মিডিয়া ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবি শ্রেণী আমাদের দীর্ঘদিন ধরে একটা ভুল জিনিস শিখিয়ে এসেছে,
সেটা হলো- আমাদের মুক্তিযুদ্ধটা ছিলো একটা ধর্মযুদ্ধ।
এটা ছিলো হিন্দু আর মুসলমানের যুদ্ধ।
মুসলমানরা ছিলো পাকিস্তানের পক্ষে, আর হিন্দুরা ছিলো বাংলাদেশের পক্ষে।
তারা নাটক, সিনেমা, গল্প, কবিতা আর টেলিফিল্মের মাধ্যমে বার বার একটা মেসেজ-ই আমাদের মাথার মধ্যে ঢুকিয়েছে। তবে আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা কার থেকে এই সব মুক্তিযুদ্ধের বানোয়াট গল্পগুলো গ্রহণ করেছি, সেটা যাচাই বাছাই করিনি। একটু যাচাই বাছাই করলে আমরা দেখতে পেতাম, জাফর ইকবালের মত লোকেরা যারা মুক্তিযুদ্ধের গাল-গল্প আমাদের শুনিয়েছে, তারা নিজেরাই কখনও মুক্তিযুদ্ধে যায়নি বরং জীবন বাচাতে রাজাকারদের আশ্রয়ে লুকাতে গিয়েছিলো।
আমরা গৌরাঙ্গ লাল রায় ওরফে যাদুকর জুয়েল আইচের মত মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প শুনেছি, যারা হাতের যাদুর মত কথার যাদুতেও পারঙ্গম। যারা মুক্তিযুদ্ধের নামে বড় বড় পুরস্কার নেয়, অথচ ভালোভাবে ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় গৌরাঙ্গ লাল রায়রা (জুয়েল আইচ) মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গা বাচিয়ে ছিলো।
জাফর ইকবালরা আমাদের শিখিয়েছে- মুসলমানরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলো।
অথচ ৭ জন বীর শ্রেষ্ঠ’র ৭ই জনই মুসলমান।
আবার বীরত্বসূচক পদক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন মোট ৬৭৬ জন। এর মধ্যে হিন্দু সংখ্যা মাত্র ৬টি। শতকরা হিসেবে এর পরিমাণ মাত্র ০.৮৮%। অথচ ঐ সময় হিন্দুদের জনসংখ্যা ছিলো ২৮%।
আবার বাংলাদেশের উপজাতি চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় রাজাকার কিংবা সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলো এই তথ্য সবার জানা, তাহলে কথা হলো মুসলমান হলেই রাজাকার আর হিন্দু হলেই এই তথ্য তো মিলছে না।
সেটা হলো- আমাদের মুক্তিযুদ্ধটা ছিলো একটা ধর্মযুদ্ধ।
এটা ছিলো হিন্দু আর মুসলমানের যুদ্ধ।
মুসলমানরা ছিলো পাকিস্তানের পক্ষে, আর হিন্দুরা ছিলো বাংলাদেশের পক্ষে।
তারা নাটক, সিনেমা, গল্প, কবিতা আর টেলিফিল্মের মাধ্যমে বার বার একটা মেসেজ-ই আমাদের মাথার মধ্যে ঢুকিয়েছে। তবে আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা কার থেকে এই সব মুক্তিযুদ্ধের বানোয়াট গল্পগুলো গ্রহণ করেছি, সেটা যাচাই বাছাই করিনি। একটু যাচাই বাছাই করলে আমরা দেখতে পেতাম, জাফর ইকবালের মত লোকেরা যারা মুক্তিযুদ্ধের গাল-গল্প আমাদের শুনিয়েছে, তারা নিজেরাই কখনও মুক্তিযুদ্ধে যায়নি বরং জীবন বাচাতে রাজাকারদের আশ্রয়ে লুকাতে গিয়েছিলো।
আমরা গৌরাঙ্গ লাল রায় ওরফে যাদুকর জুয়েল আইচের মত মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প শুনেছি, যারা হাতের যাদুর মত কথার যাদুতেও পারঙ্গম। যারা মুক্তিযুদ্ধের নামে বড় বড় পুরস্কার নেয়, অথচ ভালোভাবে ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় গৌরাঙ্গ লাল রায়রা (জুয়েল আইচ) মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গা বাচিয়ে ছিলো।
জাফর ইকবালরা আমাদের শিখিয়েছে- মুসলমানরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলো।
অথচ ৭ জন বীর শ্রেষ্ঠ’র ৭ই জনই মুসলমান।
আবার বীরত্বসূচক পদক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন মোট ৬৭৬ জন। এর মধ্যে হিন্দু সংখ্যা মাত্র ৬টি। শতকরা হিসেবে এর পরিমাণ মাত্র ০.৮৮%। অথচ ঐ সময় হিন্দুদের জনসংখ্যা ছিলো ২৮%।
আবার বাংলাদেশের উপজাতি চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় রাজাকার কিংবা সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলো এই তথ্য সবার জানা, তাহলে কথা হলো মুসলমান হলেই রাজাকার আর হিন্দু হলেই এই তথ্য তো মিলছে না।
যাই হোক, আমি ব্যক্তিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধকে হিন্দু-মুসলমানের যুদ্ধ বলতে রাজি নই কখনই।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটা আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোন আছে, সেটার বিচারেই আমি মুক্তিযুদ্ধকে বিচার করতে চাই।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলো সোভিয়েত ব্লক। ভারতের কংগ্রেস সোভিয়েত ব্লক সদস্য বিধায় সেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে।
অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি অংশ – ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দুই অবস্থানে ছিলো। ডেমোক্র্যাট ব্লক দৃশ্যত ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে, অপরদিকে রিপাবলিকান ব্লক ছিলো স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের পক্ষে ছিলো না বিপক্ষে ছিলো এটা নিয়ে অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান, এর কারণ তারা ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানের তফাৎ করতে পারে না।
এছাড়া ঐ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় ছিলো রিপাবলিকান নিক্সন, তাদের সাথে চীনের সমঝোতা ছিলো। এজন্য চীনও দৃশ্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলো না।
একই সাথে ভারতীয় কংগ্রেস বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে থাকলেও বর্তমান বিজেপি (তখন ছিলো ভারতীয় জনসংঘ) রিপাবলিকান ব্লকের হওয়ায় তারা ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী। অর্থাৎ উগ্রহিন্দুরা ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোর বিরোধী।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটা আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোন আছে, সেটার বিচারেই আমি মুক্তিযুদ্ধকে বিচার করতে চাই।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলো সোভিয়েত ব্লক। ভারতের কংগ্রেস সোভিয়েত ব্লক সদস্য বিধায় সেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে।
অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি অংশ – ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দুই অবস্থানে ছিলো। ডেমোক্র্যাট ব্লক দৃশ্যত ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে, অপরদিকে রিপাবলিকান ব্লক ছিলো স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের পক্ষে ছিলো না বিপক্ষে ছিলো এটা নিয়ে অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান, এর কারণ তারা ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানের তফাৎ করতে পারে না।
এছাড়া ঐ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় ছিলো রিপাবলিকান নিক্সন, তাদের সাথে চীনের সমঝোতা ছিলো। এজন্য চীনও দৃশ্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলো না।
একই সাথে ভারতীয় কংগ্রেস বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে থাকলেও বর্তমান বিজেপি (তখন ছিলো ভারতীয় জনসংঘ) রিপাবলিকান ব্লকের হওয়ায় তারা ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী। অর্থাৎ উগ্রহিন্দুরা ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোর বিরোধী।
মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোনটি কেন বললাম ?
কারণ তখন যে যে ব্লকের সদস্য ছিলো- তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষে সেই সেই অবস্থান গ্রহণ করেছিলো। সেটা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক।
সম্প্রতি, নতুন করে রাজাকারের লিস্ট প্রকাশিত হয়েছে। এই লিস্টে নাকি অনেক হিন্দুর নামও উঠে এসেছে। এটাকে অনেক মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে। ভাবখানা এমন- হিন্দু হলেই বোধহয় রাজাকার হওয়া যায় না। হতে পারে, এই তালিকায় কারো নাম ভুল করেও উঠতে পারে, কিন্তু সম্পুর্ণটাই ভুল এমনটা বলা যাবে না। কারণ ঐ সময় আন্তর্জাতিক রাজনৈতিকভাবে কে কোন নেটওয়ার্ক মেইনটেইন করতো, সেটার উপর নির্ভর করছে সে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলো না বিপক্ষে। এর সাথে হিন্দু বা মুসলমান হওয়ার কোন সম্পর্ক নাই।
আমার মনে হয়, স্থানীয়ভাবে খুব ভালো করে খবর নিলে জাফর ইকবাল গংদের বানানো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। দেখা যাবে, যাদের আমরা এতদিন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান দিচ্ছি, ভাতা দিচ্ছি তারা আসলে রাজাকার অথবা ভারতে পালিয়ে সুবিধাভোগী। এরা ঐ সময়ও জাতির সাথে ধোকাবাজি করেছিলো, এখনও করে চলেছে।
কারণ তখন যে যে ব্লকের সদস্য ছিলো- তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষে সেই সেই অবস্থান গ্রহণ করেছিলো। সেটা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক।
সম্প্রতি, নতুন করে রাজাকারের লিস্ট প্রকাশিত হয়েছে। এই লিস্টে নাকি অনেক হিন্দুর নামও উঠে এসেছে। এটাকে অনেক মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে। ভাবখানা এমন- হিন্দু হলেই বোধহয় রাজাকার হওয়া যায় না। হতে পারে, এই তালিকায় কারো নাম ভুল করেও উঠতে পারে, কিন্তু সম্পুর্ণটাই ভুল এমনটা বলা যাবে না। কারণ ঐ সময় আন্তর্জাতিক রাজনৈতিকভাবে কে কোন নেটওয়ার্ক মেইনটেইন করতো, সেটার উপর নির্ভর করছে সে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলো না বিপক্ষে। এর সাথে হিন্দু বা মুসলমান হওয়ার কোন সম্পর্ক নাই।
আমার মনে হয়, স্থানীয়ভাবে খুব ভালো করে খবর নিলে জাফর ইকবাল গংদের বানানো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। দেখা যাবে, যাদের আমরা এতদিন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান দিচ্ছি, ভাতা দিচ্ছি তারা আসলে রাজাকার অথবা ভারতে পালিয়ে সুবিধাভোগী। এরা ঐ সময়ও জাতির সাথে ধোকাবাজি করেছিলো, এখনও করে চলেছে।