গতকালকের পত্রিকায় খবর এসেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংগঠন হাতিরঝিল প্রকল্পকে পুরস্কৃত করেছে। সাসটেইনএবল ডেভলপমেন্ট গোলের ‘জলভিত্তিক নগরায়ণ’ এর অংশ হিসেবে হাতিরঝিল প্রকল্প তৈরী করায় ‘এডরা’ নামক মার্কিন সংস্থাটি হাতিরঝিল প্রকল্পটিকে ‘গ্রেট প্লেস অ্যাওয়ার্ড’দেবে। (https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1644156)
যারা ঢাকা শহরের পুরাতন বাসিন্দা তারা হয়ত অনেকেই জানেন, আজকের এই হাতিরঝিল প্রকল্প এক সময় ছিলো বেগুনবাড়ি বস্তি। সেই বস্তিতে থাকতো তেজগাও শিল্পাঞ্চলে কাজ করা নিম্নআয়ের মানুষ। সেই বেগুন বাড়ি বস্তিতে নিয়মিত আগুন লাগিয়ে লাগিয়ে খালি করে তৈরী করা হয়েছে আজকের হাতিরঝিল প্রকল্প। এ হাতিরঝিল প্রকল্পের নিচে যে কত বস্তিবাসীর কান্না লুকিয়ে আছে, তা নতুনরা হয়ত জানবেই না।
আজকের খবরে অনেকেই দেখেছেন, মিরপুরের রূপনগরে বস্তিতে আগুন লেগেছে। রূপনগর বস্তিটিও একটি বিরাট খাল বা ডোবার্ উপর অবস্থিত। সরকারের প্ল্যান সম্ভবত সেই খালের বস্তিঘরগুলো খালি করে সেখানের একটি অংশে সরকারী অ্যাপার্টমেন্ট বানাবে, বাকিটা দিয়ে হাতিরঝিলের মত একটি পর্যটন কেন্দ্র বানাবে। এ প্রসঙ্গে ১৫ই মে, ২০১৯ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাকে বলা হয়-
“মিরপুরের রূপনগর লেকটি হাতির ঝিলের মতো আধুনিক করার জন্য ৯৭০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি কি আদৌ বাস্তবায়ন হবে নাকি কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে?” (https://bit.ly/2z6I273)
“মিরপুরের রূপনগর লেকটি হাতির ঝিলের মতো আধুনিক করার জন্য ৯৭০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি কি আদৌ বাস্তবায়ন হবে নাকি কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে?” (https://bit.ly/2z6I273)
অর্থাৎ আজকে আগুন দিয়ে খালি হলেও কয়েকদিন পর রূপনগর মনমুগ্ধকর ঝিল শেষ হলে আমেরিকান কোন সংস্থা তাকে বেস্ট পরিবেশবান্ধব পুরষ্কার দিয়ে ভূষিত করবে, ঠিক যেভাবে বেগুনবাড়ি বস্তি বা হাতিরঝিল প্রকল্পকে পুরস্কৃতি করা হলো।
একইভাবে বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে পুরান ঢাকার ব্যবসা বাণিজ্য তুলে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র করতে পারলেও সেটা নিয়েও সরকারকে পুরস্কৃতি করা হবে। কিন্তু সেই পরিস্থিতির তৈরীর জন্য চুড়িহাট্টাায় কৃত্তিম আগুন লাগিয়ে মানুষ হত্যার বিষয়টিও হয়ত মানুষ ভুলে যাবে।
একইভাবে বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে পুরান ঢাকার ব্যবসা বাণিজ্য তুলে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র করতে পারলেও সেটা নিয়েও সরকারকে পুরস্কৃতি করা হবে। কিন্তু সেই পরিস্থিতির তৈরীর জন্য চুড়িহাট্টাায় কৃত্তিম আগুন লাগিয়ে মানুষ হত্যার বিষয়টিও হয়ত মানুষ ভুলে যাবে।
অর্থাৎ বুদ্ধি হলো ইহুদীসংঘের দেয়া সাসটেইনএবল ডেভলপমেন্ট গোলের ‘জলভিত্তিক নগরায়ণ’ তৈরী।
সরকার সেটা পালন করতে পারলেই ঋণ পাবে, পাবে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড ও ক্ষমতার স্থায়ীত্ব।
এটা হচ্ছে সেই প্রকল্প- দেশ হচ্ছে সিঙ্গাপুর, প্যারিস লস অ্যাঞ্জেলস (বাণীতে হাছান মাহমুদ)।
এটা হচ্ছে সেই প্রকল্প – ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে আর কোন গরিব থাকবে না, সব গরিব মেরে ফেলা হবে। (বাণীতে মাল মুহিত)।
সরকার সেটা পালন করতে পারলেই ঋণ পাবে, পাবে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড ও ক্ষমতার স্থায়ীত্ব।
এটা হচ্ছে সেই প্রকল্প- দেশ হচ্ছে সিঙ্গাপুর, প্যারিস লস অ্যাঞ্জেলস (বাণীতে হাছান মাহমুদ)।
এটা হচ্ছে সেই প্রকল্প – ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে আর কোন গরিব থাকবে না, সব গরিব মেরে ফেলা হবে। (বাণীতে মাল মুহিত)।