বিপিএল মাধ্যমে দেশের জনগণের টাকা লুটতরাজ করে বিদেশে পাচার হচ্ছে না তো ?
গত ২১শে জানুয়ারীতে ওলামালীগ বিপিএলকে জুয়ার আসর বলাতে দেখলাম অনেকে ক্ষেপে গেলো। খোদ আওয়ামীলীগ পর্যন্ত বললো, ওলামালীগ তাদের কেউ না। অথচ এর পরদিন দৈনিক মানবজমিনের হেডিং হলো “ক্রিকেট জুয়ায় কাঁপছে দেশ” (https://bit.ly/2Tb5fxo)।
আপনাদের মনে থাকার কথা, ১ বছর আগে একটি অনলাইন জুয়ার সাইটে বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ বিপিএলে টিচাগং ভাইকিংস আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচটি ঘিরে বাজি হয়েছিলো প্রায় ৩শ' কোটি টাকা (https://bit.ly/2AWxZ5W)। এটা শুধু একটি সাইটের হিসেব, এরকম ডজন ডজন জুয়ার সাইট আছে অনলাইনে। খবরে প্রকাশ, ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়া মাত্র ঘরে ঘরে ছেলেপেলেরা ব্যস্ত হয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে। সেখানে প্রতি বলে বলে, প্রতি প্লেয়ারে প্লেয়ারে ধরা হয় বাজি। বিটিআরসি দায় সারতে নামে মাত্র কিছু সাইট বন্ধ করেছিলো। কিন্তু সেটা গত বছরের কথা, এ বছর গজিয়ে গেছে আর কয়েকগুন জুয়ার সাইট। এগুলো তো গেলো সাইট ভিত্তিক জুয়া, এছাড়া জনআড়ালে থাকা জুয়ার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম।
(বেট৩৬৫ তে দেখুন আজকের খেলার কোন কোন বিষয় নিয়ে জুয়া হচ্ছে: https://bit.ly/2U9vmVt)
আপনাদের মনে থাকার কথা, ১ বছর আগে একটি অনলাইন জুয়ার সাইটে বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ বিপিএলে টিচাগং ভাইকিংস আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচটি ঘিরে বাজি হয়েছিলো প্রায় ৩শ' কোটি টাকা (https://bit.ly/2AWxZ5W)। এটা শুধু একটি সাইটের হিসেব, এরকম ডজন ডজন জুয়ার সাইট আছে অনলাইনে। খবরে প্রকাশ, ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়া মাত্র ঘরে ঘরে ছেলেপেলেরা ব্যস্ত হয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে। সেখানে প্রতি বলে বলে, প্রতি প্লেয়ারে প্লেয়ারে ধরা হয় বাজি। বিটিআরসি দায় সারতে নামে মাত্র কিছু সাইট বন্ধ করেছিলো। কিন্তু সেটা গত বছরের কথা, এ বছর গজিয়ে গেছে আর কয়েকগুন জুয়ার সাইট। এগুলো তো গেলো সাইট ভিত্তিক জুয়া, এছাড়া জনআড়ালে থাকা জুয়ার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম।
(বেট৩৬৫ তে দেখুন আজকের খেলার কোন কোন বিষয় নিয়ে জুয়া হচ্ছে: https://bit.ly/2U9vmVt)
সত্যিই বলতে, একটা খেলার মূল্য কত ? ১০ কোটি, ২০ কোটি ?
কিন্তু সেটার জুয়ার মূল্য যখন ১০ হাজার কোটি হয়, স্বাভাবিক সেটা খেলার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করবেই।
আর খেলার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করলে তা অবশ্যই ফ্র্যাঞ্চাইজি বা ক্লাবগুলোর মধ্যে সংযোগ প্রাপ্ত হবে। কারণ দেশবিদেশ থেকে টাকা দিয়ে কিনে আনা এসব মূল্যবান প্লেয়ারকে মাঠে নামিয়ে ব্যবসায়ীদের লাভ কি ? তার কোন উপায়ে ইনকাম করে ? সবটাই কি ক্রিকেট প্রেম ? নাকি আড়লে আরো ঘটনা আছে ?
বাস্তবতা হলো ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা তাদের ভাড়া করার খেলোয়াড় দিয়ে মাঠে নাটক সাজাবে আর সাধারণ মানুষ সেই নাটকে অংশ নিয়ে বোকার মত হারাবে কোটি কোটি টাকা। সাধারণ মানুষ দেখবে, একজন প্লেয়ারের হাত থেকে ক্যাচ মিস হচ্ছে, অথচ এটা বাহ্যিক দৃশ্য, ভেতরের কথা হলো ক্লাব থেকে বলা হয়েছে, এত রান করার আগে কেউ ক্যাচ ধরতে পারবে না। হঠাৎ করে একজন প্লেয়ার এমন লুজ বল করছে যেন ছক্কা মারা সহজ হয়, সাধারণ মানুষ ভাবছে এটা এমনি এমনি, কিন্তু অন্তরালের কথা হলো তাকে বলাই হয়েছে ছক্কা মারার মত লুজ বল করতে। খুব ভালো প্লেয়ার যার জন্য রান করা কোন ব্যাপার না, কিন্তু সেই আজেবাজে শট খেলে তার উইকেট হারিয়ে আসছে, কিংবা ইচ্ছা করে রান আউট হয়ে যাচ্ছে। দর্শক এগুলো দেখে আবেগ আপ্লুত হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো পর্দা আড়লে দাড়ানো ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা বলেছে সেভাবে খেলতে। কারণ তাদের সাথে সংযোগ আছে বিভিন্ন জুয়ার কোটের। সেখানে হার জয়ের পক্ষে ধরা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। সেখানে ভাগ পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা, তাই খেলাকে কমবেশি করছে তারা, ধোকা দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এই যে তরুণ প্রজন্মকে ক্রিকেট নামক জুয়াতে মত্ত করা হয়েছে, তারা দেশের টাকা দিয়ে অনলাইনে ডলার কিনে জুয়াতে টাকা লাগাচ্ছে। সেই টাকা লুটে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশী জুয়ারীরা, আর সেই জুয়ারীদের হাতে হাত রেখে সেই টাকার ভাগ খাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা। আসুন দেখি তারা কারা -
১) ঢাকা ডাইনামাইটসের মালিক সালমান এফ রহমান
২) সিলেট সিক্সার্সের মালিক আবুল মাল আব্দুল মুহিত
৩) রংপুর রাইডার্সের মালিক বসুন্ধরা গ্রুপের আব্দুস সোবহান
৪) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল
৫) খুলনা টাইটান্সের মালিক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ
কিন্তু সেটার জুয়ার মূল্য যখন ১০ হাজার কোটি হয়, স্বাভাবিক সেটা খেলার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করবেই।
আর খেলার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করলে তা অবশ্যই ফ্র্যাঞ্চাইজি বা ক্লাবগুলোর মধ্যে সংযোগ প্রাপ্ত হবে। কারণ দেশবিদেশ থেকে টাকা দিয়ে কিনে আনা এসব মূল্যবান প্লেয়ারকে মাঠে নামিয়ে ব্যবসায়ীদের লাভ কি ? তার কোন উপায়ে ইনকাম করে ? সবটাই কি ক্রিকেট প্রেম ? নাকি আড়লে আরো ঘটনা আছে ?
বাস্তবতা হলো ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা তাদের ভাড়া করার খেলোয়াড় দিয়ে মাঠে নাটক সাজাবে আর সাধারণ মানুষ সেই নাটকে অংশ নিয়ে বোকার মত হারাবে কোটি কোটি টাকা। সাধারণ মানুষ দেখবে, একজন প্লেয়ারের হাত থেকে ক্যাচ মিস হচ্ছে, অথচ এটা বাহ্যিক দৃশ্য, ভেতরের কথা হলো ক্লাব থেকে বলা হয়েছে, এত রান করার আগে কেউ ক্যাচ ধরতে পারবে না। হঠাৎ করে একজন প্লেয়ার এমন লুজ বল করছে যেন ছক্কা মারা সহজ হয়, সাধারণ মানুষ ভাবছে এটা এমনি এমনি, কিন্তু অন্তরালের কথা হলো তাকে বলাই হয়েছে ছক্কা মারার মত লুজ বল করতে। খুব ভালো প্লেয়ার যার জন্য রান করা কোন ব্যাপার না, কিন্তু সেই আজেবাজে শট খেলে তার উইকেট হারিয়ে আসছে, কিংবা ইচ্ছা করে রান আউট হয়ে যাচ্ছে। দর্শক এগুলো দেখে আবেগ আপ্লুত হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো পর্দা আড়লে দাড়ানো ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা বলেছে সেভাবে খেলতে। কারণ তাদের সাথে সংযোগ আছে বিভিন্ন জুয়ার কোটের। সেখানে হার জয়ের পক্ষে ধরা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। সেখানে ভাগ পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা, তাই খেলাকে কমবেশি করছে তারা, ধোকা দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এই যে তরুণ প্রজন্মকে ক্রিকেট নামক জুয়াতে মত্ত করা হয়েছে, তারা দেশের টাকা দিয়ে অনলাইনে ডলার কিনে জুয়াতে টাকা লাগাচ্ছে। সেই টাকা লুটে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশী জুয়ারীরা, আর সেই জুয়ারীদের হাতে হাত রেখে সেই টাকার ভাগ খাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা। আসুন দেখি তারা কারা -
১) ঢাকা ডাইনামাইটসের মালিক সালমান এফ রহমান
২) সিলেট সিক্সার্সের মালিক আবুল মাল আব্দুল মুহিত
৩) রংপুর রাইডার্সের মালিক বসুন্ধরা গ্রুপের আব্দুস সোবহান
৪) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল
৫) খুলনা টাইটান্সের মালিক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ
আমি জানি, আপনি বলবেন, তারা যে জড়িত, তার দলিল কি ?
এটা ঠিক আমার কাছে দলিল নেই। কারণ তারা যে পর্যায়ের এমপি-মন্ত্রী-ক্ষমতাবান তারাই প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে, তাই নির্ধারণ করে দেয় কে অপরাধী আর কে অপরাধী না। সুতরাং আমি কিভাবে ডাইরেক্ট তার দলিল পাবো ? ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের নাম দেখে বুঝি এখানে তারাই আছে, যারা শেয়ার মার্কেটে দরিদ্রদের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দেয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভোল্টের টাকা ফিলিপাইনের জুয়ার কোটে পাঠিয়ে দেয়, এরা তো তারাই যারা ভূমিদস্যুতা করে গরীবের জমি মেরে বড় বড় রিয়েল স্টেট প্রজেক্ট করে। তারাই যখন ফ্রাঞ্চাইজি দল খুলে, তখন অনুমান করতে পারি, এত এত খরচ করে তাদের লাভটা আসলে কি ?
কিছুদিন আগে ভারতের আইপিএলের দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ফ্রাঞ্চাইজি মালিক চিত্রনায়িকা প্রীতি জিনতা বলেছিলো, ‘অনেকেই এখন ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত। যেহেতু কোনো ভাবেই ম্যাচ গড়াপেটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। সেহেতু আইন করে বেটিং বৈধ করে দেয়া উচিত। এতে করে সরকারের কোষাগারে অনেক টাকা জমা পড়বে ।” (https://bit.ly/2Dtzqds) তারমানে আইপিএল’র অনুকরণে বলতে পারি, বাংলাদেশ সরকারও যতই লোক দেখানো অমুক-তমুক গ্রেফতার করুক, বিটিআরসি অমুক-তমুক বেটিং সাইট বন্ধ করুক, এতে কোন লাভ হবে না, বরং ফ্রাঞ্চাইজির জুয়ার কানেকশনকে লোকচক্ষুর আড়াল করাও সরকারের একটি মহলের উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে হয়। তাছাড়া আমার মনে হয়, আওয়ামীলীগ টানা ৩ টার্ম ক্ষমতায় থেকে আগে থেকে অনেক স্ম্যার্ট হয়েছে, তারা এখন দুর্নীতি করে, কিন্তু কৌশলে করে। জনগণকে দেখায় ক্রিকেট, কিন্তু আড়ালে থাকে টাকা মারার ফন্দি।
এটা ঠিক আমার কাছে দলিল নেই। কারণ তারা যে পর্যায়ের এমপি-মন্ত্রী-ক্ষমতাবান তারাই প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে, তাই নির্ধারণ করে দেয় কে অপরাধী আর কে অপরাধী না। সুতরাং আমি কিভাবে ডাইরেক্ট তার দলিল পাবো ? ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের নাম দেখে বুঝি এখানে তারাই আছে, যারা শেয়ার মার্কেটে দরিদ্রদের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দেয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভোল্টের টাকা ফিলিপাইনের জুয়ার কোটে পাঠিয়ে দেয়, এরা তো তারাই যারা ভূমিদস্যুতা করে গরীবের জমি মেরে বড় বড় রিয়েল স্টেট প্রজেক্ট করে। তারাই যখন ফ্রাঞ্চাইজি দল খুলে, তখন অনুমান করতে পারি, এত এত খরচ করে তাদের লাভটা আসলে কি ?
কিছুদিন আগে ভারতের আইপিএলের দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ফ্রাঞ্চাইজি মালিক চিত্রনায়িকা প্রীতি জিনতা বলেছিলো, ‘অনেকেই এখন ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত। যেহেতু কোনো ভাবেই ম্যাচ গড়াপেটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। সেহেতু আইন করে বেটিং বৈধ করে দেয়া উচিত। এতে করে সরকারের কোষাগারে অনেক টাকা জমা পড়বে ।” (https://bit.ly/2Dtzqds) তারমানে আইপিএল’র অনুকরণে বলতে পারি, বাংলাদেশ সরকারও যতই লোক দেখানো অমুক-তমুক গ্রেফতার করুক, বিটিআরসি অমুক-তমুক বেটিং সাইট বন্ধ করুক, এতে কোন লাভ হবে না, বরং ফ্রাঞ্চাইজির জুয়ার কানেকশনকে লোকচক্ষুর আড়াল করাও সরকারের একটি মহলের উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে হয়। তাছাড়া আমার মনে হয়, আওয়ামীলীগ টানা ৩ টার্ম ক্ষমতায় থেকে আগে থেকে অনেক স্ম্যার্ট হয়েছে, তারা এখন দুর্নীতি করে, কিন্তু কৌশলে করে। জনগণকে দেখায় ক্রিকেট, কিন্তু আড়ালে থাকে টাকা মারার ফন্দি।
নির্বাচনের সময় দেখেছি, আওয়ামী সরকার জনগণকে কি দিয়েছে ? – এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।
কেউ বলেছে ব্লাউজ দিয়েছে, কেউ বলেছে মোবাইল দিয়েছে, কেউবা বলেছে বিউটি পারলার দিয়েছে।
কিন্তু আমি বলবো, আওয়ামী সরকার বিপিএল’র মাধ্যমে ঘরে ঘরে জুয়া দিয়েছে। জনগণকে জুয়াতে জুয়াতে মাতিয়ে দিয়েছে। সাবাস ! আওয়ামীলীগ সাবাস !
কেউ বলেছে ব্লাউজ দিয়েছে, কেউ বলেছে মোবাইল দিয়েছে, কেউবা বলেছে বিউটি পারলার দিয়েছে।
কিন্তু আমি বলবো, আওয়ামী সরকার বিপিএল’র মাধ্যমে ঘরে ঘরে জুয়া দিয়েছে। জনগণকে জুয়াতে জুয়াতে মাতিয়ে দিয়েছে। সাবাস ! আওয়ামীলীগ সাবাস !