ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে আগারগাওয়ে মসজিদ ভাঙ্গতে চিঠি
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে আগারগাওয়ের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের সামনে একটি ওয়াকফকৃত মসজিদ অপসারণের জন্য সভার আহবান করা হয়েছে। মসজিদটির নাম মসজিদুল আবেদীন জামে মসজিদ। আগামী সোমবার, ২৭শে জানুয়ারী গুলশান-২ এর নগরভবন অফিসের লেভেল-৮ এ এই সভার আহবান করা হয়। সভায় মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডাকা হয়েছে।
জানা যায়, মসজিদটির প্রায় ৫৬ বছরের পুরাতন, জয়নাল আবেদীন নামক এক মুসল্লী মসজিদটির যায়গা ওয়াকফ করে। সম্প্রতি সরকার উন্নয়নের নামে দেশজুড়ে যে মসজিদ ভাঙ্গার যজ্ঞ হাতে নিয়েছে, এটি তারই অংশবিশেষ। তবে মসজিদ ও মুসলমানদের কবরস্থান ভাঙ্গলেও সরকার এখন পর্যন্ত হিন্দু বা খ্রিস্টানদের কোন ধর্মীয় স্থাপনায় হাত দেয়নি, প্রয়োজনে রাস্তা ঘুড়িয়ে নিয়ে গেছে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী কামাল স্মরণী সড়ক নির্মাণের সময় অপ্রয়োজনীয়ভাবে ৫টি মসজিদ ও ১টি মাদ্রাসা ভাঙ্গে সরকার। এগুলো হলো- মিজান জামে মসজিদ (পশ্চিম আগারগাও), কেন্দ্রীয় বায়তুল মামুন জামে মসজিদ (মধ্য পীরের বাগ), মসজিদ-এ বায়তুল আমান (৩৪ উত্তর পীরের বাগ), বায়তুল মামুর জামে মসজিদ (পশ্চিম মনিপুর, মিরপুর), হয়রত আবু বকর সিদ্দিক এতিমখানা ও মাদ্রাসা এবং মসজিদুন নূর জামে মসজিদ (কচুক্ষেত, পুরাতন বাজার)। তবে কামাল স্মরণী রাস্তা নির্মাণের সময় ৫টি মসজিদ ও ১টি মাদ্রাসা ভাঙ্গতে পারলেও ভাঙ্গতে পারেনি ১টি গির্জা। মিরপুর-২ এর ২২/১৯ বড়বাগ ঠিকানার ‘নাজারেথ নভিসিয়েট ও এসএল লুইজেন সিস্টারস নামক একটি গির্জাকে ভাঙ্গতে না পারায় কামাল সরনী রাস্তাটি সরাসরি শিশু হাসপাতালের রাস্তার সাথে সরাসরি সংযুক্ত হতে পারেনি, ৩ রাস্তার মোড় করে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে গির্জা রক্ষা করতে গিয়ে রাস্তার মূল উদ্দেশ্যই নষ্ট হয়ে গেছে।
এখন উত্তর সিটি কর্পোরেশনবাসী একটা অনুরোধ করবো-
মেয়র আতিকুল আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসলে আপনারা তাকে জিজ্ঞেস করবেন-
“তুমি আবার মেয়র হইলে মোট কয়টা মসজিদ ভাঙ্গবা তার হিসেব এখনই আমাদের দিয়ে যাও।”