গুজব প্রিয় জাতি, পিটিয়ে হত্যা অতঃপর শেখার অনেক কিছু
(১)
সম্প্রতি ছেলে ধরা গুজব, অতঃপর সেখান থেকে নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনা সম্পর্কে সবাই জ্ঞাত আছেন। দেখা গেছে, বাক প্রতিবন্ধী বাবা তার মেয়েকে দেখতে এসেছে, তাকে প্রশ্ন করায় সে উত্তর দিতে না পারায়, সবাই তাকে ধরে পিটুনি দিয়ে মেরেই ফেললো। পরে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর সবাই হা-হুতাশ করতেছে। এমনকি সরকারী পরিদর্শক স্কুলে পরিদর্শনে এসেছে, তাকে দেখতে ব্যতিক্রম দেখায় সবাই তাকে ছেলে ধরা মনে করে ধাওয়া দিছে।
সম্প্রতি ছেলে ধরা গুজব, অতঃপর সেখান থেকে নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনা সম্পর্কে সবাই জ্ঞাত আছেন। দেখা গেছে, বাক প্রতিবন্ধী বাবা তার মেয়েকে দেখতে এসেছে, তাকে প্রশ্ন করায় সে উত্তর দিতে না পারায়, সবাই তাকে ধরে পিটুনি দিয়ে মেরেই ফেললো। পরে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর সবাই হা-হুতাশ করতেছে। এমনকি সরকারী পরিদর্শক স্কুলে পরিদর্শনে এসেছে, তাকে দেখতে ব্যতিক্রম দেখায় সবাই তাকে ছেলে ধরা মনে করে ধাওয়া দিছে।
এই ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা : আমরা কোন কথা শুনলেই আবেগী হয়ে লাফ দেই, যাচাই বাছাই করি না।
(২)
এই যে যাচাই বাছাই না করার প্রবনতা, এটাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় কোন পক্ষ সুযোগ নিতে পারে। যেমন- গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রাস্তায় ঝগড়া হচ্ছিলো। এক পর্যায়ে স্ত্রী চিৎকার দিয়ে বললো- ঐ লোক ছেলে ধরা। ব্যস হুজুগে জনতা স্বামীকে ধরে গণপিটুনি দিলো। একই ঘটনা ঘটেছে সাভারে। এক ব্যক্তির সাথে কোন নারীর পরকীয়া ছিলো। ঐ নারীর স্বামী ঐ ব্যক্তিকে বাসায় ডেকে এনে ছেলে ধরা বলে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে।
এই যে যাচাই বাছাই না করার প্রবনতা, এটাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় কোন পক্ষ সুযোগ নিতে পারে। যেমন- গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রাস্তায় ঝগড়া হচ্ছিলো। এক পর্যায়ে স্ত্রী চিৎকার দিয়ে বললো- ঐ লোক ছেলে ধরা। ব্যস হুজুগে জনতা স্বামীকে ধরে গণপিটুনি দিলো। একই ঘটনা ঘটেছে সাভারে। এক ব্যক্তির সাথে কোন নারীর পরকীয়া ছিলো। ঐ নারীর স্বামী ঐ ব্যক্তিকে বাসায় ডেকে এনে ছেলে ধরা বলে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে।
এই ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা : আমাদের গুজব প্রিয়তার কারণে আমাদের ব্যবহার করে তৃতীয় কোন পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে। তাই গুজব রটনাকারীদের থেকে সাবধান।
(৩)
শুধু কি ছেলেধরা সন্দেহে গুজব ! আর কিছুর মধ্যে কি গুজব নেই ?
আমের মধ্যে ফরমালিন, তাই সব আম ধ্বংস করো,
পুরান ঢাকায় আগুন তাই সব ব্যবসা বন্ধ করে দাও,
দুধের মধ্যে অনুজীব, ধাতু, এন্টিবায়োটিক, তা্ই সব দুধ বন্ধ করো।
গরুর মধ্যে স্টেরওয়েড, তাই দেশী গরুর খামার বন্ধ করো,
কোরবানীর মধ্যে পরিবেশ দূরণ, তাই কোরবানী শহর থেকে বের করে দাও,
মুরগীর মধ্যে ক্রোমিয়াম তাই দেশী পোল্ট্রি বন্ধ করে দাও।
রিকশার মধ্য যানজট, তাই সব রিকশা বন্ধ করে দাও।
ট্যানারীর বর্জের মধ্যে দূষন, তাই চামড়া শিল্প শেষ করে দাও।
এগুলোর মধ্যে কি গুজব নেই ?
আছে, অবশ্যই আছে।
এবং সে ক্ষেত্রে জনগণের গুজব প্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় কোন পক্ষ সুযোগ নিচ্ছে। দেশী শিল্পকে ধ্বংস করে দেশকে পঙ্গু বানিয়ে বিদেশ নির্ভর বানাচ্ছে আমাদের। যার দরুণ, দেশ উন্নতির পরিবর্তে অনুন্নত হচ্ছে, আমরাও দিনে দিনে অর্থনৈতিক চাপে আরো বেশি সংকুচিত হয়ে পড়ছি।
শুধু কি ছেলেধরা সন্দেহে গুজব ! আর কিছুর মধ্যে কি গুজব নেই ?
আমের মধ্যে ফরমালিন, তাই সব আম ধ্বংস করো,
পুরান ঢাকায় আগুন তাই সব ব্যবসা বন্ধ করে দাও,
দুধের মধ্যে অনুজীব, ধাতু, এন্টিবায়োটিক, তা্ই সব দুধ বন্ধ করো।
গরুর মধ্যে স্টেরওয়েড, তাই দেশী গরুর খামার বন্ধ করো,
কোরবানীর মধ্যে পরিবেশ দূরণ, তাই কোরবানী শহর থেকে বের করে দাও,
মুরগীর মধ্যে ক্রোমিয়াম তাই দেশী পোল্ট্রি বন্ধ করে দাও।
রিকশার মধ্য যানজট, তাই সব রিকশা বন্ধ করে দাও।
ট্যানারীর বর্জের মধ্যে দূষন, তাই চামড়া শিল্প শেষ করে দাও।
এগুলোর মধ্যে কি গুজব নেই ?
আছে, অবশ্যই আছে।
এবং সে ক্ষেত্রে জনগণের গুজব প্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় কোন পক্ষ সুযোগ নিচ্ছে। দেশী শিল্পকে ধ্বংস করে দেশকে পঙ্গু বানিয়ে বিদেশ নির্ভর বানাচ্ছে আমাদের। যার দরুণ, দেশ উন্নতির পরিবর্তে অনুন্নত হচ্ছে, আমরাও দিনে দিনে অর্থনৈতিক চাপে আরো বেশি সংকুচিত হয়ে পড়ছি।
(৪)
গুজব কেন কাজ করছে ?
উত্তর- যেহেতু আমরা কোন বিষয় যাচাই বাছাই করি না,
কোন বিষয়/খবর দেখলেই বলি- “দাও ওকে শেষ করে দাও।”
এরপর শেষ হয়ে যাওয়ার পর আবার আমরাই আফসোস করি- আহারে বেচারা শেষ হয়ে গেলো।”
অথচ দেশের বিষয়গুলো শেষ হলে, তার চাপ যে আমাদের নিজেদের মধ্যে পড়বে, সেটা আমরা বুঝতে চাই না। আমরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠি। মাথা ব্যাথা হলে পুরো মাথা কেটে ফেলতে বলি, কিন্তু মাথা হারানোর পর আমরাই আবার আফসোস করি।
গুজব কেন কাজ করছে ?
উত্তর- যেহেতু আমরা কোন বিষয় যাচাই বাছাই করি না,
কোন বিষয়/খবর দেখলেই বলি- “দাও ওকে শেষ করে দাও।”
এরপর শেষ হয়ে যাওয়ার পর আবার আমরাই আফসোস করি- আহারে বেচারা শেষ হয়ে গেলো।”
অথচ দেশের বিষয়গুলো শেষ হলে, তার চাপ যে আমাদের নিজেদের মধ্যে পড়বে, সেটা আমরা বুঝতে চাই না। আমরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠি। মাথা ব্যাথা হলে পুরো মাথা কেটে ফেলতে বলি, কিন্তু মাথা হারানোর পর আমরাই আবার আফসোস করি।
(৫) আমরা কেন কোন কিছু যাচাই বাছাই করি না ?
উত্তর- আমাদের মূল্যবোধ ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যের অভাব। একটা মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যের একটা নিক্তি থাকে। সেই নিক্তি দিয়ে সে সবকিছু পরিমাপ করে কাউকে ভালো, কাউকে মন্দ বিচার করে। কোন কাজ করতে হবে, কোন কাজ করতে হবে না, সেটা নির্ণয় করে। পারিবারিক পর্যায়ে হয়ত আমরা সেটা বুঝি, মানে বাবার সাথে, মায়ের সাথে, স্ত্রীর সাথে, সন্তানের সাথে কি রকম ব্যবহার করতে হবে। লেখাপড়া শেষ করতে হবে, ভালো চাকুরী পেতে হবে, বিয়ে করতে হবে, এসব লক্ষ্য উদ্দেশ্যের দিকে এগিযে যাই। কিন্তু দেশ বা জাতি হিসেবে কি রকম মূল্যবোধ হবে, আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি হবে, সেটা নিয়ে আমাদের কোন মূল্যবোধ গড়ে উঠেনি। এজন্য সত্যি বলতে আমাদের প্রকৃত দেশপ্রেম নেই। আমাদের পাঠ্যবই বা আমাদের মিডিয়া আমাদের ফেইক দেশপ্রেম নামক চেতনাবাজি শিক্ষা দিয়েছে। কিন্তু জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কি, কর্তব্য কি,আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি হবে, দেশের মানুষের সাথে, দেশের শিল্পের সাথে আমাদের কি ধরনের আচার আচারণ হবে, সেটা সম্পর্কে কোন শিক্ষা দেয়নি। এই শিক্ষার অভাবের কারণে আমাদের ভেতরে জাতীয় মূল্যবোধের পিলার নেই, লক্ষ্য উদ্দেশ্যের পিলার নেই। আর সেই পিলার না থাকায় আমাদেরকে কোন তৃতীয় পক্ষ যদি বুঝায় তোমার দেশি শিল্পে খারাপ আছে, সেটা শেষ করে দাও, তোমার দেশের অমুক জনগণকে শেষ করে দাও, তুমি তো লাভবান হবে, তখন আমরা ব্যক্তি লাভের আশায় দেশের ঐ শ্রেণীর জনগণকে শেষ করে দেয়ার জন্য লাফ দিয়ে পড়ি। এভাবে হয়ত ব্যক্তি পর্যায়ে আমরা খেয়ে পড়ে থাকতে পারবো, কিন্তু জাতি হিসেবে উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার স্বপ্ন যে আমরা দেখি, সেটা কখন হতে পারবো না, কারণ জাতীয় মূল্যবোধ-লক্ষ্য উদ্দেশ্যই তো আমাদের নেই।
উত্তর- আমাদের মূল্যবোধ ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যের অভাব। একটা মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যের একটা নিক্তি থাকে। সেই নিক্তি দিয়ে সে সবকিছু পরিমাপ করে কাউকে ভালো, কাউকে মন্দ বিচার করে। কোন কাজ করতে হবে, কোন কাজ করতে হবে না, সেটা নির্ণয় করে। পারিবারিক পর্যায়ে হয়ত আমরা সেটা বুঝি, মানে বাবার সাথে, মায়ের সাথে, স্ত্রীর সাথে, সন্তানের সাথে কি রকম ব্যবহার করতে হবে। লেখাপড়া শেষ করতে হবে, ভালো চাকুরী পেতে হবে, বিয়ে করতে হবে, এসব লক্ষ্য উদ্দেশ্যের দিকে এগিযে যাই। কিন্তু দেশ বা জাতি হিসেবে কি রকম মূল্যবোধ হবে, আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি হবে, সেটা নিয়ে আমাদের কোন মূল্যবোধ গড়ে উঠেনি। এজন্য সত্যি বলতে আমাদের প্রকৃত দেশপ্রেম নেই। আমাদের পাঠ্যবই বা আমাদের মিডিয়া আমাদের ফেইক দেশপ্রেম নামক চেতনাবাজি শিক্ষা দিয়েছে। কিন্তু জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কি, কর্তব্য কি,আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি হবে, দেশের মানুষের সাথে, দেশের শিল্পের সাথে আমাদের কি ধরনের আচার আচারণ হবে, সেটা সম্পর্কে কোন শিক্ষা দেয়নি। এই শিক্ষার অভাবের কারণে আমাদের ভেতরে জাতীয় মূল্যবোধের পিলার নেই, লক্ষ্য উদ্দেশ্যের পিলার নেই। আর সেই পিলার না থাকায় আমাদেরকে কোন তৃতীয় পক্ষ যদি বুঝায় তোমার দেশি শিল্পে খারাপ আছে, সেটা শেষ করে দাও, তোমার দেশের অমুক জনগণকে শেষ করে দাও, তুমি তো লাভবান হবে, তখন আমরা ব্যক্তি লাভের আশায় দেশের ঐ শ্রেণীর জনগণকে শেষ করে দেয়ার জন্য লাফ দিয়ে পড়ি। এভাবে হয়ত ব্যক্তি পর্যায়ে আমরা খেয়ে পড়ে থাকতে পারবো, কিন্তু জাতি হিসেবে উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার স্বপ্ন যে আমরা দেখি, সেটা কখন হতে পারবো না, কারণ জাতীয় মূল্যবোধ-লক্ষ্য উদ্দেশ্যই তো আমাদের নেই।
(৬)“আমরা গুজবে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছি, কারণ সরকার বিচার করে না তাই।”
এই কথা আমার কাছে সত্য বলে মনে হয় না।
সরকার আমাদের দেশের জনগণের মধ্য থেকেই তৈরী।
তাই জনগণের মধ্যে যেমন মূল্যবোধের ঘাটতি আছে,
সরকারের মধ্যেও তাই মূল্যবোধের ঘাটতি আছে।
আর তাছাড়া, সরকারী বিচার কোন ব্যক্তি নয়, সিস্টেম।
অসহিষ্ণূ জনগণ যেরকম তাড়াতাড়ি কোন ম্যাজিক দেখতে চায়,
সরকারও সেরকম ম্যাজিক দেখাতে চায়। কিন্তু বিচার সিস্টেম তো কোন ম্যাজিক নয়, ধিরে সুস্থে করতে হয়। তাই সেটা কখন বাস্তবায়ন হয় না।
তবে হ্যা সরকারের বিচারবিভাগের মধ্যেও সিস্টেমগত গলদ আছে।
কিন্তু জনগণ যেখানে সমস্যার মূলে গিয়ে সমাধান করার পরিবর্তে ম্যাজিক দেখার পক্ষপাতি, সেখানে সরকার কিভাবে সমস্যার মূলে গিয়ে সমাধান করার পক্ষপাতি থাকবে, বলুন ?
এই কথা আমার কাছে সত্য বলে মনে হয় না।
সরকার আমাদের দেশের জনগণের মধ্য থেকেই তৈরী।
তাই জনগণের মধ্যে যেমন মূল্যবোধের ঘাটতি আছে,
সরকারের মধ্যেও তাই মূল্যবোধের ঘাটতি আছে।
আর তাছাড়া, সরকারী বিচার কোন ব্যক্তি নয়, সিস্টেম।
অসহিষ্ণূ জনগণ যেরকম তাড়াতাড়ি কোন ম্যাজিক দেখতে চায়,
সরকারও সেরকম ম্যাজিক দেখাতে চায়। কিন্তু বিচার সিস্টেম তো কোন ম্যাজিক নয়, ধিরে সুস্থে করতে হয়। তাই সেটা কখন বাস্তবায়ন হয় না।
তবে হ্যা সরকারের বিচারবিভাগের মধ্যেও সিস্টেমগত গলদ আছে।
কিন্তু জনগণ যেখানে সমস্যার মূলে গিয়ে সমাধান করার পরিবর্তে ম্যাজিক দেখার পক্ষপাতি, সেখানে সরকার কিভাবে সমস্যার মূলে গিয়ে সমাধান করার পক্ষপাতি থাকবে, বলুন ?
৭) জনগণ কেন চিন্তা করে না ? কেন ঘটনার ভেতরে ঢুকতে চায় না?
উত্তর- জনগণের সে সময় কোথায় ? অধিকাংশ জনগণ এন্টারটেইনমেন্ট পিনিকে আক্রান্ত, বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। খেলাধূলা, নাটক, সিনেমা, নিয়ে ব্যস্ত, যেখানে কাল্পানিকভাবে নায়ক-খলনায়ক সাজানো থাকে। তাদের মধ্যে হার-জিত হয়। সেই বানোয়াট নাটক দেখে সে পরিতৃপ্ত হয়। নাটকে মিডিয়া তাকে শিখিয়ে দেয় কে হবে শত্রু, কে হবে মিত্র। তাকে আলাদা চিন্তা করতে হয় না। ঠিক একইভাবে জাতীয় কোন ইস্যুতে মিডিয়া যাকে শত্রু বানায়, সে তাকেই শত্রু ভাবে। আবার মিডিয়া যাকে মিত্র বানায় সে তাকেই মিত্র ভাবে। যদি বাস্তবে বিষয়টি উল্টো হোক না কেন । এক্ষেত্রে মিডিয়া যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, তবে জনগণের কিছু করার থাকে না। তার চিন্তা চেতনার মধ্যে দূষণ ঢুকে যায়।
(৮) আমরা আসলে কি ?
অনেকে আমেরিকা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্পকে পাগল ভাবে। আসলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প হচ্ছে প্রকৃত বুদ্ধিমান ব্যক্তি। সে হলো ‘জাতে মাতাল, তালে ঠিক’। সে উপর দিয়ে দেখায় সে একটা পাগল, কিন্তু বাস্তবে তার হুশ অন্যদের থেকে অনেক বেশি। মূলত তাকে প্রেসিডেন্ট করা হইছে, তাদের বেশ কয়েক বছর ধরে যুদ্ধ করে অর্থনৈতিক অবস্থা নড়বড়ে হয়ে উঠেছে, সেটাকে সামাল দেয়ার জন্য। এজন্য সে ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' পলিসি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তার কাজ হচ্ছে তাদের দেশীয় বা জাতিগত ব্যবসা ও শিল্পগুলোকে পুনরুদ্ধার করা। ভিন্ন জাতির স্বার্থ রেখে তার নিজের জাতিকে কিভাবে অর্থণৈতিক ও ব্যবসায়ীক দিক থেকে শক্ত করা যায়, সেই তার মূল উদ্দেশ্য। অপরদিকে, আমরা হইলাম- “জাতে শো-অফ আর তালে মাতাল”। উপর দিকে দিয়ে দেখাই খুব বুঝি, কিন্তু বাস্তবে আমরা হইলাম- এল্যার্জি রোগীর ইমিউন (রোগ প্রতিরোধ) সিস্টেমের মত, যে নিজের শরীরকে নিজে আক্রমণ করে বসে।
অনেকে আমেরিকা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্পকে পাগল ভাবে। আসলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প হচ্ছে প্রকৃত বুদ্ধিমান ব্যক্তি। সে হলো ‘জাতে মাতাল, তালে ঠিক’। সে উপর দিয়ে দেখায় সে একটা পাগল, কিন্তু বাস্তবে তার হুশ অন্যদের থেকে অনেক বেশি। মূলত তাকে প্রেসিডেন্ট করা হইছে, তাদের বেশ কয়েক বছর ধরে যুদ্ধ করে অর্থনৈতিক অবস্থা নড়বড়ে হয়ে উঠেছে, সেটাকে সামাল দেয়ার জন্য। এজন্য সে ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' পলিসি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তার কাজ হচ্ছে তাদের দেশীয় বা জাতিগত ব্যবসা ও শিল্পগুলোকে পুনরুদ্ধার করা। ভিন্ন জাতির স্বার্থ রেখে তার নিজের জাতিকে কিভাবে অর্থণৈতিক ও ব্যবসায়ীক দিক থেকে শক্ত করা যায়, সেই তার মূল উদ্দেশ্য। অপরদিকে, আমরা হইলাম- “জাতে শো-অফ আর তালে মাতাল”। উপর দিকে দিয়ে দেখাই খুব বুঝি, কিন্তু বাস্তবে আমরা হইলাম- এল্যার্জি রোগীর ইমিউন (রোগ প্রতিরোধ) সিস্টেমের মত, যে নিজের শরীরকে নিজে আক্রমণ করে বসে।
(৯) দেশী শিল্প ধ্বংসে বিদেশী মদদপুষ্ট মিডিয়া হলো গুজব তৈরীকারী, আর হাইকোর্ট সেটা বাস্তবায়নকারী।
এর খুব সহজ প্রমাণ হলো- দুধে এন্টিবায়োটিক ও ভারি ধাতু এ অজুহাতে দেশের ১৪টি মূল মূল দুগ্ধ কোম্পানি বন্ধ করে দেয়া।
অথচ উচিত ছিলো কোন স্টেজ দিয়ে এন্টিবায়োটিক ও ভারি ধাতু আসছে সেটা চিহ্নিত করে তার সমাধান করা।
ভারি ধাতুটা কোন স্টেজ দিয়ে ঢুকছে ?
গো-খাদ্য দিয়ে ? কোন খাদ্য দিয়ে ? ঐ খাবারটা কোথা থেকে আসছে ? সেখানে এমন কি মেশানো হচ্ছে, যার কারণে গোখাদ্যে ভারি ধাতু আসছে ? হতে পারে, সেটা কীটনাশক। কথা হলো আমাদের সব শাক সবজীতেই তো কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে, কিন্তু তখন ভারি ধাতুর কথা বলা হচ্ছে না। কিন্তু গরু খাবার খেলে সেই খাবারের ভারি ধাতু (গরুর শরীর হয়ে আসলে তা হাজার গুন কম হয়ে যাচ্ছে) দুধ হয়ে আমাদের শরীরে আসছে, এটা নিয়ে এত প্রচার হচ্ছে কেন ?
ধরে নিলাম, কীটনাশক থেকে ভারি ধাতু আসছে। তাহলে ঐ কীটনাশক আমাদানি বন্ধ করে দিলেই তো হয়। ঐ কীটনাশকের বিকল্প কি হতে পারে, সেটা নিয়ে আগে চিন্তা করতে হবে। কৃষককে সেটা দিতে হবে। তখন ভারি ধাতু যাবে, এর আগে না।
সেকেন্ড - এন্টি বায়োটিক।
মানুষ বাচতে গেলে এন্টিবায়োটিক যেমন নিতে হয়, তেমনি অসুস্থ গরু-মুরগীকে বাচাতে হলেও এন্টিবায়োটিক দিতে হবে। কথা হলো এন্টি বায়োটিক দিলেই কি খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে ? নাকি ওষুধ দেয়ার একটি নির্দ্দিষ্ট সময় ঐ গরুর দুধ দোয়ানো যাবে না বা দোয়ালেও ফেলে দিতে হবে। এটা খামারিদের বোঝাতে হবে, খামারিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাছাড়া ওষুধ কোম্পানিগুলোর ওষুধ বেশি বিক্রি করার জন্য রিপ্রেজেন্টেটিভদের চাপে বেশি এন্টিবায়োটিক পুশ করছে কি না, সেটাও নজরদারী করতে হবে। ঠিক যে যায়গায় সমস্যা সেটা আটকাতে হবে, পুরোটা নষ্ট করে দেয়া যাবে না।
অথচ উচিত ছিলো কোন স্টেজ দিয়ে এন্টিবায়োটিক ও ভারি ধাতু আসছে সেটা চিহ্নিত করে তার সমাধান করা।
ভারি ধাতুটা কোন স্টেজ দিয়ে ঢুকছে ?
গো-খাদ্য দিয়ে ? কোন খাদ্য দিয়ে ? ঐ খাবারটা কোথা থেকে আসছে ? সেখানে এমন কি মেশানো হচ্ছে, যার কারণে গোখাদ্যে ভারি ধাতু আসছে ? হতে পারে, সেটা কীটনাশক। কথা হলো আমাদের সব শাক সবজীতেই তো কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে, কিন্তু তখন ভারি ধাতুর কথা বলা হচ্ছে না। কিন্তু গরু খাবার খেলে সেই খাবারের ভারি ধাতু (গরুর শরীর হয়ে আসলে তা হাজার গুন কম হয়ে যাচ্ছে) দুধ হয়ে আমাদের শরীরে আসছে, এটা নিয়ে এত প্রচার হচ্ছে কেন ?
ধরে নিলাম, কীটনাশক থেকে ভারি ধাতু আসছে। তাহলে ঐ কীটনাশক আমাদানি বন্ধ করে দিলেই তো হয়। ঐ কীটনাশকের বিকল্প কি হতে পারে, সেটা নিয়ে আগে চিন্তা করতে হবে। কৃষককে সেটা দিতে হবে। তখন ভারি ধাতু যাবে, এর আগে না।
সেকেন্ড - এন্টি বায়োটিক।
মানুষ বাচতে গেলে এন্টিবায়োটিক যেমন নিতে হয়, তেমনি অসুস্থ গরু-মুরগীকে বাচাতে হলেও এন্টিবায়োটিক দিতে হবে। কথা হলো এন্টি বায়োটিক দিলেই কি খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে ? নাকি ওষুধ দেয়ার একটি নির্দ্দিষ্ট সময় ঐ গরুর দুধ দোয়ানো যাবে না বা দোয়ালেও ফেলে দিতে হবে। এটা খামারিদের বোঝাতে হবে, খামারিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাছাড়া ওষুধ কোম্পানিগুলোর ওষুধ বেশি বিক্রি করার জন্য রিপ্রেজেন্টেটিভদের চাপে বেশি এন্টিবায়োটিক পুশ করছে কি না, সেটাও নজরদারী করতে হবে। ঠিক যে যায়গায় সমস্যা সেটা আটকাতে হবে, পুরোটা নষ্ট করে দেয়া যাবে না।
তাই ‘গুজবের কারণে পিটিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা’ আর ‘এন্টিবায়োটিক-ধাতুর গুজবে দুগ্ধ শিল্পকে বন্ধ করে দেয়া’র মধ্যে আমি কোন পার্থক্য দেখি না।