সৌদি আরবের সাথে সেনাচূক্তি, বাংলাদেশের লাভক্ষতির হিসেব-নিকেষ
আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ ও সৌদি সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি চূক্তি সম্পাদিত হতে যাচ্ছে। এ চূক্তি হলে ইয়েমেন সীমান্তে বাংলাদেশের ১৮০০ সেনা যাবে, যুদ্ধকবলিত এলাকায় মাইন তুলতে। (https://bit.ly/2Bw6LmQ )
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ৩৪টি মুসলিম দেশের জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার সময় বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছিলো, “'মক্কা মদিনা আক্রান্ত হলে সৌদি আরবে সৈন্য পাঠাবে বাংলাদেশ”।
(https://bbc.in/2titONp)
মক্কা-মদীনায় কোন কিছু হলে সৈন্য পাঠাতে আমি দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নতুন এ চূক্তির মাধ্যমে মাইন তোলার নাম করে বাংলাদেশে এখন সৌদি-ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্ত হঠাৎ করে কেন এই সিদ্ধান্ত ? এতে কি বাংলাদেশ লাভবান হবে নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেসব নিয়ে আলোচনা করতে আমার এ পোস্ট।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ৩৪টি মুসলিম দেশের জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার সময় বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছিলো, “'মক্কা মদিনা আক্রান্ত হলে সৌদি আরবে সৈন্য পাঠাবে বাংলাদেশ”।
(https://bbc.in/2titONp)
মক্কা-মদীনায় কোন কিছু হলে সৈন্য পাঠাতে আমি দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নতুন এ চূক্তির মাধ্যমে মাইন তোলার নাম করে বাংলাদেশে এখন সৌদি-ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্ত হঠাৎ করে কেন এই সিদ্ধান্ত ? এতে কি বাংলাদেশ লাভবান হবে নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেসব নিয়ে আলোচনা করতে আমার এ পোস্ট।
এক্ষেত্রে সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া নির্বাচন নিয়ে একটু আলোচনা করার দরকার আছে। এবার নির্বাচনের আগে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে লবিং করতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে পাল্টা আওয়ামীলীগকে দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লবিগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে। বিশেষ করে, নির্বাচনের ঠিক আড়াই মাস পূর্বে শেখ হাসিনা সৌদি আরব যায় এবং বাদশাহ সালমানের ছেলে বিন সালমানের সাথে দেখা করে (https://bit.ly/2Eu2dkP)। আর বিন সালমানের রয়েছে ট্র্যাম্প জামাতা জারেড কুশনারের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক। এবং এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, বিন সালমানের লবি অন্যান্য লবি থেকে অধিক শক্তিশালী লবি হবে।
নির্বাচনের আগ মুহুর্তে শেখ হাসিনার সাথে বিন সালমানের সাক্ষাৎ আমাকে ভাবিয়েছিলো, এবার নির্বাচনে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের মার্কিন নেটওয়ার্ক ঠিক মত কাজ করবে তো ?
সেটাই কিন্তু প্রমাণ হয়, নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আমেরিকান নেটওয়ার্ক ঠিকমত কাজ করে নাই, যার সুযোগ আওয়ামীলীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে দেয়। এ কারণে অনেকে এবারের নির্বাচনকে আওয়ামীলীগের চাওয়ার থেকে বেশি পাওয়া বলে মনে করেন, কেউ কেউ “নকল করে পরীক্ষা দিতে গিয়ে জিপিএ-৬” বলে বর্ণনা করেছে।
সেটাই কিন্তু প্রমাণ হয়, নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আমেরিকান নেটওয়ার্ক ঠিকমত কাজ করে নাই, যার সুযোগ আওয়ামীলীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে দেয়। এ কারণে অনেকে এবারের নির্বাচনকে আওয়ামীলীগের চাওয়ার থেকে বেশি পাওয়া বলে মনে করেন, কেউ কেউ “নকল করে পরীক্ষা দিতে গিয়ে জিপিএ-৬” বলে বর্ণনা করেছে।
যদি সত্যিই আওয়ামীলীগ মার্কিন লবি ধরতে সৌদি আরবকে ব্যবহার করে, তবে স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন আসে, নির্বাচনে জয়লাভ করলে আওয়ামীলীগ সৌদি আরবকে কি প্রতিদান দেবে ?
তবে কি আওয়ামীলীগের নির্বাচনে জয়লাভ করতে সহায়তা করার প্রতিদান হিসেবে সৌদির সাথে সামরিক চূক্তি বা ইয়েমেনে সৌদির পক্ষে সেনা পাঠাচ্ছে আওয়ামীলীগ ??
তবে কি আওয়ামীলীগের নির্বাচনে জয়লাভ করতে সহায়তা করার প্রতিদান হিসেবে সৌদির সাথে সামরিক চূক্তি বা ইয়েমেনে সৌদির পক্ষে সেনা পাঠাচ্ছে আওয়ামীলীগ ??
ইয়েমেন যুদ্ধে কে কে লড়ছে ? -
ইয়েমেন যুদ্ধ একটা জটিল সমীকরণ বিরাজ করছে। এত জটিল হিসেব দিতে অনেক সময় লাগবে। তবুও আন্তর্জাতিক রাজনীতির দৃষ্টিকোন থেকে যদি তাকাই তবে ৩টি পক্ষকে পাওয়া যায়-
(১) সৌদি আরব ও আরব আমিরাত- একপক্ষ
(২) ইরান –দ্বিতীয় পক্ষ
(৩) কাতার, সুদান ও তুরস্ক – মধ্যপক্ষ
(১) সৌদি আরব ও আরব আমিরাত- একপক্ষ
(২) ইরান –দ্বিতীয় পক্ষ
(৩) কাতার, সুদান ও তুরস্ক – মধ্যপক্ষ
ইমেয়েন যুদ্ধ থেকে কাতার অবরোধ ঃ
ইয়েমেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কাতার অবরোধের সূচনা। কাতারের সাথে অনেক পূর্ব থেকে ইয়েমেনের হুতিদের ভালো সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু হুতি ও সালেহদের মধ্যে ঐক্য হলে কাতারের সাথে হুতিদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। কিন্তু সালেহের হত্যার পর সেই ঐক্য নষ্ট হয়। তখন কাতার হুতিদের সাথে ফের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করার চেষ্টা করে। এই ঘটনাটি ঘটলে রক্তক্ষয়ী ইয়েমেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটতে পারতো। কিন্তু হুতির সাথে কাতারের সম্পর্ক সৌদি-আরব আমিরাতের স্বার্থে বিঘ্ন ঘটায়। তাই সৌদি-আরব আমিরাত এর কঠোর বিরোধীতা করতে থাকে, একপর্যায়ে তারা কাতারের বিরুদ্ধে আবরোধ আরোপ করে। কিন্তু তুরষ্ক কাতারের পাশে এসে দাড়ালে, সৌদি-আমিরাত অবরোধ আরোপ করে সফল হতে পারেনি। যেহেতু ইয়েমেন যুদ্ধের সাথে কাতার-অবরোধ ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাই বাংলাদেশ যদি সৌদি-আমিরাতের পক্ষ নেয়, তবে আলটিমেটলি বাংলাদেশের অবস্থান হবে কাতার-তুরষ্কের বিপক্ষে।
ইয়েমেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কাতার অবরোধের সূচনা। কাতারের সাথে অনেক পূর্ব থেকে ইয়েমেনের হুতিদের ভালো সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু হুতি ও সালেহদের মধ্যে ঐক্য হলে কাতারের সাথে হুতিদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। কিন্তু সালেহের হত্যার পর সেই ঐক্য নষ্ট হয়। তখন কাতার হুতিদের সাথে ফের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করার চেষ্টা করে। এই ঘটনাটি ঘটলে রক্তক্ষয়ী ইয়েমেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটতে পারতো। কিন্তু হুতির সাথে কাতারের সম্পর্ক সৌদি-আরব আমিরাতের স্বার্থে বিঘ্ন ঘটায়। তাই সৌদি-আরব আমিরাত এর কঠোর বিরোধীতা করতে থাকে, একপর্যায়ে তারা কাতারের বিরুদ্ধে আবরোধ আরোপ করে। কিন্তু তুরষ্ক কাতারের পাশে এসে দাড়ালে, সৌদি-আমিরাত অবরোধ আরোপ করে সফল হতে পারেনি। যেহেতু ইয়েমেন যুদ্ধের সাথে কাতার-অবরোধ ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাই বাংলাদেশ যদি সৌদি-আমিরাতের পক্ষ নেয়, তবে আলটিমেটলি বাংলাদেশের অবস্থান হবে কাতার-তুরষ্কের বিপক্ষে।
সৌদির সাথে সামরিক চূক্তি করলে লাভ-ক্ষতি কি হবে ?
ক) এমনিতেই ইয়েমেন যুদ্ধ লেজে গোবরে অবস্থায় পৌছে গেছে। কয়েকদিন আগে মরোক্কোও সৌদি-আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে। এ অবস্থায় সৌদি-আরব আমিরাতের পক্ষ নিয়ে ইয়েমেন ইস্যুতে যাওয়া মানে ইচ্ছাকৃত পচা শামুকে পা কাটতে যাওয়া।
খ) ইয়েমেন যুদ্ধ সৌদি-আরব আমিরাত-কাতার-তুরষ্কের মধ্যে অভ্যন্তরীণ জটিল রাজনীতি, ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তিত হচ্ছে। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ যদি প্রবেশ করে তবে সবকিছুকে সামাল দেয়ার ক্ষমতা কি আওয়ামী সরকারের আছে ?
গ)ইয়েমেন ইস্যুতে বাংলাদেশ জড়িয়ে গেলে কিছু সময় পরে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় পক্ষ-বিপক্ষ তৈরী হবে। যদি সৌদি-আরব আমিরাতের পক্ষে যায় তবে কাতার-তুরষ্ক-সুদানের বিরুদ্ধে যাবে। আর মাঠে নেমে সরে গেলে সৌদি-আরব আমিরাতের সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে। এটা আমাকে-আপনাকে মানতেই হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্স। এই যে আমরা যেচে গিয়ে এই জটিল সমীকরণের মধ্যে ঢুকছি, এর ফলাফল আলটিমেটলি আমাদের ১ কোটি শ্রমিকের জীবিকা দিয়ে খেসারত দিতে হয় কি না, সেটা নিয়ে আগাম চিন্তা করার দরকার আছে।
ঘ) বাংলাদেশ এতদিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতি (ভারত-চীন) মধ্যে অধিকমাত্রায় আবর্তিত হয়েছে, যা অবশ্যই বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য বড় বাধা। এরমধ্যে অযথাই যদি নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনীতির (সৌদি-কাতার-ইরান) মধ্যে অনুপ্রবেশ করে, তবে তা বাংলাদেশকে আরো পিছন থেকে আটকে ধরবে, যা দেশকে আরো পিছিয়ে দেবে, এতে কোন সন্দেহ নাই।
ক) এমনিতেই ইয়েমেন যুদ্ধ লেজে গোবরে অবস্থায় পৌছে গেছে। কয়েকদিন আগে মরোক্কোও সৌদি-আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে। এ অবস্থায় সৌদি-আরব আমিরাতের পক্ষ নিয়ে ইয়েমেন ইস্যুতে যাওয়া মানে ইচ্ছাকৃত পচা শামুকে পা কাটতে যাওয়া।
খ) ইয়েমেন যুদ্ধ সৌদি-আরব আমিরাত-কাতার-তুরষ্কের মধ্যে অভ্যন্তরীণ জটিল রাজনীতি, ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তিত হচ্ছে। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ যদি প্রবেশ করে তবে সবকিছুকে সামাল দেয়ার ক্ষমতা কি আওয়ামী সরকারের আছে ?
গ)ইয়েমেন ইস্যুতে বাংলাদেশ জড়িয়ে গেলে কিছু সময় পরে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় পক্ষ-বিপক্ষ তৈরী হবে। যদি সৌদি-আরব আমিরাতের পক্ষে যায় তবে কাতার-তুরষ্ক-সুদানের বিরুদ্ধে যাবে। আর মাঠে নেমে সরে গেলে সৌদি-আরব আমিরাতের সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে। এটা আমাকে-আপনাকে মানতেই হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্স। এই যে আমরা যেচে গিয়ে এই জটিল সমীকরণের মধ্যে ঢুকছি, এর ফলাফল আলটিমেটলি আমাদের ১ কোটি শ্রমিকের জীবিকা দিয়ে খেসারত দিতে হয় কি না, সেটা নিয়ে আগাম চিন্তা করার দরকার আছে।
ঘ) বাংলাদেশ এতদিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতি (ভারত-চীন) মধ্যে অধিকমাত্রায় আবর্তিত হয়েছে, যা অবশ্যই বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য বড় বাধা। এরমধ্যে অযথাই যদি নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনীতির (সৌদি-কাতার-ইরান) মধ্যে অনুপ্রবেশ করে, তবে তা বাংলাদেশকে আরো পিছন থেকে আটকে ধরবে, যা দেশকে আরো পিছিয়ে দেবে, এতে কোন সন্দেহ নাই।
সবশেষে বলবো,
আওয়ামীলীগ অবৈধ নির্বাচনে অবৈধভাবে জয়লাভ করেছে, এর খেসারত কেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপরাধ শ্রমিক ও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দিতে হবে ? তাছাড়া আওয়ামী সরকার সব সময় প্রচার করে, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি হচ্ছে, “কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয় সবার সাথে বন্ধুত্ব”। এই নীতি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জটিল সমীকরণে পক্ষ-বিপক্ষ কখনই মিল খায় না। এ অবস্থায় অযথাই বাংলাদেশ চূক্তি করে কেন মুসলিম দেশগুলোর শত্রু-মিত্র হবে ? সৌদির সাথে তাই এ চূক্তি করা কখনই বাংলাদেশের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলে মনে করি।
আওয়ামীলীগ অবৈধ নির্বাচনে অবৈধভাবে জয়লাভ করেছে, এর খেসারত কেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপরাধ শ্রমিক ও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দিতে হবে ? তাছাড়া আওয়ামী সরকার সব সময় প্রচার করে, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি হচ্ছে, “কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয় সবার সাথে বন্ধুত্ব”। এই নীতি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জটিল সমীকরণে পক্ষ-বিপক্ষ কখনই মিল খায় না। এ অবস্থায় অযথাই বাংলাদেশ চূক্তি করে কেন মুসলিম দেশগুলোর শত্রু-মিত্র হবে ? সৌদির সাথে তাই এ চূক্তি করা কখনই বাংলাদেশের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলে মনে করি।