কুরবানীর পশু জবাই পদ্ধতি নিয়ে নাস্তিকদের আপত্তিকর জবাব
কুরবানী আসলে
নাস্তিকরা আপত্তি করে যে কুরবানীর পশু জবাই করার পদ্ধতি নাকি নিষ্ঠুর। যদিও গরুর,খাসির গোশত খাওয়ার সময়
নাস্তিকদের খেয়াল থাকেনা যে কিভাবে পশুটি জবাই করা হয়েছে।
সম্মানিত দ্বীন
ইসলাম প্রাণী সমূহকে খাওয়ার উপযোগী বানানোর জন্য যে মৌলিক শর্ত দিয়েছে তা হচ্ছে শরীরের
সমস্ত রক্ত বের হয়ে যাওয়া। এ জন্য স্বাভাবিকভাবে
ঘাড়ের সামনের দিকটার রক্ত প্রবাহের চারটির প্রধান রগ (jugular vein,Carotid Arteries) এর সঙ্গে কন্ঠনালীও কাটতে হবে। উক্ত প্রাণীর গলা, সামনের ধমণী/রগগুলি কেটে ফেলার কারণে রক্তের সাথে জীবানুসহ সকল প্রকার বর্জ্য পদার্থ ইত্যাদি
গোশতপেশীসহ অন্যান্য organ অঙ্গ প্রতঙ্গে স্থানান্তরিত হওয়ার
সুযোগ পায় না। আর এ কারণেই যবেহকৃত প্রানীর
চর্বি, গোশত ও অস্থি
’ মজ্জা তথা অন্যান্য অঙ্গ
জীবানুমুক্ত থেকে যায়।
এক সময় ব্রিটেনে
কথিত প্রানীদের প্রতি সদয় কমিটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে আদালতে এই অভিযোগে মামলা দায়ের
করে যে, মুসলিমগণ
নিষ্ঠুর। কেননা, তারা জন্তুকে জবাই করে
তাদেরকে কষ্ট দেয়। এ জবাইকে জুলুম আখ্যা দিয়েছিল। নাউযুবিল্লাহ! কোর্ট মুসলিমদেরকে জবাই
করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়। মুসলিমগণ এর কারণে যুলূম নির্যাতন ভোগ করতে বাধ্য হচ্ছে।
একজন মানুষ যদি
তার দুই হাত দিয়ে অন্য একজনের গর্দান চেপে ধরে এবং গর্দানের দুটি ‘ওদজা’ নামক রগের উপর কয়েক সেকেন্ড চাপ সৃষ্টি করে রাখে তাহলে দেখা যাবে,
উক্ত লোকটি অজ্ঞান হয়ে গেছে তার অনুভূতি শক্তি হারিয়ে যাবে।
প্রশ্ন হলো কেন
এমন হয়?
কারণ হলো, মগজ সব সময় অক্সিজেনের
ধরাবাহিক সাহায্য নিয়ে থাকে। মগজে রক্ত প্রবেশে
যখন বাধার সৃষ্টি করা হয়, মাত্র কয়েক সেকেন্ড যদি রক্ত সরবরাহ বন্ধ থাকে, সাথে সাথে জ্ঞান হারিয়ে যায়। যদি কেহ কোন প্রাণীর যে সমস্ত রগের মাধ্যমে মগজে সাহায্য পৌঁছে থাকে ঐ সমস্ত রগগুলো
চেপে ধরে তাহলে সে প্রাণীরও অনুভুতি হারিয়ে যায়। আর যদি যবেহ করার মাধ্যমে হুলকুমসহ তার
আশেপাশে ওদাজা নামক রগগুলো হঠাৎ কেটে ফেলা হয় তাহলে সাথে সাথে জ্ঞান ও অনুভুতি শক্তি
হারিয়ে যায়। যেহেতু সামান্য সময় চাপ সৃষ্টি
করলেই জ্ঞানহারা হয়ে যায়, তাই যবেহ করার সাথে সাথে জ্ঞান ও অনুভুতি যে হারিয়ে যায় তাতে কোন
সন্দেহ নেই। তারপর যদি উক্ত জন্তুকে কেটে
টুকরা টুকরা করা হয় তাহলে উহা কি কোন ব্যাথা অনুভব করে? না, কোন ধরনের ব্যাথা অনুভব সে করে না। কারণ উক্ত রগগুলো কাটা ও রক্ত বন্ধের মাধ্যমে
অনুভূতির যে কেন্দ্র রয়েছে তার বিলুপ্তি ঘটে।
তা হলে প্রশ্ন
থেকে যায়, কেন প্রাণীটি
জবেহ করার পর অনেক সময় পর্যন্ত নড়া চড়া ও পাঁ দিয়ে জোরে জোরে নাড়া দিতে থাকে?
তার জবাব হচ্ছে মগজ যখন রক্তশুন্য হয়ে পড়ে তখন মগজ থেকে হৃদপিন্ডে বার্তা
পাঠিয়ে দেয় যে, আমি মহা বিপদে আছি, আমার
রক্ত কম হয়েছে, তোমরা রক্ত পাঠাও। এমনি ভাবে নাড়ী ভূড়ি অঙ্গ প্রতঙ্গ ও সমস্ত
শরীরে বার্তা পাঠিয়ে রক্ত পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এ খবর পাঠায় যে, রক্তের অভাবে মগজের কার্যক্ষমতা
হারিয়ে যাচ্ছে, তোমরা রক্ত পাঠাও। অতঃপর উক্ত প্রাণীটি নড়াচড়া করতে থাকে
এবং যে সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গে রক্ত রয়েছে তা এই নড়া চড়ার মাধ্যমে হৃদপিন্ড উক্ত রক্তগুলো
পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে পারে
না বরং সেই কাটা রগ দিয়ে বাহিরে বের হয়ে আসে। এমনি ভাবে শরীরের সমস্ত রক্ত বাইরে বের
হয়ে গোস্ত রক্তমুক্ত হয়ে যায় এবং পরিস্কার ও পবিত্র হয়ে যায়, যা ভিতরে থাকলে মানুষের
স্বাস্থের ক্ষতির কারণ হতো। এই রক্ত ভিতরে
থাকলে জীবানু সম্প্রসারণে সাহায্য করতো।
আর মহান আল্লাহ
পাক মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি ও বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য এই পদ্ধতির ব্যবস্থা করেছেন। এই নিয়মের খেলাফ যে কোন নিয়মে যবেহ করলে, উক্ত প্রাণীর দেহাভ্যন্তরে
জীবানু এবং অন্যান্য আবর্জনা থেকে যায়, যার গোশত,চর্বি ইত্যাদি সাথে ভক্ষণের ফলে জটিল রোগ হতে পারে।
ইউরোপের দেশগুলোতে Goilatim অর্থাৎ প্রাণীকে
কাঠের ফ্রেমে দাঁড় করিয়ে উপর থেকে একটি ভারী ছোরা ফেলে শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলত। গবেষনা দ্বারা জানা গেছে যে, এভাবে মেশিনে কাটা গোস্ত
খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, যেহেতু তার ভিতরে রক্ত থেকে যায়। তারপর তারা পশু জবায়ের কথিত আধুনিক পদ্ধতি
আবিস্কার করেছে। পশুটির মাথায় বিদ্যুতের শক
দেয়া হয় এবং পশুটি যখন বেহুশ হয়ে যায় তখন তার পায়ে শিকল লাগিয়ে উল্টে করে লটকে দেয়া
হয়। অতঃপর ঐ বেহুশ প্রাণীর গলায় ধারাল মেশিন
চালিয়ে জবাই করা হয়। এই আধুনিক পদ্ধতিতে জবাই করার
ক্ষেত্রে পশুকে বেহুশ করার জন্য বিদ্যুতাপৃষ্ট করা হয়। এর কারণে হিষ্টামিনের সৃষ্টি হয় যা ভক্ষণে
মানব শরীরের ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে।
তাই প্রমান হলো
জবাই করা ইসলামী পদ্ধতি প্রাণীর জন্য আরামদায়ক এবং আহারকারীদের জন্য অধিক নিরাপদ। পক্ষান্তরে কাফিরদের জবাই করার পদ্ধতি
নিষ্ঠুর এবং উক্ত পশুর গোশত শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
শুধু চাঁদাবাজির
জন্য গরুর দাম বাড়ে কয়েকগুণ।
গত বছর দেশের
বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীতে আসা গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, পথে পথে চাঁদাবাজির শিকার
হচ্ছেন তারা। প্রায় প্রতিটি গরুর ট্রাক
থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। দিতে অস্বীকৃতি
জানালে গরু নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে চাঁদাবাজরা। আর একটু বেশি কথা কাটাকাটি করলে ব্যবসায়ীদের
মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
রাস্তায় চাঁদা
দিতে অস্বীকৃতি জানালে চাঁদাবাজরা গরু নামিয়ে দেয়। মহাসড়কেও চাঁদাবাজরা ট্রাক আটকায়। কোথাও হাইওয়ে পুলিশের দেখা পাওয়া যায়না। আবার কোনো কোনো জায়গায় পুলিশের আশপাশেও
চাঁদাবাজরা গাড়ি থামায়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান
করে। ১০০, ৩০০ ও ৫০০ করে ৬টি স্থানে মোট ২ হাজার
টাকা চাঁদা দিয়ে গাবতলীর হাটে আসতে হয়।
গরু বেচাকেনা
শুরু হওয়ার আগেই একটা বড় খরচের ধাক্কায় পড়েন বেপারিরা। এর প্রভাব পড়ে গরুর দামে।
এ চাঁদাবাজিতে
জড়িত হাটের নেতৃত্বে থাকা পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। ক্ষেত্রবিশেষ তারা সরাসরি না থাকলেও থাকছে
তাদের ভাড়াটে লোক। পশুবাহী ট্রাক দেখলেই দাঁড়াতে
বাধ্য করা হয়। এরপরই বিভিন্ন অখ্যাত সমিতির
নামে বেশিরভাগ চাঁদা আদায় করা হয়। কিছু কিছু স্পটে
আবার সমিতির রসিদও দেয়া হয়। সরকারকে অবশ্যই
এসকল চাঁদাবাজকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
Anthrax বা তড়কা রোগে আতংকিত হবার কিছুই নেই
এনথ্রাক্স আক্রান্ত
গরুর গোশত খেলে মানুষ মারাত্বক রোগাক্রান্ত হবে” ইহা দালাল মিডিয়ার অপপ্রচার মাত্র।
তড়কা (Anthrax) একটি পুরোনো
ব্যাধি। বিষেশজ্ঞদের মতে, তড়কা এক ধরনের
Acute রোগ যা Bacillus Anthracis ব্যাকটেরিয়া দ্বারা
আক্রান্ত হওয়ার জন্য হয়ে থাকে এবং পশু ও মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগ কখনোই মানুষ হতে আক্রান্ত হয়না।
বিশেষজ্ঞদের
মতে তড়কা (Anthrax) রোগের জন্য আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। এটা সহজেই প্রতিরোধযোগ্য একটি ব্যাধি। পত্রপত্রিকা
এবং অন্যান্য মিডিয়া এ সকল সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্যতা
এবং সতর্কতা অবলম্বন বাঞ্চনীয়। কারণ Anthrax নয়,
Anthrax নামক আতংক জনমনে সংক্রামিত হলে গবাদিপশু পালনে নেতিবাচক প্রভাব
পড়বে, যা অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
তড়কা (Anthrax) একটি সহজ প্রতিরোধযোগ্য
রোগ এবং প্রতিরোধের পরও যদি সামান্যতম ইনফেকশন হয় তবে তা সহজ চিকিৎসায় সম্পূর্ন নিরাময়যোগ্য। শুধুমাত্র জনগনের সচেতনতাই এ রোগ প্রতিরোধ
এবং প্রতিকারের জন্য যথেষ্ঠ।
অধ্যাপক ডা. এম এ জলিল চৌধুরী এমবিবিএস,
এফসিপিএস, এমডি, এফএসিপি
অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়,
ঢাকা” মতে তড়কা
(Anthrax) রোগের জন্য আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। এটা সহজেই প্রতিরোধযোগ্য একটি ব্যাধি”।
এ সম্পর্কে-আইসিডিডিআরবি’র জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন-
“রান্নার সময় খেয়াল রাখতে হবে গোশত যেন
ভালো করে সিদ্ধ হয়। অর্থাৎ তাপ যেন গোশত ভেতরে
ভালো করে ঢোকে। সম্পূর্ণ সিদ্ধ হওয়ার পরও
একই তাপমাত্রায় গোশত চুলার ওপর অন্তত ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে। যদিও অ্যানথ্রাক্স জীবাণু অত্যন্ত শক্তিশালী; কিন্তু উচ্চ তাপমাত্রায়
যেকোনো জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। অ্যানথ্রাক্স
আক্রান্ত গরু বা অন্য প্রাণীর গোশত খেয়ে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুবই কম।”
গোশত রান্না
করার সময় যদি ৯৫ºসে. (২০৩º ফা.) ২৫ মিনিট ধরে অথবা ১০০º সে.
(২১২º ফা.)
১৫ মিনিট ধরে রান্না করা হয় তাহলে এ জীবানু মারা যায় ।ফলে এ গোশত খেলে মানুষের ক্ষতি হবার কোন
সম্ভাবনাই-ই নাই। তড়কায় ভড়কাবার কিছু নেই । দালাল মিডিয়া নিজেদের অজ্ঞতা ও মুর্খতাকে
প্রকাশ করার জন্য এনথ্রাক্স নামক স্বাভাবিক একটি রোগকে অনেক বড় রোগ হিসেবে দেখাছে। দালাল মিডিয়ার এ অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না
হয়ে সকলের উচিত দালাল মিডিয়ার এসকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
Anthrax আতঙ্ক!
সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্বলিত একটি পর্যালোচনা
Anthrax আক্রান্ত
প্রাণী যদি মৃত্যুবরণ করে (রোগের কারণেই হোক কিংবা ভুলক্রমে জবাই
করা হোক) তার দেহাভ্যন্তরে অবস্থানকারী বেশিরভাগ সক্রিয়
Anthrax bacteria -ই সেই প্রাণীরই অভ্যন্তরিস্ত অন্য কিছু বিশেষ bacteria (anaerobic) দ্বারা আক্রান্ত
হয়ে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যায়। আর প্রাণীদেহের প্রাকৃতিক ছিদ্রসমূহ দিয়ে
রস এবং রক্তের মাধ্যমে প্রথমেই যে সকল সক্রিয় Anthrax জীবাণু বাইরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় কেবলমাত্র
তারাই anaerobic ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়ে প্রকৃতিতে
spore form করে বেঁচে থাকতে পারে। ফলে মৃত বা জবাইকৃত-যেরূপই হোক না কেন
Anthrax আক্রান্ত প্রাণীর গোশত বস্থত প্রাকৃতিকভাবেই জীবাণুমুক্ত হয়ে
যায়।
যদিবা কিছু bacteria পশুর চামড়া কিংবা
গোশতে থেকে যেতে পারে, যথাযথভাবে রান্না করা হলে সে সকল
Anthrax জীবাণুও নিশ্চিতরূপে মারা যায়। কারণ, সুনির্দিষ্টভাবে এটি প্রমাণিত যে রান্না
করাকালীন তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস-এ পৌঁছার পর কমপক্ষে
১৫ মিনিট স্থায়ী হলেই কোন Anthrax জীবাণুই আর বেঁচে থাকে না। শুধু তাই নয়, Anthrax আক্রান্ত প্রাণীর
সংস্পর্শে আসা বিভিন্ন দ্রব্যাদি যা Anthrax বহন করতে সক্ষম সেগুলোকেও
আমরা ফুটন্ত পানিতে ৩০ মিনিট বা আরো বেশি সময় ধরে boil করে সহজেই
সম্পূর্ণরূপে জীবাণুমুক্ত করতে পারি।
Anthrax জীবাণু
প্রাণীদেহে প্রবেশ করলেই যে Anthrax রোগ হয়ে গেলো এ কথার কোন
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। মনে রাখতে হবে- রোগ বিস্তারের জন্য কিছু
নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হওয়া আবশ্যক। যেমন প্রথমেই বলা যায়, আক্রমণকারী জীবাণুর সংখ্যা (spore count)| । দ্বিতীয়ত, প্রাণীদেহের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা (body immunity)| । তৃতীয়ত, জীবাণুটির রোগ বিস্তারের
ক্ষমতা (virulence) ইত্যাদি।
অতএব যারা অহেতুক
এনথ্রাক্স জীবানু নামক প্রোপাগান্ডা নিয়ে আসছে তাদের উদ্দেশ্য যে কুরবানির মত একটি
আমল থেকে মুসলমানদের সুরে সরানো তা স্পষ্ট।
চামড়া পাচার বন্ধ করতে হবে
প্রতি বছর দেশীয়
বাজার থেকে প্রায় ২শ’ মিলিয়ন ঘনফুট
বিভিন্ন ধরনের পশুর চামড়া সংগ্রহ হয়ে থাকে। এর মধ্যে কুরবানীর পশুর চামড়াই থাকে ৪০
থেকে ৪৫ ভাগ। প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে মে
পর্যন্ত ৫ মাসে ইউরোপের বাজার থেকে সবচেয়ে বেশি রফতানি আদেশ পাওয়া যায়। আর এ বছর এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অর্ডার
আসেনি।
২০০৭ সালেও বিশ্বের
বিভিন্ন দেশে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার চামড়া রপ্তানি করা হয়েছিল। চলতি অর্থবছরে সরকার এ খাত থেকে ১৯৪ দশমিক
৮৯ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে। এ পর্যন্ত ৩৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ অর্থাৎ ১২৪
দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। জানা গেছে, ২০০৮ সালেরই প্রায় এক হাজার কোটি টাকার চামড়া মজুদ থাকার পর গত বছর কুরবানীর
পরে ২০০৯ সাল নাগাদ দুই হাজার কোটিসহ ৩ হাজার কোটি টাকার চামড়া মজুদ পড়ে আছে।
উল্লেখ্য এবারে
দেশের বাজারে দাম কম থাকায় মোটা অঙ্কের চামড়া ভারতে পাচার হয়ে যাওয়ার জোর আশঙ্কা রয়েছে। এতে দেশ মোটা অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আয়
থেকে বঞ্চিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের
জন্য একটি বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে চামড়া পাচার। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ চামড়া পাশের দেশ
ইনডিয়ায় পাচার হয়ে যায়। এ ঘটনাটি ঘটে বিশেষ করে ঈদুল
আজহার সময়। তখন ভারতের ক্রেতারা সীমান্তে
এসে ওঁৎপেতে থাকে এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিশাল পরিমাণ কাঁচা চামড়া
নিয়ে যায়। আর ভারতে গরু জবাই নিষিদ্ধ
থাকায় বাংলাদেশের কুরবানীর সময় তারা সুযোগ গ্রহণ করে।
এদেশের চামড়া
শিল্পের জন্য প্রধান ষড়যন্ত্র হচ্ছে যে, শুধুমাত্র চামড়া কাঁচামাল হিসেবে রফতানি করা। অথচ সরকার একটু সহযোগিতা করলেই এদেশেই
গড়ে উঠতে পারে বিশ্বমানের চামড়াজাত দ্রব্যাদির কারখানা। কিন্তু সামান্য পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ও মহল
বিশেষের ষড়যন্ত্রের কারণে বহু সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এদেশে এখনও পর্যন্ত শুধু চামড়াই
প্রক্রিয়াধীন করে ব্যাপকহারে রফতানি করা হয়, চামড়াজাত পণ্য নয়।
দেশের চামড়া
শিল্পকে রক্ষা করতে হলে ঈদের সময়ে সীমান্ত সীলগালা করে দিতে হবে যাতে চামড়া পাচার না
হয়।
ঈদের ছুটি বাড়াতে হবে
২০১৭ সালে রোজার
ঈদের সময় সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ২৪০টি দুর্ঘটনায় ৩১১ জন মারা গেছেন বলে যাত্রী কল্যাণ সমিতির
হিসাব।এসকল মৃত্যুর
কি কারন ?
মাত্র ৩ দিন
ঈদের ছুটি দেওয়াই যার মুল কারন।ঈদের ছুটি যদি কমপক্ষে ১০ দিন দিত তাহলে মানুষকে তাড়াহুড়ো করে বাড়িও যেতে হতনা , আবার আসতে তাড়াহুড়ো করতে
হতোনা। ঈদের ছুটির সংখ্যা বাড়ালে
মানুষ ধিরস্থীরে বাড়ি যেত পারত। আনন্দের সাথে
ঈদ করে আবার ফিরে আসত।মানুষের জীবন
এবং ঈদ আনন্দ উপভোগ করার স্বার্থে সরকারকে অবশ্যই ঈদের ছুটি কমপক্ষে ১০ দিন দিতে হবে।