খবরে দেখলাম-
একজন ইসলামী বক্তার ওয়াজ মাহফিলে নাকি ৮ লক্ষ লোক জমা করার টার্গেট।
তুরাগের ইজতেমার প্রথম পর্বে নাকি ২০ লক্ষ জমা হইছে।
একজন ইসলামী বক্তা বলতেছেন, তিনি যা বলেন তাই নাকি ভাইরাল হয়।
প্রত্যেকটা খুবই ভালো কথা।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হইলো- লক্ষ লক্ষ জমা হইলো, ওয়ায়েজদের মুখের কথা ভাইরাল হইলো, তাতে ইসলাম ও মুসলমানের কি উপকার হইলো ?
যারা যদি সত্যিই চায় মুসলমানদের উপকার করতে, তবে যেন বর্তমান সময়ে তিনটি চলমান ইস্যু নিয়ে ওয়াজ করে-
১) উন্নয়নের নামে গণহারে মসজিদ-কবরস্থান ভাঙ্গা হচ্ছে, কিন্তু মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে না।
২) স্কুলে মেয়েদের ওড়না পড়তে বাধা দিচ্ছে ।
৩) পূজার জন্য পরীক্ষা পেছানো হয়েছে,, কিন্তু রোজায় পরীক্ষা ফেলানো হচ্ছে।
কোয়ানটিটি নয় কোয়ালিটি চাই।
কার ওয়াজে ১০ লক্ষ লোক জমা হইছে, কার সমাবেশে ২০ লক্ষ লোক জমা হইছে, এটা দিয়ে ওয়ায়েজদের স্ট্যান্ডার্ড মাপা হবে না,
বরং কার ওয়াজে ইসলামবিদ্বেষী ইস্যু নিয়ে আলোচনার কারণে সরকার প্রশাসন বা অন্য কেউ তাদের ইসলামী বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসছে, এটা দিয়ে আপনার স্ট্যান্ডার্ড মাপা হবে।
তাই যারা ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করতেছেন বা ওয়াজ করেন, তাদের প্রতি আহবান-
আপনারা প্রত্যেকেই এই ইস্যুগুলো নিয়ে ওয়াজ করে ৮-১০-২০ লক্ষ মানুষের কাছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ইসুগুলো ছড়িয়ে দিন এবং তাদের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন, মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলুন, তাহলেই প্রকৃতঅর্থে কাজের কাজ হবে।