ঢাকা থেকে কেউ যদি উত্তরবঙ্গের কোন জেলায় যান, তবে ট্রেনের সাধারণ সিটের ভাড়া সাধারণত সাড়ে ৫শ’ টাকা।
যদি এসি চেয়ারে যান তবে সাড়ে ৯শ’ টাকার মত।
যদি ক্যাবিনে যান, তবে প্রতি সিট সাড়ে ১৮শ’ টাকার মত। এক ক্যাবিনে ৬ জন যায়, তাই এক রুমের ভাড়া প্রায় ৮ হাজার টাকা।
কিন্তু ঘটনা হইলো-
ট্রেনের কোন শিডিউল নাই। ৩ ঘন্টা থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত লেট করে।
ট্রেনের সিকিউরিটি নাই বললেই চলে। গভীর রাতে বিভিন্ন স্টেশনে থামতেছে, গেট খোলা,
যখন যে ইচ্ছা উঠতে পারে।
সিট আরামদায়ক না।
সারাদিনে ১টা বা ২টা ট্রেন।
ঐ সময় মিস করলে সব শেষ।
অনলাইন/কাউন্টারে টিকিট কাটতে গেলে টিকেট পাওয়া যায় না,
অথচ ট্রেন চললে দেখা যায় অনেক সিট খালি।
সেই খালি সিটের টাকা উঠায় খাচ্ছে রেলের কর্মচারিরা।
যদি এসি চেয়ারে যান তবে সাড়ে ৯শ’ টাকার মত।
যদি ক্যাবিনে যান, তবে প্রতি সিট সাড়ে ১৮শ’ টাকার মত। এক ক্যাবিনে ৬ জন যায়, তাই এক রুমের ভাড়া প্রায় ৮ হাজার টাকা।
কিন্তু ঘটনা হইলো-
ট্রেনের কোন শিডিউল নাই। ৩ ঘন্টা থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত লেট করে।
ট্রেনের সিকিউরিটি নাই বললেই চলে। গভীর রাতে বিভিন্ন স্টেশনে থামতেছে, গেট খোলা,
যখন যে ইচ্ছা উঠতে পারে।
সিট আরামদায়ক না।
সারাদিনে ১টা বা ২টা ট্রেন।
ঐ সময় মিস করলে সব শেষ।
অনলাইন/কাউন্টারে টিকিট কাটতে গেলে টিকেট পাওয়া যায় না,
অথচ ট্রেন চললে দেখা যায় অনেক সিট খালি।
সেই খালি সিটের টাকা উঠায় খাচ্ছে রেলের কর্মচারিরা।
এবার যদি বাসে উত্তরবঙ্গে যান,
তবে ভাড়া ট্রেনের থেকে কম, ৫০০ টাকার মত।
এভেলএবল বাস, ১০ মিনিট আগে গিয়েও টিকিট কাটতে পারবেন।
ফোনে/অনলাইনে সুবিধামত টিকেট কাটা যায়।
একটা মিস করলে অন্যটা ধরা যায়।
কিছু ব্যতিক্রম ব্যতিত বাস শিডিউল মেইনটেইন করে।
ট্রেনের থেকে আগে গন্তব্যে পৌছানো যায়।
সিকিউরিটি ভালো।
বসার সিট ভালো পাওয়া যায়।
পছন্দসই যায়গায় নামা যায়, ট্রেনে যেটা সম্ভব হয় না।
তবে ভাড়া ট্রেনের থেকে কম, ৫০০ টাকার মত।
এভেলএবল বাস, ১০ মিনিট আগে গিয়েও টিকিট কাটতে পারবেন।
ফোনে/অনলাইনে সুবিধামত টিকেট কাটা যায়।
একটা মিস করলে অন্যটা ধরা যায়।
কিছু ব্যতিক্রম ব্যতিত বাস শিডিউল মেইনটেইন করে।
ট্রেনের থেকে আগে গন্তব্যে পৌছানো যায়।
সিকিউরিটি ভালো।
বসার সিট ভালো পাওয়া যায়।
পছন্দসই যায়গায় নামা যায়, ট্রেনে যেটা সম্ভব হয় না।
দুটি বিষয় তুলনামূলক কেনো বললাম ?
কারণ ট্রেন হলো সরকারি, আর বাস হলো বেসরকারি।
ট্রেন সরকারি হওয়ার পরও,
সরকার ভতুর্কি দেয়ার পরও,
জ্বালানি খরচ কম লাগার পরও
সার্ভিস খারাপ হওয়ার পরও,
ট্রেনের ভাড়া বাসের ভাড়ার তুলনায় বেশি। অথচ ট্রেনের ভাড়া বাসের ভাড়ার তিন ভাগের এক ভাগ হওয়ার কথা।
এর কারণ কি ?
কারণ ট্রেনে প্রতিযোগীতা নাই।
সরকারি ট্রেন হইলো একচ্ছত্র। নিলে নেন, না নিলে না নেন।
তার কিছু আসবে যাবে না।
কারণ ট্রেন হলো সরকারি, আর বাস হলো বেসরকারি।
ট্রেন সরকারি হওয়ার পরও,
সরকার ভতুর্কি দেয়ার পরও,
জ্বালানি খরচ কম লাগার পরও
সার্ভিস খারাপ হওয়ার পরও,
ট্রেনের ভাড়া বাসের ভাড়ার তুলনায় বেশি। অথচ ট্রেনের ভাড়া বাসের ভাড়ার তিন ভাগের এক ভাগ হওয়ার কথা।
এর কারণ কি ?
কারণ ট্রেনে প্রতিযোগীতা নাই।
সরকারি ট্রেন হইলো একচ্ছত্র। নিলে নেন, না নিলে না নেন।
তার কিছু আসবে যাবে না।
বাসে যেভাবে প্রাইভেটাইজেশন হইছে, সেখানে যদি ট্রেনেও প্রাইভেটাইজেশন হইতো
তবে ট্রেনেও অনেক উন্নত সার্ভিস পাওয়া যাইতো,
অনেক স্বল্পমূল্যে যাতায়াত করা যাইতো।
প্রাইভেটাইজেশন মানে সরকারী ট্রেন বাদ দেয়া নয়, বরং সরকারী ট্রেনের পাশাপাশি বেসরকারি ট্রেনকে সুযোগ দেয়া।
তখন সরকারী ও বেসরকারী ট্রেন প্রতিযোগীতা করতো, কে কার থেকে কত স্বল্পমূল্যে সার্ভিস দিয়ে কাস্টমার ধরবে। কিন্তু সরকারী রেলের এখন কোন প্রতিযোগীতা নাই।
তবে ট্রেনেও অনেক উন্নত সার্ভিস পাওয়া যাইতো,
অনেক স্বল্পমূল্যে যাতায়াত করা যাইতো।
প্রাইভেটাইজেশন মানে সরকারী ট্রেন বাদ দেয়া নয়, বরং সরকারী ট্রেনের পাশাপাশি বেসরকারি ট্রেনকে সুযোগ দেয়া।
তখন সরকারী ও বেসরকারী ট্রেন প্রতিযোগীতা করতো, কে কার থেকে কত স্বল্পমূল্যে সার্ভিস দিয়ে কাস্টমার ধরবে। কিন্তু সরকারী রেলের এখন কোন প্রতিযোগীতা নাই।
কিছুদিন আগে জ্বালানিখাতে প্রাইভেটাইজেশন করতে বলায়, অনেকে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন।
তাদের জন্য বাস-ট্রেনের উদাহরণ দিলাম।
বাস থেকে কি সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে, আর ট্রেন থেকে কি সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে, দুটি তুলনা করলেই বুঝতে পারবেন।
তাদের জন্য বাস-ট্রেনের উদাহরণ দিলাম।
বাস থেকে কি সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে, আর ট্রেন থেকে কি সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে, দুটি তুলনা করলেই বুঝতে পারবেন।
আসলে ‘প্রাইভেটাইজেশন’ বিষয়টি নিয়েও একটু বিভ্রান্তি আছে।
যেমন, অনেকে হয়ত বলবেন সরকার তো কিছু ট্রেনও প্রাইভেট করেছে।
না ট্রেন সরকার প্রাইভেট করেনি, কিছু কিছু রুটের ট্রেনকে সরকার লিজ দিয়েছে।
লিজ দেয়া আর ‘প্রাইভেটাইজেশন’ করা কিন্তু এক না।
প্রাইভেটাইজেশন মানে পুরোপুরি প্রাইভেট করা। সেক্ষেত্রে প্রাইভেট কোম্পানি নিজেরা ট্রেন আমদানি করতে পারবে এবং প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মচারি তারা প্রাইভেট নিয়োগ দিবে।
সরকারী ট্রেন থাকুক সমস্যা নাই, কিন্তু এর পাশাপাশি যদি লাইন বাড়িয়ে সরকার প্রাইভেট কোম্পানিগুলোতে ট্রেন চালু করার অনুমতি দেয়, তখন দেখা যাবে অনেকগুলো কোম্পানির মধ্যে যখন প্রতিযোগীতা হবে, তখন নিত্য নতুন সুবিধা জনগণ পেতে থাকবে, খরচও কমবে। যেটা এক বাংলাদেশ রেলওয়ে থাকলে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
যেমন, অনেকে হয়ত বলবেন সরকার তো কিছু ট্রেনও প্রাইভেট করেছে।
না ট্রেন সরকার প্রাইভেট করেনি, কিছু কিছু রুটের ট্রেনকে সরকার লিজ দিয়েছে।
লিজ দেয়া আর ‘প্রাইভেটাইজেশন’ করা কিন্তু এক না।
প্রাইভেটাইজেশন মানে পুরোপুরি প্রাইভেট করা। সেক্ষেত্রে প্রাইভেট কোম্পানি নিজেরা ট্রেন আমদানি করতে পারবে এবং প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মচারি তারা প্রাইভেট নিয়োগ দিবে।
সরকারী ট্রেন থাকুক সমস্যা নাই, কিন্তু এর পাশাপাশি যদি লাইন বাড়িয়ে সরকার প্রাইভেট কোম্পানিগুলোতে ট্রেন চালু করার অনুমতি দেয়, তখন দেখা যাবে অনেকগুলো কোম্পানির মধ্যে যখন প্রতিযোগীতা হবে, তখন নিত্য নতুন সুবিধা জনগণ পেতে থাকবে, খরচও কমবে। যেটা এক বাংলাদেশ রেলওয়ে থাকলে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।