গরুর শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে পুশ করা হচ্ছে বিষ। এন.সি-২৭৮
গরুর শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে পুশ করা হচ্ছে বিষ
Image result for মরুভূমি
ছবি দেখলেই ভয় পেয়ে যাবেন,
গরুর শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে পুশ করা হচ্ছে বিষ
এই গরুর মাংশ যে খাবে, তার জীবন শেষ।
কোরবানীর ঈদ আসলেই মিডিয়া ভরে যায় এসব গুজবে,
পদ্মা সেতুতে ১ লক্ষ মাথা লাগার গুজব থেকে এই গুজব কিন্তু কম কিছু নয়।
ছবিতে উল্লেখিত সংবাদটা বাংলানিউজ২৪ এ এসেছে, ৭ই জুলাই। ছবি বলে দিচ্ছে কোন হাটের ছবি, যদিও এখন দেশে কোথাও কোরবাণীর হাট বসেনি, তাহলেই এই ছবি দিয়ে ভয় বৃদ্ধির মানেটা কি ?
খবরের ভেতরে পড়ে দেখুন- গরুকে নাকি মোটাতাজা করা হচ্ছে- ডেক্সামেথাসন, বেটামেথাসন ও পেরিঅ্যাকটিন ওষুধ দিয়ে। প্রথম দুটো ওষুধ হচ্ছে করটিকোস্টেরয়েড গ্রুপের হরমোন। আর তৃতীয়টা এলার্জি সমস্যায় দেয়, কেউ কেউ গরুর রুচি বৃদ্ধিতে এটা ব্যবহার করে। (https://bit.ly/2XPGfNo)

ড আজিজ সিদ্দিকী নামক ভেটেরিনারি ডাক্তার, যিনি আমেরিকা থেকে পিএইচডি ডিগ্রি করে আসছেন, তিনি vetsbd.com তিনটি আর্টিকেল লিখেছিলেন। সেখানে তিনি ডেক্সামেথাসন, বেটামেথাসন অর্থাৎ করটিকোস্টেরয়েড গ্রুপের ওষুধগুলো নিয়ে বলেছিলেন, আসুন সে লেখাগুলোর বিশেষ অংশটুকু পড়ি-
“ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে। ঢাকা শহরের হাটগুলো ক্রমেই জমে উঠছে। ব্যাপারীরা গাদাগাদি ঠাসাঠাসি ভাবে ট্রাক ভর্তি হাজার হাজার কোরবানীর গরু নিয়ে ঢাকা শহরমুখী হচ্ছে । প্রায় প্রতিদিনই পত্রপত্রিকায় কোরবানীর গরু মোটাতাজাকরন প্রক্রিয়া সম্ভন্ধীয় রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে । রিপোর্ট গুলোর মুল বক্তব্যে ঘুরেফিরে আসছে স্টেরয়েড হরমোনের অপব্যবহার। বিভিন্ন বাণিজ্যিক নামে ডেক্সামেথাসন নামের স্টেরয়েডের কথাই শোনা যাচ্ছে বেশী। আজকে স্টেরয়েড যেন একটি আতঙ্ক, একটি ভীতির নাম। পত্রপত্রিকার রিপোর্টের ফলে জনমনে এক ধরনের আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে যে, মোটাতাজা এই সব কোরবানীর গরুর মাংশ কতটুকু নিরাপদ?
কোরবানীর গরুগুলো দুই ধরনের হয়, দেশীয় ও ভারতীয়। ভারতীয় গরু তুলনামুলকভাবে সস্তা। কোরবানীর হাটে বিক্রি না হলে এগুলোর আর ফিরে যাওয়ার উপায় নেই তাই বাজারে প্রতিযোগিতাও প্রবল। এগুলো চেনার জন্য যদিও বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই তবে এদের চিনতে পারাটা সবার জন্যই ভালো। কারণ সত্যিকারের স্টেরয়েড সমস্যা ভারতীয় গরুতেই বেশী। …….গরু মোটাতাজাকরনে ডেক্সামেথাসনের কোন ভূমিকা নেই তবে মোটাতাজাকরন কালীন সময়ে মূলত যেসব গরু দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অর্থাৎ সীমান্তের ওপার হতে আসে সেসব গরুতে কিছু মেডিকেল অবস্থার সৃষ্টি হয় বা হতে পারে। প্রাণীস্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা উভয় বিচারে জবাইপূর্ব ঐসব গরুতে ডেক্সামেথাসন ব্যবহার অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ে। ডেক্সামেথাসনের এই ব্যব হার মোটাতাজাকরন সম্পর্কিত নয় এটি চিকিৎসা সম্পর্কিত। ডেক্সামেথাসন একটি প্রেসক্রিপশন ড্রাগ অর্থাৎ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ব্যতীত এর ক্রয়বিক্রয় ও ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশের ফার্মেসিগুলোতে গিয়ে যে কেউ এটি কিনতে পারেন। ফলে অবৈধ উপায়েও ডেক্সামেথাসন ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে শতকরা কতভাগ কোরবানীর গরুতে এর ব্যবহার হচ্ছে তার কোন পরিসংখ্যান জানা নেই। আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় ভারতীয় গরুগুলোতেই এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশী। অর্থাৎ ডেক্সামেথাসন ব্যবহারের শুরুটা সীমান্তের ওপার হতেই শুরু হয়। এই শুরুটা প্রধানত কোরবানীর গরু পরিবহন পরিস্থতির সাথে সম্পর্ক যুক্ত।
(বিস্তারিত পড়তে পারেন-
ক) কোরবানীর মোটাতাজা গরু ও স্টেরয়েড নিয়ে গন-আতঙ্ক (১)
(https://bit.ly/2JxRYfJ)
খ) কোরবানীর মোটাতাজা গরু ও স্টেরয়েড নিয়ে গন-আতঙ্ক (২)
(https://bit.ly/2LmgEtU)
গ) কোরবানীর মোটাতাজা গরু ও স্টেরয়েড নিয়ে গন-আতঙ্ক (৩)
(https://bit.ly/2XLiJWX)
এখানে বোঝার বিষয় -
১. ডেক্সামেথাসন, বেটামেথাসন টাইপের ওষুধগুলো সে সকল গরুর প্রয়োজন হয়, যেসব গরু দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আসে। বাংলাদেশের গরুর এ ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ভারত থেকে যেসব গরু আসে, সেগুলো সুদূর রাজস্থান, হরিয়ানা প্রদেশ থেকে আসে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে। এ কারণে এসব গরুকে এ ধরনের হরমোন প্রচুর পরিমাণে পুশ করতে হয়। এজন্য দেখবেন, কোরবানীর আগে সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে এসব ওষুধ প্রচুর পরিমাণে প্রবেশ করে, এগুলোও সেই ভারত থেকে আসা গরুগুলোকে কোরবানী পর্যন্ত পুশ করার জন্য। তাই ডেক্সামেথাসন, বেটামেথাসন সমস্যা যদি থাকে, তবে সেটা ভারতীয় গরুতে থাকবে, বাংলাদেশী গরুতে না।
২. ডেক্সামেথাসন, বেটামেথাসন ও পেরিঅ্যাকটিন ওষুধ দিয়ে কেউ তাৎক্ষণিক গরুর কিডনী অকেজো করে শরীরে পানি জমিয়ে গরুকে মোটাতাজা দেখাতে পারে কেউ কেউ। কিন্তু সেটার সম্ভবনাও খুব কম, কারণ সেটা খুবই রিস্কি একটা কাজ। গরুর এক্ষেত্রে মারা যাওয়ার সম্ভবনা বেশি। দেশী গরু যেহেতু দেশে রেখে দেয়া যায়, তাই খামারি বা ব্যবসায়ীদের এ ধরনের রিক্সে যাওয়ার সম্ভবনা নেই। কিন্তু ভারতীয় গরুরগুলোর যেহেতু ফিরে যাওয়ার সম্ভবনা নাই, এবং দীর্ঘরাস্তা পাড়ি দেয়ার কারবে সেগুলোর অবস্থা এমনিতেই খারাপ থাকে, তাই তাৎক্ষনিকভাবে গরুকে মোটা তাজা দেখাতে গরুর লাইফ রিক্সের মধ্যে যদি ফেলা হয়, তবে সেটা ভারতীয় গরুতেই হবে, দেশী গরুতে নয়।
৩. ডেইরি ও পোলট্রির মত গরু মোটাতাজাকরন বা বীফ ফেটেনিং প্রাণীজ কৃষির একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য বিশ্বের সকল দেশেই বীফ ফেটেনিং করা হয়। তবে আমাদের দেশে মূলতঃ কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে এই কর্মযজ্ঞটি সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। কোরবানীর ঈদের ৩-৪ মাস আগে থেকে অর্থাৎ রোজার মাস থেকেই শুরু হয় গরু মোটাতাজাকরন প্রক্রিয়া। সারাদেশে অজস্র ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী ভাইয়েরা এই সময়ে কোরবানী উপযোগী গরুগুলোকে প্রচুর পরিমাণে খাইয়ে নাদুসনুদুস করে তুলেন। একটু লাভের আশায় কৃষক ভাইয়েরা বিগত ৩-৪ মাস কখনো কখনো ধার দেনা করে প্রতিটি গরুর পিছনে হাজার হাজার টাকা ব্যয় করেছেন আর অক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন এগুলোকে তরতাজা, মাংসল আর আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য। কিন্তু কিছু কিছু অসাধু মিডিয়া সেই সব খামারিদের কাছে ঈদের সেলামি চাইতে গেলে তারা হয়ত কখন কখন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আর তখনই ঘটে ঘটনা। রাগ ঝেড়ে মিডিয়া কর্মীরা দেশী গরু মোটা করতে ডেক্সামেথাসন, বেটামেথাসন ওষুধ ব্যবহার করছে বলে খবর রটিয়ে দেয়, যদিও মিডিয়া কর্মীরা নিজেরাই জানে না, এসব ওষুধের প্রকৃত ব্যবহার কোথায় ।
মিডিয়ায় এসব ভুল নিউজের কারণে বিশুদ্ধ মানে দেশী গরু সম্পর্কে জনমণে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, আর যে সব ভারতীয় গরুতে আসলেই ‘ডেক্সামেথাসন, বেটামেথাসন’ ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তা আড়ালে থেকে যায়। অথচ প্রকৃত সত্যটা অর্থাৎ ভারতীয় গরুতে এসব ওষুধ ব্যবহারের খবর কোন মিডিয়া বিশেষ কারণে প্রকাশ করে না।
স্বৈরাচার খুব খারাপ শব্দ, গণতন্ত্র খুব ভালো শব্দ । এন.সি-২৭৭
স্বৈরাচার খুব খারাপ শব্দ, গণতন্ত্র খুব ভালো শব্দ
Image result for মরুভূমি
স্বৈরাচার খুব খারাপ শব্দ, গণতন্ত্র খুব ভালো শব্দ
জঙ্গী-সন্ত্রাসী খুব খারাপ শব্দ, ‘মানসিক অসুস্থ’ খুব ভালো শব্দ
বিষমকামী খুব খারাপ শব্দ, সমপ্রেমী খুব সুন্দর শব্দ
বাল্যবিয়ে খুব খারাপ শব্দ, জিএফ-বিএফ খুব ভালো শব্দ
‘পর্দা’ বা ‘আবদ্ধ’ খুব খারাপ শব্দ, কিন্তু নারী স্বাধীনতা খুব সুন্দর শব্দ।
মানুষ মনস্ত্বাতিকভাবে শব্দের ধোকায় পড়ে
অধিকাংশ মানুষ শব্দ চয়ন দেখেই ভালো-মন্দ বিচার করে নেয়, শব্দের ভেতরে ঢুকতে চায় না।
অথচ সেই খারাপ শব্দের আড়ালে যে কেউ তাকে মন্দ জিনিস দিতে পারে, এটা সে বুঝতে পারে না।
সম্রাজ্যবাদীরা মানুষের এই মনস্তত্ব নিয়ে খেলে,
সুন্দর সুন্দর শব্দ দিয়ে তাদের স্বার্থের পক্ষে প্রচার চালায়,
আর তার স্বার্থ বিরুদ্ধে জিনিসগুলোকে খারাপ শব্দ দিয়ে প্রচার করে।
এতে সাইকোলোজিক্যালি ঐ মানুষটি সম্রাজ্যবাদীদের পক্ষে চলে আসে আর নিজ স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে চায়।
একটা বৃহৎগোষ্ঠীকে কন্ট্রোল করার এর থেকে আর ভালো কোন সিস্টেম থাকতে পারে না।
অর্থাৎ আগে যেমন অস্ত্র দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হতো, এখন নিয়ন্ত্রণ করা হয় বিশ্বাস বা বিলিভ দিয়ে।
মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, এইসব চটকদার শব্দ, আর সেই শব্দের পেছনে ছুটতে থাকে সে।
যদিও এইসব চটকদার শব্দের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, সম্রাজ্যবাদীদের বিভিন্ন স্বার্থ।
আজকে এরশাদ মারা গেছে, এরশাদের উপাধি ছিলো ‘স্বৈরাচার’।(মিশরের সিসিকে কিন্তু স্বৈরাচার উপাধি দেয়া হয় না)
কিন্তু কেন তাকে সেই উপাধি পেতে হয়েছিলো ?
কারণ- সে যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক,
ক্ষমতায় আসার পর সম্রাজ্যবাদীদের কথা ঠিকমত শুনছিলো না।
সে নিজেই হয়ত দুর্নীতি করেছে, কিন্তু সেই দুর্নীতিতে সম্রাজ্যবাদীদের ভাগ দেয়নি।
এটাই তার অপরাধ। আর এ কারণে তাকে উপাধি দেয়া হয় স্বৈরাচার।
আন্তর্জাতিক সব ব্লকের দেশীয় রাজনৈতিক দলগুলো সব একযোট যায় তাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য। ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ভরা হয় জেলে। জেল খেটে বের হলেও কেউ তাকে আর বিশ্বাস করেনি কেউ, এমনকি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও দেয়া হয়নি। কারণ একবার ক্ষমতা পেলে যদি আগের মত করে বসে, এই ভয়ে।
এরশাদের মত অনেকেই ক্ষমতা আকড়ে থাকে, দুর্নীতি করে, নারীঘটিত আরো অনেক কিছুই করে,
কিন্তু সাথে বিদেশী ব্লকের স্বার্থও দেখে, তাই তাদেরকে ‘স্বৈরাচারি’ বলে গালি শুনতে হয় না। সবার একযোগে বিরোধীতাও পোহাতে হয় না।
এরশাদের মৃত্যুতে এ বিষয়টি আলোচনা করছি, কারণে এখানে জনগণের অনেক কিছু শেখার আছে।
কোনটা দেশের স্বার্থ, কোনটা বিদেশের স্বার্থ, এগুলো বোঝার দরকার ।
মিডিয়া কোনটাকে ভালো বলছে, কোনটা খারাপ করছে,
কোনটা কার স্বার্থে বলছে, এগুলো যাচাই করার দরকার।
শুধু শব্দ শুনলেই যেন লাফ না দেয়, কারণ মিডিয়ার পেছনে আছে সম্রাজ্যবাদীরা,
কোন সুন্দরের আড়ালে বিষ, আর কোন মন্দের আড়ালে যে রত্ন লুকিয়ে আছে, সে নিজেও জানে না।
গতকালকে থেকে একটি মহল বেশ প্রচার চালাচ্ছে- এরশাদ নাকি ভারতের দালাল ছিলো। এন.সি-২৭৬
গতকালকে থেকে একটি মহল বেশ 
প্রচার চালাচ্ছে- এরশাদ নাকি ভারতের দালাল ছিলো।

Image result for মরুভূমি
গতকালকে থেকে একটি মহল বেশ প্রচার চালাচ্ছে- এরশাদ নাকি ভারতের দালাল ছিলো।
এক্ষেত্রে তারা প্রমাণ হিসেবে বলছে, ক্ষমতা দখলের আগে প্রতিটা পদক্ষেপ নিয়েই এরশাদ ভারতকে অবহিত করেছিলো।
আমি এ প্রমাণের সাথে দ্বিমত নই। তবে আমি গতকালকে একটা পোস্টে এই কথাটা পুরোটা বিস্তৃতি করেছি- “এরশাদ যে চ্যানেল মেইনটেইন করেই ক্ষমতায় আসুক, ক্ষমতায় আসার পর সম্রাজ্যবাদীদের কথা ঠিকমত শুনছিলো না। ... এজন্য আন্তর্জাতিক সব ব্লকের দেশীয় রাজনৈতিক দলগুলো সব একজোট হয়ে যায় তাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য।”
অর্থাৎ সে ক্ষমতায় আসার আগে অনেকের সাথে লিয়াজো করে আসতে পারে, কিন্তু চেয়ার পাওয়ার পর সে সব বিদেশীদের ভুলে নিজের মত করতে থাকে, সমস্যাটা হয় সেখানেই। বিশ্বের এরকম আরো বহু ইতিহাস আছে। তুরষ্কের এরদোয়ান, মিশরের মুরসি। এরাও মার্কিন লিয়াজো করে ক্ষমতায় এসেছিলো। কিন্তু ক্ষমতা পাওয়ার পর এরা বিদেশী চ্যানেলের সাথে পল্টি মারা শুরু করে। নিজস্ব সিস্টেম চালু করে। যার ফলশ্রুতিতে তাদের ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য উঠে পড়ে লেগে যায় মার্কিনপন্থীরা। এরশাদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই হয়েছে, সে ক্ষমতা কারো সাথে লিয়াজো করেই নিয়েছে, কিন্তু ক্ষমতা পাওয়ার পর আর তাদের কথা শুনেনি।
আসুন, কিছু পয়েন্ট দেখি-
১. আজকে যারা, এরশাদকে ভারতের দালাল বলেন, তারা তো শেখ হাসিনাকেও ভারতের দালাল বলেন। তাদের এন্যালাইসিস অনুসারে শেখ হাসিনা যদি ভারতের দালাল-ই হোন, তবে সে কেন এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলো ?
২. যারা বাংলাদেশে মুখে মুখে খুব এন্টি-ইন্ডিয়াইজম প্রকাশ করে, তাদের ভাষ্য বাংলাদেশে ভারতের র’ খুব শক্তিশালী অবস্থানে আছে। এরশাদ যদি ভারতের দালালই হয়, তবে জেলে থাকা এবং পরবর্তী বিভিন্ন রাজনৈতিক সঙ্কটের সময় ভারত তাকে কেন হেল্প করলো না? তাকে কেন নতুন করে ক্ষমতায় আনলো না ?
৩. মুখের কথায় নয়, একটা মানুষের কাজই প্রমাণ করে আসলে মানুষটি কেমন। ১৪ জুলাই, ২০১৯ বিবিসির প্রচারিত খবর বলছে, ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মুচকুন্দ দুবে বলছে, “এরশাদের আমলে সাঙ্ঘাতিক কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি না-হলেও বড় কোনও সঙ্কটও কিন্তু হয়নি।” তাহলে এত বছর ক্ষমতায় থেকে সে যদি ভারতের সাথে বড় কোন চূক্তি না করে, তবে সে কিভাবে ভারতের দালাল হয় ?
৪. বিবিসির খবর বলতেছে, “এরশাদের আগে জেনারেল জিয়াউর রহমানের আমলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে যে শীতলতা তৈরি হয়েছিল, সেটা এরশাদের সময় অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়।”
এ থেকে আমরা অনুমান করতে পারি, এরশাদের আগে মার্কিন-চাইনিজ ব্লক মেইনটেইন করা শাসক রুশব্লকের ভারত ও তাদের সমর্থকদের উপর খুব ধরপাকড় চালায়। এরশাদ হয়ত তাদের মার দিয়েছিলো। এটা হয়ত রুশব্লকের ভারতের জন্য সস্তিস্বরূপ ছিলো। এখানে সেটাই বলা হয়েছে, এর বেশিকিছু না।
৫. এরশাদের কিছু কিছু কার্যক্রম ভারতীয় পলিসির সাথে যায় না। বিশেষ করে,এরশাদ সংবিধান পরিবর্তন করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযুক্ত করে। ইন্ধিরাগান্ধী থেকে শুরু করে সব ভারতীয় শাসক বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরোধী। এখনও মাঝে মাঝে ভারত থেকে ডাক উঠে বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তনের জন্য। এরশাদ যদি সত্যিই ভারতের দালাল হতো, তবে এ কাজটা সে কখনই করতে পারতো না।
৬. আমরা এখনও বিকেন্দ্রীকরণ বিকেন্দ্রীকরণ করে চিল্লায়, কিন্তু আজ থেকে ৩০ বছর আগে এরশাদ বিকেন্দ্রীকরণের ধারণা দিয়েছে এবং সেটা করতে চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশকে অনেকগুলো প্রদেশে ভাগ করা এবং প্রত্যেক প্রদেশের আলাদা রাজধানী থাকা, এটা এরশাদের ধারণা। এটা হলে আজকে এক রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রীক এত বড় ঝামেলা হতো না। এছাড়া বিচারবিভাগীয় বিকেন্দ্রীকরণ ছিলো এরশাদের ইচ্ছা। আজকে যে আইনের শাসন বাস্তবায়িত হয় না, এর মূল কারণ কোর্টগুলোতে মামলার জট। বিচারবিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ হলে, এই সমস্যা গুলো হতো না্। ২০১৯ সালে এসেও আমরা দেখতে পাচ্ছি, সব উন্নয়ন ঢাকাকেন্দ্রীক হচ্ছে। এটা দেশকে শেষ করে দেয়ার নামান্তর, পুরো দেশ অর্থনৈতিকভাবে শূণ্য হয়ে যাচ্ছে। অথচ এরশাদ বলেছিলো ‘৬৮ হাজার গ্রাম বাচলে বাচবে দেশ’- অর্থাৎ গ্রামভিত্তিক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিয়েছিলো, যা এত বছর পরে এসেও অন্যান্যরা সম্পূর্ণ বিপরীত করে যাচ্ছে।
৭. গতটার্মে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসতে এরশাদকে বিরোধী দল হিসেবে ব্যবহার করেছে দেখে, অনেকে এরশাদকে ভারতীয় দালাল ভাবতে পারেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, পুরো বিষয়টি “বন্দুক বা মামলার নল ধরে” করা হয়েছে, এই একটা ঘটনা দিয়ে পুরো এরশাদকে যাচাই করা মোটেও ঠিক হবে না।
আমরা ধারণা, আজকে যারা এরশাদকে ভারতের দালাল বলে সাব্যস্ত করতে চায়, তারা মূলত কথিত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সংযুক্ত ছিলো। তখন স্বৈরাচার শব্দের মধ্যে যেমন তেজ ছিলো, এখন ভারতের দালাল শব্দযুগলের মধ্যে সেরকম তেজ আছে। তাই এরশাদকে যদি ভারতের দালাল বানানো যায়, তবে তাদের কথিত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সংযুক্ত থাকা এ জামানায় কিছু ফল নিয়ে আসতে পারে। আর যদি এরশাদ বাংলাদেশপন্থী হয়ে যায়, তবে তারা উল্টো দোষী সাব্যস্ত হয়।
আমি জানি, এ স্ট্যাটাস দেয়ার পর আমাকে অনেকে জাতীয় পার্টির লোক ভাবতে পারেন, সমস্যা নাই। কিন্তু আমি সত্যটা বলে যাবো। অন্তত মানুষের সত্য ইতিহাসটা জানা উচিত। ইতিহাস হচ্ছে অ্যানালাইসিসের জন্য পিলারের মত। পিলারে যদি মিথ্যা ভিত্তি থাকে, তবে আপনার অ্যানালাইসিস কখন ঠিক হবে না। তাই সত্য ইতিহাস জানা, সবার জানা জরুরী।
দেশের দুগ্ধ খামারিরা আজ কঠিন বিপদের সম্মুখীন। এন.সি-২৭৫
দেশের দুগ্ধ খামারিরা আজ কঠিন বিপদের সম্মুখীন

Image result for মরুভূমি
দেশের দুগ্ধ খামারিরা আজ কঠিন বিপদের সম্মুখীন
মুস্তাকিম বিল্লাহ রাজশাহী টুলটুলি পাড়ায় স্থানীয় একজন শিক্ষিত দুগ্ধ খামারি। বয়স যখন ১৫ তখন তার মা একটি গাভী দিয়ে এই দুগ্ধ খামারটি তৈরী করে। বেকার না থেকে নিজেকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে মায়ের ব্যবসার হাল ধরেন।
তার খামারে ৭ টি দুধের গরু আছে। সব মিলিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ লিটার দুধ বিক্রি করে নিজের ও পরিবারের দৈন্দিন খরচ মিটিয়ে থাকে।
আজকে কিছুক্ষন আগে ফোন করে জানালো সে তার খামারের দুধ বিক্রি করতে পারছেনা। যারা প্রতিদিন দুধ নিতো তাদের প্রায় অর্ধেকই দুধ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। একটি ছবি পাঠিয় বললো, ভাইয়া হোন্ডার পিছনে দুধ প্যাকেট করে বেধে বাসায় বাসায় ক্রেতাদের সাথে কথা বলতে হচ্ছে, বুঝাতে হচ্ছে। কিন্তু তারা টিভিতে পত্রিকাতে দুধের সমস্যা নিয়ে শোনার কারনে আমার দুধ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে৷ আমি অনেক করে বোঝানোর চেস্টা করছি যে এই দুধ সরাসরি খামার থেকে এনে আপনাদের দিচ্ছি, তবুও অনেকে ক্রেতা ভয় পাচ্ছে দুধ খেতে। এভাবে হলে আমরা বাচবো কিভাবে?
কথার মাঝে জিজ্ঞেস করলো ভাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালিয়ের অধ্যাপক ফারুক স্যার কি জানেনা আমরা গ্রামে খামারিরা দুধে ভেজাল দেইনা? ওনি আসুক আমার খামারের দুধ টেস্ট করুক, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আমার খামারের দুধে কোন ভেজাল নাই। আমরা অনেক বড় বিপদে পড়ে গেছি। আপনারা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।
শহরের বাইরে এই হলো আজকের একজন শিক্ষিত টগবগে তরুনের দুগ্ধ খামারের স্ট্রাগলের চিত্র। এরকম হাজার হাজার তরুন কৃষক পরিবার আজকে হুমকীর মুখে। দুগ্ধ প্রসেসর কোম্পানীগুলো খামারিদের থেকে দুধ নেয়া প্রায় বন্ধই করে দিয়েছে।
মন্তব্য: বাজেটে বিদেশী গুড়া দুধের ট্যাক্স বাড়তে পারে, বাজেটে এমন সিদ্ধান্ত আসার দুই মাস আগে থেকে শুরু হয় দেশী খামারিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, দেশী গরুর দুধে অমুক আছে, তমুক আছে। আরে ভাই, দেশে এমনি চাকরী বাকরী নাই, বেকার ছেলেগুলো কিছু একটা কাজ করে খাচ্ছে। আর আপনারা দেশী খামারীদের শেষ করে দেয়ার মিশনে নেমেছেন!
কৃষক ধরলেন, জেলে ধরলেন, রিকশা চালক ধরলেন এবার ধরছেন খামারীদের। দেন, দেশটা এভাবেই শেষ করে দেন।
আমি যখন কোন ক্রিকেট খেলা দেখি, তখন খেলার ধরন দেখে বোঝার চেষ্টা করি, খেলাটা কি পাতানো নাকি অন্যকিছু।এন.সি-২৭৪
আমি যখন কোন ক্রিকেট খেলা দেখি, তখন খেলার ধরন দেখে বোঝার চেষ্টা করি, খেলাটা কি পাতানো নাকি অন্যকিছু।
Image result for মরুভূমিআমি যখন কোন ক্রিকেট খেলা দেখি, তখন খেলার ধরন দেখে বোঝার চেষ্টা করি, খেলাটা কি পাতানো নাকি অন্যকিছু।
যখন কোন খেলা বড় ব্যবধানে জয়-বিজয় নির্ধারিত হয়, তখন আমার কাছে খেলাটা পাতানো মনে হয় না,
কিন্তু যখন খেলাটা খুব উত্তেজনাকর হয়, তখন আমার কাছে খেলাটা পাতানো হওয়ার সম্ভবনা আছে বলে মনে হয়।
আমার মতে, সাধারণ মানুষের ক্রিকেট খেলা আর প্রফেশনাল ক্রিকেট খেলায় পার্থক্য এখানে।
প্রফেশনালদের কাছে ক্রিকেট খেলাটা হলো নাটকের মত, তারা ইচ্ছা করলে শেষ পর্যন্ত উত্তেজনা তৈরী করে দর্শকদের আনন্দ দিতে পারে। আর তখনই দর্শকরা বেশি ধোকা খায়।
আপনারা বিশ্বাস করুন, আর না করুন,
এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা দেখে আমার কাছে পাতানো মনে হয়েছে।
শুধু ফাইনাল নয়, ইংল্যান্ডকে ঘুড়িয়ে পেচিয়ে ফাইনাল পর্যন্ত আনার বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে, মনে হয়েছে ইংল্যান্ডকে ইচ্ছা করে কিছু হারিয়ে, আবার খেলায় ফিরিয়ে আনা হলো।
আর ফাইনাল হওয়ার পর আমার বিশ্বাস আরো র্দঢ় হয়েছে।
ফাইনাল খেলা দেখার পর, আমি বিষয়টি প্রায় ২-৩ ঘন্টা চিন্তা করেছি,
ইংল্যান্ডকে কেন জেতানো হলো, এর হিসেব মেলানোর চেষ্টা করেছি।
কোন ক্যালকুশেন নয়, আমার সিক্সথ সেন্স ঐ সময় উত্তর দিয়েছে, “এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমে এমন কেউ আছে, যাকে এই বিশ্বকাপের মধ্যদিয়ে হাইলাইট করা উদ্দেশ্য।”
এরপর চিন্তা করেছি- সেই ব্যক্তিটা কে হতে ?
কিছু ক্রাইটেরিয়া দিয়ে চিন্তা করেছি, যার নাম এসেছে সে ছিলো বেন স্টোকস।
ফাইনাল খেলার পর যখন আমার মাথায় এ চিন্তাগুলো আসছে, তখন আমি বেন স্টোকস নিয়ে অনেক সার্চ দিলাম। তাকে উদ্দেশ্য করেই কিছু ক্রাইটেরিয়ার পক্ষে যুক্তি পাওয়া যায়, আবার কিছু যুক্তির দলিল পাই না।
সব কিছুর দলিল না পেয়ে, ঐ দিনের পর আমি আপাতত সেখানে সময় ব্যয় বাদ দেই।
কিন্তু আজকে যখন দেখলাম, ব্রিটেনের দুইজন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলেছে, বেন স্টোকসকে তারা নাইটহুড উপাধি দিতে চায়, তখন আমার হাইপোথিসস কিছুটা হলেও হালে পানি পায়।
আমার চিন্তা হলো-
১. বেন স্টোকস আগে থেকেই সম্রাজ্যবাদীদের কোন হাতিয়ার।
২. বেন স্টোকস হয়ত আগে থেকেই খেলা জগতে পরিচিত, কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের ঘটনা ঘটিয়ে তাকে বিশ্বজুড়ে বিশেষভাবে হাইলাইট করা হলো।
৩. বেন স্টোকসকে সম্রাজ্যবাদীরা পরবর্তীতে বিভিন্ন (বিশেষ করে রাজনৈতিক) স্বার্থে ব্যবহার করবে।
খবরের সূত্র: https://bit.ly/2YU0c77
 গতকাল থেকে ফেসবুকে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইসকন নামক একটি সংগঠনের। এন.সি-২৭৩

গতকাল থেকে ফেসবুকে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইসকন নামক একটি সংগঠনের
Image result for মরুভূমি
গতকাল থেকে ফেসবুকে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইসকন নামক একটি সংগঠনের কিছু সদস্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে বিভিন্ন ধর্মের বাচ্চাদের মাঝে তাদের ইসকনের খাবার বিলি করতেছে এবং বাচ্চাদের মুখ দিয়ে ‘হরে কৃষ্ণ, হরে হরে” শ্লোগান উচ্চারণ করিয়ে তা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে। (https://youtu.be/8z6WQdQ5x08)
একজন শিশু অবুঝ, স্বাভাবিকভাবে তার নিজস্ব কোন বিচার বিবেচনা থাকে না। এ অবস্থায় সেই শিশুকে খাবারের লোভ দেখিয়ে অবুঝ মুখ দিয়ে ভিন্ন ধর্মীয় শ্লোগান গাওয়ানো এবং সেই শ্লোগান রেকর্ড করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া একটি নিকৃষ্ট কাজ বলে আমি মনে করি।
আপনাদের মনে থাকার কথা,
১. ২০১৬ সালে সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হিন্দু ছাত্র ক্যান্টিনে মাছের ঝোল চাইলে তাকে গরুর মাংশের ঝোল দিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ক্যান্টিন মালিককে বেড়ধর পেটায় ঐ হিন্দু ছাত্র। (https://bit.ly/2SiXYvH)
২. ২০১৬ সালে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের একটি অনুষ্ঠানে খাসির মাংশের বিরিয়ানীর বদলে গরুর মাংশের বিরিয়ানী দেয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে তুমুল হট্টগোল হয় এবং পুরো অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। (https://bit.ly/2YWetQV)
৩. ২০১৭ সালে সেক্যুলার (!) অনুষ্ঠান পহেলা বৈশাখে সেক্যুলার (!) বিদ্যাপিঠ চারুকলার ক্যান্টিনের তেহারিতে গরুর মাংশ দেয়া হয়েছে এমন দাবী করে ক্যান্টিন ভাংচুর করা হয়। (https://bbc.in/2xTcJvG)
প্রতিক্ষেত্রেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অভিযোগ তাদের অগোচরে তাদের দিয়ে অন্য ধর্মের কাজ করানোয় তারা ভাংচুর করেছে, আইন নিজের হাতে তুলে মারপিট পর্যন্ত করেছে।
কথা হলো, প্রাপ্ত বয়ষ্ক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের দিয়ে অগোচরে গরুর মাংশ খাওয়ালে যদি অপরাধ হয়, তবে শিশু বাচ্চাদের খাবরের লোভ দেখিয়ে হরে কৃষ্ণ শ্লোগান দেয়ানো এবং সেই গ্লোগান ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া কতটুকু আইনসিদ্ধ হবে ?
আপনারা জানেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক ধর্মের শিশুকে অন্যধর্মের কাজ করানো সম্পূর্ণ রুপে আইনবিরুদ্ধ, সেখানে চট্টগ্রামে যে স্কুলগুলো এ ঘটনা ঘটেছে, তাদের প্রত্যেক হেডমাস্টারকে আইন অনুযায়ী অপরাধী বলে গণ্য করা যায়।
পাশাপাশি, আমি ব্যক্তিগতভাবে ‘ইসকন’ নামক সংগঠনটি সম্পর্কে সন্দিহান, আসলেই এ সংগঠনটি হিন্দুদের কোন সংগঠন, নাকি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ইনফিলট্রেট করা অন্যধর্মের কোন সংগঠন তা যাচাই করা উচিত, বিশেষ করে সংগঠনটির প্রধান যখন খ্রিস্টান চার্চ থেকে লেখাপড়া করে আসা ব্যক্তি হয়, তখন যুক্তি অনুসারে সেটি হিন্দু ধর্মের সংগঠন হয় কিভাবে ? তাছাড়া সারা বাংলাদেশে সনাতন হিন্দুদের মন্দিরগুলো দখল করে ইসকনী (অনেকে বলে ডিসকনী) মন্দির বানানোর যে প্রক্রিয়া তারা শুরু করেছে তা সনাতন হিন্দুদের অস্তিত্ব ধ্বংষের ষড়যন্ত্র বলে আমি মনে করি।
একইসাথে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীকে আমি বলবো, পাশ্ববর্তী ভারতে যখন ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান মুসলমানের মুখ দিয়ে উচ্চারণ নিয়ে নিত্তনৈমত্তিক মুসলমান হত্যা করা হচ্ছে, ঠিক সে সময়ে বাংলাদেশের মুসলিম শিশুদের মুখ দিয়ে ‘হরে কৃষ্ণ’ শ্লোগান বের করে সেটা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়াটা আমার কাছে চরম দূরভিসন্ধিমূলক মনে হয়। ভারতের চলমান সাম্প্রদায়িক পরিবেশ বাংলাদেশে ইমপোর্ট করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার কোন প্ল্যান ইসকন নামক সংগঠনটির আছে কি না, তা জরুরী ভিত্তিকে খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পড়তে পারেন-
ইসকন : আসল পরিচয় কি ? - https://bit.ly/2O01YCW
জেমস বন্ড থেকে নয়ন বন্ড, মিডিয়ার দায় কতটুকু ?এন.সি- ২৭২
জেমস বন্ড থেকে নয়ন বন্ড, মিডিয়ার 
দায় কতটুকু ?

জেমস বন্ড থেকে নয়ন বন্ড, মিডিয়ার দায় কতটুকু ?
Image result for মরুভূমিনয়ন বন্ড জেমস বন্ডকে কতটুকু অনুসরণ করতো সেটা তার নামের শেষে ‘বন্ড’ শব্দখানা যোগ করা দেখে বোঝা যায়। শুধু বন্ড যোগ করে নয়, ফেসবুকে যে গ্রুপ নয়ন খুলেছিলো তার নাম ছিলো ০০৭, অর্থাৎ জেমসবন্ডের সেই ০০৭। জেমস বন্ড যেভাবে গোলাগুলি বা মারামারি করতো, নিঃসন্দেহে নয়ন বন্ড সেটা বেপরোয়াভাবে অনুসরণ করতো। আমার যতদূর মনে পড়ে, জেমস বন্ডের সাথে সব সময় কিছু সুন্দরী মেয়ে থাকতো। সম্ভবত নয়ন বন্ড মিন্নিকে ভাবতো সেই জেমসের বন্ডের সুন্দরী মেয়ের প্রতিচ্ছবি। জেমস বন্ডের সাথে নতুন সিরিজে হয়ত নতুন নতুন মেয়ে থাকতো, কিন্তু নয়ন বন্ড এত সুন্দরী মেয়ে পাবে কোথায় ? তাই হয়ত যক্ষের ধনের মত মিন্নিকে আকড়ে ধরে থাকতে চাইতো। সেই বন্ডের সুন্দরীকে নিয়ে যখন রিফাত টানাটানি শুরু করলো, তখন নয়ন থেমে থাকবে কেন ?
আমরা নয়নের কর্মের উপর অনেকে দোষ চাপাচ্ছি, কিন্তু মিডিয়াতে যেই জেমস বন্ড দেখে নয়নরা অনুপ্রাণিত, সেটা কেন এড়িয়ে যাচ্ছি ? নয়ন বন্ড নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ নিয়ে কি আমরা বলতে পারি না, মিডিয়া আমাদের মন মগজে অপরাধ প্রবণতা ঢুকিয়ে দিচ্ছে।
মিডিয়া কিভাবে মানুষকে অপকর্মের দিকে প্ররোচিত করতে পারে, এর একটি বড় উদাহরণ হতে পারে ভারতীয় মিডিয়ায় প্রচারিত ‘ক্রাইম পেট্রল’ টাইপের অনুষ্ঠান। ভারতীয় মিডিয়ায় প্রচারিত ক্রাইম পেট্রল অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশে কি প্রভাব রাখছে আসুন দেখি-
১)রাজশাহীতে ভারতীয় সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রল দেখে জোড়া খুন
(https://bit.ly/2Y8v6eN)
২) মাদারিপুরে ভারতীয় ক্রাইম পেট্রল দেখে নিজ কন্যা ধর্ষণ করলো পিতা
(https://bit.ly/2xTscMw)
৩) কেরানীগঞ্জে ক্রাইম পেট্রল দেখে অটোরিকশা ছিনতাই ও চালক খুন
(https://bit.ly/2YRNXbj)
৪) ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় ভারতীয় ক্রাইম পেট্রল দেখে খুনের পদ্ধতি রপ্ত করে স্ত্রীকে হত্যা।
(https://bit.ly/2YgHdqA)
৫) পিরোজপুরে ক্রাইম পেট্রল দেখে স্কুল ছাত্রকে হত্যা ও চাদা দাবী
(https://bit.ly/2xTcP6y)
৬) চট্টগ্রামে ভারতীয় সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রল দেখে ভাবীকে খুন।
(https://bit.ly/2NVtiSv)
অর্থাৎ অপরাধের কৌশলসহ সবিস্তারে বর্ণনা মিডিয়ায় উন্মুক্ত করা হচ্ছে, আর সেটা ভাইরাসের মত ছড়িয়ে যত্রতত্র আরো অপরাধের জন্ম দিচ্ছে।
আবার বাংলাদেশের এফএম রেডিওতে একটি অনুষ্ঠান হয়, নাম ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’। এই অনুষ্ঠানে কে কিভাবে অপরাধ করলো, অপকর্ম করলো তার সবিস্তারে বর্ণনা থাকে। আমার মনে হয়েছে, এই অনুষ্ঠানগুলোও বহু মানুষকে অপরাধের দিকে প্ররোচিত করবে।
এক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম ইসলামে খুব ভালো একটা থিউরী আছে, সেটা হলো গোপন অপরাধের বিষয়গুলো গোপন রাখা। প্রকাশ্যে না বলা।
এক্ষেত্রে হয়ত অনেকে বলবেন, ভাই এগুলোর মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হয়, তাছাড়া সব অনুষ্ঠানে বলে দেয়া হয়, এগুলো যেন মানুষ অনুসরণ না করে।
এক্ষেত্রে ছোটবেলায় টিভিতে রেসলিং বা সার্কাস দেখার কথা মনে পড়লো। সেই অনুষ্ঠানগুলোর সময় দেখতাম, নিচে লেখা থাকতো- “ডু নট ট্রাই দিস এট হোম”। এরপরও দেখতাম শিশু-কিশোররা হরদম রেসলিং বা সার্কাসের প্র্যাকটিস করতেছে, যার ফল স্বরূপ মারাত্মক ব্যাথা পাবার ঘটনা অহরহ ঘটতো।
এ কথা বলার উদ্দেশ্য, মানুষ অনুকরণ প্রিয়। মানুষের মনের ভেতর হয়ত নতুন কোন কিছু থাকে না, কিন্তু বাইরে থেকে যদি নতুন কোন পলিসি বা বীজ ঢুকিয়ে দেয়, তবে সেটা ডালপালা মেলে বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই যতই বলুন- এগুলো অনুসরণ করবেন না” সবাই কিন্তু শুনবে না, বরং কেউ কেউ চেষ্টাও করতে পারে। এক্ষেত্রে লাভের থেকে ক্ষতি অনেক বেশি।
শুধূ মারামারি কাটাকারি নয়, বরং যৌনতা, নিপীড়ন, ধর্ষণের ছবিগুলো যখন মুভিতে দেখানো হয় অবশ্যই তার প্রভাব সমাজে আছে, এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। যার ফলশ্রুতিতে দিন দিন সমাজে নারী নির্যাতন বাড়ছে।
আমরা অপরাধ নিয়ে অনেক কথা বলি, অপরাধ দমন করতে অনেক কঠিন কঠিন আইন পাশ করি,
কিন্তু মিডিয়ার মাধ্যমে যে নিয়মিত অপরাধ ট্রেনিং হয়, সেটার বিরুদ্ধে বলি না,
সেটা বন্ধ করার কোন উদ্যোগও নেই না।
কিন্তু অপরাধ দমন করতে হলে, দেশী হোক আর বিদেশী হোক সেসব মিডিয়া মানুষকে এসব অপকর্মের দিকে উব্ধুদ্ধ করছে, সেগুলো আগে বন্ধ করা উচিত, কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত, নয়ত অপরাধ সমাজে হ্রাস পাওয়া তো দূরের কথা বরং বাড়তেই থাকবে।
অনেকে স্কুলের শিক্ষকদের কোচিং এর বিরুদ্ধে বলে।এন.সি-২৭১
অনেকে স্কুলের শিক্ষকদের কোচিং এর বিরুদ্ধে বলে।

অনেকে স্কুলের শিক্ষকদের কোচিং এর বিরুদ্ধে বলে।
Image result for মরুভূমিএ প্রেক্ষিতে আমার একটা কথা মনে হয়-
মৌলিক চাহিদা বলা হয় ৫টি বিষয়কে- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা।
শিক্ষা বাদে, আমরা যদি বাকি ৪টি বিষয় মানে খাদ্য, বস্ত্র,বাসস্থান ও চিকিৎসা সম্পর্কে যদি ধারণা করি, “সরকার যা দিবে, আমরা শুধু ততটুকু গ্রহণ করবো, এর বাইরে কিছু গ্রহণ করবো না।”
তবে কি আমরা বাঁচতে পারবো ?
সরকার কি সবার খাদ্য দিতে পারবে ? বস্ত্র ? বাসস্থান ? চিকিৎসা ?
পারবে না, সরকারের পক্ষে এত বড় কাজ করা সম্ভব হবে না, প্রাইভেটাইজেশন লাগবে।
যদি সরকার বাকি ৪টি মৌলিক চাহিদা পূরণ না করতে পারে,তবে আমরা কিভাবে মনে করি- শিক্ষার বিষয়টি সরকারকে একা সামাল দিতে হবে ?
সরকার শিক্ষক দেবে, বই দেবে, পরীক্ষা নিবে (জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি)। আর যে শিক্ষককে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হবে, তারাই ক্লাসে সব পড়িয়ে দেবে ।
আমার মনে হয়, এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা সেকেলে।
শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন ধরনের বাধন দেয়া ঠিক না। যে যেখান থেকে পারুক শিক্ষা নিক।
স্কুলে শিক্ষক ঠিক মত ক্লাস নিচ্ছে কি না, সেটার জন্য তদরকি করতে পারেন,
কিন্তু সেটা না করে, “তার কোচিং বন্ধ করে দিলে সে ক্লাসে ঠিক মত ক্লাস নিবে”, এগুলো আজগুবি টাইপের চিন্তাভাবনা।
বর্তমান আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় অনেক শিক্ষকের ২৫ হাজার টাকা বেতনে সংসার চলে না, সে যদি বাড়তি ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে, তবে সমস্যা কোথায় ? সে তার চাকুরীর ৮ ঘণ্টা ঠিকমত ডিউটি করলো কি না, সেটা দেখা বিশেষ জরুরী, এর বাইরে নয়।
আমি তো বলবো- এই বাড়তি ইনকামের সুযোগ থাকায় অনেক মেধাবী ছেলে শিক্ষকতা পেশায় ঢুকবে। এখনও ধারণা আছে, মেধাবীরা শুধু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে। শিক্ষক হবে পেছনের বেঞ্চের স্টুডেন্ট। কিন্তু বাস্তবে শিক্ষকদের সবচেয়ে মেধাবী হওয়া দরকার। যখন দেখবে, শিক্ষকতা পেশায় ভালো ইনকামের সুযোগ আছে, তখন মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে, ছাত্ররা ভালো কিছু শিখতে পারবে, কিন্তু নিয়ম কানুন দিয়ে শিক্ষকদের ইনকাম বন্ধ করে দিলে মেধাবীরা অন্য পেশায় চলে যাবে। আমার মনে আছে, আমি যখন পড়তাম, নটরডেম কলেজের শিক্ষকরা তখন লাখ টাকা বেতন পেতো, ঐ সময় বিসিএসরাও তার চারভাগের একভাগও পেতো না। ফলে অনেক বিসিএস বাদ দিয়ে নটরডেমের শিক্ষক হতো। ফলে নটরডেম কলেজের শিক্ষকরা অন্য কলেজের শিক্ষকদের তুলনায় অনেক মেধাবী হতো। যার ফলশ্রুতিতে ছাত্রদের মধ্যে সেই প্রভাব দেখা যেতো।
যেহেতু বাংলাদেশের স্কুলগুলো (সম্ভবত এমপিওভূক্ত) শিক্ষকদের বেতন সরকার কর্তৃক দেয়া হয় এবং সরকারের পক্ষে লক্ষ টাকা বেতন দেয়া সম্ভব না, তাই তাদেরকে অতিরিক্ত ইনকাম করতে সুযোগ দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে মেধাবীরা শিক্ষকতায় পেশায় আসবে। তবে ক্লাসে ঠিকমত পড়ালো কি না, সেটার জন্য আলাদা মনিটরিং ব্যবস্থা করতে হবে অবশ্যই।
শুরু করেছিলাম, শিক্ষার বেসরকারীকরণ নিয়ে।
আমার মতে, জাতিকে উন্নয়নের জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাইভেটাইজেশন দরকার। কারণ সরকার যে বই দিচ্ছে, আমরা সেই বই পড়ে ভাবতেছি খুব শিক্ষিত হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু সরকার যদি শিক্ষার বদলে অন্য কিছু দেয়, তবে পাশ করার জন্য আমরা সেটা পড়তে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু সরকারি বোর্ডের পাশাপাশি যদি কয়েকটি বেসরকারী বোর্ড থাকতো, তবে সরকারের একঘেয়েমি থেকে বের হওয়ার সুযোগ ছিলো। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে একটা দিক নির্দেশনা থাকতো- “পাঠ্য বইয়ে অমুক অমুক শিক্ষা থাকতে হবে। তবে বোর্ডগুলো নিজ নিজ বই প্রণয়ন করতে পারবে” , ব্যস এতটুকুই।
এক্ষেত্রে দেখা যেতো, বেসরকারী বোর্ডগুলোর মধ্যে প্রতিযোগীতার কারণে পড়ালেখা মান অনেক উন্নত হওয়া সম্ভব হতো।
কিন্তু এখন সরকারী বোর্ডে সরকারী বই পড়ে পরীক্ষা দেয়ার কারণে সরকার যা দিচ্ছে আমাদের শিশুদেরকে সেটাই মুখবুঝে গলাধঃকরণ করতে হচ্ছে। অথচ বইগুলো ভর্তি থাকছে সরকারী দলের রাজনৈতিক পলিসি এবং ঋণদাতা আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীদের শিখিয়ে দেয়া বুলিতে। এগুলো পড়ে আমরা মন মগজে তাদের চিন্তাধারাযুক্ত হয়ে পড়ছি। ফলে শিক্ষিত হলেও দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে পারছি না।
কিছুদিন আগে খবরে দেখলাম, সবাই একটা খবর খুব ছড়াচ্ছে। খবরটা হলো- বাংলাদেশী বাংশোদ্ভূত এক ৯ বছরের ছেলে আমেরিকাতে ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস করতেছে।
খবরটা আমরা বাঙালীরা খুব গর্বের সাথে ছড়াচ্ছি।
আচ্ছা, একটু চিন্তা করুন তো, যে বাংলাদেশী ছেলেটা ৯ বছর বয়সে আমেরিকাতে গিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হচ্ছে, সে কি বাংলাদেশে থাকলে ৯ বছর বয়সে ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারতো ?
কখনই পারতো না। কারণ তাকে ক্লাস ৫ এ পিএসসি, ৮ এ জেএসসি, ১০ এ এসএসসি, ১২তে এইচএসসি দিতে হতো। একটা না দিলে সে কিছুতেই পরের পরীক্ষাটা দিতে পারতো না। তাহলে সে যতই জ্ঞানই হোক, কমপক্ষে তাকে ভার্সিটিতে ভর্তি হতে ১৬ বছর বয়স লাগতো।
কিন্তু আমেরিকার ক্ষেত্রে এত খণ্ড খন্ড পরীক্ষা দিতে হয় না। সম্ভবত স্যাট-একট পরীক্ষা দিয়ে যে কেউ ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারে, সে ক্লাস ওয়ান-টু-থ্রি পড়লো কি পড়লো না, এটা তারা দেখবে না। শুধু ঐ দুটি পরীক্ষায় উত্তির্ণ হলেই হলো। একারণে ৯ বছর বয়সে তাদের অনেক ছেলে ভার্সিটিতে পড়তে পারতেছে।
এই কথাটা আমি বার বার বলতেছি, শিক্ষাকে কোন বাধন দিয়ে আটকানো ঠিক না। একটা মানুষ কত বছর বাচে ?
৪০-৫০-৬০। এর মধ্যে শিক্ষা নিতে নিতে যদি তার ৩০ বছর শেষ হয়ে যায়,তবে বাকি জীবনটা সে কি করবে ? কখন বিয়ে করবে, কখন বাচ্চাকাচ্চা নিবে, কখন ক্রিয়েটিভ কিছু করবে। তার জীবনটাই হয়ে পড়ছে সার্টিফিকেট শিকলে আটকানো।
হ্যা কেউ যদি ৩০ বছরের শিক্ষা ২০ বছরে নিতে পারে, তবে সমস্যা কোথায় ?
আমার মনে আছে, ছোট বেলায় ক্লাসে কিছু সহপাঠীদের দেখতাম, বাসায় শিক্ষক রেখে ফেব্রুয়ারী-মার্চের মধ্যে বই শেষ করে ফেলতো। যে ছেলেটা দ্রুত পড়তে পারে, তাকে কেন সময়ের বাধন দিতে হবে?
তাছাড়া একটা ছেলে যত কম বয়সে নিয়মতান্ত্রিক লেখাপড়া শেখ করতে পারবে, তত তাড়াতাড়ি সে ক্রিয়েটিভ কিছু করতে পারবে, কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক লেখাপড়া করতেই যদি বুড়ো হয়ে যেতে হয়, পরিবারের প্রেসার এসে পড়ে, তখন জীবিকার দিকে লক্ষ্য চলে যায়, ক্রিয়েটিভ চিন্তা করা সম্ভব হয় না, এর ফল ভোগ করতে হয় পুরো জাতিকে, আন্তর্জাতিকভাবে দেশের শিক্ষার অবস্থা ঠেকে তলানিতে। এবস্থা থেকে উত্তরণে পুরো সিস্টেমটাইতে পরিবর্তন আনা জরুরী বলে মনে করছি।
বি: দ্র: আমি শারীরিকভাবে বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থ হওয়ার কারণে আগের মত একটু গুছিয়ে লিখতে পারছি না, অনেক দলিল-প্রমাণ হয়ত ডাইরেক্ট দিতে পারতেছি না, এতে অনেক পাঠক কষ্ট পেতে পারেন। একবার ভেবেছিলাম, কয়েক সপ্তাহ বিশ্রাম নেই, তারপর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে খেটে খুটে লিখবো। কিন্তু পরে ভাবলাম, ১৫-২০ দিন লেখা বন্ধ রাখলে অনেক ইস্যু হারিয়ে যেতে পারে। তাই বিস্তারিত না বলে, কোন মতে কনসেপ্টগুলো শেয়ার করে ফেসবুকে লিখাটা অব্যাহত রাখতে চাই, কেউ কষ্ট পেলে ক্ষমা করবেন।