আমি ফেসবুকে যাদের ফলো করি, তাদের একটা বড় অংশ ডেমোক্র্যাটিক ব্লক মেইনটেইন করে।

যে বাতি জ্বলবে আজীবন | চ্যাম্পস ...আমি ফেসবুকে যাদের ফলো করি, তাদের একটা বড় অংশ ডেমোক্র্যাটিক ব্লক মেইনটেইন করে।
হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে, তাদের সবগুলো আইডি “সব শিয়ালের এক রা”- করে সবাই চাচ্ছে বাংলাদেশে করোনা ভীতি বিস্তৃতি করার জন্য।
পাশাপাশি মিডিয়াতে যে ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের প্রাধান্য আছে তা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না।
সবাই একত্রে চাইছে ভীতি আরো বৃদ্ধি করতে, এই বিষয়টি মোটামুটি স্পষ্ট।
এমনকি ভীতিকে ট্রিগার করতে তারা কিছু ভিডিও’ ছেড়েছে, এবং আপনি যদি কোন যুক্তি দেন,
তবে সেটা ফালতু, বালছাল, ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছে। যেহেতু তারা একটি বৃহৎ নেটওয়ার্কের সদস্য, তাই শিয়ালের হুক্কা হুয়ার মত তাদের অযথা দরদ উপচে পড়ারটা সন্দেহজনক।
করোনা ভাইরাস নিঃসন্দেহে একটি রোগ, কিন্তু সেই রোগের দ্বারা কে কতটুকু সুযোগ নিলো সেটাই লক্ষণীয় বিষয়। যেমন- আপনার যেখানে ৫ টাকার পচা সাবান দিয়ে হাত ধুলে কাজ হয়ে যাবে, সেখানে কোম্পানিগুলো মিডিয়ায় ইনভেস্ট করে আপনাকে দিয়ে ৩০০ টাকার হ্যান্ড স্যানেটাইজার ব্যবহার করতে বাধ্য করবে। এমনভাব দেখাবে যেন সেটা দিয়ে ধুলেই বোধ হয় করোনা দূর হয়ে যাবে।
প্রথমেই বলি, ডেমোক্র্যাটিক ব্লক সদস্যরা কিছু নিয়ে লাফাইলেই আমি তা ভালো বলি না,
কারণ এদের উপর থেকে যারা ফাণ্ডিং করে তারা একেকটা বড় বড় ব্যবসায়ী, এবং প্রত্যেকটা জিনিসকে আলটিমেটলি তাদের স্বার্থের দিকেই টেনে নিয়ে যায়।
একটা উদহরণ দিলে বুঝতে পারবেন, ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের একজন বড় সদস্য বা ফান্ডদাতা হইলো ‘রকফেলার ফাউন্ডেশন’,পৃথিবীর মেডিসিন ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ তারা কন্ট্রোল করে। তারা যদি মিডিয়াতে ১০ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের কাজ পায়, তবে মন্দ কি ? এরা শুধু জনগণের থেকেই পয়সা খোয়াবে না, বরং সরকারীভাবে বরাদ্দ করে টাকা খোয়াবে, যেই টাকা পরে চাপিয়ে দেয়া হবে জনগণের উপরেই।
তাই বাংলাদেশে করোনা ঝুকি না থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে স্কুল বন্ধ, মসজিদ বন্ধ আরো কিছু দাবী দাওয়া তুলে ডেমোক্র্যাটিক ব্লক সদস্যরা রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই ভীতিকে বড় করার যে প্রয়াস চালাচ্ছে, সেই ফাদে পা দেয়া মোটেও ঠিক হবে না।