ্ট্র পৃষপোষকতা করে, সেখানে বাংলাদেশে সাহায্য করা তো দূরের কথা, বিদেশী কর্পোরেটদের সাথে এক হয়ে সরকার এসেছে তাকে ধ্বংস করতে। এক মিথ্যা স্যাবোটেজের অজুহাতে ৪শ’ বছর ধরে গড়ে ওঠা দেশীয় শিল্প ধ্বংস ও কোটি মানুষকে বেকারকে করা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। সবাই এক থাকুন, ষড়যন্ত্রকারীরা কিছুই করতে পারবে না।
‘উন্নয়ন’ বলতে যে জিনিসটা প্রচার করা হচ্ছে-
‘উন্নয়ন’ বলতে যে জিনিসটা প্রচার করা হচ্ছে-
“উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”
Image result for নদীআজকাল আমরা একটা কথা বলে সবাই ভুল করি। আমরা সব সময় বলি, “আমরা বাংলাদেশের উ্ন্নয়ন চাই”। আমার মনে হয়, আমাদের এই বক্তব্যটা পরিবর্তন করার সময় এসেছে। আমাদের শ্লোগান হওয়া উচিত, “উন্নয়ন চাই না, খরচ কমিয়ে দিন”।
‘উন্নয়ন’ বলতে যে জিনিসটা প্রচার করা হচ্ছে-
বিদ্যুৎকেন্দ্র, রাস্তাঘাট, পর্যটন কেন্দ্র, ব্রীজ-সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে, স্টেডিয়াম, সিনেপ্লেক্স, পরিবেশ সুন্দর, বিমানবন্দর এই সব ‘উন্নয়ন’ বাংলাদেশের দরকার নাই। বিশেষ সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণীর এগুলো দরকার নাই। এগুলো উচ্চবিত্ত শ্রেনীর ইতিমধ্যে আছে, অথবা তারা টাকা দিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে সেগুলো ম্যানেজ করে ফেলছে। এবার আসুন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণী, যারা বাংলাদেশের ৯৯% জনগন। তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন তো, তাদের আগে কি প্রয়োজন ? তাদের কি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র, রাস্তাঘাট, সেতু, ব্রীজ, বিমানবন্দর, পর্যটন কেন্দ্র, পরিবেশ সুন্দর, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল আগে দরকার নাকি চালের দাম, ডালের দাম, তেলের দাম কমানো আগে প্রয়োজন ? বাড়িভাড়া, মেসভাড়া, যাতায়াত ভাড়া, মোবাইল বিল, ইন্টারনেট বিল ইত্যাদি যদি কমিয়ে অর্ধেক করে দেয়, তবে কি আপনি খুশি হবেন? নাকি মেট্রোরেলে করে খুশির ঠেলায় ঘুড়তে দিলে খুশি হবেন ? আমি নিশ্চিত, এসব খরচ কমালে মানুষ বেশি খুশি হবে।
আসলে কর্পোরেটোক্রেসি ষড়যন্ত্রের মূল ছিদ্রটা হলো ‘উন্নয়ন’।
যখনই আপনি উন্নয়ন চাইবেন, তখন আপনাকে উন্নয়নের নামে পর্যটন কেন্দ্র, বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্টেডিয়াম, ব্রীজ, সেতু, রাস্তাঘাট, মেট্রোরেল ধরায় দিবে। কিন্তু বিনিময়ে আপনার জীবন ব্যয় দ্বিগুন-ত্রিগুন-চতুর্গুন বেড়ে যাবে। আপনি যদি সুন্দর ঢাকা শহর চান, তবে তারা বস্তিতে আগুন দিবে, আপনি যদি পরিবেশ সুন্দর, চান, তবে সেই অজুহাতে দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করে দিবে, বিদেশী প্রডাক্টের উপর আপনাকে অভ্যস্ত করে খরচ তিন-চার গুন বাড়িয়ে দেবে।কর্পোটোক্রেসি পলিসিতে ব্যবসা বাণিজ্য ছড়াতে নয় বরং উচ্ছেদ করে ধ্বংস করতে চায়। কর্পোরেটোক্রেসির উন্নয়ন দেখে মানুষ শিহরিত হয়, আনন্দিত হয়। কিন্তু এর পেছনে খরচ বাড়ে, বেকারত্ব বাড়ে, বস্তিতে আগুন লাগে, দেশীয় শিল্প ধ্বংস হয়।
অপরদিকে, যখন আপনি খরচ কমানোর জন্য চাপ দিবেন, তখন বাধ্য হয়ে তাকে ইনভেস্ট করতে হবে কৃষি, শিল্পের মত উৎপাদনশীল খাতে, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে শিক্ষা ও চিকিৎসার মত মৌলিক খাতে। আর উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ মানে বেকারত্ব হ্রাস। বাড়িভাড়া আর যাতায়াত খরচ কমাতে গেলে শহর বিকেন্দ্রীকরণ অবশ্যাম্ভী। শহর বিকেন্দ্রীকরণ করতে আপনাকে ঢাকাস্থ ব্যবসা বাণিজ্যকে পুরো দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে (উচ্ছেদ নয়) ।
সমীকরণ আকারে দেখালে:
(১) উন্নয়ন = অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ---দেশীয় শিল্প ধ্বংস--বেকারত্ব বৃদ্ধি--বিদেশী কর্পোরেটদের আগমন---জীবনব্যয় পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি--যানজট কৃত্তিমভাবে বাচিয়ে রাখা।
(২) খরচ কমানো = উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ----দেশীয় শিল্পে স্বনির্ভর----বেকারত্ব হ্রাস---শহর বিকেন্দ্রীকরণ---যানজট হ্রাস----বাড়িভাড়া হ্রাস---যাতায়াত ভাড়া হ্রাস---জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে এমনিতেই
আমার মনে হয়,
জনগণের এখন তাই ‘উন্নয়ন’ চাওয়া আর উচিত নয়। বরং তারা দাবী তুলুক তাদের বাড়িভাড়া অর্ধেক করে দেয়া হোক, তাদের খাদ্যের দাম অর্ধেক করে দেয়া হোক, তাদের যাতায়াত ভাড়া অর্ধেক করে দেয়া হোক। জীবনব্যয় কমানোর দিকে শ্লোগান দিলে বিদেশী কর্পোরেটরা এমনিতেই লেজ গুটিয়ে পালাবে।
নিপাহ ভাইরাসে ঠাকুরগাওয়ে ৫ জনের মৃত্যু
নিপাহ ভাইরাসে ঠাকুরগাওয়ে ৫ জনের মৃত্যু
Image result for নদী
সাম্প্রতিক দুটি খবর:
নিপাহ ভাইরাসে ঠাকুরগাওয়ে ৫ জনের মৃত্যু (https://bit.ly/2BYeslN)
রাজধানীতে নিপাহ ভাইরাস রুগী (https://bit.ly/2TlAHfJ)
আমি এ দুটি খবর নিয়ে কিছু বলবো।
প্রথম খবরে দেখা যাচ্ছে, ঠাকুরগাওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে একজনের রক্ত পরীক্ষা করে তাকে নিপাহ ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবী করছে গবেষকরা।
অপরদিকে রাজধানীতে যে নিপাহ ভাইরাস রুগী ভর্তি হয়েছে, খবরের ভেতর পড়ে দেখবেন, সে এতদিন রাজশাহীর সারদায় ছিলো, সেখানেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে এসেছে চিকিৎসা নিতে।
ম্যাপের মধ্যে যদি ঠাকুরগাওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও রাজশাহীর সারদা এলাকা দুটি দেখেন, তবে নিশ্চিত হবেন, দুটো এলাকাই কিন্তু বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। বিশেষ করে ঠাকুরগাওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অর্ধেক তো ভারতের সীমানার মধ্যে রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় এ দুটি এলাকার জন্গন ভারতীয় ও তাদের পণ্যের সাথে ওতপ্রতভাবে মিক্সিং করতো, এটা নির্ধি্বধায় বলা যায়।
আমার এই কথা বলার উদ্দেশ্য, আজ থেকে ১০ মাস আগে আমি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, যার শিরোনাম ছিলো:
“ভারতে নিপাহ ভাইরাস মহামারি : বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
ভারতীয় সবজী ও ফলমূল নিষিদ্ধ করলো বাহরাইন ও আরব আমিরাত
বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য নিষিদ্ধ হবে কবে ?”
লিঙ্ক: https://bit.ly/2UkcAej
ভারতে যেহেতু গত বছর থেকে নিপাহ ভাইরাসের মহামারি চলতেছে, এবং অনেক দেশ ভারতীয় ও তাদের পন্যের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছিলো। বাংলাদেশেরও উচিত ছিলো এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া, বিশেষ করে ভারতীয় সকল পণ্যের ব্যাপারে একটা বিধিনিষেধ দেয়া। কিন্তু সেটা তো দেয়া হইনি, বরং ভারতীয়দের সাথে নানান উপায়ে মিক্সিং হয়েছে। বিশেষ করে গত ২১ ফেব্রুয়ারী বেনাপোল সীমান্তে দুই দেশের মানুষের মধ্যে রক্ত পর্যন্ত বিনিময় হয়েছে (https://bit.ly/2C5cd06)।
এ ব্যাপারে আসলে বিস্তারিত আলোচনা করার কিছু নাই,
শুরু বলবো-
ভারত থেকে প্রতিদিন প্রচুর পণ্য বাংলাদেশে আসতেছে,
অসংখ্য ভারতীয় বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করতেছে,
আবার অনেক বাংলাদেশী ঈদসহ বিভিন্ন কেনাকাটা ভারত গিয়ে করতেছে।
এগুলো যদি না ঠেকানো যায়, তবে ভারতের নিপাহ ভাইরাস মহামারি বাংলাদেশেও মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়বে, এটা নিশ্চিত বলা যায়। অন্তত বালিয়াডাঙ্গী ও সারদার দুটি ঘটনা তারই আগাম সতর্কতা।
No photo description available.
চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’
চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’ 
Image result for নদী
চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’ (আইইবি)। এই তদন্ত প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে কথা বলবো। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে,
“ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় প্রসাধনী সামগ্রী মজুদ ছাড়াও খালি ক্যানে পারফিউম, এয়ার ফ্রেশনার রিফিল করা হতো। এগুলো উদ্বায়ী ও দাহ্য পদার্থ। পারফিউমের অন্যতম উপাদান ইথানলের ফ্ল্যাশ পয়েন্ট ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এয়ার ফ্রেশনারের ক্যানে প্রোপিল্যান্ট (Propellant) হিসেবে এলপিজি ব্যবহৃত হয়। বাতাসে এয়ার ফ্রেশনারের ঘনত্ব আনুমানিক শতকরা একভাগ হলেই তা দাহ্যতার নিম্নসীমা অতিক্রম করে এবং স্ফুলিঙ্গের উপস্থিতিতে আগুন ধরে বিস্ফোরণ হতে পারে। এলপিজি সাধারণত নিচু ও বন্ধ জায়গায় জমা হয়। জমাটবাধা এলপিজি অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে এবং স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে আসামাত্র ফ্ল্যাস ব্যাকের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।” (https://bit.ly/2tRpzc1)
ভালোভাবে রিপোর্টটা খেয়াল করুন, রিপোর্টে প্রথম যে বিষ্ফোরণ হলো, সেটার জন্য দায়ী করা হচ্ছে, এলপিজি গ্যাসকে, যা যে কোন পারফিউমের বোতলে ‘প্রোটিল্যান্ট’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন ভালোভাবে খেয়াল করুন, সেখানে স্পষ্ট বলা হচ্ছে, “এলপিজি সাধারণত নিচু ও বন্ধ জায়গায় জমা হয়। জমাটবাধা এলপিজি অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে এবং স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে আসামাত্র ফ্ল্যাস ব্যাকের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।”
কি বুঝলেন ?
এলপিজি বলতে এখানে বুঝাচ্ছে বিউটেন’কে। আমরা বাসাবাড়িতে যে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছি, এটাও কিন্তু এলপিজি বা বিউটেন। সরকারীভাবে যে প্রাকৃতিক গ্যাস লাইনে আসে, সেটা হলো মিথেন গ্যাস। মিথেন গ্যাস তুলনামূলক হালকা, এটা সামান্য একটু জানলা খোলা পেলেই উড়ে যায়। কিন্তু বিউটেন গ্যাস তুলনামূলক ভারি। আমরা বাসাবাড়িতে যে সিলিন্ডার ব্যবহার করছি, সেটা যদি কোন কারণে লিক হয়ে যায়, অথবা কেউ অসাবধানতাবশত গ্যাসের চুলায় গ্যাস ছেড়ে দেয় তবে তা উড়ে না গিয়ে জানালা দিয়ে বের না হয়ে ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে জমা হতে থাকে। ফলে সেই গ্যাস জমে থাকার মধ্যে কেউ যদি ম্যাচের কাঠি জ্বালায় তবে পুরো ঘরের মধ্যে বিষ্ফোরণ ঘটবে, যেটা ঘটেছে ওয়াহিদ ম্যানসনের দুইতলায়।
সম্প্রতি শেখ হাসিনা বাসাবাড়িতে আর গ্যাস সংযোগ দিতে নিষেধ করেছে এবং এলপিজি গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে অভ্যস্থ হতে বলেছে (https://bit.ly/2XEqI4n)। কেউ নিজের ঘরে এলপিজি সিলিন্ডার নিতে পারে, আবার অনেক ফ্ল্যাট বাড়ির নিচে এলপিজি স্টোরেজ বানাবে, সেখানেই গাড়ি এসে গ্যাস দিয়ে যাবে। এসব ক্ষেত্রে যেটা হবে, ঘরের ভেতর রাখা এলপিজি বিষ্ফোরণ ঘটলে শুধু ঐ বাড়িটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিন্তু বাড়ির নিচে যে বড় স্টোরেজ বানানো হবে, সেটাতে যদি কোন কারণে বিষ্ফোরণ ঘটে তবে পুরো এলাকা উড়ে যাবে।
তারমানে সরকার আবাসিক এলাকার অজুহাতে পুরান ঢাকার দাহ্য (flammable) পর্দাথ অপসারণ করতে বলছে, কিন্তু নিজেই বাসাবাড়িতে বিষ্ফোরক (explosive)
এবং বিষ্ফোরক গুদাম বানাচ্ছে। বিষয়টা কি সম্পূর্ণ দ্বিচারিতা হয়ে গেলো না ??
আসলে এসব দাহ্য-আগুন কিছু না। ছোটবেলায় গল্পে পড়েছিলাম, “হরিণ বাঘকে বলেছিলো, আমি তো তোমার পানি ঘোলা করিনি, তবে আমাকে খাবে কেন ?” উত্তরে বাঘ বলেছিলো, “তুই ঘোলা করিসনি তো কি হয়েছে, তোর বাপ-দাদা তো ঘোলা করেছিলো। ” সরকারের মাস্টার প্ল্যান পুরান ঢাকায় ৪শ’ বছর ধরে গড়ে ওঠা দেশীয় শিল্প ও বাণিজ্যগুলোকে ধ্বংস করবে, সেটা যে অজুহাতেই হোক।
সরকারের সেই ইচ্ছাটাই কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে কৌশলে শেষে জোড়া দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, “পুরান ঢাকার রাস্তাগুলো অত্যন্ত সরু এবং সড়কগুলো যানবাহন চলাচলের অযোগ্য। এই এলাকার বাসিন্দাদের পর্যায়ক্রমে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে নতুনভাবে পরিকল্পিত নগরায়ণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া।”
এটা হলো সরকারের অভ্যন্তরীণ প্ল্যান, যাকে বলা হচ্ছে, “আরবান ল্যান্ড রিডেভেলপমেন্ট” প্রকল্প, অর্থাৎ পুরান ঢাকার বাড়িঘরগুলো ভেঙ্গে আবার নতুন করে গুলশান-বনানীর মত করে পরিকল্পিত এলাকা তৈরী করা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মেয়র সাঈদ খোকন দু’বছর ধরে কাজ করছে, কিন্তু সফল হচ্ছে না।
ব্যক্তিগতভাবে আমিও এ প্রকল্পের সরাসরি বিরুদ্ধে নই, কিন্তু শর্ত হলো পুরান ঢাকায় যে দেশীয় শিল্প ও বাণিজ্যগুলো ৪শ’ বছর ধরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে, সেগুলোর উচ্ছেদ না করে সঠিক পুনর্বাসন করে আগে অন্যত্র যায়গা দিতে হবে এরপর উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে তাদের ঋণ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। কিন্তু সরকার সম্ভবত সেটা চায় না। সরকার চায়, পুরান ঢাকায় ৪শ’ বছর ধরে গড়ে ওঠা ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসকল শিল্প ও বাণিজ্যগুলোকে আবাসিক এলাকা ট্যাগ দিয়ে উচ্ছেদ করতে এবং ধ্বংস করতে। ধরে নিলাম, পুরান ঢাকা রিডেভেলপমেন্ট করলে নদীর পাড়ে স্বাস্থ্য সচেতন একটি সুন্দর আবাসিক এলাকা গড়ে উঠবে, কিন্তু এইসব দেশীয় শিল্প ও বাণিজ্যের সাথে যে কোটি কোটি লোকের পেট-রুজি জড়িত তাদের কি হবে ? তাদেরকে কে কর্মসংস্থান দিবে ? কে খাবার দিবে ? বেগুনবাড়ি বস্তি ভেঙ্গে হাতিরঝিল বানানো যায়, দেখে প্যারিস, লস অ্যাঞ্জেলস বা হলিউড মুভির আনন্দও নেয়া যায়, কিন্তু বেগুনবাড়ি বস্তি উচ্ছেদের পর সেই দরিদ্র পরিবারটি কোথায় আছে, তার ছোট্ট শিশুটি না খেতে পেয়ে, চিকিৎসার অভাবে মারা গিয়েছে না বেচে আছে, সেটার খবর রাখা সত্যিই দূরুহ ব্যাপার।
নিউইয়র্ক টাইম যখন চুড়িহাট্টা নিয়ে খবর করে, তার হেডিং ছিলো, “ধনীদের লোভের আগুনেই পুড়েছে চকবাজার : নিউইয়র্ক টাইমস” (https://bit.ly/2C0iVo3)।
খবরের ভেতরে তারা ‘ধনী ব্যবসায়ী’ টার্মটা ব্যবহার করছে।
আপনারা জানেন, ব্রিটিশরা যখন এ অঞ্চলে আসলো তখন তারা প্রথমে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে এ অঞ্চলের ধনী মুসলমানদের থেকে সম্পত্তিগুলো কেড়ে নিয়েছিলো। কারণ তারা জানতো, সমাজে যদি ‘ধনী’ শ্রেণীর অস্তিত্ব থাকে, তবে সেই সমাজে প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব না। ঠিক একইভাবে এ অঞ্চলে ক্ষমতা পুরোপুরি হাতে নিতে সম্রাজ্যবাদী কর্পোরেটরাও একই উপায়ে এ অঞ্চলের ধনী তথা ধনী ব্যবসায়ীদের ফেলে দিতে চায়। (শুধু টিকে থাকবে গুটি কয়েক, যারা তাদের আজ্ঞাবহ ও গোলাম হয়ে থাকবে, যেভাবে ব্রিটিশ আমলে হিন্দু জমিদাররা ছিলো)।
সেই ধনী ব্যবসায়ীদের শেষ করার প্রক্রিয়ায় গতকাল মিডিয়ায় দেশের ৪টি শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকায় আগুনের খবর দেখলাম:
১) আশুলিয়ায় ঝুট গোডাউন ও সুতার কারখানায় আগুন (https://bit.ly/2SNmd3W)
২) সিদ্ধিরগঞ্জে কারখানায় আগুন। (https://bit.ly/2TvQIj0)
৩) মিরপুর শপিং সেন্টারে আগুন (https://bit.ly/2EDsiLg)
৪) কারওয়ান বাজার গোডাউনে আগুন (https://bit.ly/2SM9H4o)
এজন্যই আমি ২ বছর ধরে আপনাদের সতর্ক করতেছিলাম, বলেছিলাম খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে কর্পোরেটোক্রেসি’র বড় রূপ আসতেছে। দেশের শিল্প-বাণিজ্য ধ্বংস হবে, বিদেশী কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর আগমণ হবে, তাদের সুবিধার জন্য আগে থেকেই জনগণের টাকায় বড় বড় আবকাঠামো নির্মাণ হবে, ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে জনগণের জীবন ব্যয় বেড়ে যাবে, বাড়িভাড়া আর খাবার খরচ যোগাতে ঘরের বাবা-মা-ভাই-বোন সবাই বিদেশী কর্পোরেট কোম্পানিতে নামমাত্রমূল্যে দাস হবে। একটা জাতিকে চিরস্থায়ী দাসে পরিণত করতে যে প্ল্যান তাকেই বলে ‘কর্পোরেটোক্রেসি’, যার মূল প্ল্যান ইহুদীবাদী কর্পোরেটদের, আর ফিল্ডে বাস্তবায়ন করে ঐ দেশের সরকার।
পুরান ঢাকায় কোন ধরনের কারখানা থাকতে পারবে না : সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা
পুরান ঢাকায় কোন ধরনের কারখানা থাকতে পারবে না : সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা
Image result for নদী
পুরান ঢাকায় কোন ধরনের কারখানা থাকতে পারবে না : সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা
সময় টিভির খবরে কিন্তু কথাটা বেশ স্পষ্ট শোনা গেলো।
যে দিন প্রথম আগুন লেগেছিলো, তারপর কিন্তু আমি এ কথাটাই বলেছিলাম। কিন্তু অনেকেই আমার সাথে তর্ক করেছিলো।
আজকে ঐ গ্রুপটা কোথায় ?
যারা ফেসবুকে চিৎকার করেছিলো পুরান ঢাকার কেমিক্যাল সরানো নিয়ে ?
আজকে তো ‘কেমিক্যাল’ ‘কারখানা’ হয়ে গেলো।
তাদের জন্য আমার ধিক্কার,
যারা ফেসবুকে সুশীল সেজে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিতে ষড়যন্ত্রকারীদের সাহায্য করে।
ঐ মূর্খদের কারণে দেশ আরো বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়বে, আমি তা বলে দিলাম, আপনারা সেভ করে রাখেন।
বিশেষ খবর: একটু আগে খবর পেলাম পুরান ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানায় অভিজানের কারণে চাপাইনবাবগঞ্জ ও নওগা জেলার চাল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলোতে প্যাকেটিং বন্ধ হয়ে গেছে। চালের মার্কেটে খুব শিঘ্রই এর প্রভাব পড়বে।
https://www.facebook.com/noyonchatterjee5/videos/397611740785211/?t=12
বর্তমানে দাহ্য পদার্থের কথা বলে পুরান ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে
বর্তমানে দাহ্য পদার্থের কথা বলে পুরান ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে
Image result for নদীএ ভিডিওটি কয়েক বছর আগের। বর্তমানে দাহ্য পদার্থের কথা বলে পুরান ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পুরান ঢাকায় প্রায় ৩০০ প্লাস্টিক কারখানা আছে, যেখানে প্রতিদিন হাজার টন প্লাস্টিক রিসাইক্লিং হয়। এ প্লাস্টিক কারখানাগুলো পরিবেশে জন্য কতটা উপকারি তা বুঝানোর জন্যই এ ভিডিওটি দিলাম। সঠিক উপায়ে পুনর্বাসন না করে হঠাৎ করে যদি এই কারখানাগুলো উচ্ছেদ করা হয়, তবে বিপুল পরিমাণে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং বন্ধ হয়ে যাবে। আর বন্ধ হয়ে গেলে যে সমস্যাগুলো হবে:
১) পরিবেশ থেকে প্লাস্টিক উঠবে না, ফলে পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠবে। প্লাস্টিকে ভরে যাবে সর্বত্র।
২) প্লাস্টিক পণ্যের দাম কয়েকগুন বেড়ে যাবে, ফলে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণী প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে কঠিন সমস্যায় পড়বে।
৩) এই কারখানাগুলো দেশীয় পণ্য তৈরী জন্য গুটি সরবরাহ করতো। কিন্তু এই কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে প্লাস্টিক গুটি আমদানি করতে হবে।
৪) গার্মেন্টসগুলো প্লাস্টিক সুতা, হ্যাঙ্গার পেতো এখান থেকে। চালের কারখানাগুলো বস্তার ভেতরে একটা পাতলা পলিথিনের আবরণ দিতো, সেটারও সরবরাহ হতো এখান থেকে। এরকম আরো বহু প্লাস্টিক পণ্য সরবরাহ হতো পুরান ঢাকার ৩০০ কারখানা থেকে। এগুলো বন্ধ করে দেয়ায় দেশে একটি বিরাট সমস্যা তৈরী হবে।
৫) লক্ষ লক্ষ লোক বেকার হয়ে পড়বে। এই কারখানাগুলোতে প্লাস্টিক সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ছিলো কয়েক লক্ষ টোকাই। কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে এই শ্রেণীটি চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়বে। উল্লেখ্য যেসব দেশে (আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা) কর্পোরেটোক্রেসি বাস্তবায়ন হয়েছে, সেখানে দরিদ্র শ্রেণীর কাজ হরণ করায় তারা হিংস্র হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে যায়। ঐ সব দেশে খুন-রাহাজানি খুব স্বাভাবিক বিষয়। এসব ব্যবসা উচ্ছেদের কারণে বাংলাদেশেও অদূর ভবিষ্যতে অপরাধমূলক কাজ ব্যাপক হারে বাড়বে এটা নিশ্চিত।
https://www.facebook.com/noyonchatterjee5/videos/1975770192535165/?t=9

বিশ্বব্যাংকের টাকা খেয়ে পাট শিল্প ধ্বংস করেছে বিএনপি
বিশ্বব্যাংকের টাকা খেয়ে পাট শিল্প ধ্বংস করেছে বিএনপি
Image result for নদী
বিশ্বব্যাংকের টাকা খেয়ে পাট শিল্প ধ্বংস করেছে বিএনপি
বিশ্বব্যাংকের টাকা খেয়ে পুরান ঢাকার দেশীয় শিল্প ধ্বংস করবে আওয়ামীলীগ
গতকাল পুরান ঢাকাকে নিয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা। পুরান ঢাকা বিশেষ করে কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, নয়াবাজার, সূত্রাপুর এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে নতুন করে যায়গা বের করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। এতে পার্ক-খেলার মাঠ-কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে সরকার। পুরো প্রকল্পে ব্যয় হবে ৮৮০ কোটি টাকা, যার সিংহভাগ অর্থাৎ ৮৩৪ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক। পুরান ঢাকা ভেঙ্গে একটি আধুনিক সিটি ও পর্যটন কেন্দ্র বানানোর অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে সরকারের, যার শুরুটা গতকাল গৃহিত হলো। (https://bit.ly/2TANRp2https://bit.ly/2EOsXL4)
পাঠক ! আপনাদের মনে থাকার কথা, চকবাজারে আগুন ধরার পর আমি আমি আপনাদের বলেছিলাম, এই আগুন দেয়ার পেছনে সম্রাজ্যবাদীদের একটি প্ল্যান আছে এবং তার সাথে আছে সরকারের কমিশন। অনেকে হয়ত বিষয়টি তখন বুঝেন নাই। কিন্তু দিনে দিনে দেখবেন, বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে।
আপনাদের আরো মনে থাকার কথা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে পাট দিবস উপলক্ষে বলেছিলো, “বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাট কল বন্ধ করে পাট শিল্পকে ধ্বংস করেছে বিএনপি। ” (https://bit.ly/2C25uE7)
তাহলে কি আজকে আমরা বলতে পারি না, বিশ্বব্যাংকের থেকে টাকা খেয়ে কথিত উন্নয়নের নামে পুরান ঢাকার দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করছে আওয়ামীলীগ সরকার !
দেশীয় শিল্প ধ্বংস করতে বিশ্বব্যাংক যে পরীক্ষিত শত্রু সেটার তো আরো বহু উদাহরণ আছে। ৮০-এর দশকের শেষের দিকে ‘বিশ্ব ব্যাংক’ বাংলাদেশ সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে কৃষিক্ষেত হতে ‘ব্যাঙ’ ধরে দেয়ার জন্য। সেই সময় কৃষিক্ষেত হতে কোটি কোটি ব্যাঙ ধরা হয়। কিছু দিন পর দেখা যায়, ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং হাজার হাজার ধানক্ষেত পোকার আক্রমনে ধানশূন্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্হায় বিশ্বব্যাংক পরামর্শ দেয় উন্নত সার ও কীটনাশক জমিতে ব্যবহার করতে। বিদেশী কোম্পানিগুলো তখন বাংলাদেশে সার ও কীটনাশক বিক্রি সুযোগ পায়। অর্থাৎ সে সময় ব্যাঙ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বিশ্বব্যাংক।
একই ঘটনা ঘটে, “সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি” নামে। ৩০-৩৫ বছর আগে হঠাৎ করে বলা হয়, বাংলাদেশে নাকি গাছের অভাবে পরিবেশ বিপর্যয় আসতেছে, দূর্যোগে নাকি ধ্বংস হবে বাংলাদেশ। তাই বনায়নের নামে দেশজুড়ে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেয় বিশ্বব্যাংক। কিন্তু পরবর্তীতে আবিষ্কার হয়, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ পরিবেশের জন্য অপকারী, এই গাছগুলো মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি শুষে নেয়, ফলে কৃষিক্ষেতগুলো শুকিয়ে যেতে থাকে। ২০১০ সালের ১১ আগস্ট সামাজিক বনায়নের অগ্রগতিবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছকে ‘হতচ্ছাড়া গাছ’ উল্লেখ করে বলেছিলো, ‘এত দিন বিদেশি দাতা সংস্থার পরামর্শে সামাজিক বনায়নের নামে এ ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। এ গাছের নিচে অন্য কোনো গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিও বসে না। আকাশমণি গাছের রেণু নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে গেলে অ্যাজমা হয়।’ (https://bit.ly/2SOUBLuhttps://bit.ly/2HdQzKJ)
অর্থাৎ বিশ্বব্যাংক যে দেশের কৃষি ও শিল্পকে ধ্বংস করতে কু-বুদ্ধি ও তার বাস্তবায়নে অর্থ দেয় এটা শেখ হাসিনা ও তার পেয়ারা মতিয়া চৌধুরী নিজ মুখেই স্বীকার করেছে। তাহলে সেই বিশ্বব্যাংকের বুদ্ধি ও টাকাতে কেন তিনি পুরান ঢাকায় উন্নয়নের নামে দেশীয় শিল্পকে উচ্ছেদ করছেন ? এটা যে দেশীয় শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র সেটা কি তিনি বুঝেন না ? নাকি টাকার বস্তা পেয়ে তিনিও অন্ধ হয়ে গেছেন ??
আমার একটা বিষয় অবাক লাগে কি জানেন?
কথিত তৃতীয় বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রর জনগণ এখন বিশ্বব্যাংকের মত সম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোর ষড়যন্ত্র ধরতে পারে এবং নিয়মিত সেখানে প্রতিবাদ হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এতবার ঘোল খেয়েও শিক্ষা হয় না, বার বার একই গর্তে পা দেয়। চকবাজারে আগুন লাগার পর বাংলাদেশের মানুষের উচিত ছিলো, কেন সম্রাজ্যবাদীদের প্রকল্প বাস্তবায়নে এতগুলো মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো তার আগে বিচার চাওয়া, কিন্তু সেটা না করে পাবলিক লাগছে কেমিক্যালের পেছনে। প্রথমে ব্যাঙ দিয়ে বোকা বানাইছে, এরপর গাছ আর শেষে কেমিক্যাল। বাঙালী তুমি বেকুব হতে থাকো…..