শেখ হাসিনা এটা কি বললো ?
গত শনিবার ঢামেক বার্ন ইউনিটে চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে আহতদের পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছে, নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনার পরে রাসায়নিকের গোডাউন সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কেরানীগঞ্জে তাঁদের জন্য জায়গাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাতে রাজি হয়নি। একে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে হাসিনা। (https://bit.ly/2SUpLWR)
কথা হলো, সত্যিই কি ২০১০ সালে নিমতলীর ঘটনার পর সরকার কোন কার্যকরী ও বাস্তবমূখী পদক্ষেপ নিয়েছিলো ?
কখনই নয়। নিমতলীর ঘটনার পর কেরানীগঞ্জে কেমিকেলপল্লী নির্মাণের কথা বললেও সেটার পরিকল্পনা (ডিপিপি) করতে বিসিক সময় নেয় ৫ বছর। ৫ বছর পর ২০১৫ তে আজগুবি পরিকল্পনায় তারা ৭ তলা ভবনের ১৭টি স্ট্র্যাকচার করার কথা বলে, যার ব্যয় ধরা হয় ১৪১৮ কোটি টাকা। বলা হয় কেমিকেল ব্যবাসায়ীরা এই খরচ বহন করবে। কিন্তু ২০১৬ সালে ব্যবসায়ীরা এই পরিকল্পনার বিস্তারিত জেনে তার প্রতিবাদ করে এবং বলে, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ভুল হয়েছে। ৭ তলা গোডাউন বানালে দুর্ঘটনার সম্ভবনা আরো বেড়ে যাবে। আর এত উচ্চমূল্যের প্রজেক্টের খরচ তারা বহন করতে পারবে না। ফলে এই ব্যয়বহুল ও ফালতু পরিকল্পনাটি বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০১৭ সালে সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যেখানে ৩০০টি প্লট বরাদ্দের কথা বলা হয় এবং এর খরচ ২০৩ কোটি টাকা। এই পরিকল্পনাটি প্রক্রিয়াধীন আছে। (https://bit.ly/2Nq2yWB)
কখনই নয়। নিমতলীর ঘটনার পর কেরানীগঞ্জে কেমিকেলপল্লী নির্মাণের কথা বললেও সেটার পরিকল্পনা (ডিপিপি) করতে বিসিক সময় নেয় ৫ বছর। ৫ বছর পর ২০১৫ তে আজগুবি পরিকল্পনায় তারা ৭ তলা ভবনের ১৭টি স্ট্র্যাকচার করার কথা বলে, যার ব্যয় ধরা হয় ১৪১৮ কোটি টাকা। বলা হয় কেমিকেল ব্যবাসায়ীরা এই খরচ বহন করবে। কিন্তু ২০১৬ সালে ব্যবসায়ীরা এই পরিকল্পনার বিস্তারিত জেনে তার প্রতিবাদ করে এবং বলে, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ভুল হয়েছে। ৭ তলা গোডাউন বানালে দুর্ঘটনার সম্ভবনা আরো বেড়ে যাবে। আর এত উচ্চমূল্যের প্রজেক্টের খরচ তারা বহন করতে পারবে না। ফলে এই ব্যয়বহুল ও ফালতু পরিকল্পনাটি বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০১৭ সালে সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যেখানে ৩০০টি প্লট বরাদ্দের কথা বলা হয় এবং এর খরচ ২০৩ কোটি টাকা। এই পরিকল্পনাটি প্রক্রিয়াধীন আছে। (https://bit.ly/2Nq2yWB)
উল্লেখ্য, কেমিকেল পল্লী বানাতে ব্যবসায়ীদের পকেটের টাকা দিতে হবে। তাই তারা হিসেব করবে, এই ঠিক। তাই অযাচিত ও ভুল প্রজেক্টের জন্য তারা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করতে কখন রাজি হবে না এবং এটা বাস্তব সম্মত নয়। অথচ এই ভুল পরিকল্পনার পেছনে ব্যয় হয়ে গেছে ৭ বছর এবং এই ভুল পরিকল্পনায় ব্যবসায়ীরা না করেছে। কিন্তু এটার জন্য শেখ হাসিনা কি ব্যবসায়ীদের দায়ী করতে পারেন ? নাকি সরকারী সংস্থা “বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন, বিসিক’কে দায়ী করবে ? “খুব ভালো হয়েছে! তখন ঐ প্রজেক্ট নিলি না কেন ? এবার বুঝ ঠ্যালা”- এই ধরনের ইনটেনশন তো দেশের প্রধানমন্ত্রী দেখাতে পারেন না। তাছাড়া ২০১৭ সালে মাত্র ৩০০টি প্লট বরাদ্দের কথা বললেও ২ বছরে সেখানে কতটুকু সুযোগ সুবিধা গড়ে তুলেছে সরকার ? কোন সুযোগ সুবিধা না গড়ে তুলে যদি চকবাজারের স্যাবোটেজকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের ফাকা মাঠে সরাতে জোর করা হয়, তবে তো বুঝতে হবে সরকার নিজেই চাইছে পুরান ঢাকায় দীর্ঘদিন ধরে গড়ে এই বাজার নষ্ট হয়ে যাক। ঠিক যেভাবে ট্যানারিওয়ালাদের জোর করে সাভার সরিয়ে দিয়ে চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিয়েছে সরকার।
অগ্নিকাণ্ডের উৎস কি ?
অগ্নিকাণ্ডের উৎস নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। কেউ বলছে কেমিকেল থেকে, কেউ বলছে সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ। যেটাই হোক, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে দাহ্য পদার্থ (flammable) আর বিস্ফোরক পদার্থ (explosive) কিন্তু আলাদা। আগুনের গতি বাড়াতে দাহ্য পদার্থ (flammable) কাজ করতে পারে। কিন্তু শুরুতে কিন্তু একটা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যা সিসিটিভি ফুটেছে যা দৃশ্যমান হয়েছে। এই শুরুর বিস্ফোরক(explosion)টা কে ঘটালো? দাহ্য পদার্থ এমনি এমনি বিষ্ফোরণ ঘটাতে পারে না। এই রহস্য আগে পরিস্কার হওয়া দরকার। উল্লেখ্য, সাধারণভাবে কেমিকেল হিসেবে যা প্রচার চলছে, সেগুলো সর্বোচ্চ দাহ্য পদার্থ। তবে সেগুলো যদি উচ্চচাপে সিলিন্ডারের মধ্যে সংরক্ষণ করা হয় তবে সেগুলোও কিন্তু এক্সপ্লোসিভ হয়ে যায় (পারফিউমের বোতলও এক ধরনের ছোট সিলিন্ডার বলা চলে। সেক্ষেত্রেও বড় উচ্চচাপের সিলিন্ডার বা অবস্থা থেকে ছোট ছোট সিলিন্ডারে সংরক্ষণ করা হয়, অর্থাৎ দোষ সেই সিলিন্ডারের, দাহ্য কেমিকেলের নয়)। আমার ধারণা সাধারণ মানুষ বা মিডিয়া দাহ্য পদার্থ আর বিষ্ফোরক পর্দার্থ এক করে ফেলছে। শুরুটা বিষ্ফোরক কিছু থেকে হয়েছে, অথচ দাহ্য পদার্থের বিরুদ্ধে যত কথা হচ্ছে, বিষ্ফোরক নিয়ে কেউ বলছে না। শুরুর বিষ্ফোরণটা কে ঘটালো সেই রহস্য আগে বের করা দরকার।
আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, কয়েকদিন আগে পুরান ঢাকায় হয়ে গেলো সাকরাইন উৎসব। মিডিয়া বিষয়টি খুব হাইলাইট করেছে, ফলে আগামীবার আরো বড় আকারে সেটা ধারণ করতে পারে তাতে সন্দেহ নাই। এই সাকরাইন উৎসবে আতশবাজি জ্বালানো হয়। এগুলো সাধারণত ভারত থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে এই আতশবাজির ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে সরকার কোন উন্নয়নের খবর প্রচার করলেই কোটি কোটি টাকার আতশবাজি পোড়ায়। এছাড়া সাইকরাইনের দিনও প্রচুর আতশবাজি লাগছে। এই অবস্থায় পুরান ঢাকায় কেউ আতশবাজির কারখানা নির্মাণ করতেই পারে। এই আতশবাজিতে ব্যবহৃত পর্দাথ কিন্তু বিষ্ফোরক। সাকরাইনকে মিডিয়ায় অত্যধিক হাইলাইট যে পুরান ঢাকায় আতশবাজির কারখানার জন্মদিতে পারে, এটা কিন্তু কেউ বলেনি।
অগ্নিকাণ্ডের উৎস নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। কেউ বলছে কেমিকেল থেকে, কেউ বলছে সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ। যেটাই হোক, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে দাহ্য পদার্থ (flammable) আর বিস্ফোরক পদার্থ (explosive) কিন্তু আলাদা। আগুনের গতি বাড়াতে দাহ্য পদার্থ (flammable) কাজ করতে পারে। কিন্তু শুরুতে কিন্তু একটা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যা সিসিটিভি ফুটেছে যা দৃশ্যমান হয়েছে। এই শুরুর বিস্ফোরক(explosion)টা কে ঘটালো? দাহ্য পদার্থ এমনি এমনি বিষ্ফোরণ ঘটাতে পারে না। এই রহস্য আগে পরিস্কার হওয়া দরকার। উল্লেখ্য, সাধারণভাবে কেমিকেল হিসেবে যা প্রচার চলছে, সেগুলো সর্বোচ্চ দাহ্য পদার্থ। তবে সেগুলো যদি উচ্চচাপে সিলিন্ডারের মধ্যে সংরক্ষণ করা হয় তবে সেগুলোও কিন্তু এক্সপ্লোসিভ হয়ে যায় (পারফিউমের বোতলও এক ধরনের ছোট সিলিন্ডার বলা চলে। সেক্ষেত্রেও বড় উচ্চচাপের সিলিন্ডার বা অবস্থা থেকে ছোট ছোট সিলিন্ডারে সংরক্ষণ করা হয়, অর্থাৎ দোষ সেই সিলিন্ডারের, দাহ্য কেমিকেলের নয়)। আমার ধারণা সাধারণ মানুষ বা মিডিয়া দাহ্য পদার্থ আর বিষ্ফোরক পর্দার্থ এক করে ফেলছে। শুরুটা বিষ্ফোরক কিছু থেকে হয়েছে, অথচ দাহ্য পদার্থের বিরুদ্ধে যত কথা হচ্ছে, বিষ্ফোরক নিয়ে কেউ বলছে না। শুরুর বিষ্ফোরণটা কে ঘটালো সেই রহস্য আগে বের করা দরকার।
আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, কয়েকদিন আগে পুরান ঢাকায় হয়ে গেলো সাকরাইন উৎসব। মিডিয়া বিষয়টি খুব হাইলাইট করেছে, ফলে আগামীবার আরো বড় আকারে সেটা ধারণ করতে পারে তাতে সন্দেহ নাই। এই সাকরাইন উৎসবে আতশবাজি জ্বালানো হয়। এগুলো সাধারণত ভারত থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে এই আতশবাজির ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে সরকার কোন উন্নয়নের খবর প্রচার করলেই কোটি কোটি টাকার আতশবাজি পোড়ায়। এছাড়া সাইকরাইনের দিনও প্রচুর আতশবাজি লাগছে। এই অবস্থায় পুরান ঢাকায় কেউ আতশবাজির কারখানা নির্মাণ করতেই পারে। এই আতশবাজিতে ব্যবহৃত পর্দাথ কিন্তু বিষ্ফোরক। সাকরাইনকে মিডিয়ায় অত্যধিক হাইলাইট যে পুরান ঢাকায় আতশবাজির কারখানার জন্মদিতে পারে, এটা কিন্তু কেউ বলেনি।
পুরান ঢাকা কি বাণিজ্যিক এলাকা নাকি আবাসিক এলাকা ?
অনেকে বলছে, আবাসিক এলাকায় এত এত কেমিকেল কেন ? আমার প্রশ্ন হলো, পুরান ঢাকা কি আবাসিক এলাকা নাকি বানিজ্যিক এলাকা ?
আমরা জানি, ঢাকার গোড়া পত্তন হয়েছিলো, বুড়িগঙ্গার তীরে, যার সীমানা ছিলো ঢাবির দোয়েল চত্বরের পাশে ঢাকা গেট পর্যন্ত। শুরুতে সবাই সেই ঢাকায় বসবাস করতো আবার ব্যবসা বাণিজ্য করতো। কিন্তু ধিরে ধিরে পুরান ঢাকা একচেটিয়া বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে থাকে, আর আবাসনের জন্য নতুন ঢাকাকে সবাই বেছে নেয়। পুরান ঢাকা এখন বাসাবাড়িগুলো গোডাউন আর কারখানায় রুপান্তর হয়েছে। তবে অনেক বাসিন্দা থাকেন, কিন্তু সেটাও তাদের বিশেষ প্রয়োজনে। কিন্তু বেসিক্যালী পুরান ঢাকা বানিজ্যিক এলাকাই। তাই এখন যদি কেউ বলে, পুরান ঢাকা আবাসিক এলাকা হিসেবে বাণিজ্য সরে যাবে, নাকি বানিজ্যিক এলাকা হিসেবে আবাসন সরে যাবে, এই প্রশ্ন করলে বলতে হবে দ্বিতীয়টিই বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।
অনেকে বলছে, আবাসিক এলাকায় এত এত কেমিকেল কেন ? আমার প্রশ্ন হলো, পুরান ঢাকা কি আবাসিক এলাকা নাকি বানিজ্যিক এলাকা ?
আমরা জানি, ঢাকার গোড়া পত্তন হয়েছিলো, বুড়িগঙ্গার তীরে, যার সীমানা ছিলো ঢাবির দোয়েল চত্বরের পাশে ঢাকা গেট পর্যন্ত। শুরুতে সবাই সেই ঢাকায় বসবাস করতো আবার ব্যবসা বাণিজ্য করতো। কিন্তু ধিরে ধিরে পুরান ঢাকা একচেটিয়া বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে থাকে, আর আবাসনের জন্য নতুন ঢাকাকে সবাই বেছে নেয়। পুরান ঢাকা এখন বাসাবাড়িগুলো গোডাউন আর কারখানায় রুপান্তর হয়েছে। তবে অনেক বাসিন্দা থাকেন, কিন্তু সেটাও তাদের বিশেষ প্রয়োজনে। কিন্তু বেসিক্যালী পুরান ঢাকা বানিজ্যিক এলাকাই। তাই এখন যদি কেউ বলে, পুরান ঢাকা আবাসিক এলাকা হিসেবে বাণিজ্য সরে যাবে, নাকি বানিজ্যিক এলাকা হিসেবে আবাসন সরে যাবে, এই প্রশ্ন করলে বলতে হবে দ্বিতীয়টিই বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।
কেমিকেল নাকি কাচামাল ?
মিডিয়াতে যাকে কেমিকেল বলে একচেটিয়া প্রচার করা হচ্ছে, সেটা আসলে কোন কোন প্রডাক্টের কাচামাল। দুই তিনটি কাচামাল এক করে নতুন পণ্য তৈরী হচ্ছে, যাকে আমরা অর্থনীতির ভাষায় বলছি উৎপাদন বা প্রডাকশন। তাই আপনি যদি কেমিকেলের বিরুদ্ধে বলেন, তারমানে বুঝতে হবে আপনি কাচামালের বিরোধীতা করতেছেন এবং সেই বিরোধীতাটা পৌছে যাচ্ছে প্রডাকশন বা উৎপাদনের উপর। আর আপনি উৎপাদন বন্ধ করলেই সেই স্থানটি দখল করবে বিদেশ থেকে আগত তৈরী প্রডাক্ট। অর্থাৎ দেশী উৎপাদন বন্ধ করো বিদেশী প্রডাক্ট গ্রহণ করো।
মিডিয়াতে যাকে কেমিকেল বলে একচেটিয়া প্রচার করা হচ্ছে, সেটা আসলে কোন কোন প্রডাক্টের কাচামাল। দুই তিনটি কাচামাল এক করে নতুন পণ্য তৈরী হচ্ছে, যাকে আমরা অর্থনীতির ভাষায় বলছি উৎপাদন বা প্রডাকশন। তাই আপনি যদি কেমিকেলের বিরুদ্ধে বলেন, তারমানে বুঝতে হবে আপনি কাচামালের বিরোধীতা করতেছেন এবং সেই বিরোধীতাটা পৌছে যাচ্ছে প্রডাকশন বা উৎপাদনের উপর। আর আপনি উৎপাদন বন্ধ করলেই সেই স্থানটি দখল করবে বিদেশ থেকে আগত তৈরী প্রডাক্ট। অর্থাৎ দেশী উৎপাদন বন্ধ করো বিদেশী প্রডাক্ট গ্রহণ করো।
পর্যটন আর হেরিটেজ, দুই দুইয়ে চার
আগের পোস্টে আমি বলেছিলাম, সরকার বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে একটি অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র করতে চায়, যার নাম “বুড়িগঙ্গা রিভার ডেভলপমেন্ট এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট মেগা প্রজেক্ট” (এ সম্পর্কে দুটো আর্টিকেল আছে, পড়তে পারেন: https://bit.ly/2NlB707, https://bit.ly/2TcfJzG) কিন্তু পুরান ঢাকার এই প্রডাকশন বা উৎপাদন কারখানা থাকলে তাদের ভাষায় কথিত দূষণের কারণে তা সম্ভব হবে না। ফলে উক্ত প্রজেক্টে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করাও সম্ভব না। তাই এই প্রডাকশন বা উৎপাদন বন্ধ করতেই চক বাজারের আগুন এবং অতঃপর কেমিকেল নাম দিয়ে কাচামালের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া হলো কি না তা যাচাই করা উচিত। তবে এক্ষত্রে আপনাদের আরেকটা তথ্য জানিয়ে রাখি, ২০০৯ সালে সরকার পুরান ঢাকার একটা বিরাট অংশকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ঘোষণার কারণে ঐ এলাকাগুলো কিন্তু আর পাবলিকের সম্পত্তি থাকলো না, সরকারের সম্পত্তি হয়ে গেলো। এ সম্পর্কে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, “রাজউকের নেতৃত্বে নগর উন্নয়ন কমিটি নামের একটি কমিটি পুরান ঢাকার অধিকাংশ অঞ্চলকে ২০০৯ সালে হেরিটেজ ঘোষণা করে। যার অর্থ ওইসব অঞ্চল ও সেখানকার অবকাঠামো, খোলা জায়গা সব কিছুর ব্যক্তি মালিকানা থাকলেও তা রাষ্ট্রিয় সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। সরকারের নির্ধারিত সংস্থার অনুমতি ছাড়া সেখানে কোনো কিছুই করা সম্ভব না। তাই যদি হয় তাহলে এখানে কীভাবে রাসায়নিকের কারখানা থাকে, কীভাবে রাসায়নিকের গোডাউন গড়ে ওঠে ?” (https://bit.ly/2Nq6qXJ) তারমানে বুড়িগঙ্গীর তীর গড়ে ওঠা পুরান ঢাকায় হেরিজেট আর পর্যটন কেন্দ্র দুই দুইয়ে চার হিসেবে, যার ফলাফল পুরান ঢাকা থেকে ব্যবসা, বাণিজ্য আর প্রডাকশন বন্ধ, সবাই পুরান ঢাকা এখন থেকে “খুশির ঠেলায় ঘোরতে” বের হওয়ার যায়গা।
আগের পোস্টে আমি বলেছিলাম, সরকার বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে একটি অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র করতে চায়, যার নাম “বুড়িগঙ্গা রিভার ডেভলপমেন্ট এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট মেগা প্রজেক্ট” (এ সম্পর্কে দুটো আর্টিকেল আছে, পড়তে পারেন: https://bit.ly/2NlB707, https://bit.ly/2TcfJzG) কিন্তু পুরান ঢাকার এই প্রডাকশন বা উৎপাদন কারখানা থাকলে তাদের ভাষায় কথিত দূষণের কারণে তা সম্ভব হবে না। ফলে উক্ত প্রজেক্টে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করাও সম্ভব না। তাই এই প্রডাকশন বা উৎপাদন বন্ধ করতেই চক বাজারের আগুন এবং অতঃপর কেমিকেল নাম দিয়ে কাচামালের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া হলো কি না তা যাচাই করা উচিত। তবে এক্ষত্রে আপনাদের আরেকটা তথ্য জানিয়ে রাখি, ২০০৯ সালে সরকার পুরান ঢাকার একটা বিরাট অংশকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ঘোষণার কারণে ঐ এলাকাগুলো কিন্তু আর পাবলিকের সম্পত্তি থাকলো না, সরকারের সম্পত্তি হয়ে গেলো। এ সম্পর্কে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, “রাজউকের নেতৃত্বে নগর উন্নয়ন কমিটি নামের একটি কমিটি পুরান ঢাকার অধিকাংশ অঞ্চলকে ২০০৯ সালে হেরিটেজ ঘোষণা করে। যার অর্থ ওইসব অঞ্চল ও সেখানকার অবকাঠামো, খোলা জায়গা সব কিছুর ব্যক্তি মালিকানা থাকলেও তা রাষ্ট্রিয় সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। সরকারের নির্ধারিত সংস্থার অনুমতি ছাড়া সেখানে কোনো কিছুই করা সম্ভব না। তাই যদি হয় তাহলে এখানে কীভাবে রাসায়নিকের কারখানা থাকে, কীভাবে রাসায়নিকের গোডাউন গড়ে ওঠে ?” (https://bit.ly/2Nq6qXJ) তারমানে বুড়িগঙ্গীর তীর গড়ে ওঠা পুরান ঢাকায় হেরিজেট আর পর্যটন কেন্দ্র দুই দুইয়ে চার হিসেবে, যার ফলাফল পুরান ঢাকা থেকে ব্যবসা, বাণিজ্য আর প্রডাকশন বন্ধ, সবাই পুরান ঢাকা এখন থেকে “খুশির ঠেলায় ঘোরতে” বের হওয়ার যায়গা।
সাংবাদিকদের দেশবিরোধী অবস্থান ও জনগণের করণীয়:
একটু আগে দেখলাম, সময় টিভির ক্যামেরা বিভিন্ন কারাখানায় ঘুড়ে ঘুড়ে অযাচিত মিথ্যা সংবাদ করছে। মনে হচ্ছে সেখানে কারখানা স্থাপন করে বিরাট নিষিদ্ধ কোন কাজ করে ফেলেছে (https://bit.ly/2GGJx1r)। কালেরকন্ঠ নিউজ করেছে, “কেমিকেল দেখলেই ৯৫৫৬০১৪ নম্বরে কল” (https://bit.ly/2NoB7fO)। মিডিয়াগুলো স্পষ্ট দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাই পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী ভাইদের বলবো,
ক) আপনাদের আশেপাশে কোন সাংবাদিক দেখলেই গণপিটুনী দিয়ে তাদের এলাকা ছাড়া করুন।
খ) এই বিরাট ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য সবাই এক হয়ে সংবাদ সম্মেলন করুন, আপনাদের ক্ষয়ক্ষতি হিসেব এবং ষড়যন্ত্রের বিষয়টি প্রকাশ করুন। এছাড়া আপনাদের মোট কত ব্যবসায়ী আছে তার সঠিক হিসেব প্রকাশ করুন এবং তাদের গোডাউন লাগলে কত বড় এলাকা লাগতে পারে এবং কি কি সুবিধা লাগতে পারে সেটার হিসেব প্রকাশ করুন।
গ) পাশাপাশি ভালো অ্যাডভোকেট ধরে বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা নিন বা রিট করুণ।
একটু আগে দেখলাম, সময় টিভির ক্যামেরা বিভিন্ন কারাখানায় ঘুড়ে ঘুড়ে অযাচিত মিথ্যা সংবাদ করছে। মনে হচ্ছে সেখানে কারখানা স্থাপন করে বিরাট নিষিদ্ধ কোন কাজ করে ফেলেছে (https://bit.ly/2GGJx1r)। কালেরকন্ঠ নিউজ করেছে, “কেমিকেল দেখলেই ৯৫৫৬০১৪ নম্বরে কল” (https://bit.ly/2NoB7fO)। মিডিয়াগুলো স্পষ্ট দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাই পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী ভাইদের বলবো,
ক) আপনাদের আশেপাশে কোন সাংবাদিক দেখলেই গণপিটুনী দিয়ে তাদের এলাকা ছাড়া করুন।
খ) এই বিরাট ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য সবাই এক হয়ে সংবাদ সম্মেলন করুন, আপনাদের ক্ষয়ক্ষতি হিসেব এবং ষড়যন্ত্রের বিষয়টি প্রকাশ করুন। এছাড়া আপনাদের মোট কত ব্যবসায়ী আছে তার সঠিক হিসেব প্রকাশ করুন এবং তাদের গোডাউন লাগলে কত বড় এলাকা লাগতে পারে এবং কি কি সুবিধা লাগতে পারে সেটার হিসেব প্রকাশ করুন।
গ) পাশাপাশি ভালো অ্যাডভোকেট ধরে বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা নিন বা রিট করুণ।
লেখার শেষে আবার বলবো, শেখ হাসিনা যে কেমিকেল পল্লীর কথা বলে সমস্ত গোডাউন সরাতে বলেছে, পারলে সেই কেমিকেল পল্লীর একটা ছবি প্রকাশ করুক। আমি নিশ্চিত সেটা ফাকা মাঠ ছাড়া কিছু নয়। ফাকা মাঠের নাম কেমিকেল পল্লী দিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্মের অভিজ্ঞতায় গড়ে ওঠা পুরান ঢাকার এই ব্যবসায়ীক এলাকার উচ্ছেদ এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে পথের ফকির বানিয়ে দেয়া কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।