আসছে রমজান মাসে এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করুন

আসছে রমজান মাসে এইচএসসি 
পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করুন
Image result for হারিকেন
আসছে রমজান মাসে এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করুন
বাংলাদেশে এইচএসসি পরীক্ষা একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষা ফেলানো হয়েছে মুসলমানদের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ মাস রমজানে। রমজান মাসের সম্ভাব্য তারিখ ২৩শে এপ্রিল থেকে ২৩শে মে, ২০২০। অপরদিকে এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন ফেলানো হয়েছে ১লা এপ্রিল থেকে ১৩ই মে,২০২০ ।
সাধারণ ক্লাস বা কর্মের সাথে পরীক্ষার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। স্বাভাবিক সময় যে পরিশ্রম করতে হয় পরীক্ষার সময় ছাত্র ও পরীক্ষা নেয়া শিক্ষকদের কয়েকগুন বেশি পরিশ্রম করতে হয়। রমজান মাস আসলে মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশে সরকারী চাকুরীর সময়সূচিও সংক্ষিপ্ত করা হয়, অথচ ঐ একই সময় পরীক্ষার নাম করে তুলনামূলক অধিক পরিশ্রম ছাত্র ও শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য মে’ মাসের দিকে বাংলাদেশে প্রচণ্ড গরম থাকার সম্ভবনা আছে। গরমের মধ্যে রোজা রাখা এমনিতেই কষ্ট, এর মধ্যে তুলনামূলক অধিক পরিশ্রমের পরীক্ষা চাপিয়ে দেয়া সত্যিই অমানবিক।
আর তাছাড়া, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিককে তার ধর্ম পালন করতে দেয়া তার মৌলিক অধিকার। কিন্তু রোজা ও গরমকালে তার উপর শিক্ষক ও ছাত্রদের উপর পরীক্ষা চাপিয়ে দিলে একটা বড় অংশ রোজা রাখাতে সমর্থ হবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে
১) সরস্বতী পূজা থাকায় হিন্দুদের আন্দোলনের কারণে অনার্স ২য় বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২) পূজার কারণে ২৯ সেপ্টেম্বর (মূল ছুটি ৩০ তারিখ) বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড এর পরীক্ষা স্থগিত হয়।
৩) পূজার কারণে ২৯ সেপ্টেম্বর (মূল ছুটি ৩০ তারিখ) চট্টগ্রাম বন্দরের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
৪) পূজার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৭ কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৩% হিন্দুর ধর্মীয় অধিকার পালন করতে সকল দাবী দাওয়া পূরণ করতে সরকার সচেষ্ট থাকে, কিভাবে করে হিন্দুদের কথিত বিদ্যারদেবীকে মুসলমানরা সম্মান করবে, পারলে সেই সুযোগও করে দেয়, অথচ ৯৫% মুসলমান হওয়ার পরেও মুসলমান শিক্ষক-ছাত্রদের জোর করে ইসলাম ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ সময় পরীক্ষা চাপিয়ে দেয়া হয়, মুসলমানদের ধর্মীয় কাজে বাধা দেয়ার নামান্তর, যা সত্যিই আশ্চর্যজনক।