প্রিয়া সাহার ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু গায়েব হওয়া সংখ্যার রহস্যটা কি ?
প্রিয়া সাহার ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু গায়েব হওয়া সংখ্যার রহস্যটা কি ?
হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ...কিছুদিন আগে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে গিয়ে বলেছিলো-
“৩৭ মিলিয়ন হিন্দু বাংলাদেশ থেকে গায়েব হয়ে গেছে”।
এটা ঠিক, অনেক সময় বাংলাদেশ থেকে অনেক হিন্দু জনগোষ্ঠী ভারতে মাইগ্রেট করেছে।
কিন্তু যারা এই তত্ত্বগুলো ছড়ায় তারাও প্রমাণ করতে পারেনি, হিন্দুদের চলে যাওয়ার এই সংখ্যাটা ৩৭ মিলিয়ন। ১৯৭১ তো নয়, ১৯৪৭ এমনকি ১৯০৫ এর হিসেব কষলেও হিন্দুদের মাইগ্রেট হয়ে যাওয়ার সংখ্যাটা ৩৭ মিলিয়ন মিলানো সম্ভব হয়নি কারো পক্ষে।
কথা হলো- প্রিয়া সাহা এই ‘৩৭ মিলিয়ন’ সংখ্যাটা পেলো কোথায় ?
সম্প্রতি ভারতের সর্বশেষ আদমশুমারি (২০১১) এর অভিবাসন-সংক্রান্ত ডেটা হঠাৎ করে প্রকাশ হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন- দীর্ঘ ৮ বছর পর কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ডাকা প্রকাশিত হলো। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর যাবত বিজেপির রাজনীতিবিদরা মুখে মুখে রটিয়ে দিয়েছিলো ভারতে ২ কোটি বাংলাদেশী আছে। কিন্তু ২ কোটির সঠিক সংখ্যটা পাওয়া যাচ্ছিলো না। কিন্তু আদমশুমারি (২০১১) এর অভিবাসন-সংক্রান্ত ডেটা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, ভারতে বাংলাদেশে জন্মানো ব্যক্তির প্রকৃত সংখ্যাটা ৩৭ লক্ষ, মোটেও ২ কোটি নয়। (https://bit.ly/2mD8pOJ)
পাঠক ! ভারতে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যাটা লক্ষ্য করেছেন ?
৩৭ লক্ষ।
প্রিয়া সাহার দাবীকৃত সংখ্যাটার কথা মনে আছে ?
৩৭ মিলিয়ন।
প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে যে ৩৭ শব্দটা উচ্চারণ করেছে, এই সংখ্যাটাকে আমার কাছে হাওয়ায় ভেসে আসা শব্দ মনে হয় না, অবশ্যই তার একটা সূত্র আছে। তবে সমস্যা হচ্ছে ‘মিলিয়ন’ না ‘লক্ষ’ তা নিয়ে।
উল্লেখ্য- এসব ক্ষেত্রে লক্ষ (১০০ হাজার) যে মিলিয়ন (১০ লক্ষ) হয়ে যায়, তার বহু নাজির কিন্তু আছে।
হিটলার কত সংখ্যক ইহুদী মেরেছিলো ?
অনেকেই বলে এটা ছিলো ৬০ হাজার অথবা ৬ লক্ষ, কিন্তু প্রচার পেয়েছিলো ৬ মিলিয়ন বা ৬০ লক্ষ।
একইভাবে ৩ লক্ষ নাকি ৩০ লক্ষ (৩ মিলিয়ন), এমন সংখ্যা নিয়ে আমাদের এলাকাতেও একটা তর্ক আছে।
প্রিয়া সাহার ৩৭ মিলিয়ন সংখ্যাটা যদি ভারতের আদমশুমারি (২০১১) এর বাংলাদেশী অভিবাসীর ৩৭ লক্ষ থেকে আগত হয়, তবে আরো কয়েকটি জিনিস প্রমাণ হয়-
১) ভারতে বাংলাদেশ থেকে যারা যায়, সব হিন্দু জনগোষ্ঠী, মুসলিম জনগোষ্ঠী কেউ যায় না। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী ভারতে মাইগ্রেট করছে যে তথ্য রটানো হয়, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
২) বাংলাদেশের অধিকাংশ হিন্দু বাংলাদেশ থেকে টাকা জমায় ভারতে সম্পদ গড়ে। ভারতে পার্মানেন্ট নিবাস বানায়। কারণ তারা বাংলাদেশকে সেকেন্ড হোম আর ভারতকে ফার্ষ্ট হোম ভাবে। কিন্তু ভারতকে তারা আপন ভাবলেও, ভারত কিন্তু তাদের আপন ভাবে না। তাদেরকে অভিবাসী হিসেবেই কাউন্ট করে। এবং প্রয়োজন বোধে একটা সময় তাদের তাড়িয়েও দিতে পারে।
৩) ৩৭ লক্ষ হিন্দু বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে ভারতে গিয়েছে নাকি স্বেচ্ছায় ভারতে গিয়ে আবাস গড়েছে ? যেহেতু তারা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে (রোহিঙ্গারা যেমন করেছে) কোন স্টেটমেন্ট দেয়নি, সেহেতু বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে তারা এসেছে এমন কোন যুক্তি প্রমাণিত হয় না। বরং ভারতে তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই থাকতে চায় এবং সাধারণ ভারতীয়দের মধ্যে মিশে যেতে চায় সেটা প্রমাণিত হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা নির্যাতিত হয়ে ভারতে অভিবাসী হয়, এটাও প্রমাণ করা সম্ভব নয়।
শুনলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু’র সভায় ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে
পটুয়াখালী শহরে রাস্তায় রাতে ...শুনলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু’র সভায় ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে। যদি সত্যিই সেটা হয়, তবে আমি বলবো, এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ-
১. আমার জানা মতে, ২৮ বছর ধরে ডাকসুতে নির্বাচন হয়নি,
ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য যে একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার, এটাও হয়ত অনেকে ভুলে গেছে।
এ অবস্থায় ২৮ বছর পর যদি ডাকসু’তে নির্বাচিত কমিটি হয়, তবে সেই কমিটির প্রথম উদ্যোগ নিতে হবে,
ছাত্র সমাজের মধ্যে ডাকসু’র প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করানো।
কিন্তু সেটা না করে তারা যদি শুরুতেই ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলোর দিকে হাত দেয়,
তবে ডাকসু’র আর গণতন্ত্র চর্চার যায়গা হলো না, স্বৈরতন্ত্র চর্চার যায়গায় পরিণত হলো।
এই সিদ্ধান্তের পর ডাকসু’র অবস্থান সাধারণ ছাত্রদের নিকট নষ্ট হবে হবে। ডাকসু’তে কোন সিদ্ধান্ত নিলেই সকল ছাত্র সেটা মেনে নিতে চাইবে না। কারণ তারা বলবে- “দূর ! যে সংসদে আমাদের চিন্তাধারার প্রতিফলন হয় না, সেটার সিদ্ধান্ত আবার মেনে নিতে হবে কেন ?”।
উদহারণ হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাথে তুলনা করা যায়। প্রত্যেকটি দেশের জনগণের মাঝে জাতীয় সংসদের অনেক গুরুত্ব থাকে। সেখানে কি আলোচনা হয়, কি সিদ্ধান্ত হয়, সেটার জন্য সাধারণ জনতা উৎসুক হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সে ধরনের কোন গুরুত্ব-ই রাখে না। এর কারণ এই সংসদে সাধারণ জনতা চিন্তাধারার কোন প্রতিফলন হয় না, একটি নির্দ্দিষ্ট মহলের চিন্তাধারার প্রতিফলন হয়। ঠিক একইভাবে ডাকসু নামক ছাত্র সংসদে সাধারণ ছাত্রদের চিন্তাধারার প্রতিফলন থাকতে হবে, তাদের চিন্তাধারার বাইরে গিয়ে কিছু করা মোটেও ঠিক হবে না। আমি বলবো- যারা চাইছে এতদিন পর যে পরিবেশটা তৈরী হয়েছে সেটা নষ্ট হোক, শুধু তারাই এ ধরনের মাথামোটা সিদ্ধান্তকে প্রমোট করতে পারে।
২. অনেকে হয়ত ভাবতে পারে, এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলোর ক্ষতি হয়েছে।
আমি বলবো- এ কথাটা ভুল। ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলোর কোন ক্ষতি হয় নি, তারা যেমন ছিলো তেমনই আছে। ক্ষতিটা হলো ডাকসু’র নিজের। তারা সব ছাত্রকে একটা সংসদে আনতে ব্যর্থ হলো। তারা নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধতা টেনে আনলো।
বলাবাহুল্য বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বয়স ৪০ বছরের উপরে। এখন পর্যন্ত কোন ধর্মভিত্তিক রাজনীতিক দল এককভাবে ক্ষমতায় যেতে পারেনি, এ অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক দল নিজেদের প্রচার করতে পারলেই তারা ক্যাম্পাস দখল করে ফেলবে, এটা একদম অদূরদর্শী চিন্তাধারা। বরং সেই দলগুলোকে নিজের মধ্যে করে নিতে পারলে বরং ডাকসু স্বয়ং সম্পূর্ণতা আরো প্রমাণিত হতো।
সত্যিই বলতে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠন নিষিদ্ধ, এটা তো আজকে থেকে শুনতেছি না। কিন্তু বাস্তবে কি সেটা বন্ধ হয়েছে ? প্রত্যেক হলেই ধর্মনির্ভর সংগঠন আছে। হয়ত তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেছে না। মানে আপনি তাদেরকে সংসদে যায়গা দিচ্ছেন না, তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে কাজ করতেছে। মানে এক সংসদে তাদের সুযোগ না থাকায়, শত শত আন্ডারগ্রাউন্ড সংসদ বসতেছে। অথচ এই সুযোগটা থাকলে, ঐ শত শত আন্ডারগ্রাউন্ড সংসদ মূলধারার চিন্তাধারার সাথে সংযুক্ত হতো। হয়ত সেই সংসদে তাদের প্রতিনিধি থাকতেও পারতো, অথবা নাও পারতো। কিন্তু তারা চিন্তা করতো ডাকসু’র চিন্তাধারাকে নিয়ে। এখানে ডাকসু’কে নিজেকে সফল করার সুযোগ ছিলো।
৩. একটা কথা না বললেই না- খোদ বাংলাদেশে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি চালু আছে। যদি বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করার দরকার হতো, তবে জাতীয়ভাবেই সেটা হতো। কিন্তু সেটা করা হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও কিন্তু বাংলাদেশের মানচিত্রের বাইরে কোন প্রতিষ্ঠান নয়, বাংলাদশের ভেতরেরই একটা প্রতিষ্ঠান। সেটা মনে রেখেই ডাকসু নেতাদের চিন্তা করা উচিত।
৪. কিছু ছাত্রকে দেখলাম বোকার মত ৭২’র সংবিধানের কথা বলছে। কিন্তু তাদের বোঝা উচিত, এখন সময়টা ৭২ নয়, ৪৭ বছর অতিবাহিত হয়ে ২০১৯ হয়ে গেছে। সংবিধান নিজেই ১৭ বার সংশোধনে গিয়েছে। যে বঙ্গবন্ধু নিজেই সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন, সেই বঙ্গবন্ধুই একাধিকবার সংবিধান সংশোধন করেছেন। তার কন্যাও বহুবার সংশোধন করেছেন। তারা নিজেও কখন বলেননি ৭২’র সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কথা। কারণ তারা সবাই জানে- সময়ের সাথে সবকিছু পরিবর্তন হয়। পরিবর্তন হয় মানুষের চিন্তাধারা, মানসিকতা, মানুষের ক্যাপাসিটি। যারা সময়ের পরিবর্তন হলেও জনসাধারণের চিন্তাধারায় সীমাবদ্ধতা আনতে চায়, তারা বোকা। এরা এক সময় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অপরদিকে বুদ্ধিমানরা সময়ের সাথে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও জনসাধারণের চিন্তাধারার সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ায় নেয় এবং নিজেদের কার্যপরিধি ও সিস্টেমের আপডেট করে নেয়। ভুলে গেলে চলবে না- সময়টা ডিজিটাল, মানুষের হাতে এন্ড্রয়েড মোবাইল, সাথে ফোরজি কানেকশন। আপনি চাইলেও জোর করে কারো চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনতে পারবেন না। বরং বুদ্ধিমত্তা হলো- অধিকতর সুন্দর চিন্তা দিয়ে সকলের চিন্তাধারাগুলো জয় করে নেয়া।
সর্বোপরি এটা স্মরণ রাখতে হবে-
সময়টা এগিয়ে যাওয়ার, পিছিয়ে পড়ার নয়।
ছাত্রদের শক্তি ব্রেনের নিউরনে, কব্জির জোরে নয়।
কাজটা করতে হবে সবাইকে নিয়ে, বিচ্ছিন্নভাবে নয়।
রাম-বাম দুই ভাই মুসলমানের রক্ষা নাই
রাম-বাম দুই ভাই
মুসলমানের রক্ষা নাই
মুসলমানদের এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় কলকাতার জমিদার রবীন্দ্রনাথ বিরোধীতা করে বলেছিলো- “মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয় ? তারাতো ঠিকমতো কথাই বলতে জানেনা। চাষার ছেলেরা যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে তাহলে ক্ষেতে ক্ষামারে কাজ করবে কারা?”
সেই রবীন্দ্রনাথের বংশধরেরা আজও সক্রিয়। কালের পরিক্রমায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নামক সংগঠনের হাত ধরে কেউ হয়ত গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে পেরেছে। যায়গায় মত গিয়েই শুরু করেছে লাল সূতার কারসাজি। বিদ্বেষে নাকের ছিদ্রদয় ফুলায় বলতেছে-
“ মুসলমানদের আবার ছাত্র সংসদ (ডাকসু) কিসের ?
তোরা থাকবি চিপা-চাপায় অপরাধীর মত,
প্রকাশ্যে সভ্য সমাজে তোরা অস্তিত্ব প্রকাশ করতে পারবি না।
অস্তিত্ব জানান দিলেই গণপিটুনি খাবি,
সাধারণ জনতা তোদের দেখলে দূর দূর করবে,
তোদের দেখলে জলাতঙ্ক রোগীর মত ভয় পাবে,
তোরা এই সমাজে থেকেও হবি সমাজচ্যূত।
বার্মীজ সরকার যেমন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব আর রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো,
মোদি সরকার যেমন ভারতের আসামে এনআরসি করে অনেকে অধিকার কেড়ে নিয়েছে,
ঠিক তেমনি ভার্সিটিতেও তোদের অধিকার আমরা কেড়ে নিবো ।
তোরা তোদের ন্যায্য চাওয়ার পাওয়ার কথা বলতে পারবি না,
কারণ তোরা তো নিষিদ্ধ যবন, ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য
তোদের আবার অধিকার কিসের ?”
ছবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাম সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস আর বাম
জিএস সাদ্দাম হোসেন। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু’র সভায় ধর্ম ভিত্তিক সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে তারাই কলকাঠি নাড়ে।
ইহা কি ধর্ম ? নাকি অন্য ধর্ম দমনের কৌশল ??
ব্যাটারী, বিদ্যুত ছাড়া চলে তার বোতল ...ইহা কি ধর্ম ? নাকি অন্য ধর্ম দমনের কৌশল ??
ভারতের গরুর মাংশের জন্য মুসলমান মারার কথা সবার জানা। “কোন মুসলমানের ঘরে গরুর মাংশ আছে”, এতটুকু গুজব শুনলে সারা গ্রামের হিন্দুরা গিয়ে ঐ মুসলমানদের বাড়িতে হামলা করে। টেনে হিচড়ে পিটিয়ে হত্যা করে মুসলমানকে। এরকম শুধু একটা না, হাজার হাজার ঘটনা ঘটছে ভারতে। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয়, যে ভারতে গরুর মাংশের জন্য মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়, সে ভারতই আবার গরুর মাংশ রফতানিতে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকারী হয়েছে। এক্ষেত্রে ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির অনেক নেতা আবার এসব গরুর মাংশ রফতানিকারক কোম্পানির মালিক। তারমানে বিষয়টি দাড়াচ্ছে- হিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ গরুর মাংশ, এটা হিন্দুরা না মানলেও সমস্যা নেই। কিন্তু সেটা অজুহাত করে মুসলমান দমন করতে হবে।
এবার আসুন বাংলাদেশের দিকে তাকাই-
সম্প্রতি পুলিশ একটি রহস্যজনক মামলার জট খুলে অবাক হয়ে গেছে। মামলাটা হলো বরিশালের একটি মন্দিরে ভাংচুর ও চুরির ঘটনা। ঘটনাটিকে ঘটে ৫ মাস আগে। হঠাৎ করে বরিশালের অগৈলঝাড়ায় একটি মন্দিরে বড় ধরনের চুরি হয় এবং মন্দিরের মূর্তিগুলো কে বা কারা যেন ভাংচুর করে। এ ঘটনায় মন্দিরের সভাপতি পরাণ চন্দ্র শীল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। কিন্তু পুলিশ যেন কিছুতেই হিসেব মিলাতে পারছিলো না। অবশেষে পুলিশ ঐ মামলার বাদী অর্থাৎ মন্দিরের সভাপতিকেই গ্রেফতার করে, সাথে গ্রেফতার করে এক পূজারী মহিলাকে। তাদেরকে জিজ্ঞেসবাদ করলে বের হয়, তারাই মন্দির ভাংচুর ও চুরি করে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা দায়ের করেছিলো। (https://bit.ly/2nTrVr0)
এদিকে গত ২২শে সেপ্টেম্বর, একদল মুসলমান বাংলাদেশের গাইবান্ধায় সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারা বলছেন, আব্দুল আওয়াল নামক এক মুসলিম ব্যক্তির সাথে একটি জমি নিয়ে এক হিন্দু ব্যক্তির দ্বন্দ্ব ছিলো। এরপর দ্বন্দ্বটা মামলা ও আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত ঐ মুসলমানের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু রায় দেয়ার কিছুদিন পর হঠাৎ করে ঐ হিন্দু ব্যক্তির বাড়ির মন্দিরে কে বা কারা ভাংচুর করে। তখন ঐ হিন্দু ব্যক্তি আব্দুল আওয়াল ও তার পবিবারের নামে মামলা দিয়ে তাদের জেলে ভরে। ঐ মুসলমানরা বলছে, তারা তো আদালতের মাধ্যমেই তাদের জমির অধিকার ফিরে পেয়েছে, তাহলে কেন তারা ঐ মন্দির ভাঙ্গতে যাবে ? তাদের দাবী- হিন্দুরা নিজেরাই নিজেদের মন্দির ভেঙ্গে মুসলমানদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ভরেছে। এখন জামিনে মুক্তি পেলেও হয়রানী করা হচ্ছে তাদের। তারা হিন্দুদের এ নির্যাতন থেকে মুক্তি চায়। (https://bit.ly/2nTjBYt)
শুধু গাইবান্ধা আর বরিশালে নয়-
এ বছর টাঙ্গাইল (https://bit.ly/2owL6Hp) ও ফরিদপুরেও (https://bit.ly/2n7rkSC) একই ধরনের ঘটনা ঘটে। মানে হিন্দুরা নিজেরাই নিজেদের মন্দিরে ভাংচুর ও হামলা চালায়।
এদিকে, গাইবান্ধায় মন্দিরে এই কথিত হামলাসহ আরো কয়েকটি ঘটনাকে পূজি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা সম্মেলন করেছে, তারা বলছে- পূজা আসলেই তাদের উপর মুসলমানদের হামলা বেড়ে যায়, সরকার নাকি তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারে না। (https://bit.ly/2mkaBLv)
এদিকে, গাইবান্ধার মন্দিরে হামলার খবর ভারতীয় মিডিয়াতেও প্রচারিত করে দাবী করা হয়, বাংলাদেশের হিন্দু অসহায় অবস্থায় আছে।
(https://bit.ly/2omgTuJ)
তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বছর কিছুটা হলেও মুখ খুলে বলেছে- মন্দিরে যে হামলার ঘটনা ঘটে তার পেছনে হিন্দুদের নিজেদের কমিটির দ্বন্দ্ব ও জমি নিয়ে বিরোধ থাকে। (https://bit.ly/2mnTcS8)
ত্রাণের টাকা পূজায় কেন ?
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ হয়, এর মধ্যে বন্যা, অতিবৃষ্টি, খরা, শীলাবৃষ্টি, নদী ভাঙ্গন উল্লেখযোগ্য। এসব দুর্যোগে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত কতজনকে ত্রাণ দিতে পেরেছে সরকার?
কথা হলো, বাংলাদেশের জাতীয়ভাবে তো একটা ত্রাণ তহবিল আছে।
যেটা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল নামে পরিচিত।
এই ত্রাণ তহবিলে অনেক ধনী মানুষ ও প্রাইভেট কোম্পানি টাকা দিয়ে সাহায্য করে।
এমনকি মুসলমানদের যাকাতের টাকা পর্যন্ত দেয়া হয়, এই ত্রাণ তহবিলে।
কথা হলো- এই টাকা তো দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লোকের পাওয়ার কথা।
কিন্তু এই টাকা থেকে প্রতি বছর দূর্গা পূজা আসলে মণ্ডপ প্রতি ৫০০ কেজি করে চালের সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হয়।
এভাবে ১টি-২টি নয়, ৩১ হাজার পূজা মণ্ডপে দূর্যোগগ্রস্তু মানুষের টাকা তুলে দেয়া হয়েছে হিন্দুদের হাতে।
(https://bit.ly/2n7t0vo)
উল্লেখ্য, ৩১ হাজার পূজা মণ্ডপে অনুদান দিলেও ঢাকা শহরে মাত্র ২৫টা গরুর হাটে সরকার ভর্তুকি দিতে চায় না। উল্টো সরকার গরুর হাটগুলোতে উচ্চ ট্যাক্স বসিয়ে রেখেছে, এতে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় উৎসব কোরবানী দিতে গেলেও সরকারকে উচ্চমাত্রায় ট্যাক্স (হাসিল) দিয়ে কোরবানীর পশু কিনতে হয়।
আসলেই কি হিন্দুদের ৩১ হাজার মণ্ডপ প্রয়োজন, নাকি যত মণ্ডপ তত অনুদানের টাকা লুটপাট ?
১. খবর- “ভুয়া মন্দির দেখিয়ে দূর্গা পূজায় বরাদ্দ ২ হাজার কেজি চাল আত্মসাৎ”
(https://bit.ly/2nQmrxo)
২. কক্সবাজারে ভুয়া মণ্ডপ দেখিয়ে চাল চাওয়া ধৃত
(https://bit.ly/2mXZbNU)
কিন্তু মণ্ডপের সংখ্যা কমাতে বললে, তখন কি হবে ?
উত্তর- ভারতীয় দূতাবাসে বিচার হবে।
এ বছর নারায়নগঞ্জের একটি গ্রামে ৪টি মণ্ডপের দাবী করে হিন্দুরা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান সেখানে ১টি মণ্ডপের প্রয়োজনীয়তা দেখেন এবং সেটাই করতে বলনে। তখন হিন্দুরা এক হয়ে ঐ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে বিচার দেয় এবং পত্রিকায় তাকে সন্ত্রাসী সাজিয়ে রিপোর্ট করে। (https://bit.ly/2wH8zEc)
কথা হলো-
অনেকে বলে হিন্দুদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান করতে হবে।
কিন্তু হিন্দুরা যদি মুসলমানদের প্রতি এমন শত্রুভাবাপন্ন মানসিকতা ধারণ করে, তবে কি করে একত্রে সহ অবস্থান করা যায় বলুন ?
তারাই মন্দির ভেঙ্গে মুসলমানদের দোষ দিচ্ছে, আবার ভারতে গিয়ে বিচার দিয়ে আসছে।
তারাই মন্দিরের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করছে, সঠিক মণ্ডপ করতে বললে, ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে বিচার দিয়ে আসছে।
অবস্থা এখন এমন হয়েছে- সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হিন্দুদেরকেই নিরাপত্তার নামে পাহাড়া দিচ্ছে,
যেন তারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করে সরকারের দোষ না দিতে পারে।
এ বছর সরকারীভাবে ৩ লক্ষ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে ঠিক করা হয়েছে, যারা হিন্দুদের পূজার নিরাপত্তা দিবে।
কথা হলো- ৩ লক্ষ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের ১ দিনের খরচ কত শ’ কোটি টাকা ?
এই টাকা তো সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ট্যাক্সের টাকা থেকেই আসে।
সেই টাকা শোধ করতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনগণের জীবনযাত্রার খরচ।
কিন্তু সেই ট্যাক্সের টাকা খরচ করে যদি হিন্দুদেরদের নিজেদের উপর ভুয়া হামলা ঠেকাতে, তবে সেই হিন্দুদের প্রতি অন্যান্যরা আস্থা রাখবে কিভাবে ? আপনারা যাই বলেন, এ ধরনের আচরণ কখন ‘মিলেমিশে থাকার ইচ্ছা’ থেকে আসতে পারে না।
বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহা
ভারতীয় চূক্তির বিরোধীতা করায় স্ট্যাটাস দেয়া বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যাকারীদের একজন বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহা। অমিত সাহার লাইক লিস্ট ঘেটে দেখা যায় তার অধিকাংশ লাইক ইসকন সংক্রান্ত।
বিশ্বাস না হয় আপনারাও দেখতে পারেন- https://bit.ly/2VgCXDs
বাংলাট্রিবিউন এক ছাত্রলীগ নেতার রেফারেন্স দিয়ে বলতেছে-
ডিএনসিসির গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ...
বাংলাট্রিবিউন এক ছাত্রলীগ নেতার রেফারেন্স দিয়ে বলতেছে-
আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যায় নেতৃত্ব দিছে বুয়েট ছাত্রলীগের হিন্দু সদস্য অমিত সাহা। (https://bit.ly/2Mi5eW5)
কিন্তু পুলিশ শুধু ধরছে পিটানোতে তাদের সহযোগী ছাত্রলীগের মুস্তাকিম ফুয়াদ আর মেহেদী হাসান রাসেলকে।
হিসেবটা মিলাইতে পারলাম না।
দূর্গা কোন অসুরকে হত্যা করছে ?
দূর্গা কোন অসুরকে হত্যা করছে ?
দুর্গা পূজার মূল থিম হলো দূর্গা দেবী হত্যা করবে অসুরকে।
২ বছর আগে ভারতে এক পূজা মণ্ডপে সেটাই দেখানো হয় প্রায় ১১ তলা সমান উচু মূর্তি দিয়ে।
দূর্গা দেবী ঠিক আছে, কিন্তু অসুরের মাথায় দেয়া হয় টুপি আর গালে দেয়া হয় দাড়ি।
অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠায় দূর্গা ও অসুরের আসল প্রতিকৃতি যেন ফুটে উঠে সেই দূর্গা ও অসুরের মাঝে।
বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আববার ফাহাদকে যে বিছানায় ফেলে হত্যা করা হয়, সেই বিছানার পাশের ডেক্সে কিসের স্টিকার লাগানো একটু দেখুন তো ?
বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আববার ফাহাদকে যে বিছানায় ফেলে হত্যা করা হয়, সেই বিছানার পাশের ডেক্সে কিসের স্টিকার লাগানো একটু দেখুন তো ?
সূত্র মানবজমিন ভিডিও-
https://www.facebook.com/dailymanabzamin/videos/418319868828263
শেখ হাসিনা কালকে রাতে ভারত থেকে ফিরেছে।
শেখ হাসিনা কালকে রাতে ভারত থেকে ফিরেছে।
আজকে দুপুরেই সে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছে পূজায় অংশগ্রহণ করতে। সময় কাটিয়েছে কয়েক ঘণ্টা। সেখানে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেছে, আমি শুধু পূজার জন্য এত দ্রুত দেশে ফিরেছি। (https://bit.ly/2pUzRtd)
কথা হলো- শেখ হাসিনা দেশে আছে, পূজার মণ্ডপে গিয়ে হিন্দুদের সাথে এত এত কথা বলতেছে, এত সময় ব্যয় করতেছে। কিন্তু যে আবরার হত্যা নিয়ে পুরো দেশ তোলপাড় হচ্ছে, সেটা নিয়ে মুখ বন্ধ করে আছে কেন ? তবে কি জনগণ ভাববে- এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তার সমর্থন আছে ?
ঈদের পর থেকে মহানগরীর সড়কে জ্বলবে ...আরেকটা বিষয় আমি বুঝলাম না, এত এত পুলিশ অফিসার থাকতে, বুয়েটে বিশেষ ধর্মের অনুসারি কৃষ্ণপদ রায়কে কেন পাঠানো হলো ? আর কৃষ্ণপদ যদি যায়ও, তবে সিসিটিভি ফুটেজ দিয়ে তার কেন এত গরিমসি ? কেন ২০ মিনিটের ফুটেজ এডিট করে ২ মিনিটের ফুটেজ ছাত্রদের হাতে দিচ্ছে কৃষ্ণপদ ? কেন শত শত বুয়েটিয়ানের আন্দোলনের পরেও পুরো ২০ মিনিটের ভিডিওটা দিচ্ছে না ?
আমি কোথা থেকে যেন একবার শুনেছিলাম-
শেখ হাসিনা ভারত সরকারের কাছে দেশকে হস্তান্তর করবে, আর বিজেপী কর্মীরা তাকে একমাত্র সমর্থন ও নিরাপত্তা দিয়ে টিকিয়ে রাখবে। ভারতের মত বাংলাদেশেও উগ্রহিন্দুত্ববাদ কায়েম করবে। ভারতে যেভাবে মুসলমান মারছে, বাংলাদেশেও সেভাবে মারবে। আর শেখ হাসিনা হবে শুধু ভারতের পুতুল সরকার, আর কিছু না।
যদিও আমি শোনা কথা বিশ্বাস করতে চাই না, কিন্তু কেন যেন সেই শোনা কথাই মাঝে মাঝে সত্য হওয়ার দিকে এগিয়ে যায়।
পুরো ২০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজ নিয়ে কৃষ্ণপদ রায় গং
ডিএনসিসি এলাকায় বসছে এলইডি বাতিপুরো ২০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজ নিয়ে কৃষ্ণপদ রায় গং এর সাথে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা চলতেছে তা রহস্যজনকভাবে সব মিডিয়া এড়িয়ে যাচ্ছে।
এর আগেও বহু হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ লিক হয়েছে। কিন্তু এবার পুলিশের রহস্যজনক আচরণ প্রমাণ করে, এখানে এমন কোন গোমর আছে, যা পাশ্ববর্তী বন্ধু (!) রাষ্ট্রের স্বার্থক্ষুন্ন করবে।
https://www.facebook.com/Barta24news/videos/2479294035729572/
২০১৫ সালে বুয়েট ছাত্রদের ‘আড়ি পেতে শোনা’ নামক গ্রুপে দীপু সরকার নামক এক হিন্দুর পোস্টের চন্দ্র নাথ
বৃষ্টি অধীনে হাত আঁকা রাস্তার বাতি ...২০১৫ সালে বুয়েট ছাত্রদের ‘আড়ি পেতে শোনা’ নামক গ্রুপে দীপু সরকার নামক এক হিন্দুর পোস্টের চন্দ্র নাথ নামক একজনের কমেন্টে ভারত বিরোধী উত্তর করেছিলেন বুয়েট শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। ঐ কারণে সেই শিক্ষককে তৎকালীন বুয়েট ছাত্রলীগের হিন্দু সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার টেনে হিচরে গায়ে হাত তুলে লাঞ্চিত করে।
একজন শিক্ষক যে মতাবলম্বী হোক, ছাত্ররা শিক্ষকের গায়ে হাত তোলে এমন নজির বাংলাদেশের শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু সেই নজির স্থাপন করেছিলো বুয়েট ছাত্রলীগের হিন্দু নেতা।
০১৬ সালে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের করা সিভিল সামিটে গরুর মাংশ দেয়ার অভিযোগে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিলো ছাত্রলীগের হিন্দু সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার। দুইজন সম্মানিত শিক্ষককে সবার সামনে অপমান করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছিলো। এমনকি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের একত্রিকরণ বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসতো (বিপক্ষে যেত ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের স্বার্থের) সেটা বন্ধ করে দিয়েছিলো শুভ্র জ্যোতি টিকাদাররা। (উল্লেখ্য, এ বছর জুন মাসে শুভ্র জ্যোতি টিকাদার পারিবারিক কারণে আত্মহত্যা করে)
যারা বুয়েটে পড়ে তারা বুয়েটে উগ্রহিন্দুদের দৌরত্ব সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানে। অনেকের দাবী হলো- বুয়েটে শুধু ইসকন নয়, ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলাদেশ শাখাও সেখানে সক্রিয়। আসলে আমি বুয়েটে উগ্র হিন্দুদের দৌরত্ব সম্পর্কে বলছি এ কারণে, সেখানে কিছু হিন্দু ছাত্রের ভারতপন্থীতা অত্যাধিক বেশি। অর্থাৎ বুয়েটে এমন কিছু ছাত্র নিয়োগ করা আছে, যাদের দেখলে সন্দেহ হয়, তারা ভারতীয় স্বার্থ দেখতে সরাসরি ভারতীয় দূতাবাস থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত কি না ? যারা ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু দেখলে সাথে ব্যবস্থা নেয় এবং হয়ত ভারতীয় দূতাবাস থেকে সরাসরি তাদের শেল্টার দেয়া হয়।
আজকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে কৃষ্ণপদ রায় যে ঘটনা ঘটালো তাকে আমি অবাক হয়েছি। কারণ যে আওয়ামীলীগ দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করছে, সম্রাট-খালেদের মত নেতাদের ধরে ফেলছে, সেই আওয়ামীলীগ সরকার ঐ সিটিটিভি ফুটেজে এমন কি পাইলো, যা পুরোটা প্রকাশ না করতে তারা ছাত্রদের সাথে হাতাহাতি পর্যন্ত করালো ? নাকি তারা কাউকে বাচাতে চাইছে ? কিন্তু কাকে বাচাতে চাইছে ? কে সেই ছাত্র ??
আমি নিশ্চিত, সেই ছাত্রকে বাচানো আওয়ামীলীগের স্বার্থ হতে পারে না, অন্তত আওয়ামলীগের বর্তমান নীতি সেটা বলে না। তবে সেটা কার স্বার্থ হতে পারে ? অবশ্যই সেটা আওয়ামীলীগের বন্ধু রাষ্ট্রে দূতাবাসের স্বার্থ, যা পালন করতে তারা বদ্ধ পরিকর। এবং এসব ক্ষেত্রেই কেবল আওয়ামীলীগ নো-কম্প্রমাইজ নীতি ফলো করে।
একটা বিষয় খেয়াল করবেন- আবরার হত্যায় প্রথম থেকে নাম আসছিলো ইসকনের সাথে জড়িত অমিত সাহার নাম। এমনকি তার বা তার সমগোত্রীয় কারো বিছানায় ফেলে তাকে হত্যা করা হয় বলে অনেকে বলেছে। এছাড়া অনেক মিডিয়ায় অমিত সাহা যে আবরারকে হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছে সেই খবরও প্রকাশিত। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মামলার আসামীর লিস্টে অমিত সাহার নাম নাই, এমনকি ছাত্রলীগ থেকে যাদের বহিষ্কার করা হলো তাদের মধ্যেও অমিত সাহার নাম নাই।
তাহলে ক্যালকুলেশন কি বলছে ?
তবে কি অমিত সাহাকে ভারতীয় দূতাবাস থেকেই বাচানোর নির্দেশ ছিলো ?
যা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রক্ষা করলো আওয়ামীলীগ !!