পতিতালয়ময় রবীন্দ্র পরিবার এবং রবীন্দ্রনাথের সিফিলিস রোগ!

Image may contain: 3 people, textপতিতালয়ময় রবীন্দ্র পরিবার এবং রবীন্দ্রনাথের সিফিলিস রোগ!
=================================== 
বীন্দ্রনাথের পৈতৃক ব্যবসার মধ্যে অন্যতম সফল ব্যবসা ছিলো পতিতালয় ব্যবসা।

১) রবীন্দ্রনাথের দাদা দ্বারকানাথের কলকাতা নগরীতে ৪৩টা বেশ্যালয় ছিলো। এছাড়া ছিলো মদ আর আফিমের ব্যবসাও। (সূত্র: এ এক অন্য ইতিহাস, অধ্যায়: অসাধারণ দ্বারকানাথ, লেখক: গোলাম আহমদ মর্তুজা, পৃষ্ঠা: ১৪১)

২) “রবীন্দ্রনাথের দাদা দ্বারকানাথ ছিলেন দেড়শ টাকা বেতনের ইংরেজ ট্রেভর প্লাউডেনের চাকর । দ্বারকানাথ ধনী হয়েছিল অনৈতিক ব্যবসার দ্বারা। রবীন্দ্রনাথের দাদা দ্বারকানাথ ঠাকুরের তেতাল্লিশটা বেশ্যালয় ছিল কলকাতাতেই। ( তথ্যসূত্র: কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা,২৮শে কার্তিক,১৪০৬, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)”

৩) “শুধু মাত্র দ্বারকানাথ ঠাকুর( রবীন্দ্রের দাদা) কলকাতার একটি এলাকাতেই তেতাল্লিশটি বেশ্যালয়ের মালিক ছিলে। [ তথ্যসুত্র: সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী সম্পাদিত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী,১৯৬২,পৃ.৩৫৮-৬০]"

৪) “রবীন্দ্রনাথ পরিবারের পতিতালয়ের ঠিকানা ২৩৫-২৩৬ বউবাজার স্ট্রিট, কলকাতা। সেখানে ছিলো ৪৩টি ঘর, যার ভাড়া ১৪০ রুপি।(Calcutta: Myths and History, S N Mukherjee, page-101; Under the Raj: Prostitution in Colonial Bengal, Sumanta Banerjee Page 72)

যার ধারাবাহিকতায় রবীন্দ্র নিজেও পতিতাপ্রিয় ছিলো -
১) "বেশ্যাবাজি ছিল বাবু সমাজের সাধারণ ঘটনা। নারী আন্দোলনের ভারত পথিক রাজা রামমোহন রায়ের, রক্ষিতা ছিল॥ এমনকি ঐ রক্ষিতার গর্ভে তাঁর একটি পুত্রও জন্মে ছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর পতিতা সুকুমারী দত্তের প্রেমে মজেছিল। কথা শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত পতিতালয়ে যেতে। [ তথ্যসুত্র: অবিদ্যার অন্তঃপুরে, নিষিদ্ধ পল্লীর অন্তরঙ্গ কথকতা; ড. আবুল আহসান চৌধুরী : শোভা প্রকাশ]" রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও পতিতালয়ে যেত। নিষিদ্ধ পল্লীতে গমনের ফলে রবীন্দ্রনাথের সিফিলিস আক্রান্ত হওয়ার খবর তার জীবদ্দশাতেই ‘বসুমতী’ পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছিল।

২) রবীন্দ্রনাথ পতিতাদের মধ্যেও যে সাহিত্য রস খুজে পেয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। রবীন্দ্রনাথ ঢাকায় বুড়িগঙ্গার পাশে বিখ্যাত গঙ্গাজলী’র (একটি এলাকার নাম যেখানে ঐ সময় বিশাল পতিতালয় ছিলো) পাশে এসে লিখেছিল “বাংলার বধূ বুকে তার মধু”। সত্যি কথা বলতে, ঐ সময় কলকাতায় বিশেষ কারণে যৌনরোগ সিফিলিস খুব কমন ছিলো। তাই ১৯২৮ সালে অবতার পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ এর সিফিলিস রোগের খবরটা তেমন গুরুত্ব পায় নি। (সূত্র: নারী নির্যাতনের রকমফের, লেখক: সরকার সাহাবুদ্দিন আহমদ, পৃষ্ঠা:৩৪১)

এই বদচরিত্র আর পতিতাখোর রবিন্দ্রই হল রবিন্দ্র পুজারীদের গরু।
আবার এর লেখাই মুসলিম দেশের জাতিয় সংগীত । নাউযুবিল্লাহ
কতটকু অশ্লীল আর বিকৃতমনা হলে রবিন্দ্র এবং রবিন্দ্রকে পুজা করতে পারে ?
এই বদচরিত্র রবিন্দ্র মালউনের সমস্থ লেখনী বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হোক।
আনজুমান মুফিদুলের বেওয়ারিশ লাশ ব্যবসা


Image result for আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম 
আনিজুমান মুফিদুলের বেওয়ারিশ লাশ ব্যবসা
===================
 
রাজধানী ঢাকা এর আশপাশের এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত গত দেড় বছরে অন্তত ১০০টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়নি। এমনকি হাসপাতাল, কবরস্থান পুলিশের খাতায় বেওয়ারিশ লাশের হিসাবেও গরমিল দেখা দিয়েছে।
বেওয়ারিশ লাশ উদ্ধারের পর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু বা আনন্যাচারাল ডেথ (ইউডি) মামলা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফনের জন্য দিয়ে দেওয়া হয় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে।
প্রতিষ্ঠানটি লাশের আনুষ্ঠানিক সকলপ্রকার কাজ সম্পন্ন করে আজিমপুর বা জুরাইন কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করতে পাঠায়। কিন্তু এরপর লাশগুলো দাফন করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কেউ তদারকি করে না।
রাজধানী এর আশপাশের এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত লাশের দাফনের ক্ষেত্রে প্রতিমাসে ১০-১২টির হিসাবে অসঙ্গতি রয়েছে। এর মধ্যে-
) ২০১২ সালের জুলাই মাসে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন তালিকায় লাশের সংখ্যা ১১৩ মাসে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ৪২টি এবং ৫৯টি আজিমপুর কবরস্থানে। বাকি ১২টি লাশের কোনো হিসাব নেই।
. আগস্টে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন তালিকায় লাশের সংখ্যা ১২৮টি। এর মধ্যে জুরাইন কবরস্থানে ৮৯টি আজিমপুরে দাফন করা হয় ১৮টি। মাসে ২১টি লাশের হিসাব মিলছে না।
. এভাবে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ডিসেম্বর এবং ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুলাই, আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসে মোট ৮৭টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়নি। সে সব লাশ কোথায় গেছে তারও কোনো তথ্য নেই।
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, মিটফোর্ডের মর্গে আগে প্রকাশ্যেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ তৈরী করে ছাত্রদের কাছে বিক্রি করা হতো। কয়েক বছর আগে একটি চ্যানেলে নিউজ করার পর ওই ব্যবসা কিছু দিন বন্ধ ছিল। এখনো গোপনে গোনে অজ্ঞাতনামা লাশ থেকে কঙ্কাল তৈরী করা হচ্ছে। তবে তাদের সঙ্গে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কতিপয় ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
কবর থেকে চুরি করা একটা মানবদেহের পূর্ণাঙ্গ কঙ্কালের দাম দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা। মর্গ থেকে সরাসরি বিক্রি করা হলে কঙ্কালের মূল্য দিতে হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কাটা-ছেঁড়ার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি বেওয়ারিশ লাশ কিনতে অন্তত দেড়/দুই লাখ টাকা গুনতে হয়। কখনও কখনও লাশের সঙ্কট থাকলে মূল্য বৃদ্ধি পায়। বেশি দামে সাধারণত বেওয়ারিশ লাশগুলো অধিকাংশ সময় কিনে নেয় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উপরোক্ত তথ্যমতে দেখা যাচ্ছে আনজুমান মুফিদুল ইসলাম বেওয়ারিশ লাশ দাফনের নামে সে সকল লাশ কিংবা লাশের হাড় বিক্রি করছে!
এই টাকা তারা সবাই মিলে লোপাট যেমন করছে তেমনি আবার বেওয়ারিশ লাশ দাফনের কথা বলে সরকারী -বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা নিচ্ছে।যাকাত০কুরবানীর সময় কোটি কোটি টাকা তুলছে।
এই কোটি কোটি টাকা যায় কোথায় ?
এই টাকা দিয়ে আনজুমানের মুফিদুলের কর্তা ব্যক্তিরা লালে লাল হয়ে গেছে।
খোজ নিয়ে দেখুন আনজুমানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কেউ লাখপতির নীচে নেই।
যারা লাশ নিয়ে এমন ঘৃণ্য ব্যবসা করে তাদের এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া উচিত।
যারা যাকাত -কুরবানির চামড়া দিচ্ছে তাদের তওবা করে ফিরে আসা উচিত।


আনিজুমান মুফিদুলের বেওয়ারিশ লাশ ব্যবসা


https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi4XIiGh-WiHugF3j7HE9M8FeqU3AUoCOqQNazVdlmZqII3KEVUMsn_ll9EHGswI0abo7pC5lKQ_Q3xj28lC2qmYmfMuHEteRLNOUrVVsbGAKmdVO3gXwqR5ZLupNMrTINZy-NNX0GvGYE/s320/30656318_1768436386553454_153656260355424256_n.jpgরাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত গত দেড় বছরে অন্তত ১০০টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়নি। এমনকি হাসপাতাল, কবরস্থান ও পুলিশের খাতায় বেওয়ারিশ লাশের হিসাবেও গরমিল দেখা দিয়েছে।রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের মর্গ থেকে বেওয়ারিশ লাশ বিক্রি করা হয়। একাধিক চক্র এ লাশগুলো সাধারণত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে দেয়।বেওয়ারিশ লাশ উদ্ধারের পর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু বা আনন্যাচারাল ডেথ (ইউডি) মামলা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফনের জন্য দিয়ে দেওয়া হয় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে। প্রতিষ্ঠানটি লাশের আনুষ্ঠানিক সকলপ্রকার কাজ সম্পন্ন করে আজিমপুর বা জুরাইন কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করতে পাঠায়। কিন্তু এরপর লাশগুলো দাফন করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কেউ তদারকি করে না।রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত লাশের দাফনের ক্ষেত্রে প্রতিমাসে ১০-১২টির হিসাবে অসঙ্গতি রয়েছে। এর মধ্যে ১. ২০১২ সালের জুলাই মাসে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন তালিকায় লাশের সংখ্যা ১১৩। এ মাসে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ৪২টি এবং ৫৯টি আজিমপুর কবরস্থানে। বাকি ১২টি লাশের কোনো হিসাব নেই।
২. আগস্টে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন তালিকায় লাশের সংখ্যা ১২৮টি। এর মধ্যে জুরাইন কবরস্থানে ৮৯টি ও আজিমপুরে দাফন করা হয় ১৮টি। এ মাসে ২১টি লাশের হিসাব মিলছে না।
৩. এভাবে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও ডিসেম্বর এবং ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুলাই,আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে মোট ৮৭টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়নি। সে সব লাশ কোথায় গেছে তারও কোনো তথ্য নেই। http://archive.is/T8AeG
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, মিটফোর্ডের মর্গে আগে প্রকাশ্যেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ তৈরী করে ছাত্রদের কাছে বিক্রি করা হতো। কয়েক বছর আগে একটি চ্যানেলে নিউজ করার পর ওই ব্যবসা কিছু দিন বন্ধ ছিল। এখনো গোপনে গোনে অজ্ঞাতনামা লাশ থেকে কঙ্কাল তৈরী করা হচ্ছে। তবে তাদের সঙ্গে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কতিপয় ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। http://archive.is/bqpHK
কবর থেকে চুরি করা একটা মানবদেহের পূর্ণাঙ্গ কঙ্কালের দাম দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা। মর্গ থেকে সরাসরি বিক্রি করা হলে কঙ্কালের মূল্য দিতে হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কাটা-ছেঁড়ার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি বেওয়ারিশ লাশ কিনতে অন্তত দেড়/দুই লাখ টাকা গুনতে হয়। কখনও কখনও লাশের সঙ্কট থাকলে মূল্য বৃদ্ধি পায়। বেশি দামে সাধারণত বেওয়ারিশ লাশগুলো অধিকাংশ সময় কিনে নেয় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। http://archive.is/aPapM
উপরোক্ত তথ্যমতে দেখা যাচ্ছে আনজুমান মুফিদুল ইসলাম বেওয়ারিশ লাশ দাফনের নামে সে সকল লাশ কিংবা লাশের হাড় বিক্রি করছে!
এই টাকা তারা সবাই মিলে লোপাট যেমন করছে তেমনি আবার বেওয়ারিশ লাশ দাফনের কথা বলে সরকারী -বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা নিচ্ছে।যাকাত০কুরবানীর সময় কোটি কোটি টাকা তুলছে।
এই কোটি কোটি টাকা যায় কোথায় ?
এই টাকা দিয়ে আনজুমানের মুফিদুলের কর্তা ব্যক্তিরা লালে লাল হয়ে গেছে।খোজ নিয়ে দেখুন আনজুমানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কেউ লাখপতির নীচে নেই।যারা লাশ নিয়ে এমন ঘৃণ্য ব্যবসা করে তাদের এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া উচিত।যারা যাকাত -কুরবানির চামড়া দিচ্ছে তাদের তওবা করে ফিরে আসা উচিত। 










. thereport24.com
https://archive.is/T8AeG/29e1bd31dcd448670c739b31c4ddc5f357d3c90a.png
ঢাকা, বুধবার, ২১ জুন ২০১৭, আষাঢ় ১৪২৪,  ২৫ রমজান ১৪৩৮
·         UTV


লাশ বেচে অন্ন : পর্ব

বেওয়ারিশ লাশ যাচ্ছে কোথায়!

 ২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১৪:৩০:২৭
বেওয়ারিশ লাশ যাচ্ছে কোথায়!
জন্মিলে মরিতে হবে/অমর কে কোথা কবে’- চিরন্তন সত্য খণ্ডনের সুযোগ নেই কিন্তু মৃত্যুর পর লাশ সঠিকভাবে দাফনের অধিকার সর্বজনীন আর সেই লাশ যদি হয় বেওয়ারিশ, তার দাফনের দায়ভার রাষ্ট্র অথবা স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠানের কিন্তু রাষ্ট্র কি বেওয়ারিশ লাশের প্রতি সেই দায়িত্ব পালন করছে? করছে না! দ্য রিপোর্টের অনুসন্ধানে বেওয়ারিশ লাশ দাফন নিয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা এর আশপাশের এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত গত দেড় বছরে অন্তত ১০০টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়নি এমনকি হাসপাতাল, কবরস্থান পুলিশের খাতায় বেওয়ারিশ লাশের হিসাবেও গরমিল দেখা দিয়েছে অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের মর্গ থেকে বেওয়ারিশ লাশ বিক্রি করা হয় একাধিক চক্র লাশগুলো সাধারণত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে দেয় এমনকি মেডিকেল কলেজ কবরস্থানকেন্দ্রিক চক্রগুলোর সঙ্গে জড়িত রয়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলের অসাধু চিকিৎসক শিক্ষার্থীরা
জানা গেছে, বেওয়ারিশ লাশ উদ্ধারের পর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু বা আনন্যাচারাল ডেথ (ইউডি) মামলা হয় ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফনের জন্য দিয়ে দেওয়া হয় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্বের সঙ্গে লাশের আনুষ্ঠানিক সকলপ্রকার কাজ সম্পন্ন করে আজিমপুর বা জুরাইন কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করতে পাঠায় কিন্তু এরপর লাশগুলো দাফন করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কেউ তদারকি করে না
দ্য রিপোর্টের অনুসন্ধান বিভিন্ন পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে পাওয়া গেছে, রাজধানী এর আশপাশের এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত লাশের দাফনের ক্ষেত্রে প্রতিমাসে ১০-১২টির হিসাবে অসঙ্গতি রয়েছে এর মধ্যে ২০১২ সালের জুলাই মাসে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন তালিকায় লাশের সংখ্যা ১১৩ মাসে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ৪২টি এবং ৫৯টি আজিমপুর কবরস্থানে বাকি ১২টি লাশের কোনো হিসাব নেই আগস্টে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন তালিকায় লাশের সংখ্যা ১২৮টি এর মধ্যে জুরাইন কবরস্থানে ৮৯টি আজিমপুরে দাফন করা হয় ১৮টি মাসে ২১টি লাশের হিসাব মিলছে না এভাবে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ডিসেম্বর এবং ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুলাই, আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসে মোট ৮৭টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়নি সে সব লাশ কোথায় গেছে তারও কোনো তথ্য নেই
একই সঙ্গে জুরাইন আজিমপুর কবরস্থানে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের পাঠানো লাশের থেকে বেশি লাশ দাফন করার তথ্যও পাওয়া গেছে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম থেকে ১৪৫টি লাশ দাফন করার জন্য পাঠানো হয় জুরাইন আজিমপুর কবরস্থানে কিন্তু জুরাইনে ১১২ আজিমপুরে ৩৭টি লাশ দাফন করা হয় মাসে চারটি লাশ বেশি দাফন করা হয়েছে একই ভাবে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ১৬টি, মে মাসে ৬টি এবং জুনে ৭টি লাশ বেশি লাশ দাফন করা হয়
রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দায়িত্বরত নুরুল হুদা বলেন, ২০১২ সালের জুলাই থেকে ৩০ জুন-২০১৩ পর্যন্ত ৪০০টি এবং ২০১৩ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৬৩টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়েছে জুরাইন কবরস্থানে দায়িত্বরত মাওলানা মো. সোয়াইব হোসেন বলেন, গত দেড় বছরে জুরাইন কবরস্থানে এসেছে ১০৪৭টি অজ্ঞাত লাশ
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সহকারী পরিচালক (সাভির্স) আবদুল হালিম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকা এর আশপাশের জেলা থেকে বেওয়ারিশ লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে আনা হয় পুলিশ, সরকারি হাসপাতাল রেলওয়ে থেকে পুলিশ মারফত লাশগুলো সংগ্রহ করা হয় বেওয়ারিশ লাশ জুরাইন আজিমপুর কবরস্থান ছাড়া অন্য কোথাও দাফন করা হয় না লাশের হিসাবে কোনো গরমিল হওয়ার কথা নয় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগে কখনও ওঠেনিলাশের হিসাবে অসঙ্গতি সর্ম্পকে তিনি আরও বলেন, ‘লাশ দাফন না হওয়ার কিছু নেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধিংকাশ সময় লাশ আনা হয় তা সঠিকভাবেই দাফন করা হচ্ছে লাশ দাফন না করার কিছু নেই
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কঙ্কাল মানবদেহ বিক্রি সম্পর্কে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান জুবায়েদ আহমেদ বলেন, ‘বেওয়ারিশ লাশগুলো হাসপাতাল থেকে পুলিশকে দেওয়া হয় পুলিশ কি করে সে বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু জানে না শিক্ষার্থীদের পাঠ্যদানের জন্য মানবদেহ অথবা বেওয়ারিশ লাশ সংগ্রহের বিষয়টিও আমি সঠিকভাবে জানি না কোনো না কোনোভাবে যেমন লাশ সংগ্রহ হয়, তেমনি কঙ্কালও কেনে শিক্ষার্থীরা
অজ্ঞাত লাশ দাফন করা হচ্ছে না- এমন তথ্য পুলিশের কাছেও নেই বলা চলে, পুলিশ প্রসঙ্গে কখনও তদারকি করার প্রয়োজন মনে করছে না বিষয়ে পুলিশের মহাপরির্দশক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, ‘এমন ঘটনা অসম্ভব যদি ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তবে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/এইচএসএম/এজেড/আরকে/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)

. sangbad_logo
আজ শুক্রবার, ২৩ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ, আষাঢ় ১৪২৪ বঙ্গাব্দ
ads
নিউজ ক্যাটাগরীঅপরাধখবরঢাকারাজশাহীশিরোনাম | নিউজ আপডেট টাইম : অক্টোবর, ২৫, ২০১৬, :১০ অপরাহ্ণ | নিউজটি পড়া হয়েছে : 473 বার
29665-picamarsnagbad
সংবাদ২৪.নেট ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন এলাকার কবর থেকে লাশ চুরির ঘটনা ঘটছেই। কিন্তু চুরি হওয়া এসব লাশ কোথায় যাচ্ছে বা কারা চুরি করছেন? তার রহস্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ কেউ জানে না। কবরের এসব চোরাইকৃত লাশ গরম পানিতে সিদ্ধ করে কঙ্কাল তৈরীর পর বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।আর এসব কঙ্কালের ব্যবসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেলের এক শ্রেণীর চিকিৎসক ছাত্র নেতারা জড়িত বলে দীর্ঘ অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে।জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকার কবর থেকে তোলা লাশ সিদ্ধ করে কঙ্কাল তৈরী করছে বেশ কয়েকটি চক্র।
এরপর শাহবাগ মিটফোর্ড ওষুধের ফার্মেসী, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাসে মোবাইল নম্বরসহ কঙ্কাল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। এরপর মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা ওইসব নম্বরের যোগাযোগ করেন।
 পরে চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত টাকা ওইসব মোবাইল নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর পর নির্ধরিত জায়গায় কঙ্কালটি পৌঁছানো হয়। গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের নোটিশ বোর্ডের পাশেই তেমনই একটি মোবাইল নম্বরসহ হাতে লেখা লিফলেট টাঙানো দেখা যায়।
 তাতে লেখা রয়েছে, একটি নিউ বোন (কঙ্কাল) বিক্রি করা হবে। এরপর ওই মোবাইল নম্বরে একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক হিসেবে ফোনে কথা বলা হয়। এসময় অপর প্রান্ত থেকে ওই বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিবেদককে জানান, একটি বোন (কঙ্কাল) কিনতে হলে ৩৫ হাজার টাকা লাগবে। এর কম দিলে হবে না। মোবাইল ফোনের গ্রাহক নিজের নাম পরিচয় দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে বলেন, টাকা পাঠিয়ে ঠিকানা বলুন। আর ঠিক সময়ের মধ্যেই বোনস বা কঙ্কালটি পৌঁছে যাবে। ওই মোবাইল ফোনের নম্বরটি ঢামেক এর কঙ্কাল বিক্রির সিন্ডিকেটের এক নেতার বলে জানা গেছে। আর ঢামেক এর ফজলে রাব্বী হলেও ওই একই নম্বর টাঙানো রয়েছে বলে জানা গেছে। ঢামেক মর্গ সূত্র জানায়, এখন আর মর্গে লাশের কঙ্কাল তৈরী করা হয় না।মেডিকেলের ছাত্র নেতারাই বাহিরে বিভিন্ন চক্রের মাধ্যমে কঙ্কাল তৈরী করে বিক্রি করছে। আর তাদেরকে সহযোগিতা করছে প্রতিবেশী দেশের কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী। শুধু তাই নয়, তারা ভারত থেকে কঙ্কাল এনে এদেশের ছাত্র নেতাদের মাধ্যমে মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করছে।সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, মিটফোর্ডের মর্গে আগে প্রকাশ্যেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ তৈরী করে ছাত্রদের কাছে বিক্রি করা হতো। কয়েক বছর আগে একটি চ্যানেলে নিউজ করার পর ওই ব্যবসা কিছু দিন বন্ধ ছিল। এখনো গোপনে গোনে অজ্ঞাতনামা লাশ থেকে কঙ্কাল তৈরী করা হচ্ছে। তবে তাদের সঙ্গে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কতিপয় ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।ঢামেক হাসপাতালের ডা. নুরুন্নাহার নামে একজন সাবেক চিকিৎসক জানান, আমরা যখন প্রথম বর্ষে ভর্তি হই। তখন জানতাম মর্গের ডোমরাই অজ্ঞাতনামা লাশগুলো অথবা মেডিকেলে দান করা লাশ থেকে কঙ্কাল তৈরী করে শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করতো। এখন পত্রপত্রিকায় দেখা যাচ্ছে কবরস্থান থেকে লাশ চুরি করা হচ্ছে। আর ওই চুরি করার লাশগুলো থেকে কঙ্কাল তৈরী করে ব্যবসা করছে অপরাধী চক্র। আর লাশ চুরির পর কঙ্কাল ব্যবসা জমজমাট ব্যবসা করছে একাধিক চক্র। ওইসব অপরাধী চক্রগুলোর সঙ্গে দেশের মেডিকেল কলেজের কতিপয় শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
 গত বছরের ২৩ জুন মঙ্গলবার রাতে সাভারের গকুলনগর গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে ১৩টি লাশ চুরির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়। কঙ্কাল তৈরী করে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করার জন্যই রাতের অন্ধকারে লাশগুলো কবর থেকে চুরি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
 এঘটনার পর আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির জানান, ওই ঘটনাটির ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
 সম্প্রতি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পারিবারিক গোরস্থান থেকে আসমা বেগম নামে একজনের লাশ চুরি হয়। এর আগে গাজীপুর পৌরসভার ধীরাশ্রম এলাকার গজারিয়া চালা কবরস্থান থেকে ১৩টি কবরের লাশ চুরির ঘটনা ঘটে। গতবছর ২৩ জুলাই গভীর রাতে ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে জড়িত আবেদ আলী তার ছেলে শাহজাহানকে পুলিশ আটক করে। আর ২০১৩ সালে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শহীদনগর ইউনিয়নের ছাগলদী গ্রামের কবরস্থান থেকে পাঁচটি লাশ চুরি করা হয়। এসব লাশ কঙ্কাল তৈরীর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকগণ মনে করছেন।
 সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিটি কঙ্কাল তৈরি করতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। হাসপাতালের মর্গে কঙ্কাল তৈরি হয় না। কঙ্কাল তৈরী করতে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার ফুটন্ত পানিতে লাশ ডুবিয়ে রাখা হলে লাশের শরীরের গোশত চর্বি আস্তে আস্তে আলাদা যায়। এরপর ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করে পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
 ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকায় ্যাব-১২ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে ১০টি কঙ্কালসহ তানভীর নামে এক চিকিৎসক আটক করে। আটক তানভীর রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১২ এলাকার প্রাইম ব্যাংক সংলগ্ন ১১/ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। তার বাবার নাম সোহরাব আলী তালুকদার। গ্রেফতারের পর ্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জনিয়েছিলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক ডোমের কাছ থেকে তিনি কঙ্কালগুলো সংগ্রহ করেছেন।
্যাব-১২-এর অপরাধ দমন বিশেষ শাখার তৎকালীন অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল সাংবাদিকদের তখন জানিয়েছিলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশ্বের গোলচত্বর এলাকায় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ন্যাশনাল ট্রাভেলসের (ঢাকা মেট্রো--১৪-৪০১৪) নম্বরের একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মৃত মানুষের ১০টি কঙ্কাল হাড়গোড়সহ তানভীরকে আটক করে ্যাব। উদ্ধারকৃত কঙ্কাল হাড়গোড়ের দাম আনুমানিক ১০ লাখ টাকা। ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় ্যাব মামলা করে। আর ওই দিন আটক তানভীরকে রাতেই পুলিশে সোপর্দ করা হয়।অপর সূত্র জানায়, গত ১৮ অক্টোবর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গ থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মর্গের দোতলার একটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল কঙ্কালটি উদ্ধার করে। সময় কঙ্কাল কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রিপুন কুমার (৫৫) নীরেন রবিদাস (৪২) নামে মর্গের দুই ডোমকে আটক করে পুলিশ।
 রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হান্নান সাংবাদিকদের জানান, রামেক মর্গে কঙ্কাল সংরক্ষণ করে কেনাবেচা করার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। আর কঙ্কাল কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ডোমকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা ভারত থেকে খন্ড খন্ড অবস্থায় কঙ্কাল এনে জোড়া লাগিয়ে বিক্রি করেন।
 সূত্র জানায়, চুরি করা এসব লাশের কঙ্কাল দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্রয় করেন। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেও একটি গ্রুপ কঙ্কাল ক্রয় বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। কলেজের কোনো শিক্ষার্থী কঙ্কাল ক্রয় করতে চাইলে এই চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারাই লাশ চোর চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব কঙ্কাল কলেজের নতুন নতুন শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করেন। আর এর বিনিময়ে তারা কঙ্কাল ব্যবসায়ীদৈর কাছ থেকে মোটা অংকের কমিশন পেয়ে থাকেন।
 নাম প্রকাশ না করার শর্তে কঙ্কাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এক শিক্ষার্থী জানান, মেডিকেলে পড়াশোনা করতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই মানুষের কঙ্কাল প্রয়োজন হয়। আর এসব কঙ্কাল বাহিরে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হয় না। আবার মেডিকেল থেকেও এসব কঙ্কাল সরবরাহ না করায় বিকল্প পথ হিসেবে অবৈধভাবে কঙ্কাল সংগ্রহ করেন তারা।
 সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে সরকারি ২২ মেডিকেল কলেজ, ১টি ডেন্টাল কলেজ ৯টি ডেন্টাল ইউনিট মিলিয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩হাজার ৩৮৯টি। এরমধ্যে মেডিকেল কলেজে দুই হাজার ৮১১টি ডেন্টালে ৫৭৮টি আসন রয়েছে।
 অপরদিকে ৫২ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে চার হাজার ২৭৫টি ১২ ডেন্টাল কলেজে সাড়ে ৮০০ আসন রয়েছে। আর মেডিকেল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রছাত্রীরাই হচ্ছে কঙ্কালের আসল ক্রেতা। তারা মেডিকেলে ভর্তির পর চুরি যাওয়া লাশগুলোর এক সেট কঙ্কাল ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। আর গবেষণার কাজে কঙ্কাল লাগলেও এর ব্যবহার সংরক্ষণ নিয়ে কোনো নীতিমালা নেই বলে অভিজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন।
 ঢাকা মেডিকেলের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক বলেন, ‘আমাদের মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা যে কঙ্কাল ব্যবহার করে সেগুলো দান করা লাশের কঙ্কাল। আর ওই সব কঙ্কালের গায়ে নামও লেখা রয়েছে। আর অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাদের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কঙ্কাল ক্রয় করেন বলে আমরা জানি। তবে সিনিয়ররা শিক্ষার্থী বা ডাক্তারগণ এগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করে তা আমার জানা নেই।
 অপর এক চিকিৎসক জানান, আগে কঙ্কাল ক্রয় করা হতো, সিনিয়র শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। তারা চিকিৎসক হওয়ার পর বা পড়া শেষ করার পর জুনিয়রদের কাছে ওই কঙ্কাল সেট বিক্রি করে দিতেন। আর নতুন কোন কঙ্কাল কোথাও পাওয়া যেত না। শুধুই পুরান সেট বছরের পর বছর কেনা বেচা হতো।
 এখন শুধু কবরের লাশই নয়, অপরাধীরা অজ্ঞাতনামা লাশগুলো কঙ্কাল ব্যবসায় জড়িতদের কাছে বিক্রি করছে। ঢামেকের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মেডিকেলের শিক্ষার্থী নেতারাই কঙ্কাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মেডিকেল কলেজের ভিতরে বাইরে এর ব্যবসা রয়েছে। বর্তমানে ফুল সেট কঙ্কালের দাম ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা, হাফ সেটের দাম ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
 তিনি আরো জানান, মেডিকেলে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় কঙ্কাল প্রয়োজন হয়। দ্বিতীয় বর্ষের পড়া শেষ হলে অনেকে কঙ্কালগুলো বিক্রি করে দেয়। কঙ্কালগুলো সহজে নষ্ট হয় না বলেও জানান শিক্ষার্থী।
 ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ইউসুফ আলী বলেন, মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য কঙ্কালের প্রয়োজন হয়। তবে তারা কিভাবে এবং কোথায় থেকে তা সংগ্রহ করেন, তা আমার জানা নেই। আর কবর থেকে যে লাশ তোলা তা অবৈধ কাজ।

. thereport24.com
https://archive.is/aPapM/29e1bd31dcd448670c739b31c4ddc5f357d3c90a.png
ঢাকা, বুধবার, ২১ জুন ২০১৭, আষাঢ় ১৪২৪,  ২৫ রমজান ১৪৩৮
·          

লাশ বেচে অন্ন : পর্ব-

বেওয়ারিশ লাশ কঙ্কাল বাণিজ্য

 ২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫ ১৮:৩৭:৪৯
বেওয়ারিশ লাশ ও কঙ্কাল বাণিজ্য
বেওয়ারিশ লাশ কঙ্কাল নিয়ে চলছে কোটি টাকার বাণিজ্য এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী শিক্ষকরাও রাজধানীর পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার মেডিকেল কলেজ কবরস্থান কেন্দ্রিক একাধিক চক্র নিরাপদে লাশ কঙ্কাল নিয়ে বাণিজ্য করছে অধিকাংশ লাশ বিক্রি হয় বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্য রিপোর্টের অনুসন্ধানে সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে
জানা যায়, প্রতিবছর সারাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে প্রায় হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয় তাদের জন্য সাড়ে হাজার কঙ্কাল প্রয়োজন হয় এসব কঙ্কাল বেওয়ারিশ লাশ থেকেই বানানো হয় অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেওয়ারিশ লাশকে টার্গেট করে প্রতীক্ষার ক্ষণ গোনে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা স্বল্প ক্ষত অবস্থায় কোনো বেওয়ারিশ লাশ আনা হলে যত্নের সঙ্গে লাশটি সংরক্ষণ করা হয় যে কোনো ব্যক্তিকে ওই লাশের ওয়ারিশ সাজিয়ে লাশটি হাসপাতালের বাইরে নেওয়া হয় পরবর্তী সময়ে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে লাশটি বিক্রি করে দেওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হাসপাতাল লাশটি চিকিৎসা শিক্ষায় ব্যবহার করে
জানা গেছে, কবর থেকে চুরি করা একটা মানবদেহের পূর্ণাঙ্গ কঙ্কালের দাম দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা মর্গ থেকে সরাসরি বিক্রি করা হলে কঙ্কালের মূল্য দিতে হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা কাটা-ছেঁড়ার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি বেওয়ারিশ লাশ কিনতে অন্তত দেড়/দুই লাখ টাকা গুনতে হয় কখনও কখনও লাশের সঙ্কট থাকলে মূল্য বৃদ্ধি পায় বেশি দামে সাধারণত বেওয়ারিশ লাশগুলো অধিকাংশ সময় কিনে নেয় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান জুবায়েদ আহমেদ বেওয়ারিশ লাশ কঙ্কাল নিয়ে বাণিজ্য সম্পর্কে বলেন, আশির দশকে মেডিকেলের শিক্ষার্থী ছিলাম সে সময় মানবদেহের কঙ্কাল একশত টাকায় কিনেছিলাম বর্তমানে সেই কঙ্কাল শিক্ষার্থীরা ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় কিনছে
গত বছরের ২৩ আগস্ট শুক্রবার ভোরে যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং এলাকায় বস্তা ভর্তি কঙ্কাল পাওয়া যায় তা একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যবহারের অযোগ্য হওয়ায় ফেলে দেওয়া হয় ময়লার ডাম্পিং এলাকায় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি মাথার খুলি, সাতটি পায়ের অংশ, বুকের পাজরসহ মানবদেহের ১৬টি টুকরো উদ্ধার করে ঘটনার মাস পার হলেও পুলিশি তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই
দ্য রিপোর্টের অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডির / নম্বর রোডের কনটেনারটি মাতুয়াইলে আবর্জনা ডাম্পিং করেছে সেখান থেকে উদ্ধার করা কঙ্কালগুলো ১২০২ নম্বর কনটেনারে করে আনা হয় ধানমন্ডি এলাকায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ রয়েছে ওই মেডিকেল থেকে কঙ্কালগুলো আনা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, কঙ্কালগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ অন্য মেডিকেল কলেজ হাসাপতাল থেকে একাধিক সময়ে সংগ্রহ করা হয় ব্যবহারে অযোগ্য হওয়ায় কঙ্কালগুলো ফেলে দেওয়া হয় বহুল আলোচিত ঘটনা হলেও পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কোনো তৎপরতা দেখাচ্ছে না
কঙ্কালগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশ মেডিকেলের এ্যানাটমি বিভাগের প্রধান ডা. রশিদ জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এ্যানাটমি বিভাগের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের জন্য কঙ্কালের প্রয়োজন হয় আর এই কঙ্কাল সংগ্রহ করতে চাইলে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হয় তাই এই কঙ্কালগুলো বিভিন্ন উপায়ে সংগ্রহ করা হয় তাছাড়া সরকারিভাবে এর কোনো লিখিত বাধ্যবাধকতাও নেই তাই এই বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা যে যেভাবে পারে কঙ্কাল সংগ্রহ করে
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ পাওয়ার ঘটনায় তদন্ত চলছে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না তবে কঙ্কালগুলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যবহৃত হয়েছে এটা নিশ্চিত কঙ্কালগুলোর কেমিক্যাল ডিএনএ পরীক্ষার পর বিস্তারিত জানা যাবে বলেও তিনি জানান
কঙ্কাল উদ্ধার ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) কাজী জসিম উদ্দিন বলেন, মামলার তদন্ত আটকে আছে ফরেন্সিক রিপোর্টের জন্য লাখ ৪৭ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলে রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে পরে মামলার তদন্তের অগ্রগতি হবে তদন্তের প্রয়োজনে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছি সংশ্লিষ্ট অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে