আবরার হত্যার কারণ হিসেবে যেটা উচ্চারণ হয়েছে,

আবরার হত্যার কারণ হিসেবে যেটা উচ্চারণ হয়েছে,
সেটা হলো তার ভারতবিরোধী ফেসবুক স্ট্যাটাস, লাইক, কমেন্ট।
আর এই হত্যার সাথে ঠাণ্ডা মাথার খুনি ও হুকুমদাতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে অমিত সাহা।
স্বাভাবিকভাবে তাই কথা উঠেছে বাংলাদেশে বসবাস করা- অখণ্ডভারত তত্ত্বে বিশ্বাসী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপস্থিতি নিয়ে।
অনেকেই তাই বলছে- দেশী হিন্দুরা ভারতের দালাল, ভারতের বিরোধীতা করায় বাংলাদেশী দালাল দিয়ে তাকে হত্যা করছে ভারত।
স্বাভাবিকভাবেই তার দায় চাপছে বাংলাদেশের হিন্দু ও হিন্দু সংগঠনগুলোর উপর।
কিন্তু কথা হলো,
আমরাও কেও চাই না বাংলাদেশের হিন্দু বা হিন্দু সংগঠনগুলোকে দোষ পড়ুক, কিংবা তৈরী হোক কোন সাম্প্রদায়িক পরিবেশ।
কিন্তু সেই সাম্প্রদায়িক পরিবেশ তৈরী না হতে দিতে বাংলাদেশের সাধারণ হিন্দু ও হিন্দু সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে । তাদের নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।
অন্তত বিবৃতি দিতে হবে-
ভারতের আগ্রাসনবাদের বিরোধীতা করায় আরবারকে যে হত্যা করা হয়েছে, সেটা তারাও মেনে নিতে পারছে না। এর অপরাধী যেই ধর্মের হোক, আমরা তার সঠিক বিচার চাই। পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পাশ্ববর্তী কোন রাষ্ট্রের আগ্রাসী নীতিকে আমরা সমর্থণ করতে পারি না, বরং তার বিরোধীতা করি।”
আমার মনে হয়, বাংলাদেশের অবস্থান করা সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকল সংগঠনকে ( উদাহরণ- হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, ইসকন, হিন্দু মহজোট, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, জাগো হিন্দু পরিষদসহ সকল সংগঠন) পৃথকভাবে অন্তত এইটুকু বিবৃতি দিতে হবে। তাদের উপর যে দায় আসতেছে সেটা বন্ধ করতে অন্তত এতটুকু হলেও বলতে হবে।
কিন্তু তারা যদি এক্ষেত্রে নিশ্চুপ থাকে, তখন কিন্তু সন্দেহ তৈরী হবে।
অনেকে বলবে- “তারমানে এটাই সত্য- হিন্দু মানেই ভারতের দালাল ।
র’ এর এজেন্ট । অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার সৈনিক। নয়ত চুপ কেন?”
আমার মনে হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও হিন্দু সংগঠনগুলোকে এ বিষয়টি ক্লিয়ার করতে হবে দ্রুত।