জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শারজিল ইমামকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শারজিল ইমামকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ
14 hrs
Image result for হারিকেনজওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শারজিল ইমামকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। আসামে মুসলমানদের উপর চলমান নির্যাতন ও আসন্ন গণহত্যা রুখতে পরামর্শ দেয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। শারজিল ইমামের বক্তব্য-
“ অসমে মুসলিম ও বাঙালিদের মারা হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব বাংলাভাষীকে মারা হবে। ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। তাই অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে অন্তত কয়েক দিনের জন্য এই রাজ্যকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। বিচ্ছিন্ন করতে হবে মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশকেও। চিকেনস নেক নামক একটি সরু অংশের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারত এ দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। লাখ পাঁচেক মুসলিম ঘাঁটি গেড়ে বসে পড়লেই, উত্তর-পূর্বকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া সম্ভব হবে। আর তা হলেই হুঁশ ফিরবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের।’’ (https://bit.ly/2O9nMcW)
আজ থেকে ৫ মাস আগে আমিও আসামের মুসলমানদের বাচতে প্রায় এই বুদ্ধি দিয়েছিলাম- “মুসলমানদের দিয়েই আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন মানেই এই নয় প্রথমে মারামারি কাটাকাটি। প্রথমে ৮-১০ লক্ষ মুসলমানের জনসমাবেশ ঘটানো। যায়গায় যায়গায় সমাবেশ করতে হবে। প্রয়োজনে আসাম দিয়ে যাওয়া সেভেন সিস্টারের মূল হাইওয়েগুলো অবরোধ করা যেতে পারে।”
(https://bit.ly/2uIMqKg)
আসলে শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেনস নেক হলো ভারতের কলিজার মত। এটি মাত্র ২২ কিলোমিটার এলাকা, যা মূল ভারতের সাথে ৭ সিস্টার্সকে সংযুক্ত করেছে। চিকেনস নেক বা মুরগীর গলা অবরোধ করা মানে ভারতকে দুইটুকরা করে ফেলা। উল্লেখ্য, ৭ সিস্টার্সে অনেক উপজাতি আছে, যারা স্বাধীনতার জন্য বহু বছর ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে। ফলে চিকেনস নেক দিয়ে ভারত পৃথক হলে সেই বিদ্রোহী দলগুলোর জন্যও পোয়াবাড়ো হবে।
লক্ষ্যণীয় এতদিন এনআরসি/সিসিএ নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়েছে, সেসব আন্দোলনে ৫-৭ লক্ষ লোকও একত্র হয়েছে, সেটা নিয়ে মোদি সরকার তেমন হুমকি মনে করছিলো না। কিন্তু চিকেনস নেকের দিকে আঙ্গুল তুলতেই মোদি সরকারের অন্তরাত্মা কেপে উঠেছে। তবে শুধু শিলিগুড়ির চিকেনস নেক নয়, আসামের যে এলাকাগুলো মুসলিম অধ্যুষিত এবং যারা এনআরসিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (যেমন- ধুবরী, গোয়ালপাড়া, কোকরাঝাড়, বঙ্গাইগাঁও জেলা, যেগুলো ১৮২৫ সাল পর্যন্ত ছিল পুরানো রংপুর জেলার অন্তর্গত), ঐ এলাকার মুসলমানরা অবরোধ শুরু করে, তবেও ভারত বাংলাদেশ-ভুটান বরাবর কাটা যায়, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সেভেন সিস্টার্স।
আমার মনে হয়, শারজিল ইমাম গ্রেফতার হলেও তার দেখানো পথ থেকে মুসলমানদের সরে আসা ঠিক হবে না। ৫-৭ লক্ষ লোক একত্র হয়ে শিলিগুড়ি অভিমুখের তাদের মার্চ করা উচিত। কারণ আজ হলেও মরতে হবে, কাল হলেও মরতে হবে। এখন ঠিকমত আন্দোলন করলে হয়ত কিছু লোককে সেক্রেফাইজ করতে হতে পারে, কিন্তু এতে আসন্ন গণহত্যা বা গণবিতারণ ঠেকানো সম্ভব।
পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণেরও উচিত, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে সেই চিকেনস নেক বা শিলিগুড়ি করিডর সীমান্ত অভিমুখে একটা মার্চ করা। সীমান্তের ঐ পার না গেলেও এ পারে হলেও একটা বড় জনসমাবেশ ঘটানো উচিত। তাহলে বাংলাদেশে জনগণের পক্ষ থেকে মোদি সরকারকে একটা ভালো মানের সতর্ক বার্তা দেয়া সম্ভব।
হাইকোর্ট বলেছে, নারীদের ধর্ষণ প্রতিরোধে অ্যালার্ম বা এন্টি রেপ ডিভাইস দিতে।
হাইকোর্ট বলেছে, নারীদের ধর্ষণ প্রতিরোধে অ্যালার্ম বা এন্টি রেপ ডিভাইস দিতে।
Related imageহাইকোর্ট বলেছে, নারীদের ধর্ষণ প্রতিরোধে অ্যালার্ম বা এন্টি রেপ ডিভাইস দিতে।
কিছুদিন আগে জাবি শিক্ষার্থীরা ধর্ষণ প্রতিরোধে একটা অ্যাপস তৈরী করছে।
মাসখানেক আগেই ভারতে ধর্ষণ প্রতিরোধে বের হলো অভিনব ইলেকট্রিক জুতা।
২০১৪ সালে ভারতেই বের হইছিলো নারীদের জন্য এন্টি রেপ জিন্স প্যান্ট।
এছাড়া বের হইছিলো এন্টি রেপ ব্রা, এন্টি রেপ লেগিংস, এন্টি রেপ আন্ডারওয়্যার।
কিন্তু কথা হইলো, এত এত এন্টি রেপ ডিভাইস আর জামা-কাপড়-জুতা তৈরী হলেও
ধর্ষণ কিন্তু কমতেছে না, বরং ধর্ষণ বেড়েই চলতেছে।
আমি এর আগেও বলেছি, এখনও বলছি,
আমি আসলে সন্দিহান, যাদের সব সময় ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার দেখা যায়,
তারা কি আদৌ চায় ধর্ষণ বন্ধ হোক ? যদি তারা সত্যিই চাইতো,
তবে এমন আজগুবি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন ?
অনেকে বলে আইন প্রয়োগ করে ধর্ষণ বন্ধ করতে হবে।
আমি এটাও বিশ্বাস করি না। কারণ শুধু আইন কখন অপরাধ দমন করতে পারে না।
অপরাধ যে কারণে উৎপন্ন হচ্ছে, সেটা আগে বন্ধ করতে হবে।
অপরাধ সংগঠিত হয়ে যাওয়ার পর আইন প্রয়োগ করে সেটা বন্ধ করবেন কিভাবে ?
এক্ষেত্রে ইসলামীক আইনে শেখার অনেক কিছু আছে।
যেমন- ইসলামী আইনে চুরি করলে হাত কাটার বিধান আছে।
কিন্তু তার আগে দেখতে হবে, ঐ ব্যক্তি ক্ষুধার্ত কি না ?
মানে সে হয়ত ২-৩ দিন যাবত ক্ষুধার্ত, সে বাধ্য হয়ে চুরি করেছে।
তখন ইসলামী আইন মতে তার খাবারের দায়িত্ব নিবে খিলাফত এবং তাকে শাস্তি দেয়া যাবে না।
কিন্তু যদি সে ভরপুর পেট থাকার পরও চুরি করে, তখন তার জন্য আইন প্রযোজ্য।
এই আইন থেকে শেখা যাচ্ছে- কোন অপরাধ দমন করতে শুধু আইন করলেই হবে না,
যে কারণে অপরাধ তৈরী হচ্ছে, সেটা আগে বন্ধ করতে হবে। তখন অপরাধ কমবে, এর আগে না।
বর্তমান সময়ে আসলে মানুষ যে ভাবাদর্শে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে- সেটাকে সুশীল চেতনা বলে।
এটা সুশীল চেতনাগুলোর ডেমোক্র্যাট ব্লকের তৈরী, যারা মিডিয়ার মাধ্যমে এগুলো ব্যাপক প্রচার করে।
এই সুশীলরা সবকিছু আইন করে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।
এটা ভুল পদ্ধতি। আইন করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
যে কারণে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, সেগুলো আগে চিহ্নিত করে বন্ধ করতে হবে এরপর আইন প্রয়োগ করলে কাজ হবে, এর আগে হবে না।
ধর্ষণ বন্ধ করতে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, সেটা নিয়ে আমি আগেও অনেক পোস্ট দিয়েছি-https://bit.ly/2uEIPxahttps://bit.ly/2O4k985।, সুতরাং সেটা নিয়ে আজকে আর কথা বলবো না।
তবে কথা বলবো, তাদের সম্পর্কে যারা বলে, ধর্ষণ বন্ধে আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।
এক্ষেত্রে সমাজের মানসিকতা পরিবর্তনে তাদের কিছু শ্লোগান আছে, যেমন-
১. নারী-পুরুষকে সমান চোখে দেখতে হবে।
২. নারীর শরীরকে কামনার চোখে দেখলে হবে না।
৩. নারীর শরীরকে নিষিদ্ধ বস্তু করা যাবে না, কারণ নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি আকর্ষন বেশি হয়।
প্রথম যে পয়েন্টটা, মানে নারী-পুরুষকে সমান চোখে দেখা, এটা আমার কাছে কম বলে মনে হয়।
একজন নারীকে পুরুষের পক্ষে সমান হয়, বরং বেশি সম্মানের চোখে দেখা উচিত।
কারণ নারী হলো মায়ের জাত।
মাকে যেমন সন্তান শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে,
তেমনি পুরুষের দৃষ্টিতে নারীও হবে তেমন সম্মানিত ও শ্রদ্ধার পাত্র।
এজন্য সাধারণ মানুষের তুলনায় ভিআইপি মানুষেররা যেমন সম্মান পায়,
নারীকেও তেমন সম্মান দিতে হবে।
ভিআইপি মানুষের জন্য যেমন সবকিছু পৃথক ও ভিআইপি সিস্টেমে থাকে, নারীকেও তেমন ভিআইপি পৃথক ব্যবস্থা করা উচিত। ভিআইপিরা যেমন সাধারণ মানুষের সাথে চলে না, খায় না, সাধারণভাবে হাটাচলা করে না, পৃথকভাবে করে, তেমনি নারীকেও ভিআইপি সম্মান দিয়ে পুরুষের থেকে পৃথক ব্যবস্থা করে দেয়া উচিত।
দ্বিতীয় যে পয়েন্ট,
“নারীর শরীরকে কামনার চোখে দেখলে হবে না।”
আমি এই পয়েন্টে শতভাগ একমত। আপনি কেন নারীর শরীরের দিকে কামনার দৃষ্টিতে তাকাবেন?
আমার মনে হয়, এই পয়েন্টের সাথে ধার্মীক ও সুশীল দুই গ্রুপের মধ্যে অমীল নাই,
কিন্তু বাস্তবে চেতনা ধারণের মধ্যে পার্থক্য আছে।
যেমন- প্রকৃত ধার্মীকরা নারীকে কামনার চোখে দেখেও না, আবার কেউ যদি সেই কামনার দৃষ্টি উপস্থাপন করতে চায় তবে তার জোর প্রতিবাদ করে। যেমন: কোন নারীকে সিনেমা-মুভি-বিজ্ঞাপন বা অন্য কোথাও সেক্স সিম্বল হিসেবে প্রচার করলে ধার্মীকদের তার প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।
অপরদিকে সুশীল শ্রেণী মুখে বলে-“নারীর শরীরকে কামনার চোখে দেখলে হবে না।” কিন্তু বাস্তবে, নারীকে যখন সিনেমা-মুভি-বিজ্ঞাপন বা অন্য কোথাও সেক্স সিম্বল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তখন তাদের কখনই প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। অর্থাৎ বাণিজ্যিকভাবে যখন নারীদেহকে ব্যবহার করা হচ্ছে কিংবা পুরুষের কামনাকে প্রলুব্ধ করতে বা নারী শরীরকে ব্যবহার করে পণ্যের বাণিজ্য করা হচ্ছে, তখন ঐ সুশীল শ্রেণী আশ্চর্যজনভাবে নিরব থাকে। তাদের এ ধরনের নিশ্চুপ থাকা সন্দেহজনক। আবার ঐ সুশীল গোষ্ঠীটি সব সময় শিক্ষা বাণিজ্য, অমুক বাণিজ্য, তমুক বাণিজ্য বন্ধ করতে বলে। কিন্তু নারীদেহ বাণিজ্য বা পতিতাবৃত্তি বন্ধ করতে বলে না, বরং পতিতাবৃত্তি সমাজে জারি রাখতে বলে, এখানে তাদের দ্বিচারিতা পাওয়া যায়।
তৃতীয় পয়েন্ট- “নারীর শরীরকে নিষিদ্ধ বস্তু করা যাবে না।”
এই পয়েন্টে খেয়াল করুন- ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশেই নারীকে পুরুষের তুলনায় পোষাকে বেশি স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। যেমন কোন অনুষ্ঠানে পুরুষ কোর্ট-প্যান্ট পরে গলা থেকে পা পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় ৯০% শরীর ঢেকেছে। অপরদিকে নারীর বুকের অর্ধেরক থেকে উপরের অংশ উন্মুক্ত, আবার হাটুর উপর অংশ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত উন্মুক্ত, মানে নারীর শরীরের ৪০% ঢাকা, কিন্তু ৬০% উন্মুক্ত। যেহেতু কথা হচ্ছে নারীর ধর্ষণ বন্ধ করা নিয়ে, তাই খোজ নিয়ে দেখুন- ঐ দেশগুলোতে কিন্তু নারীর ধর্ষণের রেট অনেক উচ্চ। তারমানে নারীর শরীরকে উন্মুক্ত করলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে, এটা একটা ভুল তত্ত্ব।
অনেককে আমি বলতে দেখি- “ধার্মীকরা নারীর শরীরকে কামনার বস্তু হিসেবে দেখে বলেই, তাদের শরীর ঢেকে রাখতে বলে।” এটা একটা ভুল কথা। কামনার বস্তু হিসেবে দেখে বলেই ঢেকে রাখতে বলে না, বরং তারা কামনার বস্তু হিসেবেও দেখে না, আবার নারীর শরীরকেও ঢেকে রাখতে বলে, বিষয়টি অনেকটা টু-স্টেপ সিকিউরিটি ভেরিফিকেশনের মত। মানে বহুমানুষের সমাজে একটা ব্যর্থ হলেও যেন অন্যটা ব্যর্থ না হয়।

আবার ধর্ষণ বন্ধে আইনের ক্ষেত্রে সুশীলদের তুলনায় ধার্মীকদের পদ্ধতি অনেক শক্তিশালী।
যেমন- সুশীলরা শুধু আইনের ভয় দেখিয়ে অপরাধ থামাতে চায়।
কিন্তু ধর্মে প্রথমে ছেলেকে দেখতে বারণ করে,
মেয়েকে দেখাতে বারন করে,
অপরাধ করার আগে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মনের মধ্যে খারাপ চিন্তার সূত্র বুনতে হয়, সেই চিন্তা করতেও নিষেধ করে,
অতঃপর অপরাধ করতেও না করে। এরপরে যদি কেউ অপরাধ করে তবে তার জন্য শাস্তির বিধান, এছাড়া পরকালের শাস্তির ভয় দেখানো তো আছেই।
অর্থাৎ অপরাধ দমন করতে ৫ স্টেপ সিকিউরিটি, যার একটাও সুশীলদের নেই।
অর্থাৎ ধর্ষণ বন্ধে ধার্মীকদের তুলনায় সুশীলদের এথিকস অনেক দুর্বল এবং দ্বিচারিতা বিশিষ্ট্য,
ফলে সুশীলদের নিয়মে চললে সমাজে ধর্ষণ হ্রাস না পেয়ে বরং বৃদ্ধি ঘটাই স্বাভাবিক।
অনেকেই সরকারের পতন আন্দোলন নিয়ে কথা বলে।
অনেকেই সরকারের পতন আন্দোলন নিয়ে কথা বলে।
Image result for হারিকেন
অনেকেই সরকারের পতন আন্দোলন নিয়ে কথা বলে।
অনেকে সরকার পতনে বিভিন্ন আন্দোলন দাড় করাতে চায়,
আবার অনেকে সরকার পতনে বিভিন্ন আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়েও কুলকিনারা পাচ্ছে না।
এই সকল আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার অনেক কারণ আছে, তবে মূল কারণ হলো-
সব আন্দোলনের ইস্যুর সাথে সব জনগণ একমত হয় না,
অর্থাৎ আন্দোলনকারীরা এমন ইস্যু ক্রিয়েট করতে পারে না, যেই ইস্যুতে সবাই একমত।
কিন্তু আমার মনে হয়, সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের জন্য বর্তমানে সুর্বন সুযোগ হলো-
দ্রব্যমূল্য বা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির ইস্যুকে দাড় করানো।
কারণ এই ইস্যুতে বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত,
তাই এই ইস্যুতে যদি একবার আন্দোলন তুলতে পারেন,
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্যই ব্যাপক জনসমর্থন পাবেন।
আবার কর্পোরেটোক্রেসি পলিসি হাতে নেয়ায়, আওয়ামী সরকারের পক্ষেও সম্ভব না,
দ্রব্যমূল্য বা জীবনযাত্রা ব্যয় বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরা,
বরং নিউক্লিয়ার চেইন রিয়্যাকশনের মত এই ব্যয় চুর্তুদিকে শুধু বৃদ্ধি পেতে থাকবে, কখনও হ্রাস পাবে না।।
ফলে জনগণ আন্দোলন করলেও সরকারের পক্ষ দ্রব্যমূল্য বা জীবনযাত্রা ব্যয় হ্রাস করে আন্দোলন বন্ধ করা সম্ভব হবে না। ফলে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেতেই থাকবে এবং এক ইস্যুতে সবাই পয়েন্ট করলেই জনবিষ্ফোরণ ঘটবে, যা সরকারের পক্ষে অস্ত্র দিয়ে থামানো সম্ভব না।
আপনি যত আন্দোলনই করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্দোলন হলো-
এই দ্রব্যমূল্য বা জীবনযাত্রা ব্যয় বৃদ্ধি ইস্যু, পৃথিবীর বহু দেশে এই আন্দোলনেই সরকারের পতন ঘটেছে।
বাংলাদেশে সব ইস্যু ছেড়ে যদি সরকারবিরোধীরা সবাই এই এক ইস্যু ধরে,
তবে আমি হলফ করে বলতে পারি, সরকারের ক্ষমতা ত্যাগ ব্যতিত পিছু হটার সুযোগ নেই।
তবে আন্দোলনকারীদের মনে রাখতে হবে, কর্পোরেটোক্রেসি পলিসিতে
সরকার জনগণকে বার বার উন্নয়ন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে,
তাই শুধু দ্রব্যমূল্য হ্রাস চাইলেই হবে না, এই কথিত উন্নয়নকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে হবে।
এজন্য শ্লোগান হতে হবে- “উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”।
অর্থাৎ যে কোন খরচ হ্রাসকেই প্রকৃতপক্ষে উন্নয়ন হিসেবে দেখা হবে, ইট-বালি-সিমেন্টের কোন প্রজেক্টকে উন্নয়ন হিসেবে দেখা হবে না। এছাড়া প্রতিটি উন্নয়নের কারণে খরচ বেড়েছে না কমেছে তার হিসেব হাতে কলমে দেখাতে হবে। যারা বিরোধীদল, তারা সব ইস্যু বাদ দিয়ে শুধু একটা ইস্যুকেই ভাইরাল করে দেখুন, টনিকের মত কাজ হবে, গ্যারান্টি দিয়ে বললাম।

যে আগুন লাগানো হয়, সেটা কিন্তু পোড়া না শেষ হওয়া পর্যন্ত নিভে না।
যে আগুন লাগানো হয়, সেটা কিন্তু পোড়া না শেষ হওয়া পর্যন্ত নিভে না।
Related image
গত ডিসেম্বরে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম।
বলেছিলাম- যদি দেখেন ছুটির দিন বা তার আগের রাতে আগুন লাগছে তাহলে বুঝবেন সেই আগুন এমনি এমনি লাগে নাই, লাগানো হইছে।
এবং যে আগুন লাগানো হয়, সেটা কিন্তু পোড়া না শেষ হওয়া পর্যন্ত নিভে না।
আগুন ধরার অনেকগুলো সুত্র উল্লেখ করছিলাম, সেগুলো মুখস্ত রাইখেন।
(স্ট্যাটাস লিঙ্ক-https://tinyurl.com/r8bo2hl)
গতকাল রাত এবং আজকে দিনে যথাক্রমে মিরপুরের চলন্তিকা বস্তি (https://bit.ly/2TVr1bI) এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন মির্জাপুল এলাকার ডেকোরেশন গলির বস্তিতে আগুন ধরছে (https://bit.ly/2TV7ZC0)।
এখন ঘন ঘন বস্তিতে আগুন লাগার মূল কারণ সরকার দেশটাকে নদী বা খাল ভিত্তিক পর্যটন বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য গরীব মানুষরা ডোবা বা খালের উপর কাচা ঘর বানিয়ে থাকলে শহরের সৌন্দর্য্য্ নষ্ট হবে, বিদেশীরা এসে খারাপ বলবে। তাই বুলডোজার দিয়ে পাকা বাড়ি উচ্ছেদ করলেও, কাচা ঘর উচ্ছেদের সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত উপায় হলো আগুন লাগিয়ে দেয়া। গত এক বছর এই বস্তিতে আগুন লাগা ছিলো নিয়মিত ঘটনা।
সরকার উন্নয়ন করতেছে সমস্যা নাই,
কিন্তু এই যে গরীব পোড়ানোর উন্নয়ন হাতে নিছে, এর থেকে কতটুকু সফলতা আসবে ?
মন্ত্রীরা প্রায় বলে “এত সালের মধ্যে দেশে আর গরীব থাকবে না্।”
আপনারা যে গরীবকে পুড়িয়ে মেরে ফেলবেন, এটা তো স্পষ্ট।
আপনারা যতই বলেন-
গরীব মেরে আপনারা পর্যটন করবেন,
মসজিদ ভেঙ্গে আপনারা সৌন্দর্য বাড়াবেন,
গরীবের টাকা দিয়ে মেট্রোরেল-৪ লেনের রাস্তা বানাবেন,
লাভ হবে না। এগুলো অভিশপ্ত।
একজন গতকালকে ফেসবুকে কমেন্টে বলছে- আমি নাকি অর্থনীতির ‘অ’ বুঝি না, এসব কন্সট্র্যাকশনের কাজ শেষ হলে নাকি তখন বুঝবো,
দেশ কিভাবে এগিয়ে যায়।
আরে ভাই- আমি নাইলে বুঝি না, অশিক্ষিত।
আমি না হয়, ৩ বছর ধরে বক বক করতেছি, দেশের অর্থনীতিতে খারাপ পরিস্থিতি আসতেছে বলে,
আমার কথা না হয়, নাই বিশ্বাস করলেন,
কিন্তু আপনি পুরো দেশের মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তারা এখন ভালো আছে না, খারাপ আছে ?
দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়তেছে তাদের পরিবারের প্রকৃত অবস্থাটা কেমন ?
যে গতিতে দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়তেছে, যেভাবে প্রাইভেট সেক্টরে ধস নামতেছে, মানুষ বেকার হচ্ছে,
তাতে আর কত বছর তারা সারভাইভ করতে পারবে ?
ধরে নিলাম- এসব রাস্তাঘাট আর সেতু কমপ্লিট হতে আরো ১০ বছর লাগবে।
তাদের জিজ্ঞেস করেন, এইভাবে তারা আরো ১০ বছর টিকতে পারবে কি না ?
এই অবস্থা চলতে থাকলে তারা কি অত্যাধুনিক ৪ লেনের রাস্তায় মার্সিডিস বেঞ্চ ছুটাবে,
নাকি ৪ লেনের ধারে দাড়ায় ভিক্ষা করবে? সেটা তাদেরকেই জিজ্ঞেস করেন।
সরকারের এত এত উন্নয়নের জন্য অনেক টাকার দরকার, তাই আয়করের সীমা কমায় দিছে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ একটা আর্টিকেলে বর্তমান আয়কর ব্যবস্থাকে গরীব মারার ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে পাশ্ববর্তী ভারতে যেখাবে মাসিক ইনকাম ৫০ টাকা হলে আয়কর দিতে হয়, সেখানে বাংলাদেশে আয়কর দিতে হয় ২০ হাজার ৮০০ টাকার মাসিক ইনকামে। তার বক্তব্য হলো-এই টাকা দিয়ে কি ৪-৫ জনের একটা পরিবার মাসে চলতে পারে, সেখান থেকে যদি সরকার টাকা কেটে নিয়ে যায় তবে সে চলবে কিভাবে ? (https://bit.ly/37nmVwE)
বাংলাদেশের সব মানুষের ধারণা- সবাই খারাপ আছে, শুধু সরকারি চাকুরীজীবি ছাড়া।
কিন্তু সরকারী চাকুরীজীবিদের সাথে আলাপ করে বুঝলাম-
তারাও খারাপ আছে, শুধু দুর্নীতিবাজ ছাড়া।
সরকারী বেতনে দুর্নীতিহীনরাও সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে।
এখান থেকে একটি প্রশ্ন আসে, সেহেতু কয়েক বছর আগেই সরকারী বেতন দ্বিগুন হয়েছে,
তাতেও যদি তাদের কষ্ট হয়, তাহলে বাকিদের বেতন তো দ্বিগুন হয়নি,
তারা কিভাবে চলছে ? অবশ্যই নে খেয়ে বা অন্যান্য মৌলিক চাহিদা বন্ধ করে।
শুনেছিলাম- কাক নাকি চোখ বন্ধ করে খাবার লুকিয়ে রাখার সময় ভাবে-
সে দেখে নাই, তাই কেউ দেখে নাই।
বর্তমাস সরকারের অবস্থা হইছে সে-রকম।
সেও ভাবতেছে আমি আনন্দে আছি, তারমানে সবাই আনন্দে আছে।
তারা এখন দিন ছাপিয়ে বছর জুড়ে মুজিববর্ষ পালনের নামে মোজ ফূর্তি করতেছে,
কনসার্ট, বিদেশী নতর্কী দিয়ে অর্ধ উলঙ্গ ড্যান্স, কিংবা বিদেশী খেলোয়ার দিয়ে খেলা,
আতশবাজির নামে অপচয়, সব চলতেছে। কিন্তু দেশের জনগণের আর্থিক অবস্থা যে দিনে দিনে কোমায় চলে যাচ্ছে,
সেটা তারা চোখ বুজে অস্বীকার করতেছে।
কথা হইলো- তারা তো সেকেন্ড হোমে ১৪ পুরুষের খরচ জমিয়ে রেখেছে,
জনগণ কি করবে ? তার তো সম্বল নেই, পরের বেলার খাবার জমা নেই।
তাদের তো পদ্মা সেতুর স্প্যান দেখে পেট ভরে না, মেট্রোরেলের ধূলা খেয়ে ক্ষিদা মিটে না,
সালমান খান, ক্যাটারিনা কাইফ আর জুলিও সিজারের ফুটবল খেলা দেখে অসুখ ভালো হয় না।
সে হিসেব করলে আমি বলবো- বস্তিবাসীকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সরকার ভালোই করেছে,
ধূকে ধুকে মরার থেকে যাকে মারবেন, একবারে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলুন, এটাই ভালো।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে আগারগাওয়ে মসজিদ ভাঙ্গতে চিঠি
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে 
আগারগাওয়ে মসজিদ ভাঙ্গতে চিঠি
Related image
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে আগারগাওয়ে মসজিদ ভাঙ্গতে চিঠি
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে আগারগাওয়ের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের সামনে একটি ওয়াকফকৃত মসজিদ অপসারণের জন্য সভার আহবান করা হয়েছে। মসজিদটির নাম মসজিদুল আবেদীন জামে মসজিদ। আগামী সোমবার, ২৭শে জানুয়ারী গুলশান-২ এর নগরভবন অফিসের লেভেল-৮ এ এই সভার আহবান করা হয়। সভায় মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডাকা হয়েছে।
জানা যায়, মসজিদটির প্রায় ৫৬ বছরের পুরাতন, জয়নাল আবেদীন নামক এক মুসল্লী মসজিদটির যায়গা ওয়াকফ করে। সম্প্রতি সরকার উন্নয়নের নামে দেশজুড়ে যে মসজিদ ভাঙ্গার যজ্ঞ হাতে নিয়েছে, এটি তারই অংশবিশেষ। তবে মসজিদ ও মুসলমানদের কবরস্থান ভাঙ্গলেও সরকার এখন পর্যন্ত হিন্দু বা খ্রিস্টানদের কোন ধর্মীয় স্থাপনায় হাত দেয়নি, প্রয়োজনে রাস্তা ঘুড়িয়ে নিয়ে গেছে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী কামাল স্মরণী সড়ক নির্মাণের সময় অপ্রয়োজনীয়ভাবে ৫টি মসজিদ ও ১টি মাদ্রাসা ভাঙ্গে সরকার। এগুলো হলো- মিজান জামে মসজিদ (পশ্চিম আগারগাও), কেন্দ্রীয় বায়তুল মামুন জামে মসজিদ (মধ্য পীরের বাগ), মসজিদ-এ বায়তুল আমান (৩৪ উত্তর পীরের বাগ), বায়তুল মামুর জামে মসজিদ (পশ্চিম মনিপুর, মিরপুর), হয়রত আবু বকর সিদ্দিক এতিমখানা ও মাদ্রাসা এবং মসজিদুন নূর জামে মসজিদ (কচুক্ষেত, পুরাতন বাজার)। তবে কামাল স্মরণী রাস্তা নির্মাণের সময় ৫টি মসজিদ ও ১টি মাদ্রাসা ভাঙ্গতে পারলেও ভাঙ্গতে পারেনি ১টি গির্জা। মিরপুর-২ এর ২২/১৯ বড়বাগ ঠিকানার ‘নাজারেথ নভিসিয়েট ও এসএল লুইজেন সিস্টারস নামক একটি গির্জাকে ভাঙ্গতে না পারায় কামাল সরনী রাস্তাটি সরাসরি শিশু হাসপাতালের রাস্তার সাথে সরাসরি সংযুক্ত হতে পারেনি, ৩ রাস্তার মোড় করে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে গির্জা রক্ষা করতে গিয়ে রাস্তার মূল উদ্দেশ্যই নষ্ট হয়ে গেছে।
এখন উত্তর সিটি কর্পোরেশনবাসী একটা অনুরোধ করবো-
মেয়র আতিকুল আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসলে আপনারা তাকে জিজ্ঞেস করবেন-
“তুমি আবার মেয়র হইলে মোট কয়টা মসজিদ ভাঙ্গবা তার হিসেব এখনই আমাদের দিয়ে যাও।”
ঢাকার বাতাসে এখন বোঝাই কন্সট্রাকশনের ধূলা-বালি-সিমেন্ট।
ঢাকার বাতাসে এখন বোঝাই কন্সট্রাকশনের ধূলা-বালি-সিমেন্ট।
Related image
ঢাকার বাতাসে এখন বোঝাই কন্সট্রাকশনের ধূলা-বালি-সিমেন্ট। এগুলো নাক দিয়ে প্রবেশ করে, ২ কোটি শহরবাসী যে কত ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার কোন হিসেব নেই। শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত নানান অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হলো- যখনই বায়ু দূষণের কথা আসে, তখন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ইটভাটাগুলোতে হামলা চালায় প্রশাসন, সেগুলো বন্ধ করে দেয়, বেকার করে দেয় হাজারো শ্রমিককে। কিন্তু ঘটনা হইলো- ইটভাটা থেকে যে কার্বন এমিশন হয়, সেগুলো কার্বন সাইকেলে পড়ে ঠিকই ভারসাম্যের ফিরে আসে। কিন্তু এই যে ফ্লাইওভার-মেট্রোরেলের বিপুল ধূলা-বালি-সিমেন্ট মিশ্রিত বাতাস এগুলো রিমুভ হবে কিসে ? ভারসাম্য হবে কিসে ?? ফুসফুসে একবার ঢুকলে এগুলো বের করার উপায় কি ? তাছাড়া ইটভাটাগুলো তো শহরের বাইরে, কিন্তু কন্সট্র্যাকশন গুলোতো ২ কোটি ঘনবসতির পেটের মধ্যে, এর ক্ষতির মাত্রা কতগুণ বেশি ?
আমি দেখেছি, সরকার নিজে পরিবেশের ক্ষতি করে, কিন্তু দোষ দেয় অন্যের।
যেমন- নদীর ধারে মসজিদ থাকলে নাকি নদীর ফ্লো তে সমস্যা হয়।
কিন্তু নদীর মাঝখানে যে বড় বড় সেতুগুলো বানানো হচ্ছে, এর দ্বারা তো পুরো নদীই মারা যাচ্ছে।
অপরিকল্পিত সেতুর কারণে যেখানে বড় বড় নদীগুলোর জীবন শেষ, সেখানে নদীর রক্ষার নামে নজর ঘোরানো হচ্ছে তীরের মসজিদগুলোর দিকে। আশ্চর্য।
যাই হোক, আমি এসব অপরিকল্পিত উন্নয়নের ঘোর বিরোধী অনেক আগ থেকেই।
আমি অনেক বছর আগ থেকেই বলেছি- এগুলো হলো কর্পোরেটোক্রেসি, যা দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের উপলক্ষ। যদিও অনেক জনগণ আমার কথার বিরোধীতা করেছে, কারণ তারা উন্নয়ন দেখতে চায়। যদিও এধরনের অপরিকল্পিত উন্নয়নের সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নাই, এবং বুঝতেও চায় না।
আপনারা নিশ্চয়ই খবরে দেখছেন, সরকার এসব উন্নয়নের জন্য ব্যাংক থেকে সীমানা অতিক্রম করে প্রচুর লোন নিচ্ছে। হয়ত বুঝতেছেন না, এত এত লোন নিলে সমস্যা কি ? সমস্যা হলো- সরকার যত লোন নিবে, ব্যাংকগুলো তত টাকা ছাপাবে, আর যত অপরিকল্পিত টাকা ছাপাবে তত মুদ্রস্ফীতি হবে। আর যত মুদ্রাস্ফীতি হবে সব কিছুর দাম তত বাড়তে থাকবে। সম্প্রতি চালসহ বিভিন্ন খাদ্র্যদ্রবের দাম হু হু করে বাড়তেছে। যতই এর পেছনে ব্যাখ্যা দাড় করান, মূল কারণ হলো মুদ্রাস্ফীতি দ্রুত বাড়ছে। চাল-ডালের দাম বাড়ায় তার থেকে সরকার তার উন্নয়নের খরচ যোগাচ্ছে।
আসলে আমাদের আম জনতা কিন্তু উন্নয়ন মানেই রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার বা কন্সট্র্যাকশন বুঝে।
আর ক্ষমতাসীনরা সেই সুযোগটি নেয়। কারণ যত প্রজেক্ট, তত টাকা মারা।
কিন্তু কোন জাতির উন্নয়ন মানে যে জ্ঞান বা নলেজের উন্নয়ন এটাই জনগণের নলেজে নাই। কোন জাতির কতটুকু নলেজ বৃদ্ধি পাইলো, সেটা দিয়ে তার উন্নয়ন মাপা উচিত।
আপনি যদি কন্সট্র্যাকশন দিয়ে উন্নয়ন মাপতে যান, তখনই বুঝতে হবে আপনি অশিক্ষিত,
এবং অশিক্ষিত মানুষকে ধোকা দেয়া সোজা।
কয়েকদিন আগে খবরে দেখলাম, সরকার কারিগরি শিক্ষাকে আরো বিস্তৃতি করার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট করতেছে। আরে ভাই কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের পেছনে ‘দক্ষ শ্রমিক’ হওয়ার যুক্তি দিচ্ছেন বুঝলাম, কিন্তু আপনি কেন স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর পর পুরো জাতিকে শ্রমিক বানাতে চাইছেন? তাদের মালিক বানান। কথা হলো- আমাদের অনার্স লেভেলে যে শিক্ষা সিস্টেম আছে সেটা কতটুকু মার্কেট রিলেটেড ? অনার্সের প্রত্যেকটা সাবজেক্টকে মার্কেটের সাথে রিলেশেন করে দেন, তাহলে তো আমাদের উদ্যোক্তাদের মধ্যে অটোমেটিক শিক্ষিত শ্রেনী প্রবেশ করতো, নতুন নতুন আইডিয়া ক্রিয়েট হতো। বাংলাদেশে অনার্স পাশ করে লক্ষ লক্ষ পোলাপাইন ছুটতেছে বিসিএসের পেছনে, তারা চাকর হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশে অধিকাংশ ব্যবাসায়ী হলো স্বল্পশিক্ষিত, শিক্ষার অভাবে তাদের ক্রিয়েটিভিটি হচ্ছে না, যার কারণে তাকে শুনতে হচ্ছে নকলবাজ উপাধি। ক্রিয়েটিভিটির মাধ্যমে লাভবান না হওয়ায়, বাধ্য হয়ে লাভবান হতে আশ্রয় নিচ্ছে দুর্নীতির। অথচ সরকার এখন কারিগরী শিক্ষাকে যেভাবে মার্কেটের সাথে সংযুক্ত করতে চাচ্ছে, মানে শ্রমিক হওয়ার জন্য যে কার্যক্রমটা নিছে সেটা যদি অনার্স লেভেলের সাথে নিতো, তবে পুরো বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সেক্টরে অনেক ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা প্রবেশ করতো, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন করা সম্ভব ছিলো। কিন্তু সে ধরনের কোন উদ্যোগই নাই।
কিছুদিন আগে, রাষ্ট্রপতি বক্তব্য দিলো- পাবলিক ভার্সিটিতে সান্ধ্যকালিন কোর্স বন্ধ হওয়ার পক্ষে।
এরপরই ঘোষণা আসলো- পাবলিক ভার্সিটিতে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের। এটা আপনাকে মানতেই হবে, পাবলিক ভার্সিটিতে সান্ধ্যকালীন কোর্স চললে প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো ছাত্র হারাচ্ছিলো। অনেকে বলে, রাষ্ট্রপতির সন্তানরা নাকি প্রাইভেট ভার্সিটির মালিকানার সাথে সংযুক্ত এবং প্রাইভেটে ভার্সিটির স্বার্থ রক্ষা করতেই এই ঘোষনা। যদিও তার সত্যতা আমার জানা নাই। তবে কিছুদিন আগে আমি একটা বিষয় দেখলাম- আমরা বলি ভারতীয়রা বাংলাদেশের জব সেক্টর দখল করছে। এটা নিয়ে অনেকেই প্রতিবাদী। কিন্তু কোন অংশগুলোতে তারা বেশি আসছে ? বেশিরভাগ হলো কোম্পানির উপরের দিকে জবগুলো, যার স্যালারি অনেক উচ্চ। ঐ জবগুলোতে ভারতীয়দের হটিয়ে যদি বাংলাদেশীরা যদি দখল নিতে চায় তবে আমাদের প্রচুর পরিমাণে মানসম্পন্ন এমবিএ পাশ করা ছেলেপেলে লাগবে। কিন্তু সমস্যা হলো প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো থেকে অনেকে এমবিএ করে বের হলেও তা মানসম্পন্ন হচ্ছে না, আর পাবলিক ভার্সিটিরটা মানসম্পন্ন হলেও তার সিট কম। আর সেই সমস্যাটার সমাধান হচ্ছিলো এই সান্ধ্যকালিন কোর্স দিয়ে। অধিকাংশ সান্ধ্যকালীন কোর্স ছিলো এই এমবিএ কোর্স। কিন্তু পাবলিক ভার্সিটির ছেলেপেলের অতিরিক্ত ইগো নামক হিংসা আর ‘মাথা ব্যথ্যার উপশমে মাথা কেটে ফেলা’র নীতি আমাদের জাতিকে উঠতে দিচ্ছে না। কাকড়া যেভাবে গর্তে পড়লে একজন অন্যজনকে টেনে নিচে নামিয়ে দেয়, আমরা বাঙালীরাও সেভাবে অন্য ভাইকে নামিয়ে দিচ্ছি, আসলে আমরা ক্ষতি করছি পুরো জাতির, পেরে উঠছি না ভারতীয়দের সাথে।
আরে ভাই, ঐ টিচাররা নিয়মিত ক্লাস নেয় না, বুঝলাম। তাহলে এমন নিয়ম করেন, “যে শিক্ষকের দিনের বেলায় ক্লাস পারফর্মেন্স ভালো হবে তারাই সান্ধ্যকালীন কোর্সের ক্লাস পাবেন”। নিয়মটা একটু ঘুড়িয়ে নিলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সান্ধ্যাকালীন ক্লাস বন্ধ করতে পারলেও কি প্রাইভেট ভার্সিটির ক্লাস বন্ধ করতে পারবেন ? তা তো পারবেন না।
মূল কথা হলো-
আমাদের নলেজ বাড়াতে হবে, আবেগ নয়। নয়ত ধোকায় পড়তে হবে।
আবার আমাদের দেশপ্রেম বাড়াতে হবে, হিংসে নয়। নয়ত জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়তে হবে।
আমার মনে হয়, ঢাবির ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলের সিট না পাওয়া একটি কৃত্তিম সংকট
আমার মনে হয়, ঢাবির ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলের সিট না পাওয়া একটি কৃত্তিম সংকট
Image result for হারিকেন
আমার মনে হয়, ঢাবির ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলের সিট না পাওয়া একটি কৃত্তিম সংকট, এর সমাধান করা কোন ব্যাপারই না। তাদের গণরুমের রেখে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করাই হচ্ছে এই সংকট তৈরীর মূল উদ্দেশ্য। কারণ ছাত্ররা যদি ১ম বর্ষেই পৃথক সিট পেয়ে যায়, তবে তারা কখনই রাজনীতিতে আসবে না এবং রাজনৈতিকদলগুলো মাঠে মারা যাবে। তাই ইচ্ছা করেই এই কৃত্তিম সংকট জিয়িয়ে রাখা হয়।
একটু হিসেব কষলে বুঝতে পারবেন-
ধরুন, ঢাবিতে প্রতি বছর ৭ হাজার নতুন ছাত্র ভর্তি হয়।
এই ৭ হাজার ছাত্রকে বসবাস করতে যদি প্রত্যেককে গড়ে ১০০ স্কয়ার ফিটের একটা রুম করে দেয়া হয়
তবে তাদের মোট স্পেস লাগে ৭ লক্ষ স্কয়ার ফিট।
ভবনটি যদি ২০ তলা হয়, তবে লাগে ৩৫ হাজার স্কয়ার ফিট বা ৪৮ কাঠা।
অর্থাৎ চারপাশে যায়গা ছেড়ে যদি ৬০ কাঠা বা ৩ বিঘার উপর একটি ২০ তলা ভবন করা হয়,
তবে ১ জন ছাত্রকে গড়ে ১০০ স্কয়ার ফিটের একটা রুম দেয়া সম্ভব।
তবে প্রতি ৫ ফ্লোর পর পর যদি ১টি ফ্লোর রাখা হয়, তবে খাবার রুম, লাইব্রেরী, নামাজঘরসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য, তাহলে ভবনটি করতে হবে ২৪ তলা। এবং স্কয়ারফিট হিসেবে তার পরিমাণ দাড়াবে ৮ লক্ষ ৪০ হাজার স্কয়ার ফিট।
[যায়গা আরো বড় নিলে, বাড়ির উচ্চতা কমিয়ে আনা যাবে]
এবার আসুন ভবন তৈরীতে খরচ্।
যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি আছে, তাই আবাসন সংকট মোকাবেলায় তারা ছাত্রদের জন্য সেই জমি ব্যবহার করতেই পারে এবং এক্ষেত্রে ৩ বিঘা কোন জমিই না।
যেহেতু জমি ফ্রি পাওয়া যাচ্ছে, সেহেতু ৮ লক্ষ ৪০ হাজার স্কয়ার ফিটের একটা ভবন তৈরী করতে কত খরচ হবে, সেটা হিসেব করতে হবে।
বাংলাদেশে যারা রিয়েল স্টেট কোম্পানি আছে, তাদের হিসেবে মতেই প্রতি স্কয়ার ফিটে যদি আপনি সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা খরচ করেন, তবে যথেষ্ট (রিয়েল স্টেট কোম্পানিগুলো ব্যাংক থেকে সুদে লোন নেয়, ল্যান্ড ওনারদের ভাগ থাকে এতে খরচ বাড়ে)। তাহলে ৮ লক্ষ ৪০ হাজার স্কয়ার ফিটের আধুনিক ফিটিংসসহ ফ্ল্যাট বানাতে আপনার খরচ হবে ১৬৮ কোটি টাকা। টাকার অ্যামাউন্ট অনেক বেশি মনে হলেও এটা ১ বছরে লাগবে না, খুব তাড়াতাড়ি বানালেও ৫ বছর লাগবে। তাহলে প্রতি বছর লাগবে ৩৩ কোটি টাকা।
এবার আসুন, ঢাবির প্রতি বছরের বাজেট কত ?
ঢাবির এ বছরের বাজেট ছিলো ৮১০ কোটি টাকার।
তাহলে ৩৩ কোটি টাকা হচ্ছে ঢাবির মোট বাজেটের মাত্র ৪% টাকা।
তারমানে আপনি ঢাবিতে প্রতি বছর যে বাজেট পাশ করেন, তার মাত্র ৪% যদি মাত্র ৫ বছর খরচ করেন,
তবে ঢাবির সবচেয়ে যে বড় সমস্যা মানে আবাসন সংকট অর্থাৎ প্রথম বর্ষের ছাত্রদের সিট না পাওয়া এবং তাকে কেন্দ্র করে মারামারি-কাটাকাটি সব বন্ধ করে দেয়া সম্ভব। এটা হলে ১ম বর্ষের ছাত্ররা আরামসে ক্লাসের ১ম দিন থেকেই একা এক রুম নিয়ে থাকতে পারবে।
বাংলাদেশে কি খাবারে গরুর মাংশ ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ ?
বাংলাদেশে কি খাবারে গরুর মাংশ 
ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ ?

Related image
বাংলাদেশে কি খাবারে গরুর মাংশ ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ ?
গতকাল ফেসবুক মারফত একটি ঘটনা জানলাম। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায়। সেখানে ‘আল্লাহ দান বিরিয়ানী হাউজ’ নামক একটি দোকানে চিকেন খিচুরীর মধ্যে গরুর মাংশ মিশ্রিত পাওয়ায় ঐ মুসলিম দোকান মালিককে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর কাছে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।
কথা হলো-
১) কেউ যদি চিকেন বিরিয়ানীতে চিকেন দেয়ার পরও অতিরিক্ত গরুর মাংশ যোগ করে, তবে সেটা কি বাংলাদেশে আইনত অবৈধ ? ভারতে গরুর মাংশ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আইন আছে, কিন্তু বাংলাদেশে কিন্তু গরুর মাংশ ব্যবহার নিষেধ করে কোন আইন নেই। তাই কেউ যদি কোন খাবারের বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে অতিরিক্ত গরুর মাংশ বা তেলের বদলে গরুর চর্বি ব্যবহার করে তবে সেখানে আইনত কোন নিষেধ নেই।
২) দোকানের নাম ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানী হাউস’, স্বাভাবিকভাবে ঐ দোকানে ইসলাম ধর্মে বৈধ জিনিস ব্যবহার করা স্বাভাবিক, যদিও ঐ জিনিসটি অন্য ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। একজন হিন্দু কাস্টমার যদি সেই দোকানে খেতে যায়, তবে দোকানে ঢুকে তার বলা উচিত ছিলো, “আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী”। কারো চেহারা দেখে তো তার ধর্ম চেনা যায় না। কিন্তু হিন্দু ধর্মাবলম্বী যদি মুখে তার ধর্মের পরিচয় ঐ দোকানদারকে না জানান, তবে ঐ ‘আল্লাহদান বিরিয়ানী হাউসের মালিক যদি তার ধর্ম ও রাষ্ট্রের বৈধ কোন বিষয় তার খাবারে মিশ্রিত করে, তবে ঐ হিন্দু ধর্মাবলম্বী এটা নিয়ে চার্জ করতে পারেন কোন যুক্তিতে ?
৩) একটি প্রশ্ন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আবেগের তোড়ে করতে পারে, সেটা হলো- আপনাকে যদি শুকরের মাংশ খাওয়ানো হতে তবে আপনি কি করতেন ?
এর প্রথম উত্তর হচ্ছে- কোন উপজাতি ধর্মের উপাস্যের নামে যদি কোন দোকান থাকে, তবে ঐ দোকানে ঢুকে একজন মুসলমানের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে নিশ্চিত হওয়া সে তার ধর্মের অবৈধ কিছু (স্বাভাবিক বা অতিরিক্ত) ব্যবহার করেছে কি না। এজন্য প্রথমে দোকানদারকে জানানো, সে একজন মুসলমান। ফলে দোকানদার তার জন্য সতর্ক হবে।
দ্বিতীয় কথা হলো- বাংলাদেশে আইন মেনেই বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুকরের মাংশ বিক্রি বা চর্বি ব্যবহার করলে শাস্তি দেয়। কিনতু গরুর মাংশ ব্যবহার করলে আইনত শাস্তি দেয়ার বিধান বাংলাদেশে নেই। সুতরাং কেউ যদি অতিরিক্ত হিসেবে গরুর মাংশ ব্যবহার করে, তবে তাকে কোন যুক্তিতে আইনের আওতায় আনা যায় ?
৪) ধর্মীয় অনুভূতির কথা যদি বলেন, তবে অনেক কথা বলতে হবে। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে স্কুলের বাচ্চাদের প্রসাদ খাওয়াছিলো ইসকন। মুসলিমদের জন্য দেবতার নামে প্রসাদ খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, ঠিক যেভাবে হিন্দুদের জন্য গরু খাওয়া নিষিদ্ধ। কথা তাহলে আসতেই পারে, ইসকনীরা কি মুসলমানদের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছিলো ? যদি নাই চায়, তবে আল্লাহ’র দান বিরিয়ানী হাউসের মালিককে কেন হিন্দুর পা ধরে ক্ষমতা চাইতে হবে ?
কিছুদিন আগে বাংলাদেশে স্বরসতী পূজার জন্য সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, এসএসসি পরীক্ষা এবং একুশে বইমেলা পেছানো হলো। হিন্দুদের জন্য যদি গরুর মাংশ নিষেধ হয়, তবে মুসলমানদের জন্যও তো স্বরসতী নামক মূর্তিকে পূজা করা নিষিদ্ধ, স্বরসতীকে সম্মান করে পরীক্ষা, বইমেলা পেছানেf নিষিদ্ধ। তাহলে কেন ৯৫% মুসলিম জনগোষ্ঠীকে স্বরসতী মূর্তিকে সম্মান করতে বাধ্য করলেন ?
আপনারা যে মন্দিরগুলোতে সার্বজনিন শব্দটা লিখেন, এটাও তো ঠিক নয়। গরুর মাংশ যদি সার্বজনিন না হতে পারে, তবে মন্দির কিভাবে সার্বজনিন হয় ?? শুধু নিজের বেলায় অপরের থেকে উদারতা চাইবেন, কিন্তু অন্যের বেলায় ঠেলা দিবেন, এটা তো ঠিক না।
৫) ভাটারা থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর গোলাম ফারুক কোন আইনের ভিত্তিতে হিন্দু অভিযোগকারী হিমেল বিশ্বাসকে বলেছে, “হিমেল,তুমি যেমনভাবে ব্যবস্থা নিতে চাও, আমি তেমন ব্যবস্থাই নিব”। হিমেল দত্ত যেভাবে বলবে পুলিশ সেভাবে ব্যবস্থা নিবে এটা কোন আইনের কথা হলো ? এটা তো বাংলাদেশ, বিজেপি’র ভারত না, ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের কথাই আইন, বাংলাদেশে কিভাবে তাদের কথাই আইন হয়?
আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি,-
বাংলাদেশের মুসলমানরা উদার সেুক্যলার হয়ে নিজ ধর্মকে যখন ব্যক্তিগত করে ফেলছে, ঠিক তখনই হিন্দুরা তাদের ধর্মকে রাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দিয়ে পুরো দেশকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশে সাধারণভাবে গরুর মাংশ ব্যবহারের বিরুদ্ধে কোন আইন নেই, কিন্তু তারা ভারতের মত বাংলাদেশেও গরুর মাংশ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা তৈরীর চেষ্টা করছে, বসুন্ধরার ঘটনাই তার প্রমাণ। কারণ হিমেল বিশ্বাস নামক হিন্দু ছেলেটির যদি এতই ধর্মীয় অনুভূতি থাকে, তবে সে ‘আল্লাহর দান’ নামক রেস্টুরেন্টে ঢুকলো কেন ? স্পষ্টতঃ এই ঘটনা হিন্দুরা তাদের সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য থেকেই করেছে।হিন্দুদের এ ধরনের সংঘবদ্ধ উৎপাতের কারণে ইতিমধ্যে ঢাকা শহরের অনেক রেস্টুরেন্টে ‘নো বিফ সাইন’ ঝুলাতে বাধ্য হয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। ফলে অনেকের ইচ্ছা থাকলেও রেস্ট্রুরেন্টে গিয়ে গরুর মাংশ খেতে পারছে না।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশে সাধারণ জনতাকে এগিয়ে আসা উচিত। ভারতীয় গরুর মাংশের মৌলবাদ বাংলাদেশে জারির চেষ্টা এবং অর্থদণ্ড ও জেলের ভয় দেখিয়ে একজন মুসলমানকে হিন্দুর পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কখনই মেনে নেয়া যায় না।
হিমেল বিশ্বাসের পোস্ট- https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=1388952381287476&id=100005181822787, আর্কাইভ-http://archive.ph/KRX2d
একজন ইসলামী বক্তার ওয়াজ মাহফিলে নাকি ৮ লক্ষ লোক জমা করার টার্গেট।
একজন ইসলামী বক্তার ওয়াজ মাহফিলে 
নাকি ৮ লক্ষ লোক জমা করার টার্গেট।

Related image
খবরে দেখলাম-
একজন ইসলামী বক্তার ওয়াজ মাহফিলে নাকি ৮ লক্ষ লোক জমা করার টার্গেট।
তুরাগের ইজতেমার প্রথম পর্বে নাকি ২০ লক্ষ জমা হইছে।
একজন ইসলামী বক্তা বলতেছেন, তিনি যা বলেন তাই নাকি ভাইরাল হয়।
প্রত্যেকটা খুবই ভালো কথা।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হইলো- লক্ষ লক্ষ জমা হইলো, ওয়ায়েজদের মুখের কথা ভাইরাল হইলো, তাতে ইসলাম ও মুসলমানের কি উপকার হইলো ?
যারা যদি সত্যিই চায় মুসলমানদের উপকার করতে, তবে যেন বর্তমান সময়ে তিনটি চলমান ইস্যু নিয়ে ওয়াজ করে-
১) উন্নয়নের নামে গণহারে মসজিদ-কবরস্থান ভাঙ্গা হচ্ছে, কিন্তু মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে না।
২) স্কুলে মেয়েদের ওড়না পড়তে বাধা দিচ্ছে ।
৩) পূজার জন্য পরীক্ষা পেছানো হয়েছে,, কিন্তু রোজায় পরীক্ষা ফেলানো হচ্ছে।
কোয়ানটিটি নয় কোয়ালিটি চাই।
কার ওয়াজে ১০ লক্ষ লোক জমা হইছে, কার সমাবেশে ২০ লক্ষ লোক জমা হইছে, এটা দিয়ে ওয়ায়েজদের স্ট্যান্ডার্ড মাপা হবে না,
বরং কার ওয়াজে ইসলামবিদ্বেষী ইস্যু নিয়ে আলোচনার কারণে সরকার প্রশাসন বা অন্য কেউ তাদের ইসলামী বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসছে, এটা দিয়ে আপনার স্ট্যান্ডার্ড মাপা হবে।
তাই যারা ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করতেছেন বা ওয়াজ করেন, তাদের প্রতি আহবান-
আপনারা প্রত্যেকেই এই ইস্যুগুলো নিয়ে ওয়াজ করে ৮-১০-২০ লক্ষ মানুষের কাছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ইসুগুলো ছড়িয়ে দিন এবং তাদের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন, মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলুন, তাহলেই প্রকৃতঅর্থে কাজের কাজ হবে।
টাঙ্গাইলে রাস্তা সোজা করতে ভাঙ্গা দরকার ছিলো শ্মশানঘাট-মন্দির, কিন্তু ভেঙ্গে ফেলা হলো কবরস্থান
টাঙ্গাইলে রাস্তা সোজা করতে ভাঙ্গা 
দরকার ছিলো শ্মশানঘাট-মন্দির, কিন্তু ভেঙ্গে ফেলা হলো কবরস্থান
Related image
টাঙ্গাইলে রাস্তা সোজা করতে ভাঙ্গা দরকার ছিলো শ্মশানঘাট-মন্দির, কিন্তু ভেঙ্গে ফেলা হলো কবরস্থান
গত কয়েকদিন আগে একজন পাঠক আমাকে ইনবক্স করে জানালেন, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে জামুর্কী নামক এলাকায় এক ঘটনা ঘটেছে। রাস্তার একপাশে আছে মুসলমানদের কবরস্থান, অন্যপাশে হিন্দুদের শ্মশানঘাট ও মন্দির। বর্তমান সরকার সেখানে উন্নয়নের নামে রাস্তা ফোরলেন করছে। কিন্তু রাস্তাটি সোজা করতে প্রকৃতপক্ষে ভাঙ্গা দরকার ছিলো শশ্মানঘাট ও মন্দিরটি। কিন্তু তিনি জানালেন আশ্চর্যজনকভাবে একপাশের মন্দির ও শশ্মানঘাট না ভেঙ্গে অন্যপাশের কবরস্থান ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
আমি প্রাথমিক অবস্থায় পাঠকের কথাটি বুঝতে পারছিলাম না, কিন্তু পরে গুগল স্ট্রিট ভিউতে ২০১৫-১৬ সালের ছবি (লিঙ্ক- https://bit.ly/2RdoWpB) দেখে আমার চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগার। রাস্তার বাক সোজা করতে আসলেই ভাঙ্গা দরকার ছিলো মন্দির ও শশ্মানঘাটকে, কিন্তু সেটা না করে উল্টো পাশের মুসলমানদের কবরস্থানকে ভেঙ্গে ফেলার পক্ষে কোন যুক্তিই দাড় করানো যায় না।
যারা প্রায়শই উন্নয়নের নামে মসজিদ ভাঙ্গাকে সাপোর্ট করেন, তারাই হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক এই উন্নয়নের পক্ষে কি বলবেন?
শুনেছি, পাশ্ববর্তী ভারতে গণহারে মসজিদ ভাঙ্গার উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি সরকার, অখণ্ড ভারতের অংশ হিসেবে সেই কাজ বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে কি না, সেটাই ভাববার বিষয়।
আমি অনেক আগে থেকেই একটা কথা বলে আসছি,
আমি অনেক আগে থেকেই একটা কথা বলে আসছি,
Related image
আমি অনেক আগে থেকেই একটা কথা বলে আসছি,
মুসলমানদের জন্য এমন একটা কঠিন সময় এসেছে এবং আসছে,
যেখানে মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য বা একাত্ব তৈরী হওয়া খুব জরুরী।
মুসলমান যদি নিজের মধ্যে ঐক্য না থাকতে পারে, তবে পুরো মুসলিম জাতিকে বড় ধরনের ধ্বংস দেখতে থাকতেই হবে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মুসলমানরা খুব খারাপ কিছু দেখার অপেক্ষায় আছে। এখন অমুসলিম শত্রুর আগ্রাসন এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মত বড় সমস্যা নিকটবর্তী, কিন্তু সে সম্পর্কে বাংলাদেশের মুসলমানরা খুবই বেখবর, তারা ব্যস্ত নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি নিয়ে।
আমি দেখেছি, ২০১৫-২০১৭ সাল পর্যন্ত স্যোশাল মিডিয়ায় মুসলমানদের মধ্যে একটা ভালো ঐক্য ছিলো এবং সব মুসলমান এক হয়ে মুসলিমবিরোধী সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করার জন্য এক জোট ছিলো। কিন্তু আশ্চর্য কোন কারণ বশতঃ ২০১৭ সাল থেকে দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যায় এবং মুসলমান-মুসলমান দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে ধারণ করে। আমি বলবো- এটা কোন মুসলমান কমিউনিটির জন্য লাভ-ক্ষতি কি তা আমি জানি না, কিন্তু মুসলমানদের শত্রুদের জন্য চরম লাভজনক একটা বিষয়।
অতি সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা আমি উল্লেখ করবো, যেমন-
তাবলীগ জামাতের মধ্যে দুইটি গ্রুপ হয়েছে। ভালো কথা। তারা আলাদা আলাদা ইজতেমা করে। অতি সম্প্রতি তাদের যে দুই পর্বের ইজতেমা শেষ হয়েছে, সেখানে ফেসবুকে তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে, তা খুব ন্যাক্কারজনক। তারা তো আলাদা সমাবেশ করছে, শুধু শুধু একজন অন্যজনের সাথে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছে মুসলিম শত্রুদের হাতে অস্ত্র না তুলে দিলেই কি নয় ?
এরপর ইরানের জেনারেল কাশেম সুলাইমানির হত্যা প্রসঙ্গ দেখুন- সেখানে শুরু হয়েছে শিয়া-ুসুন্নী দ্বন্দ্ব। আমি আমার স্ট্যাটাসে একটা কথা বলেছিলাম- এই প্রসঙ্গ নিয়ে আমাদের আপাতত আলোচনা করারই দরকার নাই। কারণ আমার জানা মতে, বাংলাদেশে শিয়া মতাবলম্বী বলতে গেলে নাই, বা খুব কম সংখ্যক, প্রায় সবাই সুন্নী। কিন্তু কাশেম সুলাইমানিকে নিয়ে আলোচনা করলে বাংলাদেশে সুন্নী-সুন্নী দুইভাগ হয়ে যাচ্ছে, এর কোন দরকারই নাই।
এরপর অতি সম্প্রতি শুরু হয়েছে ওয়াজ মাহফিল নিয়ে দ্বন্দ্ব।
মুসলমান-মুসলমান কঠিন দ্বন্দ্ব।
ওয়াজ মাহফিল নিয়ে আমার কিছু কথা আছে।
প্রথমতঃ যারা ওয়াজ করেন, তাদের উচিত হবে মুসলিম-মুসলিম ভাতৃত্ব তৈরী হবে এমন বিষয় নিয়ে ওয়াজ করা এবং মুসলিম-মুসলিম দ্বন্দ্ব/বিতর্ক তৈরী হবে, এমন বিষয় নিয়ে ওয়াজ না করা বা এড়িয়ে যাওয়া।
দ্বিতীয়তঃ যারা ওয়াজ শুনেন বা আয়োজন করেন তাদের একটা বড় দায়িত্ব আছে।
ক) যারা ওয়াজ শুনে তারা বেশিরভাগ এন্টারটেইন বা বিনোদনের জন্য ওয়াজ শুনে, এজন্য দুইপক্ষ লেগে গেলে সেটা তারা উপভোগ করে। এ ধরনের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। ওয়াজ শুনতে হবে জ্ঞান বৃদ্ধি বা ধর্মীয় কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য।
খ) আপনারা যারা ওয়ায়েজদের দাওয়াত দিবেন, তাদের শর্ত দিবেন- মুসলিম মুসলিম ভাতৃত্ব কিভাবে বৃদ্ধি পায় সেই ওয়াজ যেন করেন, মুসলমানরা কিভাবে অমুসলিম শত্রুদের রুখবে সেই ওয়াজ যেন করে। এমন কোন ওয়াজ করবেন না, যা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরী হয় বা বিতর্কর্ সৃষ্টি করে।
গ) মানুষ মাত্র ভুল করতে পারে, ওয়ায়েজরাও ভুল করতে পারে, এটা খুব স্বাভাবিক, এখানে অস্বাভাবিকতার কিছুই নেই। তবে আপনি ঐ ওয়ায়েজকে ভালোবাসতে পারেন, কিন্তু ভুলেও তার ভুলের পক্ষে সাফাই গাইবেন না। বরং তাকে ভালোবেসে ভাই হিসেবেই বলবেন-সে যেন বিষয়টি শুধরে নেয়। আপনি অন্ধ ভক্ত না হয়ে, শুরুতেই যখন ভাই হিসেবে তাকে শুধরাতে বললেন, তখন দেখা যাবে সে ভুলের আর পুনরাবৃত্তি করলো না। শুরুতেই যদি আপন ভাই হিসেবে তার ভুল/বিতর্কগুলো থামিয়ে দেয়া যায়, তখন সেটা নিয়ে অন্য মুসলমানদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরী হয় না, বরং এক পর্যায়ে সেটা মুসলমানদের ছাপিয়ে তাদের শত্রুদের হাতিয়ার হয়ে দাড়ায় না। মনে রাখবেন- কোন ওয়াজের আলোচনা ইউটিউবে কোটি কোটি মানুষ শুনলেই ইসলামের অনেক বড় উপকার হয়ে যাবে, বিষয়টি এমন না, কিন্তু কোন ওয়াজের কারণে যদি মুসলিম সমাজ দুইভাগ হয়ে যায়, তবে সেটা ইসলামের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ।
এখানে একটা বিষয় আপনাদের বলতে চাই-
মুসলমানরা নিজেদের মধ্যেই কত কত গ্রুপ তৈরী করেছে, অপরদিকে তাদের শত্রুরা নিজেদের মধ্যে তৈরী করেছে বহুমুখী কোয়ালিশন। মুসলমানদের শত্রুরা অন্য কমিউনিটিগুলোকেও নিজেদের দলের মধ্যে ভিড়িয়ে ফেলে। যেমন ধরুন, আমি আন্তর্জাতিক রাজনীতি শেখানোর সময় ডেমোক্র্যাটিক ব্লক বা রিপাবলিকান ব্লক টার্মগুলো আপনাদের শুনাই। ডেমোক্র্যাটিক ব্লক মানে তারা ওয়াল্ডওয়াইড একটা জাল তৈরী করেছে। এতে অনেক চিন্তাধারা ও ভাব আদর্শের লোকের সাথে তারা একাত্ব হয়েছে। যেমন ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের মধ্যে আছে- যারা পিওর মার্কিন নেটওয়ার্কের ডেমোক্র্যাট, কানাডার নেটওয়ার্কে লিবারেলরা, স্যোসালিস্টরা, জার্মানির নেটওয়ার্কের নাস্তিকরা, রুশব্লক থেকে বেড়িয়ে যাওয়া বামপন্থী, মর্ডান ইসলাম পছন্দকারীরা, পরিবেশবাদী, বিচারবিভাগীয় সদস্য, সংবাদিক, মিডিয়া সেলিব্রেটি, নারীবাদী, বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিবিদ এমন আরো বহু দেশে বহু কমিউনিটি তাদের নেওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। একইভাবে- রিপাবলিকান ব্লক মানে খ্রিস্টান ডান, ইহুদী ডান, বৌদ্ধ ডান, হিন্দু ডান এমন আরো বহু দেশের বহু ব্যবসায়ী বা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এই ব্লকের সংযুক্ত আছে। এই যে তাদের নেটওয়ার্ক ওয়াল্ডওয়াইড এত বড় আর এত বহুমুখী তাদের সাথে মুসলমান জন্য পারা খুব কঠিন, কারণ মুসলমানরা ছোট কমিউনিটি এক হয়ে থাকতে পারে না, এত বহুমুখী কমিউনিটির বিপক্ষে দাড়াবে কিভাবে? ফলে খুব সহজেই এদের কাছে মুসলমানদের পরাজিত হতে হয়।
তবে কঠিন হলেও মুসলমানদের জন্য অসম্ভব আমি তা বলছি না, অবশ্যই তাদের সাথে পারা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য প্রথম প্রয়োজন মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য। আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি- মুসলমানদের মধ্যে যারা তরুণ প্রজন্ম আছে, তাদেরকে ব্যতিক্রমী মানসিকতার হতে হবে। তাদের পুরাতন কালচার ভেঙ্গে নতুনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে, যাদের কারণে দ্বন্দ্ব/বিতর্ক তৈরী হয়, তাদের শুরুতেই শুধরে দেয়া। ওয়ায়েজদের বলা, আপনারা মুসলিম ভাতৃত্ব এবং মুসলিমদের শত্রুদের সম্পর্কে আলোচনা করেন, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা বিতর্ক তৈরী হয় এমন বিষয়গুলে এড়িয়ে যান, কষ্ট হলেও এড়িয়ে যান, আপাতত মুসলিম জাতির বর্তমান কঠিন অবস্থার কথা চিন্তা করে হলেও এড়িয়ে যান। এক্ষেত্রে খুব দ্রুত উদ্যোগ নেয়া জরুরী, নয়ত মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে শতমুখী বিভেদ তৈরী হয়ে খুব খারাপ সময় অপেক্ষা করছে।