হলে র‌্যাগিং করে শিবির বলে আর পুলিশ ধরে নিয়ে যায় জঙ্গী বলে

হলে র‌্যাগিং করে শিবির বলে আর পুলিশ ধরে নিয়ে যায় জঙ্গী বলে
বুয়েটে এক ছাত্রের ভাষ্যমতে, বুয়েটের রাজনৈতিক ক্ষমতাধরদের মধ্যে একটি টিম ছিলো।
এরা সবাই হিন্দু না, কিন্তু হিন্দুবাদী।
যেমন আমরা একটা শব্দ ব্যবহার করি ‘ইহুদীবাদী’,
সব ইহুদীবাদী কিন্তু ইহুদী ধর্মাবলম্বী না, এই ইহুদীবাদীর মধ্যে খ্রিস্টান, ড্রুজ, হিন্দু, মুসলিম সবাই আছে।
এই ইহুদীবাদীরা ইহুদীদের ক্ষমতায়নের পক্ষে আকাঙ্খিত এবং বাকিদের ধ্বংস চায়।
একইভাবে সব হিন্দুবাদী হিন্দু ধর্ম থেকে আগত নয়।
এরা শুধু হিন্দু পক্ষের ক্ষমতা চায়, বাকিদের পিটিয়ে সাইজ করে।
বুয়েটে- এই হিন্দুবাদীদের অধিকাংশ মুসলিম ঘর থেকে আসা, কিন্তু তাদের ভেতরে দুই-একটা হিন্দু থাকে, তারাই তাদের মন-মগজ কন্ট্রোল করে। এই সব হিন্দুবাদীদের পূজা-মদ নিয়মিত সঙ্গী।
যাই হোক- বুয়েটে এদের একটা টিম থাকে,
যদি কোন ছাত্র ইসলামের পক্ষে লিখে বা মুসলমানদের পূজায় যেতে নিষেধ করে, প্রসাদ খেতে নিষেধ করে। কিংবা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লিখে, তাদের মনিটরিং করা হয়। এরপর তাদের সিস্টেম বুঝে র‌্যাগিং এর নামে মাইর দেয়। এই মাইর দেয়াটা কখন হয়- সিনিয়রকে সালাম না দেয়ার নাম করে, কখনও হয় কোন অনুষ্ঠানে চাদা না দেয়ার নাম করে, কখনও বা শিবির সংশ্লিষ্টতার অজুহাতে। কিন্তু মূল কারণ হলো- ইসলামের পক্ষে কাজ করা এবং অমুসলিম ধর্ম পালন করতে মুসলমানদের বাধা দেয়া।
এটাতো গেলে বুয়েটে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আন্ডারে টিম।
কথা হলো- সরকার যে সব প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছে, আইন শৃঙ্লখার নিয়ন্ত্রণের নাম দিয়ে,
তাদের মধ্যে কি এ ধরনের টিম নাই ?
যারা মনিটরিং করতেছে- সে ফেসবুকে কি লিখে ?
কে ইসলামের পক্ষে লিখছে, কে অমুসলিমদের ধর্ম পালন করতে মুসলমানদের নিষেধ করছে কিংবা কে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লিখছে। সাথে সাথে তাকে আনসার আল ইসলাম, জেএমবি বলে ধরছে, কখন ক্রশফায়ার দিচ্ছে, কখনও বা সাদা পোষাকে তুলে পিটিয়ে স্বীকারক্তি নিচ্ছে- “আর কখনও এমন করবি না”।
আবরারকে পিটিয়ে তারপর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিলো অমিত গংরা।
কারণ তারা জানতো- পুলিশের কাছে গেলে বিষয়টি লিগ্যাল হয়ে যাবে।
পুলিশের কাছে যেতে পারলে আবরার হয়ত হয়ে যেতে পারতো বড় জঙ্গী।
খবরে আসতো- বুয়েটে আনসার আল ইসলাম বা জেএমবি সদস্য আটক।
কে খবর নিতে যাইতো আবরার আনসার আল ইসলমান বা জেএমবি সদস্য কি না ?
বরং যে নিতে যাবে, সেই জঙ্গী ট্যাগ খেতো।
কিন্তু পুলিশের কাছে যাওয়ার আগেই আবরার মারা যাওয়ায় তাদের জঙ্গী জঙ্গী নাটক বাস্তবায়ন হয়নি।
কথা হলো-
দেশে এমন একটি চক্র বা সিন্ডিকেট সক্রিয়, যারা ইসলাম বা মুসলমানদের এভাবে নিয়মিত হ্যারাজমেন্ট করে যাচ্ছে,
সেটা হলে র‌্যাগিং এর নামে হোক কিংবা পুলিশে জঙ্গী দমনের নামে হোক।
তারা যাদেরকে প্রতিপক্ষ ভাবছে, তাদের নিয়মিত এভাবে দমন করে যাচ্ছে,
এবং সে জন্য তারা বিভিন্ন সেক্টরে একটি নিয়মিত সিস্টেমও দাড় করিয়েছে।
ভারতে এটা অবশ্য নিয়মিত হয়-
যেসব মুসলিম যুবককে তারা শিক্ষিত হতে দেখে কিংবা তাদের প্রতিপক্ষ হতে পারে এমন ধারণা করে,
তাদের নিয়মিত লিস্ট করে এনকাউন্টার দেয় অথবা মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে দেয়।
কথা হলো-
ভারতে মোদি ক্ষমতায় আসার পর উগ্র আরএসএস প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে,
যা তাদের বর্ডার ছাড়িয়ে বাংলাদেশের আসছে।
স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে- বাংলাদেশে হিন্দু জঙ্গীবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় পুলিশের চোখে কখন হিন্দু জঙ্গীবাদ চোখে পড়ে না।
আবরারের হত্যা পর অমিতের স্বীকারক্তি নিয়ে আরো কয়েকটা হিন্দু জঙ্গীকে গ্রেফতার করার কথা ছিলো।
কিন্তু আশ্চর্যজনক, পুলিশ হঠাৎ করে আনসার আল ইসলাম আর জেএমবি পাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
মানুষ এখন এগুলো ধিরে ধিরে বুঝতে শিখেছে।
এখন ছাত্রলীগের বিষয়টি ফাঁস হচ্ছে, কয়েকদিন পর হয়ত পুলিশের বিষয়টিও ফাঁস হবে।