ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও সরকারের অবস্থান
গতকাল ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন নিয়ে দৈনিক কালেরকণ্ঠ ও আমাদের সময়ের খবর ছিলো:
“জামালপুরে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে এক শিশুর মৃত্যু, ৫ শতাধিক অসুস্থ”
খবরের ভেতরে জানা যায়, শিশু মৃত্যু ও গণহারে শিশু অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য ভেতরে যাবার চেষ্টা করলে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে বাধা দেন। (https://bit.ly/2td6sc1, https://bit.ly/2SHgIaW)
“জামালপুরে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে এক শিশুর মৃত্যু, ৫ শতাধিক অসুস্থ”
খবরের ভেতরে জানা যায়, শিশু মৃত্যু ও গণহারে শিশু অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য ভেতরে যাবার চেষ্টা করলে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে বাধা দেন। (https://bit.ly/2td6sc1, https://bit.ly/2SHgIaW)
ফেসবুক সূত্রে পাওয়া, শিশু মৃত্যুর পর স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা সেটাকে গুজব বলে প্রচার করতে থাকে,, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। তবে দুঃখজনক হচ্ছে, আওয়ামীলী নেতারা মূল বিষয়টি না জেনেই স্ট্যাটাস দেয়। যার কারণে ‘ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়ে গুজব’ না লিখে তারা লিখে “পোলিও টিকা নিয়ে গুজব” শিরোনামে স্ট্যাটাস দিতে থাকে।
ক) https://bit.ly/2GhHzo5
খ) https://bit.ly/2Ds189c
ক) https://bit.ly/2GhHzo5
খ) https://bit.ly/2Ds189c
তবে জামালপুরের ষরিসাবাড়িতে অনেক শিশুর যে বমি পায়খানা হইছে সেটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির নিউজে জানা গেছে: https://bit.ly/2SHi7hI
পাশাপাশি বিভিন্ন ফেসবুক পেইজের কমেন্টে সারা দেশজুড়ে শিশু অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়-
(১) হাসান মাহমুদ নামক একজন জানিয়েছে, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার পর তার ছেলের জ্বর হয়।
(২) শাহানা সীমা নামক একজন জানিয়েছে, ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর তার সন্তানের দুইবার বমি হয়েছে।
(৩) শিশির ভেজা সকাল নামক একটি আইডি থেকে একজন কমেন্ট করেছেন, তারও মেয়ে ক্যাপসুল খাওয়ার পর বমি করেছে।
(৪) ইহসান নামক একজন কমেন্ট করেছেন, তার সন্তান খাওয়ার পর বমি করেছে। তাকে কি আবার খেতে হবে ?
(৫) বাবুল মিয়া নামক একজন কমেন্ট করেছেন, বিষয়টি গুজব নয়, তার ছেলে অসুস্থ
(৬) মিজানুর রহমান সিনহা নামক একজন কমেন্ট করেছেন, গতবার এ ক্যাপসুল খাওয়ার পর তার এক ভাতিজা অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল নেয়ার পর মারা যায়।
(৭) ফরহাদ নামক একজন কমেন্ট করেছেন, তার এক ভাতিজার খাওয়ার পর বার বার পাতলা পায়খানা হচ্ছে।
(৮) দৈনিক প্রথম আলোর কমেন্টে সেলিম আহমেদ নামক একজন কমেন্ট করেছেন, কয়েক বছর এই ক্যাপসুল খেয়ে তার ছোট ভাই মারা যায়।
(২) শাহানা সীমা নামক একজন জানিয়েছে, ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর তার সন্তানের দুইবার বমি হয়েছে।
(৩) শিশির ভেজা সকাল নামক একটি আইডি থেকে একজন কমেন্ট করেছেন, তারও মেয়ে ক্যাপসুল খাওয়ার পর বমি করেছে।
(৪) ইহসান নামক একজন কমেন্ট করেছেন, তার সন্তান খাওয়ার পর বমি করেছে। তাকে কি আবার খেতে হবে ?
(৫) বাবুল মিয়া নামক একজন কমেন্ট করেছেন, বিষয়টি গুজব নয়, তার ছেলে অসুস্থ
(৬) মিজানুর রহমান সিনহা নামক একজন কমেন্ট করেছেন, গতবার এ ক্যাপসুল খাওয়ার পর তার এক ভাতিজা অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল নেয়ার পর মারা যায়।
(৭) ফরহাদ নামক একজন কমেন্ট করেছেন, তার এক ভাতিজার খাওয়ার পর বার বার পাতলা পায়খানা হচ্ছে।
(৮) দৈনিক প্রথম আলোর কমেন্টে সেলিম আহমেদ নামক একজন কমেন্ট করেছেন, কয়েক বছর এই ক্যাপসুল খেয়ে তার ছোট ভাই মারা যায়।
এ ধরনের যদি আরো তথ্য আপনাকের কাছে থাকে তবে তা কমেন্টে করার অনুরোধ রইলো।
আসলে কি কারণে এমন হয় ?
অনেকেই বলেছে ভারতীয় ওষুধ, তাই এমন হয়েছে।
কেউ বলেছে, ওষুধের মান ভালো ছিলো না দেখে এমন হয়েছে।
অনেকেই বলেছে ভারতীয় ওষুধ, তাই এমন হয়েছে।
কেউ বলেছে, ওষুধের মান ভালো ছিলো না দেখে এমন হয়েছে।
আপনারা যতই এগুলো বলেন, সরকার বললে, “তারা ভারত থেকে ওষধ আনেনি, এনেছে দেশীয় কোম্পানি থেকে। আপনার যতই বলেন- ঔষধের মান ভালো না, সরকার বলবে- ঠিক আছে পরের বার আরো ভালো ওষধ দিবো।”
কিন্তু এসবে কোন সমাধান হবে না। কারণ সমস্যাটা অন্য যায়গায়।
আমি কিছুদিন আগে এক স্ট্যাটাসে (https://bit.ly/2BqPhbu) বলেছিলাম,
মূল সমস্যা হলো আন্তর্জাতিক ইহুদীবাদীরা বাংলাদেশকে থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি ট্যাগ লাগিয়ে সব শিশুকে গণহারে ওভার ডোজ এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে, যদিও ৫% শিশুও ভিটামিন এ অভাবে আছে কি না সন্দেহ, কিন্তু গণহারে ৯৫% শিশু, যাদের শরীরে ভিটামিন পর্যাপ্ত আছে, তাদেরও ওভারডোজ দেয়া হচ্ছে, এবং সেটাই শরীরে বিষক্রিয়া তৈরী করে। বমি, জ্বর, পায়খানা বা মৃত্যু প্রত্যেকটি বাইরে দৃশমান, কিন্তু শিশুর শরীরে অভ্যন্তরে কত ধরনের ক্ষয় হচ্ছে সেটা কিন্তু বাবা-মা দেখতে পাচ্ছে না। আর মূল কথা হলো, বাংলাদেশকে থার্ডওয়াল্ড কান্ট্রি ট্যাগ লাগিয়ে সব শিশুকে ওভারডোজ ওষধ খাওয়ানো তো বিজ্ঞানসম্মত চিন্তা নয়, যার কারণে ইউরোপ-আমেরিকানরা আমাদেরকে খাইতে বললেও নিজেরা কখন খায় না।
মূল সমস্যা হলো আন্তর্জাতিক ইহুদীবাদীরা বাংলাদেশকে থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি ট্যাগ লাগিয়ে সব শিশুকে গণহারে ওভার ডোজ এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে, যদিও ৫% শিশুও ভিটামিন এ অভাবে আছে কি না সন্দেহ, কিন্তু গণহারে ৯৫% শিশু, যাদের শরীরে ভিটামিন পর্যাপ্ত আছে, তাদেরও ওভারডোজ দেয়া হচ্ছে, এবং সেটাই শরীরে বিষক্রিয়া তৈরী করে। বমি, জ্বর, পায়খানা বা মৃত্যু প্রত্যেকটি বাইরে দৃশমান, কিন্তু শিশুর শরীরে অভ্যন্তরে কত ধরনের ক্ষয় হচ্ছে সেটা কিন্তু বাবা-মা দেখতে পাচ্ছে না। আর মূল কথা হলো, বাংলাদেশকে থার্ডওয়াল্ড কান্ট্রি ট্যাগ লাগিয়ে সব শিশুকে ওভারডোজ ওষধ খাওয়ানো তো বিজ্ঞানসম্মত চিন্তা নয়, যার কারণে ইউরোপ-আমেরিকানরা আমাদেরকে খাইতে বললেও নিজেরা কখন খায় না।
বাংলাদেশ সরকার কেন এমন করে ?
ভিটামিন এ ক্যাপসুলের নাম যে ক্যাপসুলটি খাওয়ানো হচ্ছে এই ক্যাপসুলটির দাম সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ টাকা। এই টাকা দিয়ে ওষধ কিনে খাওয়ার সামর্থ সব পরিবারেই আছে। কিন্তু এটি সরকারী উদ্যোগের জোর করে খাওয়ানোর উদ্দেশ্য ভিন্ন। মূলত সারা বিশ্বে ইহুদীবাদীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রন বজায় রাখতে এবং দীর্ঘস্থায়ী করতে জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরী করে। বর্তমানে এই মাস্টারপ্ল্যানের নাম- টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)। আগে এর নাম ছিলো মিলিনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার ১৭টি পয়েন্ট আছে, আছে অর্ধশত উপপয়েন্ট। এই পয়েন্টগুলো যদি বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় তবে ইহুদীবাদীদের ক্ষমতা বজায় থাকবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। এই প্ল্যানের ৩ নম্বর পয়েন্টের শর্ত মোতাবেক থার্ডওয়াল্ড কান্টিগুলোতে বাচ্চাদের গণহারে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে, এসডিজি শ্লোগান-“বাদ যাবে না একটি শিশু”।
বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাবানদের যার যার অবস্থান অনুসারে এই পয়েন্টগুলোর প্রতি আনুগত্যতা দেখাতে হয়, যদি কেউ আনুগত্যতা না দেখায়, তবে তাদেরকে বিদেশী ঋণ দেয়া হয় না, বা তাদের ক্ষমতা ধরে টানাটানি করা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাস্টারপ্ল্যানের প্রতি অনুগত্যতা প্রদর্শণ করে সই করেছে (https://bit.ly/2SIYvJW )। এ কারণেই তাদের প্রেসক্রিপশন মাফিক (থার্ডওয়ার্ল্ড কান্টি হিসেবে) শিশুদের মুখে তুলে দিচ্ছে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের ওভারডোজ। যদি এ বিষয়টি শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন না করে, তবে তার ক্ষমতাই থাকবে না। শুধু ক্যাপসুল খাওয়ানো নয়, জিএমও ফুড, গোল্ডেন রাইস, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা, নাস্তিকতা বা ধর্মনিরপেক্ষতা প্রমোট, ধর্মীয় পর্দা বন্ধ করা, সমকামীতা সব এই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি নামক প্ল্যানেরই বাস্তবায়ন। (টেকসই উন্নয়ন লক্ষামাত্রা নিয়ে আমার কিছু লেখা: https://bit.ly/2GxEUG9, https://bit.ly/2SE6VlT, https://bit.ly/2RTTN7M)
শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব বিশেষ করে কথিত থার্ডওয়ার্ল্ড কান্টিতে সরকার প্রধানরা তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের উপর ইহুদীবাদীদের বিভিন্ন কূট-কাজ চাপিয়ে দেয়। অনেক দেশের জনগণ এখন এগুলো বুঝতেছে এবং অনেকেই বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের মানুষ এখনও আওয়ামীলীগ-বিএনপির মধ্যে আটকে আছে, তারা ওপরের শত্রু সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারছে না, ফলে প্রতিবাদও করতে পারছে না। বরং একই গর্তে বার বার পা দিচ্ছে। তাই যত দ্রুত জনগণ সম্রাজ্যবাদীদের কার্যক্রমগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, ততই দেশ ও জনগণের জন্য উপকার।