গতকালকে বিসিএস পরীক্ষার ৯টি প্রশ্ন দেখে আমি বলেছিলাম, এই প্রশ্নগুলো সরকারবিরোধী অথবা সরকারের পলিসির বিরুদ্ধে লোকের হাতে করা। খুব তাড়াহুড়া করে স্ট্যাটাস দেয়াতে তখন বিস্তারিত লিখতে পারি নাই, যার কারণে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। যেহেতু আমি চাই, আপনারা অ্যানালাইসিস শিখুন, আমি কেন এ ধরনের মন্তব্য করলাম, সেটাও আপনাদের জেনে রাখা জরুরী। আসুন বিষয়গুলো দেখি-
১) প্রশ্ন: আইন ও সালিশ কেন্দ্র কি ধরনের সংস্থা ?
উত্তর: মানবাধিকার সংস্থা
অ্যানালাইসিস: আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেনের স্ত্রী হামিদা হোসেন। বর্তমানে এর প্রধান সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। দুইজনের মার্কিনপন্থী। ড. কামাল হোসেন যেহেতু এবার আওয়ামীলীগের বিরোধী দলের প্রধান ছিলো, তাই তার স্ত্রীর সংগঠনের প্রচার বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নের দ্বারা হবে, এটা আমি মানতে পারছিলাম না।
উত্তর: মানবাধিকার সংস্থা
অ্যানালাইসিস: আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেনের স্ত্রী হামিদা হোসেন। বর্তমানে এর প্রধান সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। দুইজনের মার্কিনপন্থী। ড. কামাল হোসেন যেহেতু এবার আওয়ামীলীগের বিরোধী দলের প্রধান ছিলো, তাই তার স্ত্রীর সংগঠনের প্রচার বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নের দ্বারা হবে, এটা আমি মানতে পারছিলাম না।
২) প্রশ্ন: Alliance যে দেশ ভিত্তিক গার্মেন্টস ব্রান্ডগুলোর সংগঠন ।
উত্তর: যুক্তরাষ্ট্রের।
অ্যানালাইসিস : আমেরিকার Alliance (অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি) এবং ইউরোপের অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি নামক সংগঠনটির দুটির সৃষ্টি রানা প্লাজার ঘটনার পর। রানাপ্লাজার ঘটনাটি ছিলো একটি ‘সিআইএ স্যাবোট্যাজ’। সিআইএ রানাপ্লাজার ঘটনা ঘটিয়ে এসব সংগঠন তৈরী করে এবং কমপ্ল্যায়েন্সের কথা বলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের উপর হস্তক্ষেপ করে। তাদের হস্তপেক্ষের কারণে অনেক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ফকির হয়ে যায়, আবার তারাও এসব অজুহাতে রেট কমিয়ে প্রডাক্ট নিয়ে লাভবান হয়। ঐ সময় সংগঠনটির সাথে বাংলাদেশের বিজিএমইএ’র অনেক দ্বন্দ্ব হয়। সরকারের সাথে এদের ভেতরে অনেক দ্বন্দ্ব আছে। তাদের নাম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নে আসছে দেখেই প্রশ্ন তুললাম।
উত্তর: যুক্তরাষ্ট্রের।
অ্যানালাইসিস : আমেরিকার Alliance (অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি) এবং ইউরোপের অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি নামক সংগঠনটির দুটির সৃষ্টি রানা প্লাজার ঘটনার পর। রানাপ্লাজার ঘটনাটি ছিলো একটি ‘সিআইএ স্যাবোট্যাজ’। সিআইএ রানাপ্লাজার ঘটনা ঘটিয়ে এসব সংগঠন তৈরী করে এবং কমপ্ল্যায়েন্সের কথা বলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের উপর হস্তক্ষেপ করে। তাদের হস্তপেক্ষের কারণে অনেক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ফকির হয়ে যায়, আবার তারাও এসব অজুহাতে রেট কমিয়ে প্রডাক্ট নিয়ে লাভবান হয়। ঐ সময় সংগঠনটির সাথে বাংলাদেশের বিজিএমইএ’র অনেক দ্বন্দ্ব হয়। সরকারের সাথে এদের ভেতরে অনেক দ্বন্দ্ব আছে। তাদের নাম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নে আসছে দেখেই প্রশ্ন তুললাম।
৩) প্রশ্ন: সংবিধানের কোন সংশোধনকে first distortion of constitution বলা হয়?
উত্তর: চতুর্থ সংশোধনী।
অ্যানালাইসিস : গতকালকে এর বিস্তারিত আমি দিয়েছি। এই প্রশ্নটি সম্ভবত তারা করেছে, যারা ২০১৭ সালে এসকে সিনহার মাধ্যমে জুডিশিয়াল ক্যু করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে। অনেকে মুখস্তভাবে এর উত্তর ৫ম সংশোধনী বলেছে। কিন্তু এটা যদি সত্যিই আওয়ামীলীগ সরকার করতো, তবে চতুর্থ সংশোধনীর কথা উত্তরের অংশে থাকতো না। কারণ আওয়ামীলীগ সব সময় বাকশালের কথা এড়িয়ে যায়, এটা নিয়ে কথা উঠলে বিব্রত বোধ করে। যেহেতু বিসিএস পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন আসলে তা দেশের সকল শিক্ষিত মহল পড়ে এবং বছরের পর বছর এই প্রশ্ন নিয়ে স্ট্যাডি হয়, তাই যারা এ প্রশ্ন ঢুকিয়েছে, তারা ইচ্ছা করেই কাজটি করেছে, তাদের উদ্দেশ্য আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে বিচারপতিদের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চায়, মিডিয়া বন্ধ করতে চায়, এটা সবার মধ্যে প্রচার করা। এবং ইচ্ছাকৃত first distortion of constitution বা প্রথম সংবিধান বিকৃতি টার্মটা চালু করতে চাইছে।
উত্তর: চতুর্থ সংশোধনী।
অ্যানালাইসিস : গতকালকে এর বিস্তারিত আমি দিয়েছি। এই প্রশ্নটি সম্ভবত তারা করেছে, যারা ২০১৭ সালে এসকে সিনহার মাধ্যমে জুডিশিয়াল ক্যু করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে। অনেকে মুখস্তভাবে এর উত্তর ৫ম সংশোধনী বলেছে। কিন্তু এটা যদি সত্যিই আওয়ামীলীগ সরকার করতো, তবে চতুর্থ সংশোধনীর কথা উত্তরের অংশে থাকতো না। কারণ আওয়ামীলীগ সব সময় বাকশালের কথা এড়িয়ে যায়, এটা নিয়ে কথা উঠলে বিব্রত বোধ করে। যেহেতু বিসিএস পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন আসলে তা দেশের সকল শিক্ষিত মহল পড়ে এবং বছরের পর বছর এই প্রশ্ন নিয়ে স্ট্যাডি হয়, তাই যারা এ প্রশ্ন ঢুকিয়েছে, তারা ইচ্ছা করেই কাজটি করেছে, তাদের উদ্দেশ্য আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে বিচারপতিদের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চায়, মিডিয়া বন্ধ করতে চায়, এটা সবার মধ্যে প্রচার করা। এবং ইচ্ছাকৃত first distortion of constitution বা প্রথম সংবিধান বিকৃতি টার্মটা চালু করতে চাইছে।
৪) প্রশ্ন: একুশে ফেব্রুয়ারীর বিখ্যাত গানটির সুরকার কে ?
উত্তর : আলতাফ মাহমুদ
অ্যানালাইসিস : জাতীয়তাবাদের ভিত্তিকে নতুন সৃষ্টি হওয়া পাকিস্তানকে দুইভাগ করার প্রথম পরিকল্পনা ছিলো আমেরিকার সিআইএ’র। যদিও ৭১ এ তা ছিনতাই করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। যে আলোচ্য গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো” এটা গানটির রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী মুখে নিজেকে আওয়ামীলীগার বলে দাবী করলেও বাস্তবে সে মার্কিনপন্থী লোক এবং বর্তমানেও আমেরিকায় বসে সরকার বিরোধীদের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রেখে চলেছে। সে হিসেবে ঐ গানটির কথা বর্তমানে পরীক্ষার প্রশ্নে আনায় আমার মনে খটকা লাগে।
উত্তর : আলতাফ মাহমুদ
অ্যানালাইসিস : জাতীয়তাবাদের ভিত্তিকে নতুন সৃষ্টি হওয়া পাকিস্তানকে দুইভাগ করার প্রথম পরিকল্পনা ছিলো আমেরিকার সিআইএ’র। যদিও ৭১ এ তা ছিনতাই করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। যে আলোচ্য গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো” এটা গানটির রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী মুখে নিজেকে আওয়ামীলীগার বলে দাবী করলেও বাস্তবে সে মার্কিনপন্থী লোক এবং বর্তমানেও আমেরিকায় বসে সরকার বিরোধীদের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রেখে চলেছে। সে হিসেবে ঐ গানটির কথা বর্তমানে পরীক্ষার প্রশ্নে আনায় আমার মনে খটকা লাগে।
৫) প্রশ্ন- তথ্য পাওয়া মানুষের কী ধরনের অধিকার ?
উত্তর- মৌলিক অধিকার।
অ্যানালাইসিস: বিসিএস পরীক্ষা হয় ৩রা মে। এবং ঐ দিন মানে ৩রা মে ছিলো বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এদিবসকে কেন্দ্র করে মার্কিনপন্থী এনজিও ও মিডিয়াগুলো সরকারকে চাপ দিচ্ছিলো ৫৭ ধারা বা ডিজিটাল আইনের বিরুদ্ধে, বার বার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছিরো তথ্য পাওয়ার অধিকার মৌলিক অধিকার বলে। সে হিসেবে বিসিএস প্রশ্নের ঐ একই দিন একই বিষয় উল্লেখ করার মানে সে একই মেসেজ আবারও দিতে চেয়েছে।
উত্তর- মৌলিক অধিকার।
অ্যানালাইসিস: বিসিএস পরীক্ষা হয় ৩রা মে। এবং ঐ দিন মানে ৩রা মে ছিলো বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এদিবসকে কেন্দ্র করে মার্কিনপন্থী এনজিও ও মিডিয়াগুলো সরকারকে চাপ দিচ্ছিলো ৫৭ ধারা বা ডিজিটাল আইনের বিরুদ্ধে, বার বার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছিরো তথ্য পাওয়ার অধিকার মৌলিক অধিকার বলে। সে হিসেবে বিসিএস প্রশ্নের ঐ একই দিন একই বিষয় উল্লেখ করার মানে সে একই মেসেজ আবারও দিতে চেয়েছে।
৬) প্রশ্ন: বাংলাদেশে ‘নব নৈতিকতার প্রবর্তক কে ?
উত্তর : আরজ আলী মাতুব্বর
অ্যানালাইসিস : আরজ আলী মাতুব্বর বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী নাস্তিকদের থিউরীটিকাল গুরু। এই বিসিএস প্রশ্নের মাধ্যমে তারা সবাইকে ফের জানিয়ে দিলো, আরজ আলী মাতুব্বর নতুন নৌতিকতার ধারা প্রণয়ন করেছে।
উত্তর : আরজ আলী মাতুব্বর
অ্যানালাইসিস : আরজ আলী মাতুব্বর বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী নাস্তিকদের থিউরীটিকাল গুরু। এই বিসিএস প্রশ্নের মাধ্যমে তারা সবাইকে ফের জানিয়ে দিলো, আরজ আলী মাতুব্বর নতুন নৌতিকতার ধারা প্রণয়ন করেছে।
৭) প্রশ্ন: অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে-
উত্তর- বিনিয়োগ বাড়ে।
অ্যানালাইসিস : অনেকটা মার্কিনপন্থী এনজিও সিপিডি’র বক্তব্যের মত শোনায়। বিশেষ করে আমেরিকান এনজিও বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো যে বিষয়গুলো নিয়ে সরকারকে বর্তমানে চাপ দিচ্ছে, সেটাই বিসিএস প্রশ্নে আসার সত্যিই বিষ্ময়কর।
উত্তর- বিনিয়োগ বাড়ে।
অ্যানালাইসিস : অনেকটা মার্কিনপন্থী এনজিও সিপিডি’র বক্তব্যের মত শোনায়। বিশেষ করে আমেরিকান এনজিও বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো যে বিষয়গুলো নিয়ে সরকারকে বর্তমানে চাপ দিচ্ছে, সেটাই বিসিএস প্রশ্নে আসার সত্যিই বিষ্ময়কর।
৮ +৯) শ্রীলংকার কোন সুমদ্রবন্দর চীনের নিকট ৯৯ বছরের জন্য লীজ দেয়া হয়েছে ? এবং
চীন কোন আফ্রিকান দেশটিতে সামরিক ঘাটি স্থাপনের মাধ্যমে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করেছে ?
উত্তর: হ্যাম্বানটোটা এবং জিবুতি
অ্যানালাইসিস : আমেরিকা বিশ্বব্যাংক বা জাপানের মাধ্যমে এ অঞ্চলে বিনিয়োগ করে। কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে চীন বিনিয়োগ বাড়াতে থাকায় তা ঠেকানোর অনেকগুলো পলিসি নেয় আমেরিকা। এর মধ্যে উপরের যে দুটি প্রশ্ন আছে, এই তথ্যগুলো তারা বিভিন্ন মিডিয়া ও অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাপক ছড়াতে থাকে। উদ্দেশ্য চীন যেন বিনিয়োগ বাড়িয়ে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী না হতে পারে। যেহেতু প্রশ্নে মার্কিনপন্থী বিনিয়োগ নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই, কিন্তু চীনের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ছড়িয়ে দেয়া মার্কিন মিডিয়া সেলের দুটি তত্ত্বই উপস্থিত। সেহেতু প্রশ্নকারী গোড়া মার্কিনপন্থী এতে কোন সন্দেহ নাই।
চীন কোন আফ্রিকান দেশটিতে সামরিক ঘাটি স্থাপনের মাধ্যমে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করেছে ?
উত্তর: হ্যাম্বানটোটা এবং জিবুতি
অ্যানালাইসিস : আমেরিকা বিশ্বব্যাংক বা জাপানের মাধ্যমে এ অঞ্চলে বিনিয়োগ করে। কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে চীন বিনিয়োগ বাড়াতে থাকায় তা ঠেকানোর অনেকগুলো পলিসি নেয় আমেরিকা। এর মধ্যে উপরের যে দুটি প্রশ্ন আছে, এই তথ্যগুলো তারা বিভিন্ন মিডিয়া ও অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাপক ছড়াতে থাকে। উদ্দেশ্য চীন যেন বিনিয়োগ বাড়িয়ে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী না হতে পারে। যেহেতু প্রশ্নে মার্কিনপন্থী বিনিয়োগ নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই, কিন্তু চীনের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ছড়িয়ে দেয়া মার্কিন মিডিয়া সেলের দুটি তত্ত্বই উপস্থিত। সেহেতু প্রশ্নকারী গোড়া মার্কিনপন্থী এতে কোন সন্দেহ নাই।