মুসলমানদের নতুন করে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী জোট করতে হবে। এন.সি- ৪০৮

মুসলমানদের নতুন করে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী জোট করতে হবে। 
Image result for গাছ
মুসলমানদের নতুন করে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী জোট করতে হবে। এই জোটে মুসলমান দেশগুলোর সেনা-নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্য ছাড়াও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ ও যুবক শ্রেণী থাকতে পারে । এই জোটের একটি আইন থাকবে, নিন্মোক্ত কাজগুলো হলে তারা ঐ দেশের বাহিনী পাঠাবে :
কোন যায়াগায় মুসলমানদের উপর গুলি বর্ষণ বা বোমা হামলা করলে
কোন যায়গায় গরুর জন্য মুসলমান মারলে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের মসজিদ/বাড়িঘর আগুন দিলে বা ধ্বংস করলে
কোন যায়গায় অন্যায়ভাবে মুসলমানদের ধর্ম পালনে বাধা দিলে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের ধর্মীয় আইনের বিরুদ্ধে আইন করলে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গার উস্কানি দিলে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের হালাল খাবারে বাধা দিলে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের জোর করে অন্য ধর্ম করতে বাধ্য করলে
কোন যায়গায় মুসলমানদের মধ্যে বিজাতীয় সংস্কৃতির বিস্তার ঘটালে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের ব্যবসা-বাণিজ্য-চাকুরী নষ্ট করলে, ধন-সম্পদ লুটপাট করলে
কোন যায়গায় মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ালে
কোন যায়গায় মুসলমান নারীদের নির্যাতন করলে
কোন যায়গায় জোর করে মুসলমানদের পরাধীন করে রাখলে
কোন যায়গায় মুসলমানদের মিথ্যা অপবাদ দিলে
কোন যায়গায় মুসলমানদের ফাঁসাতে মিথ্যা ঘটনা তৈরী করলে
কোন যায়গায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে হুমকি দিলে
কোন যায়গায় মুসলমানদের বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দিলে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের ধর্মীয় কারণে মানসিক নির্যাতন করলে,
কোন যায়াগায় মুসলমানদের ইতিহাস বিকৃত করলে
কোন যায়গায় মুসলমানদের জ্ঞান-বিজ্ঞান-গবেষণা চুরি করে অন্যের নামে চালিয়ে দিলে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের ক্ষতি করতে (খাদ্য, ওষুধ বা পলিসি দিয়ে ) ষড়যন্ত্র করলে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে কোন মিডিয়ায় অপপ্রচার করলে
কোন যায়গায় মুসলমানদের ধর্মীয় গুরুত্বপূণর্ সময়ে অন্য কাজ চাপিয়ে দিলে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরীর চেষ্টা করলে,
কোন যায়গায় মুসলমানদের ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান ধ্বংস করলে
ঐ জোট তার বাহিনী পাঠিয়ে সেখানে শাস্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে।
একা কাজ করবেন, আপনাকে সন্ত্রাসী ট্যাগ দিবে
জাতীয়ভাবে করলেও আন্তর্জাতিকভাবে কোন পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। তখনও ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ ট্যাগ দিবে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক জোট করে কাজ করলে তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়ে যাবে, তখন সেটাতে বাধা দিতে পারবে না।
আসলে মুসলমানদের দমন করার জন্য ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধ-নাস্তিকরা অনেক আগেই এ বিষয়গুলো করে অমুক তমুক জোট করেছে। অথচ এটা নিয়ে মুসলমানদের এখনও চিন্তা নাই, আর কিছু রাষ্ট্র চিন্তা করলেও তা নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটিতে জোট বানিয়ে ব্যবহার করেছে। তাই নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটির জন্য নয়, বরং আসল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জোট গঠন করতে এখন মুসলমান রাষ্ট্র ও তার জনগণের জোর দাবী তোলা উচিত। এবং সেটা গঠন করতে যত তাড়াতাড়ি পারা যায় কোন নিদির্ষ্ট স্থানে সম্মেলন ডাকা উচিত। প্রত্যেকে বিষয়টির প্রতি নিজের অবস্থান থেকে জোর প্রচার চালান, অবশ্যই কাজ হবে।