গতকাল থেকে ফেসবুকে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইসকন নামক একটি সংগঠনের। এন.সি-২৭৩


গতকাল থেকে ফেসবুকে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইসকন নামক একটি সংগঠনের
Image result for মরুভূমি
গতকাল থেকে ফেসবুকে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইসকন নামক একটি সংগঠনের কিছু সদস্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে বিভিন্ন ধর্মের বাচ্চাদের মাঝে তাদের ইসকনের খাবার বিলি করতেছে এবং বাচ্চাদের মুখ দিয়ে ‘হরে কৃষ্ণ, হরে হরে” শ্লোগান উচ্চারণ করিয়ে তা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে। (https://youtu.be/8z6WQdQ5x08)
একজন শিশু অবুঝ, স্বাভাবিকভাবে তার নিজস্ব কোন বিচার বিবেচনা থাকে না। এ অবস্থায় সেই শিশুকে খাবারের লোভ দেখিয়ে অবুঝ মুখ দিয়ে ভিন্ন ধর্মীয় শ্লোগান গাওয়ানো এবং সেই শ্লোগান রেকর্ড করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া একটি নিকৃষ্ট কাজ বলে আমি মনে করি।
আপনাদের মনে থাকার কথা,
১. ২০১৬ সালে সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হিন্দু ছাত্র ক্যান্টিনে মাছের ঝোল চাইলে তাকে গরুর মাংশের ঝোল দিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ক্যান্টিন মালিককে বেড়ধর পেটায় ঐ হিন্দু ছাত্র। (https://bit.ly/2SiXYvH)
২. ২০১৬ সালে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের একটি অনুষ্ঠানে খাসির মাংশের বিরিয়ানীর বদলে গরুর মাংশের বিরিয়ানী দেয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে তুমুল হট্টগোল হয় এবং পুরো অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। (https://bit.ly/2YWetQV)
৩. ২০১৭ সালে সেক্যুলার (!) অনুষ্ঠান পহেলা বৈশাখে সেক্যুলার (!) বিদ্যাপিঠ চারুকলার ক্যান্টিনের তেহারিতে গরুর মাংশ দেয়া হয়েছে এমন দাবী করে ক্যান্টিন ভাংচুর করা হয়। (https://bbc.in/2xTcJvG)
প্রতিক্ষেত্রেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অভিযোগ তাদের অগোচরে তাদের দিয়ে অন্য ধর্মের কাজ করানোয় তারা ভাংচুর করেছে, আইন নিজের হাতে তুলে মারপিট পর্যন্ত করেছে।
কথা হলো, প্রাপ্ত বয়ষ্ক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের দিয়ে অগোচরে গরুর মাংশ খাওয়ালে যদি অপরাধ হয়, তবে শিশু বাচ্চাদের খাবরের লোভ দেখিয়ে হরে কৃষ্ণ শ্লোগান দেয়ানো এবং সেই গ্লোগান ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া কতটুকু আইনসিদ্ধ হবে ?
আপনারা জানেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক ধর্মের শিশুকে অন্যধর্মের কাজ করানো সম্পূর্ণ রুপে আইনবিরুদ্ধ, সেখানে চট্টগ্রামে যে স্কুলগুলো এ ঘটনা ঘটেছে, তাদের প্রত্যেক হেডমাস্টারকে আইন অনুযায়ী অপরাধী বলে গণ্য করা যায়।
পাশাপাশি, আমি ব্যক্তিগতভাবে ‘ইসকন’ নামক সংগঠনটি সম্পর্কে সন্দিহান, আসলেই এ সংগঠনটি হিন্দুদের কোন সংগঠন, নাকি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ইনফিলট্রেট করা অন্যধর্মের কোন সংগঠন তা যাচাই করা উচিত, বিশেষ করে সংগঠনটির প্রধান যখন খ্রিস্টান চার্চ থেকে লেখাপড়া করে আসা ব্যক্তি হয়, তখন যুক্তি অনুসারে সেটি হিন্দু ধর্মের সংগঠন হয় কিভাবে ? তাছাড়া সারা বাংলাদেশে সনাতন হিন্দুদের মন্দিরগুলো দখল করে ইসকনী (অনেকে বলে ডিসকনী) মন্দির বানানোর যে প্রক্রিয়া তারা শুরু করেছে তা সনাতন হিন্দুদের অস্তিত্ব ধ্বংষের ষড়যন্ত্র বলে আমি মনে করি।
একইসাথে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীকে আমি বলবো, পাশ্ববর্তী ভারতে যখন ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান মুসলমানের মুখ দিয়ে উচ্চারণ নিয়ে নিত্তনৈমত্তিক মুসলমান হত্যা করা হচ্ছে, ঠিক সে সময়ে বাংলাদেশের মুসলিম শিশুদের মুখ দিয়ে ‘হরে কৃষ্ণ’ শ্লোগান বের করে সেটা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়াটা আমার কাছে চরম দূরভিসন্ধিমূলক মনে হয়। ভারতের চলমান সাম্প্রদায়িক পরিবেশ বাংলাদেশে ইমপোর্ট করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার কোন প্ল্যান ইসকন নামক সংগঠনটির আছে কি না, তা জরুরী ভিত্তিকে খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পড়তে পারেন-
ইসকন : আসল পরিচয় কি ? - https://bit.ly/2O01YCW