যার মাধ্যমে
মুসলমান উনাদের চরিত্র নষ্ট এবং সংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকিয়ে রাখার নীল নকশা বাস্তবায়ন করার
অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
ইহুদী প্রচার
মাধ্যমগুলোর কারণে মুসলিম বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি সমস্যা নিয়ে
চিন্তিত। ইহুদীরা এ বিষয়টি জনসংখ্যা
বিস্ফোরণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে এবং বলা চলে তা প্রায় প্রতিষ্ঠিত করিয়েছে।
প্রচারণা চালানো
হয়, বাংলাদেশের
মোট আয়তন এক লাখ ৪৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ভূমির পরিমাণ এক লাখ ৩৩ হাজার
৯১০ বর্গকিলোমিটার। বাকি জায়গা নদ-নদী ও পানিয়াশয়। ভূমির মধ্যে আবার শতকরা ৬৭ ভাগ চাষযোগ্য, ১৬ ভাগ বনাঞ্চল,
৪ ভাগ তৃণভূমি এবং ২ ভাগ স্থায়ী শস্য উৎপাদন ক্ষেত্র।এত মানুষের জন্য এত কম জায়গা নাকি সমস্যা!
কিন্তু বর্তমানে
বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে যে দেশের ভূ-ভাগ বাড়ছে সে তথ্য একবারও উচ্চারণ করা হয়না। পাশাপাশি বিশেষভাবে একেবারেই বলা হয়না
যে, আনুপাতিক
হারে বাংলাদেশের ভূমি শুধু উর্বরই নয় বরং বসবাসের যোগ্য। যার কারণেই আজ বাংলাদেশ –
১. বিশ্বে চতুর্থ চাল উৎপাদনকারী
দেশ
২. সবজি উৎপাদনে তৃতীয়ঃ রফতানি
৫০ দেশে
৩. বিশ্বে মাছ উৎপাদনে ৪র্থ
৪. আলু উৎপাদনে ৮ম
৫. আম উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম
৬. ছাগল উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ
৭. তৈরী পোষাক শিল্পে দ্বিতীয়
৮. ১৩২ টি দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশের
ওষুধ
রাশিয়া, চীন, ভারত,আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া,
কানাডা ইতোমধ্যে বিশাল বিশাল মরুভূমি, বনজঙ্গল
যেমন রয়েছে তেমনি তাদের ভূমি এত উর্বরও নয়।সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে হিসাব দেখানো
হয় তা যথার্থ নয়।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য
যে, শুধু ইউরোপ
, আমেরিকাতেই নয় বরং জনসংখ্যাবিদদের মতে আগামী পঞ্চাশ বছরে এশিয়ায় জাপানের
জনসংখ্যা অর্ধেক কমে যাবে। কারণ সে সকল
দেশে জন্মহার কমছে, অন্যদিকে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়ছে। যার কারনে কাফির-মুশরিকদের দেশসমুহ অধিক
সন্তান জন্মদানের জন্য নানাবিধ পুরষ্কার ঘোষণা করছে। যেমন-
১. বিনামূল্যে জমি বিতরণ
করছে কানাডা সরকার!
২. জনসংখ্যা বাড়াতে সিঙ্গাপুরে
মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে
৩.হিন্দু জনসংখ্যা বাড়াতে
১০ সন্তান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে উগ্র হিন্দ্বুত্ববাদী দল
৪. সার্বিয়ায় জনসংখ্যা বাড়াতে
ভালোবাসার ডোজ নামক কর্মসুচি হাতে নেওয়া হয়েছে
৫. জনসংখ্যা বাড়াতে জাপান
সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে
৬. ডেনমার্কে জনসংখ্যা বাড়াতে
সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা!
৭. জনসংখ্যা বাড়াতে রাশিয়ার
পরিবারগুলোর প্রতি প্রেসিডেন্ট পুতিনঃ কমপক্ষে ৩টি শিশু নিন
৮. ফিনল্যান্ডে জনসংখ্যা
বাড়াতে বেবি বোনাস ঘোষনা
৯. জনসংখ্যা বাড়াতে স্পেন
সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে
১০.জনগনকে খরগোশের মতো সন্তান
জন্মদানের আহবান পোল্যান্ড সরকারের!
১১. মিজোরামে ৪ টি করে সন্তান জন্ম দিতে
চার্চের আহবান
এই যখন প্রকৃত
অবস্থা তখন এদেশে তথা মুসলিম বিশ্বে এখনও বেশ কিছু কথাকথিত দ্বীনী ও দুনিয়াবী শিক্ষিত
লোক জন্ম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে বলে থাকে।
আর বিভিন্ন প্রচার
মাধ্যমেও এর প্রয়োজনীয়তা ঢালাওভাবে প্রচার করে জনগণকে এর প্রতি উদ্বুদ্ধও করা হয়ে থাকে। মূলত জন্ম নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে- একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত,
যার মাধ্যমে মুসলমানদের চরিত্র নষ্ট করার তথা মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি
ঠেকিয়ে তাদের সংখ্যা হ্রাস করার একটি নীল নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। অথচ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “তোমরা এমন মেয়ে বিয়ে কর যাদের সন্তান অধিক
হয়। কেননা, ক্বিয়ামতের ময়দানে আমার উম্মাহর আধিক্য
দ্বারা আমি অন্যান্য নবী আলাইহিমুস সালামগণের মাঝে ফখর করব।” সুবহানাল্লাহ!
প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী
ইবনে খালদুনের মতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য মূলত জনসংখ্যা
মানব সম্পদ। কাজেই এর হ্রাস নয় বরং যথাযথ
প্রয়োগের মাধ্যমেই মুসলমান উনাদের দ্বীন ও দুনিয়ার উন্নতি সম্ভব। তাই ইহুদীরা নিজেদের সংখ্যা হ্রাসের ভয়ে
তথা মুসলমান উনাদের উন্নতি রোধকল্পে মুসলমান উনাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে ঠেকিয়ে রাখতে
চায়। অতএব, মুসলমান সাবধান হোন, সচেতন হোন।জন্মনিয়ন্ত্রণ নয়, অধিক সন্তান কামনা করুন।
বিশ্বের অনেক অমুসলিম দেশে অল্প বয়সে বিয়ে অনুমোদিত
কাফির- মুশরিকেরা মুসলিম দেশসমুহে
জনসংখ্যা বৃদ্ধি কারন হিসেবে বাল্য বিবাহকে দায়ী করে। সে জন্য তারা বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে নানাবিধ
ষড়যন্ত্র করে। মসলিম দেশসমুহে গোমরাহ শাসকগোষ্ঠি
কতৃক কুফরি বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন প্রতিষ্ঠিত করে। অথচ কাফির – মুশরিকদের দেশে বাল্য বিবাহ
আইনত বৈধ করেছে।
১ ) যুক্তরাজ্য
স্কটল্যান্ডে
বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ বছর এবং অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। ২০০৫ সালের অনুসন্ধান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ১৫-১৯ বছর বয়সী ৪.১% নারী বিবাহ ছাড়া
সম্পর্কে আবদ্ধ, যার মধ্যে ৮.৯%
নারী স্বীকার করেছে তারা ১৮ বছরের পূর্বেই এধরণের সম্পর্কে অবদ্ধ।
২) যুক্তরাষ্ট্র
২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের
সরকারী সংস্থা জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৫-১৭ বছর বয়সী ২.১% নারী বাল্যবিবাহ
হয়। ১৫-১৯ বছরের ৭.৬% নারী বিবাহ বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত। ১৬ বা তার ঊর্ধ্বে অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে
এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করা যায়। রাজ্যভেদে ১২ বছর ও অনুমোদিত
৩) কানাডা
২০১৫ সাল থেকে
কানাডায় বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ বছর।
৪) লাতিন আমেরিকা
লাতিন আমেরিকা
ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে বালেবিবাহ খুব সাধারণ। প্রায় ২৯% নারী ১৮ বছরের পূর্বেই
বিবাহিত। গুয়াতেমালায় স্থানীয় মায়ান
সম্প্রদায়ে বাল্যবিবাহের হার বেশি। ১৫ বছরের পূর্বে
বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সংখ্যার দিক দিয়ে ব্রাজিল বিশ্বে চতুর্থ।
৫) এছাড়াও অন্যান্য দেশে
১৬ বছর এমনকি ১৬ বছরের নীচেও বিয়ে অনুমোদিতঃ
অস্ট্রেলিয়ায়
১৬ বছর , অষ্ট্রিয়া
১৬ বছর, এন্ডোরা
১৪ বছর, এঙ্গোলা ১৫ বছর, এন্টিগুয়া
এন্ড বারবুডা ১৫ বছর , বেলারুশ ১৪ বছর , বেলিজ ১৬ বছর , বলিভিয়া ১৪ বছর , বুলগেরিয়া ১৬ বছর , ক্যামেরন ১৫ বছর, চিলি ১৬ বছর , কলম্বিয়া ১২ বছর , কোস্টারিকা ১৫ বছর , কিউবা ১৪ বছর , সাইপ্রাস ১৬ বছর , চেক রিপাবলিক ১৬ বছর , কঙ্গো ১৫ বছর , ডমিনিকা ১৬ বছর , ইকুয়েডর ১২ বছর , এল সালভাদর ১৪ বছর , এস্তোনিয়া ১৫ বছর , ফিজি ১৬ বছর, গ্যাবন ১৫ বছর , জর্জিয়া
১৬ বছর , জার্মানী ১৬ বছর , গুয়েতেমালা
১৪ বছর , গুয়ানা ১৬ বছর , হন্ডুরাস ১৬ বছর
, হাঙ্গেরি ১৬ বছর , আয়ারল্যান্ড ১৬ বছর
, ইতালী ১৬ বছর , জ্যামাইকা ১৬ বছর , জাপান
১৬ বছর, কিরিবাতি ১৬ বছর , কসোভা ১৬ বছর
, লাওস ১৫ বছর , লাটভিয়া ১৬ বছর , লিথুনিয়া ১৫ বছর , লুক্সেম্বার্গ ১৬ বছর , মেসোডেনিয়া ১৬ বছর , মার্শাল আইল্যান্ড ১৬ বছর
, মেক্সিকো ১৪ বছর , মালডোবা ১৬ বছর , মন্টিনোগ্রো ১৬ বছর , নেদারল্যান্ড ১৬ বছর, নিউজিল্যান্ড ১৬ বছর , নিকারাগুয়া ১৪ বছর , নরওয়ে ১৬ বছর , পানামা ১৪ বছর , পাপুয়া নিউগিনিয়া ১৪ বছর , প্যারাগুয়ে ১৪ বছর
, পেরু ১৬ বছর , পর্তুগাল ১৬ বছর , রোমানিয়া ১৫ বছর , সেন্ট লুসিয়া ১৬ বছর , সান মারিনো ১৬ বছর , সাওটোপ এন্ড প্রিঞ্চিপ ১৪ বছর , সিসিলি
১৫ বছর, সার্বিয়া ১৬ বছর , স্লোভাকিয়া ১৬
বছর, স্লোভেনিয়া ১৫ বছর , সলোমন আইল্যান্ড
১৪ বছর , সাউথ আফ্রিকা ১৫ বছর , দক্ষিন কোরিয়া ১৬ বছর, স্পেন ১৬ বছর , শ্রীলংকা ১৬ বছর, সুরিনেম ১৫ বছর , তাইওয়ান ১৬ বছর , টোগো ১৬ বছর , ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো ১২ বছর
, ইউক্রেন ১৬ বছর , উরুগুয়ে ১২ বছর , ভেনেযুয়েলা ১৪ বছর, রাশিয়া ১৬ বছর
যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি অঙ্গরাজ্যে বাল্য বিয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমাও নির্ধারণ করা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের
২৫টি অঙ্গরাজ্যে বাল্য বিয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমাও নির্ধারণ করা নেই।
আমেরিকাতেও গণহারে
বাল্যবিবাহ হয়
যুক্তরাষ্ট্রে
বাল্যবিবাহে কোনো আইনি বাধা নেই। তবে প্রায় প্রতিটি
অঙ্গরাজ্যই ১৮ বছরের কম বয়সীদের বিয়ে না করার পরামর্শ দেয়। ৩৮টি অঙ্গরাজ্যে বিচারকের অনুমতি নিয়ে
বিয়ে করতে পারে। ৩৪টি অঙ্গরাজ্যে ১৬ থেকে ১৭
বছর বয়সীরা অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে বিয়ে করতে পারে। ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারে বিচারিক
ও অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে ১২ ও ১৩ বছরের মেয়ে ও ১৪ বছরের ছেলের বিয়ে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে
বাল্যবিবাহের ঘটনা বাড়ছে। আনচেইনড তাদের এক যুগান্তকারী
গবেষণায় দেখেছে, ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ শিশুর বাল্যবিবাহ হয়েছে। তাদের বয়স ১২। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বরের বয়স অনেক
বেশি।
সিবিএস নিউজ
পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে ৫৭ হাজার ৪০০ অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির
বিয়ে হয়েছে। সেনসাস ব্যুরো’স আমেরিকান সার্ভের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পিউ
রিসার্চ সেন্টার।
তবে বাল্যবিবাহের
এ ঘটনা বেশি ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও টেক্সাসে। ২০১৪ সালের হিসাবে দেখা যায়, প্রতি এক হাজারের মধ্যে সাতজন বিবাহিত। তাদের বয়স ১৫ থেকে ১৭। এমনকি ওকলাহামা, আরকানাস, টেনিসি, নর্থ ক্যারোলাইনা, নেভাদা,
ক্যালিফোর্নিয়াসহ দক্ষিণ ও পশ্চিমের অঙ্গরাজ্যগুলোতেও বাল্যবিবাহ বেশি
হয়। ফ্লোরিডায় বিচারক বয়স বিবেচনায়
না নিয়ে বিয়ের লাইসেন্স দিতে পারে, যদি আবেদনকারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে থাকে।
এমনকি অভিবাসী
ও নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যও বাল্যবিবাহ হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসাবে, নিউইয়র্কে ২০০১ থেকে ২০১০
সাল পর্যন্ত ১৮ বছরের কম বয়সের ৩ হাজার ৮৫০ শিশুর বিয়ে হয়।
ইউরোপ-আমেরিকার বহু দেশেই ১৮ বছরের নীচে বিয়ে দেয়া ও করা সম্পুর্ণ বৈধ
তথাকথিত বুদ্ধিজীবী
সমাজ নারীবাদী তথা প্রগতিবাদীদের দৃষ্টিতে ১৮ বছরের আগে কেউ বিচার, বুদ্ধি-বিবেচনাবোধসম্পন্ন হতে পারে না। অথচ নারীবাদীদের পৃষ্ঠপোষক ইউরোপ-আমেরিকার বহু দেশেই ১৮
বছরের নীচে বিয়ে দেয়া ও করা সম্পুর্ণ বৈধ এবং তারা বিচার, বুদ্ধি-বিবেচনাবোধসম্পন্ন হিসেবে স্বীকৃত। এক্ষেত্রে তারা আপত্তি জানাতে ব্যর্থ।
১) অস্ট্রিয়ায় মেয়েদের বিয়ের
সর্বনিন্ম বয়স ১৮, কিন্তু কোর্টের অনুমতিতে ১৬ বছর বয়সেও বিয়ে
হতে পারে।
২) বেলজিয়ামে আদালতের অনুমতিতে
১৮ বছর বয়সের কমে বিয়ে হতে পারে।
৩) বুলগেরিয়ায় আদালতের অনুমতিতে
১৬ বছর বয়সে বিয়ে হতে পারে।
৪) ডেনমার্কে রাজার অনুমতিতে
১৫ বছর বয়সেও বিয়ে হতে পারে।
৫) ফ্রান্সে পিতা-মাতা ও আদালতের সম্মতিতে ১৮ বছরের নীচে বিয়ে হতে পারে।
৬) জার্মানিতে আদালত ও পিতা-মাতার ইচ্ছায় ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হতে পারে।
৭) ইটালিতে আদালতের অনুমতিতে
১৬ বছর বয়সে বিয়ে হতে পারে। অনুরূপভাবে নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, রাশিয়া এবং ইংল্যান্ডে মেয়েরা ১৬ বছর বয়সে
বিয়ে করতে পারে।
কানাডায় কোর্টের
অনুমতিতে ১৫ বছর বয়সে মেয়েরা বিয়ে করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারে। আমেরিকায় বহু স্টেটে মেয়েরা কোর্টের অনুমতি
নিয়ে কমবয়সে বিয়ে করতে পারে।
নারীবাদীদের
পৃষ্ঠপোষক দেশগুলো ১৬ বা ১৮ বছর বয়সের নীচে বিবাহকেই অনুমতি দিচ্ছে না বরং অবৈধ কুমারী
মাতাকেও স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাদের অবৈধ সন্তানের ভরণ-পোষণও করছে।
ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক
গবেষণা সংস্থা ‘চাইল্ড ট্রেন্ড’র সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ জরিপ অনুযায়ী নারীবাদীদের
পৃষ্ঠপোষক আমেরিকায় ২০০৯ সালে কুমারী মায়ের সংখ্যা ছিল ৪১ শতাংশ।
গত ৫ দশকে অনূর্ধ্ব
৩০ বছর বয়সী কুমারী মায়ের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। তাছাড়া ইউএস সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল
অ্যান্ড প্রিভেনশনের সমীক্ষা অনুযায়ী আমেরিকায় প্রতি সপ্তাহে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায়
১ হাজার ৭০০ কিশোরী মা হচ্ছে।
সেন্টার ফর সোশ্যাল
জাস্টিজের (সিএসজে) গবেষণায় দেখা গেছে ব্রিটেনে, ৪৬ শতাংশ শিশু জন্ম নেয় কুমারী মায়ের গর্ভে। অথচ এসব দেশের বির”দ্ধে তথাকথিত নারীবাদীদের প্রতিবাদ নেই। কুমারী মাতা নামক এসব অবৈধ সর্ম্পকের প্রতিকারে
জাতিসংঘে তাদের কোন আবেদন নিবেদনও নেই। বরং বাংলাদেশের
মতো মুসলমান দেশগুলোতেই তাদের সব অপতৎপরতা।
ধর্মীয় দোহাই দিয়ে আমেরিকা জন্মনিয়ন্ত্রন
সেবা ফ্রি দেওয়া বন্ধ হলে বাংলাদেশে কেন চালু করবে ?
কর্মীদের বিনামূল্যে
জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা দিতে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়ে নতুন নির্দেশ
জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার।
নতুন নির্দেশে
বলা হয়েছে, যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা দিতে গিয়ে তাদের ‘ধর্মীয়’ কিংবা ‘নৈতিক বিশ্বাস ভঙ্গ’ হয় তাহলে নিয়োগকারী
প্রতিষ্ঠান ও বীমা কর্মীরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে।
হোয়াইট হাউজের
দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ট্রাম্প পূর্বসূরীর আদেশটি বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তার ধারাবাহিকতাতেই নিয়োগকারী ও বীমা কোম্পানিগুলোর
জন্য ‘নৈতিক ছাড়ের’ সুযোগ রেখে নতুন নির্দেশটি
জারি করা হল।
নিয়ম বদলানোর
ঘোষণা দেওয়ার সময় এইচএইচএসের কর্মকর্তারা একটি গবেষণার দাবি করা তথ্য-উপাত্ত টেনে বলে,
বিনামূল্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সেবা ও গর্ভনিরোধক সামগ্রী `ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণ’ উৎসাহিত করছে।
ডেমোক্রেটদের
সমর্থন না পেলেও ধর্মীয় গোষ্ঠী ও রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা নতুন এই নির্দেশে উল্লাস জানিয়েছে।
হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের
স্পিকার ও প্রভাবশালী রিপাবলিকান পল রায়ান নতুন এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, “এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য মাইলফলক দিন।”
হোয়াইট হাউজ
প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হুকাবে স্যান্ডার্স বলে, নিজ বিশ্বাসে অটল থেকে ধর্মচর্চার স্বাধীনতা
এদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমরা প্রত্যেকেই
এটা বিশ্বাস করি। তাই এ অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে
কাজ করে যাওয়া আমাদের সরকারের কর্তব্য যা ট্রাম্প করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই”।
দেখা যাচ্ছে
কাফিরের দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রন সেবা তারা ফ্রি দেওয়া বন্ধ করছে ধর্মীয় কারন দেখিয়ে। তাহলে মুসলিম দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রন হারাম
ঘোষনা দেওয়ার পরেও জারি থাকে কি করে ?