জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি আত্ববিধ্বংসী এক মারণাস্ত্র


Image result for জন্মনিয়ন্ত্রন পিলে
                                  জন্মনিয়ন্ত্রন পিলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে

ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত জন্মনিয়ন্ত্রণকারী ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জানায়, এইসব ঔষধে এমন উপাদান থাকে যা রক্তের কোষগুলোকে স্থূল করে দেয় ফলে এগুলো সাধারণ অবস্থার চেয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়
তৃতীয় প্রজন্মের অত্যাধুনিক এসব জন্মনিয়ন্ত্রণকারী ঔষধ সেবনে ফ্র্যান্সে বছরে ১৪জনের মৃত্যু হয়
যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকেরা নারীদের তৃতীয় প্রজন্মের জন্মনিয়ন্ত্রণকারী ঔষধের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াচ্ছে ব্রিটেনর প্রায় ১০ লাখ নারী জন্মনিয়ন্ত্রণের ঔষধ সেবনে অভ্যস্ত এবং অন্যান্যদের চেয়ে তাদের শরীরে ক্ষতিকর স্থূল রক্তকোষের পরিমাণ বেশি সুতরাং তারা অধিক মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে বলা যায়

চিকিৎসকেরা তৃতীয় প্রজন্মের বলে পরিচিত এসব জন্মনিয়ন্ত্রণকারী ঔষধ সেবনের আগে নারীদের এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে হুঁশিয়ার করছে এমনকি অনেকক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝুঁকির কারণে চিকিৎসকেরা ব্যবস্থাপত্রে তৃতীয় প্রজন্মের জন্ম নিরোধক ঔষধের নির্দেশনা দিচ্ছে না

ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি-র এক প্রতিবেদনে জানা যায়, তৃতীয় প্রজন্মের জন্মনিয়ন্ত্রণকারী ঔষধে সিনথেটিক হরমোন ব্যবহার করা হয় এর ফলে শরীরে ভ্রুণ জন্মদানের আশঙ্কা থাকে না বলেই চলে
নারীদের জন্য ব্যবহৃত জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ির মধ্যে বিজ্ঞানীরা এমন সব রাসায়নিক উপাদান পেয়েছে, যা নারীদের মস্তিষ্ক গঠনে পরিবর্তন করে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এই ফল পাওয়া গেছে

স্নায়ুবিজ্ঞানীরা দেখেছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে যে স্টেরয়েড হরমোন ব্যবহৃত হয়, তা মস্তিষ্কের কাজেকে প্রভাবিত করতে পারে
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারকারী ৯০ জন নারীর ৪৪ জনের মধ্যেই মস্তিষ্কের দুই অংশে উল্লেখযোগ্য ভাবে কর্টিসলের পরিমাণ কম
এই বড়ি ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কের পার্শ্বীয় অর্বিটোফ্রনটাল কর্টেক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এই অংশটি মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে

এছাড়া মস্তিষ্কের কেন্দ্রে অবস্থিত পরবর্তী সিঙ্গুলেট কর্টেক্সও প্রভাবিত হয় এই অংশটি আবেগ, অনুভূতির প্রক্রিয়া তৈরিতে এবং স্মৃতি সংরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারকারী নারীরা কয়েক দশক ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে, এটা ব্যবহার করার ফলে তাদের মেজাজের চরম পরিবর্তন ঘটে, সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ কমে যায়, বিষন্নতা, দুর্বলতা এবং উদ্বেগে ভুগেন তারা
মস্তিষ্কের পার্শ্বীয় অর্বিটোফ্রনটাল কর্টেক্সের প্রভাবে উপসর্গগুলি দেখা দেয়

এই বড়ি ব্যবহার করার কারণে নারীদের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয় যা দম্পতিদের পারস্পরিক সম্পর্কের ছন্দ নষ্ট করে দিতে পারে এমনকি এতে বিচ্ছেদও ঘটতে পারে
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ির প্রভাবে উচ্চ রক্তচাপ, স্তন ক্যান্সার এবং লিভার ক্যান্সারও হতে পারে

এই গবেষণার নেতৃত্বদানকারী লস অ্যাঞ্জেলসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার প্রফেসর নিকোল পিটারসেন হাফিংটন পোস্টকে বলে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করে মানদিক সমস্যায় পড়েছে এরকম নারীরা জানিয়েছে, পিল গ্রহণ করার পর তারা বিভিন্ন আবেগ সংক্রান্ত সমস্যায় পড়ে সম্ভবত মস্তিষ্কের গঠনে পরিবর্তনের কারণে এটা ঘটতে পারে
জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল মানব শরীরে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় বিশেষ করে যেসব মহিলা ধূমপান করে কিংবা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে অথবা মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ খুবই ক্ষতিকর আমেরিকায় গবেষকদের এক গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে

লয়োলা ইউনিভার্সিটি শিকাগো স্ট্রিচ স্কুল অব মেডিসিন এর গবেষকদলের সহ-গবেষক মারিসা ম্যাকগিনলি জানিয়েছে, যেসব মহিলা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে এ ধরনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ওষুধ না খাওয়াই উচিত বলে জানাচ্ছে গবেষকরা

সে আরও জানায়, বিভিন্ন কারণে স্ট্রোক হতে পারে তবে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কারণে স্ট্রোক হয় ঝুঁকিতে থাকা মহিলারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ করলে এ ধরনের স্ট্রোকের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় তবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে যে ধরনের স্ট্রোক হয় সেটি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার কারণে সাধারণত হয় না
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ১০ কোটির বেশি মহিলা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছে কিংবা কখনও খেয়েছে বলে ওই গবেষণাতে উঠে এসেছে

জন্মনিয়ন্ত্রন পিল গ্রহণ কি কি সমস্যা হতে পারে?  
পিল খেলেঃ
) হার্ট হ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৩৫ বছরের বেশি মহিলাদের কখনোই পিল খাওয়া উচিত না কারণ এতে হার্ট এট্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
) পিলে লেভেনোগ্যাস্ট্রেল ও ৩০ মিলিগ্রাম ইস্ট্রোজেন থাকে, যেসব মেয়েদের মাইগ্রেন থাকে তারা যদি পিল কন্টিনিউ করে তাহলে তাদের স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি থাকে
) উচ্চ রক্তচাপের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল পিল সেবন
) যারা বেশি পিল খায় তাদের ভেনাস থ্রোম্বোএম্বলিসম নামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
) বেশি মাথা ব্যথা হয়
) হতাশার একটি কারণ ও হল অতিরিক্ত পিল খাওয়া
) খিটখিটে মেজাজ ও দেখা যায় পিল খাওয়ার কারণে
) বমি বমি ভাব এবং বমি হয়
) ব্রেস্টে অনেক ব্যথা হয়
১০) যারা পিল খায় নিয়মিত তারা সম্পর্কের সময় তেমন আনন্দ পায় না
১১) ওজন বেড়ে যায়
১২) ৩ বছরের বেশি পিল খেলে তাদের গ্লুকোমা হয়
১৩. বেশি পিরিয়ড ও ব্যথাঃ
অনেক মহিলাই পিএমএস থেকে বাঁচার জন্য পিল খেয়ে থাকেন যদি খাওয়া ছেড়ে দেন তাহলে অধিক পিরিয়ড হওয়াসহ তলপেটে প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে
১৪. অতিরিক্ত সাদা স্রাব
পিলের কাজ হচ্ছে শরীরে ডিম্বাণু তৈরি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা তাই পিল খাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের গ্রন্থি থেকে রসক্ষরণ ঘটানোর প্রক্রিয়া কমে থাকে
১৫. ওজন বাড়ে
জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খাওয়ার পর কিছুদিনের মধ্যে ওজন বাড়তে শুরু করে অনেক সময় ওষুধগুলোতে উচ্চ মাত্রায় ইসট্রোজেন থাকে উচ্চ পরিমাণ ইসট্রোজেনের মাত্রা ক্ষুধার ওপর প্রভাব ফেলে এবং শরীরে পানি বাড়ায় এতে ওজন বাড়ে
১৭. দৃষ্টিতে অসুবিধা
জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধের কারণে অনেক সময় দৃষ্টিতে অসুবিধা হয় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে শরীরে যে পানি আসে, এর কারণে চোখের মনিও ফোলে এটি মনির আকৃতির ওপর প্রভাব ফেলে এতে দৃষ্টিতে অসুবিধা হতে পারে

জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি আত্ববিধ্বংসী এক মারণাস্ত্র

পরিবার পরিকল্পনার সাথে যে বিষয়ের সম্পর্ক রয়েছে তার নাম নিয়ন্ত্রণ আরেকটু সহজ করে বললে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ এর জন্য রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া অফ চয়েস মানে নিয়ন্ত্রণের একগুচ্ছ পদ্ধতি সেখান থেকে জেনে বুঝে নিজেদের পছন্দ মত পদ্ধতি বেছে নেয়া তো যেসব পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো হল-
) পিল,
) ফোম ট্যবলেট,
)নরপ্লান্ট,
) ইনজেকশন,
) লাইগেশন (টিউবেকটমি),
) কপারটি,
) ভ্যাসেকটমি (for male),
) কনডম (for male),
) আইইউডি,
১০) ল্যাম (LAM)
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে শতকরা ২৬ ভাগ দম্পতি জন্ম নিরোধের জন্য খাবার বড়ি ব্যবহার করেনএই পিলের বিজ্ঞাপনে বলা হয় স্বল্প মাত্রার জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী পিল যা সম্পূর্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীনএই যে বলা হয়ে থাকে স্বল্প মাত্রার জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী পিল এবার আমার জানার জায়গা টা হলো, সাধারণ মাত্রাটা কত? আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন হলে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে?
কন্ট্রাসেপটিভ পিল বা জন্ম বিরতিকরণ পিল তৈরি হয় এসট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরোন নামক দুই ধরনের হরমোন দ্বারা এসস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন সমন্বিত পিল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এসস্ট্রোজেন সব সময়ই রক্তে লিপিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এসস্ট্রোজেন মায়ের দুধের পরিমান কমিয়ে দেয়, ফলে শিশু খেতে পায় না
এছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রন পিল-
- বমি বমি ভাব
- বমি হওয়া
- মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা
- স্তনে ব্যাথা
- বিষণ্ণতা
- চুল পড়ে যাওয়া
- কাম শক্তি কমে যাওয়া
- রজঃস্রাবের সময় পেট ব্যাথা হওয়া, পেট কামড়ানো
- পায়ের গোশত পেশিতে যন্ত্রণাদায়ক খিল
- অনিওয়মিত রজঃস্রাব
- সাদা স্রাব
- যোনি ও যোনি মুখে ক্যানডিরার আক্রমণ
- ওজন বেড়ে যাওয়া
- চর্বি বেড়ে যাওয়া
- প্যানক্রিয়াটাইটিস
- গলব্লাডার স্টোন
- গ্লাইকোসুরিয়া
- উচ্চ রক্ত চাপ
- রক্তনালি তে রক্তের জমাট বেঁধে যাওয়া
- জরায়ুতে ফাইব্রয়েড নামক টিউমার হওয়া
- স্তনের ক্যান্সার

পিল খাওয়ার প্রভাব :

) মেদ বাড়িয়ে শরীর ভারি ও অসাড় করে দেয়
) বেশি দিন ধরে খেতে থাকলে একটা পর্যায়ে শরীরে সারাক্ষণ ক্লান্ত অনুভূত হতে পারে
) প্রতিনিয়ত খাওয়ার প্রভাবে মেয়েদের জরায়ুর আকার ছোট হয়ে যেতে পারে
) মেয়েদের মাথা ঝিমঝিমানির বড় কারণ নিয়মিত এসব পিল সেবন
) নিয়মিত ৫ বছরের বেশি সময় খেতে থাকলে পরবর্তীতে মেয়েদের সন্তান ধারণে অক্ষমতা দেখা দিতে পারে
) এসব পিল বেশি বেশি খাওয়ায় মাঝে মাঝে ঘুম থেকে ওঠার পর মেয়েরা শরীরে চলাফেরার মতো শক্তিও হারিয়ে ফেলে
) নিয়মিত ও দীর্ঘদিন জন্ম বিরতিকরন পিল খেলে সার্ভাইকাল ক্যান্সার সহ স্তন ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়
) এই জন্ম বিরতিকরণ পদ্ধতি বন্ধ করে দেয়ার পর গর্ভধারণে দেরি হতে পারে
) এইচআইভি/এইডস সহ যৌন সংক্রামক অসুখ প্রতিরোধে কোনো কার্যকরী ভূমিকা রাখে না
জন্মনিয়ন্ত্রণের ফলাফল বন্ধ্যাত্ব
বাংলাদেশে বর্তমান নিঃসন্তান দম্পতির সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ সত্যিই অবাক হওয়ার মত আবার এই রেট ক্রমেই বাড়ছে ইনফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট সেন্টারগুলোতে গেলেই বুঝা যায় কি হারে বাড়ছে এই হার আর নিঃসন্তান দম্পতির দীর্ঘশ্বাস সত্যিই খুব করুন
একটা প্রশ্ন সহজেই মাথায় আসে, আজ থেকে মাত্র ১০০ বছর আগেও অর্থাৎ আমাদের নানা দাদাদের সময়ত এরকম শোনা যায়নি বরং অনেকেই বলতে লজ্জা পায় আমরা ১১ ভাই ৯ বোন কেন এই সামান্য সময়ে এত পরিবর্তন?
কারনগুলোর ভিতর আমার কাছে মনে হয় প্রথমত, বিয়ের পর পর আল্লাহর নেয়ামতকে অস্বীকার করা সন্তান আল্লাহর নেয়ামত
অনেকেই মনে করেন সবেমাত্র বিয়ে হল আরও ২-৪ বছর এনজয় করি, ক্যারিয়ার গড়ি তারপর বাচ্চা নেওয়ার চিন্তা করব তো এরপর পিল খাওয়া শুরু হয় হ্যা, সব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এড দেয় সম্পূর্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত আমাদের এই পিল একটা জিনিস সহজে বোঝা যায় সিগারেট কোম্পানীগুলো কখনও সিগারেটের বদনাম করবেনা যেটুকু করে সরকার বাধ্য করে তাই করে
একটা জিনিস চিন্তা করুন প্রতি মাসে একজন মহিলা ৩০ টা পিল খাচ্ছেন যেটা প্রতি পিরিওড সাইকেলে হরমোনাল চেন্জ নিয়ে আসছে যেটা স্পার্ম এবং ওভামকে উর্বর করতে দিচ্ছে না এইভাবে ৩ বছর চলার পর স্বাভাবি হরমোনাল কন্ডিশন অনেক ক্ষেত্রেই ফিরে আসে না
বিজ্ঞানের আর এক আবিষ্কার ইমারজেন্সি পিল এক্সিডেন্টাল প্রেগন্যান্সি এড়াতে ব্যবহার হয় একটোপিক প্রেগন্যান্সির সবচেয়ে বড় কারন এই ইমারজেন্সি পিল একটোপিক প্রেগন্যান্সি ভয়াবহ জিনিস যেটা সংক্ষেপে, বাচ্চা হবে কিন্তু বাচ্চা ইউট্রাসে না হয়ে অন্য কোন যায়গায় হবে এবং বাচ্চা বড় হয়ে যাওয়ার পর আল্ট্রাসোনোতে ধরা পড়লে ইউট্রাস কেটে ফালানো ছাড়া আর উপায় থাকে না
হ্যা, বাচ্চা কনসিভ হয়ে গেছে এরপর আর এক আবিস্কার এমএম কিট যেটা ইউট্র্স থেকে বাচ্চা সদৃশ বস্তুকে ছুড়ে ফেলে দেয় প্রচুর রক্তক্ষরন হয়
একটা মায়ের উপর এতগুলো ধক্কল চালানোর পর যখন ৩-৪ বছর পার হয় তখন চিন্তা করে এবার একটা বাচ্চা চাই আল্লাহ ততদিনে অসন্তুস্ট হয়ে নেয়ামতকে উঠিয়ে নেন এবার দৌড় শুরু হয় ইনফার্টিলিটি সেন্টারে
মহিলাদের প্রধান কারনগুলোর মধ্যে কয়েকটিঃ -
Stress অর্থাৎ অতিরিক্ত চাপে থাকা বিশেষ করে চাকুরিজীবি মহিলাদের ক্ষেত্রে ঘরেও চাপ অফিসেও চাপ
এ জন্যই দেখা যায় গৃহীনি মহিলা থেকে চাকরিজীবি মহিলাদের ইনফার্টিলিটি রেট বেশি
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কারন অধিক সময় জন্মনিয়ন্ত্রন করা
অন্যদিকে পুরুষের প্রধানত, কোন ক্ষেত্রে প্রতি mL এ যদি স্পার্ম সংখ্যা ২০ মিলিয়নের কম হয়ে যায় তখন ইনফার্টিলিটিতে চলে যায়
এর অনেকগুলো কারনের মধ্যেঃ
বড় একটা কারন স্মোকিং, ড্রাগস বা যেকোন ধরনের নেশা
-এছাড়া পরিবেশ দূষনও একটা বড় কারন
অতিরিক্ত তাপমাত্রা বা শব্দে যারা লম্বা সময় কাজ করে এটাও একটা কারন
-আর একটা উল্লেখযোগ্য কারন হল টাইট পোষাক স্কিন টাইট জিন্স যেটা পরলে অতিরিক্ত চাপের কারনে স্পার্ম সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে
ক্যারিয়ার ক্যারিয়ার করে পারিবারিক ক্যারিয়ার ধ্বংস না করি বিয়ের পরপর প্রথমবার আল্লাহ দিলেই বাচ্চা নিয়ে নেওয়া তা না হলে বিয়ের পরের রোমান্স দুই চার বছর পর সন্তান না হলে জানালা দিয়ে পালাবে সন্তানই হল পারিবারিক বন্ধনের প্রধান হাতিয়ার