আম নিয়ে সিআইএপন্থীদের ষড়যন্ত্র আর কতদিন ?
আজকে দৈনিক যুগান্তরের খবর-“ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে রাতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন আম চাষীরা”
খবরের ভেতরে- “রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগানে কীটনাশক প্রয়োগ বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এরপর তা কার্যকর করতে নজরদারি শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু কৃষকরা বলছেন, এবার বৈরী আবহাওয়ায় এমনিতেই আমের ফলন কম। তার ওপর এখন তীব্র গরমে বেড়েছে পোকামাকড়ের উপদ্রব। কীটনাশক বা বালাইনাশক না দিলে বাগানের অবশিষ্ট আমও নষ্ট হয়ে যাবে। এতে দারুণ ক্ষতির মুখে পড়বেন চাষীরা। তাই প্রশসনের নজরদারি এড়িয়ে রাতে বাগানে বালাইনাশক ছিটাচ্ছেন তারা। চাষীরা বলছেন, এই বালাইনাশক আর আম পাকানোর ‘রাসায়নিক’ এক জিনিস নয়। তাদের দাবি, এ ব্যাপারে আদালতে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাও একইরকম মত দিয়েছেন।...... রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকার কয়েকজন আমচাষী জানান, প্রশাসনের লোকজন সকালের দিকে বাগানগুলো পর্যবেক্ষণে বের হন। তাই তারা প্রশাসনের নজর এড়াতে এখন রাতের বেলা গাছে স্প্রে করছেন। তারা আরও বলছেন, সারা বছরের কষ্টের ফসল এখন চোখের সামনে পোকায় খেয়ে ফেললে তারা পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকবেন।….. কীটনাশকের ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে এই আমচাষী বলেন, আদালতের কাছে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। মিডিয়ায়ও আদালতের নির্দেশনাটি সঠিকভাবে আসেনি। তার আরও দাবি, আদালত বলছেন বাগানে কীটনাশক দেয়া যাবে না, তবে আম পাকার কতদিন আগে দেয়া যাবে না সে ব্যাপারে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।....... বাগান নজরদারির কারণে চাষীরা আতঙ্কিত হয়েছেন। আদালতের কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপন না হওয়ায় এই বিপত্তির মধ্যে পড়েছেন রাজশাহী অঞ্চলের কয়েক লাখ আমচাষী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আম সংগ্রহের দুই সপ্তাহ আগে বালাইনাশক ব্যবহার করলে তার ক্ষতিকর বা প্রতিকূল প্রভাব ১৫ দিন পর আর ক্রিয়াশীল থাকে না।” (https://bit.ly/2J6Vxd2)
খবরের ভেতরে- “রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগানে কীটনাশক প্রয়োগ বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। এরপর তা কার্যকর করতে নজরদারি শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু কৃষকরা বলছেন, এবার বৈরী আবহাওয়ায় এমনিতেই আমের ফলন কম। তার ওপর এখন তীব্র গরমে বেড়েছে পোকামাকড়ের উপদ্রব। কীটনাশক বা বালাইনাশক না দিলে বাগানের অবশিষ্ট আমও নষ্ট হয়ে যাবে। এতে দারুণ ক্ষতির মুখে পড়বেন চাষীরা। তাই প্রশসনের নজরদারি এড়িয়ে রাতে বাগানে বালাইনাশক ছিটাচ্ছেন তারা। চাষীরা বলছেন, এই বালাইনাশক আর আম পাকানোর ‘রাসায়নিক’ এক জিনিস নয়। তাদের দাবি, এ ব্যাপারে আদালতে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাও একইরকম মত দিয়েছেন।...... রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকার কয়েকজন আমচাষী জানান, প্রশাসনের লোকজন সকালের দিকে বাগানগুলো পর্যবেক্ষণে বের হন। তাই তারা প্রশাসনের নজর এড়াতে এখন রাতের বেলা গাছে স্প্রে করছেন। তারা আরও বলছেন, সারা বছরের কষ্টের ফসল এখন চোখের সামনে পোকায় খেয়ে ফেললে তারা পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকবেন।….. কীটনাশকের ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে এই আমচাষী বলেন, আদালতের কাছে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। মিডিয়ায়ও আদালতের নির্দেশনাটি সঠিকভাবে আসেনি। তার আরও দাবি, আদালত বলছেন বাগানে কীটনাশক দেয়া যাবে না, তবে আম পাকার কতদিন আগে দেয়া যাবে না সে ব্যাপারে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।....... বাগান নজরদারির কারণে চাষীরা আতঙ্কিত হয়েছেন। আদালতের কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপন না হওয়ায় এই বিপত্তির মধ্যে পড়েছেন রাজশাহী অঞ্চলের কয়েক লাখ আমচাষী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আম সংগ্রহের দুই সপ্তাহ আগে বালাইনাশক ব্যবহার করলে তার ক্ষতিকর বা প্রতিকূল প্রভাব ১৫ দিন পর আর ক্রিয়াশীল থাকে না।” (https://bit.ly/2J6Vxd2)
আপনাদের মনে থাকার কথা, এই রিটটি নিয়ে যে সমস্যা হবে তা আমি কিছুদিন আগে হওয়ার সময়ই বলেছিলাম (https://bit.ly/2UWyhAK)। কিছুদিন আগে এই রিটটি করেছে- সিআইএপন্থী আইনজীবি মোনজিল মোর্দেশ, রুল দিয়েছে সিআইএপন্থী এক জাস্টিস। তারা কৃষিবিদ্যা সম্পর্কে কতটুকু বুঝে ? কোর্টে কোন কৃষবিদও উপস্থিত ছিলো না। ‘রাসায়নিক মানে খারাপ’- এই অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভর করে রুল দিয়ে দিলো, এখন সেখানে যাই দিবেন, ওদের আদালতের উপেক্ষা হবে, দণ্ডনীয় হবে।
আমার কথা হলো, তাদের পেটের ভেতর যে শক্তিশালী রাসায়নিক হাইড্রোক্লোরিক এসিড থাকে, তার বিরুদ্ধে কেন তারা রুল দেয়া না? তাদের ভুল রুলের কারণে দেশের হাজার কোটি টাকার আম সম্পদ নষ্ট হবে, এর দায়ভার কেন তারা নিচ্ছে না ?
আমার কথা হলো, তাদের পেটের ভেতর যে শক্তিশালী রাসায়নিক হাইড্রোক্লোরিক এসিড থাকে, তার বিরুদ্ধে কেন তারা রুল দেয়া না? তাদের ভুল রুলের কারণে দেশের হাজার কোটি টাকার আম সম্পদ নষ্ট হবে, এর দায়ভার কেন তারা নিচ্ছে না ?
বলাবাহুল্য এই সমস্যা তো এইবারই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার আম ধ্বংসে এই সিআইএপন্থী চক্রটি চেষ্টা করেছে এবং প্রশাসন তাদের কথা শুনে আম ধ্বংস করেছে। এরপর জনগণ যখন প্রতিবাদ করেছে, তখন নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়ার পর বের হয়েছে পুরোটাই ভুল। ভুল করে এত এত হাজার হাজার টন ফল ধ্বংস করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০১০ সালে এই সিআইএপন্থী আইনজীবি মোনজিল মোর্শেদের হাত ধরেই। সে ২০১০ সালে তার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ'- এর নাম দিয়ে আমসহ সকল ফলে ফরমালিন বন্ধে একটি রিট করে এবং হাইকোর্ট থেকে রুল নেয়। (https://bit.ly/2PJkPPN)
কোর্টের রুলটি মাঠে নিয়ে সক্রিয় ছিলো আরেক সিআইএপন্থী সংগঠন পরিবেশ বাচাও আন্দোলন (পবা), যার সদস্য আবু নাসের খান, লেলিন চৌধুরীরা। অপরদিকে এটা মিডিয়ায় প্রচারের মূল দায়িত্ব ছিলো সিআইএপন্থী মিডিয়া দৈনিক প্রথম আলো, ডয়েচে ভেলে, বিবিসিসহ অন্যান্যরা।
২০১৩ সালে দৈনিক প্রথম আলো ‘পবা’ রেফারেন্স দিয়ে রিপোর্ট করে, বাংলাদেশের ৯৪% আমের মধ্যে নাকি ফরমালিন আছে। (https://bit.ly/2ZM7Ph3) এই ‘গুজব’ তারা পুরো দেশবাসীকে খাওয়াতে সমর্থ হয় এবং গণহারে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার আম ধ্বংস করা হয়।
অনলাইনে এর বিরুদ্ধে তীব্র লেখালেখির কারণে ঘটনা নিয়ে নাড়াচাড়া হয় এবং ২০১৭ সালে প্রশাসন, খাদ্য ও ফল বিশেষজ্ঞরা অবশেষে স্বীকার করে আসলে আমের মধ্যেই প্রাকৃতিকভাবে ফলমালিন থাকে। আর ভুল যন্ত্রে ফরমালিন মেপে ইতিমধ্যে ৬০ হাজার টন ফল, আম ও মাছ নষ্ট করা হয়েছে। (https://bit.ly/2VCL2Vp)
একই ঘটনার আবার পুনরাবৃত্তি ঘটে ২০১৮ সালেও। হঠাৎ মিডিয়ায় রটিয়ে দেয়া হয় ইথোফেন দিয়ে আম পাকানো হচ্ছে এবং সেটা ক্ষতিকর। ব্যস শুরু হয়ে যায় আম নিধন। মিরপুর ও যাত্রাবাড়িতে ধ্বংস করা হয় ২২শ’ মন আম ।(https://bit.ly/2IxQijC)
এরপর অনলাইনে আমার পেইজ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ করা হয় এবং ইথোফেন দিয়ে আম পাকানো ক্ষতিকর কিছু নয়, তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়। (https://bit.ly/2V8zieb)
এতে ষড়যন্ত্রকারীদের গোমর ফাঁস হয়ে যায় এবং খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করে এবং বলে ইথোফেন দিয়ে আম পাকানো ক্ষতিকারক নয় তাদের ভুল হয়েছে। (https://bit.ly/2GYVlv8)
এখন আমার প্রশ্ন হলো-
ক) মানুষ এক ভুল কয়বার করে ? এক ফাঁদে কয়বার পা দেয় ?
খ) সিআইএপন্থী একটা কমন চক্র প্রতিবছরই বাংলাদেশের আম সম্পদ ধ্বংস করতে চায়, এটা সাধারণ জনগণ বা প্রশাসন কেন বুঝে না? কেন তাদের কথা শুনে আম ধ্বংস করে ??
গ) গুজব শুনে বার বার চাষী বা ব্যবসায়ীদের ফল নষ্ট করা হচ্ছে, এক্ষেত্রে তাদের কি কোন ক্ষতিপূরণ দেয় হয় ?
ঘ) যেসব আইনজীবি, মিডিয়া ও এনজিও দেশের সম্পদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, গুজব রটাচ্ছে তাদের কেন আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না, কেন বিচার হচ্ছে না ? তার জবাব চাই।
ক) মানুষ এক ভুল কয়বার করে ? এক ফাঁদে কয়বার পা দেয় ?
খ) সিআইএপন্থী একটা কমন চক্র প্রতিবছরই বাংলাদেশের আম সম্পদ ধ্বংস করতে চায়, এটা সাধারণ জনগণ বা প্রশাসন কেন বুঝে না? কেন তাদের কথা শুনে আম ধ্বংস করে ??
গ) গুজব শুনে বার বার চাষী বা ব্যবসায়ীদের ফল নষ্ট করা হচ্ছে, এক্ষেত্রে তাদের কি কোন ক্ষতিপূরণ দেয় হয় ?
ঘ) যেসব আইনজীবি, মিডিয়া ও এনজিও দেশের সম্পদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, গুজব রটাচ্ছে তাদের কেন আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না, কেন বিচার হচ্ছে না ? তার জবাব চাই।