হিন্দু উগ্রবাদী চেনার লক্ষণ ‘লাল সূতা’ - ছেলেদের ডান হাতে, মেয়েদের বাম হাতে
গত ৫-৬ বছর যাবত হঠাৎ করে হিন্দু ছেলেদের মধ্যে ডান হাতে লাল সূতা আর মেয়েদের বাম হাতে লাল সূতা পরার সংখ্যা বাড়তে থাকে। যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, তবে বলবে-
(ক) একসময় দেবতা ও অসুরদের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ শুরু হয়,অসুরদের পরাক্রম দেখে দেবরাজ ইন্দ্র খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। স্বামীকে চিন্তিত দেখে স্ত্রী ইন্দ্রাণী তার জন্য প্রার্থনা শুরু করেন। ইন্দ্রাণী তার আধ্যাত্বিক শক্তি একত্রিত করে লাল সুতো দিয়ে একটা মালা তৈরি করেন।
তারপর দেবরাজ ইন্দ্রের মঙ্গল কামনা করে সেই লাল সুতোর মালা তার গলায় বেধে দেন যাতে অসুরেরা তাকে আঘাত করতে না পারে। এরপর দেবতা ও অসুরদের মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধ শুরু হয়। ইন্দ্রের নেতৃত্বে দেবতারা যুদ্ধে জয় লাভ করেন। তখন থেকেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে মন্ত্রপূত লাল সুতো বাঁধার প্রচলন হয়।
(খ) ভক্ত প্রহ্লাদের পুত্র বলিরাজ ব্রহ্মার আশীর্বাদে সর্গ, মর্ত্য ও পাতালের অধিকারী হয়েছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্রের সিংহাসন রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু বামন রূপে জন্মগ্রহণ করে বলিরাজকে পাতালে পাঠিয়ে দেন। ভগবান বিষ্ণু বলিরাজকে অমরত্ব দান করেন। আশীর্বাদ স্বরূপ তিনি তার হাতে বেধে দেন লাল সুতো।
তারপর দেবরাজ ইন্দ্রের মঙ্গল কামনা করে সেই লাল সুতোর মালা তার গলায় বেধে দেন যাতে অসুরেরা তাকে আঘাত করতে না পারে। এরপর দেবতা ও অসুরদের মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধ শুরু হয়। ইন্দ্রের নেতৃত্বে দেবতারা যুদ্ধে জয় লাভ করেন। তখন থেকেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে মন্ত্রপূত লাল সুতো বাঁধার প্রচলন হয়।
(খ) ভক্ত প্রহ্লাদের পুত্র বলিরাজ ব্রহ্মার আশীর্বাদে সর্গ, মর্ত্য ও পাতালের অধিকারী হয়েছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্রের সিংহাসন রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু বামন রূপে জন্মগ্রহণ করে বলিরাজকে পাতালে পাঠিয়ে দেন। ভগবান বিষ্ণু বলিরাজকে অমরত্ব দান করেন। আশীর্বাদ স্বরূপ তিনি তার হাতে বেধে দেন লাল সুতো।
ঘটনা কিন্তু মিথ্যা নয়। হিন্দুরা তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে হিন্দু যোদ্ধা হওয়ার শিক্ষা নিবে এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে আপনি মুসলমান হলে নিজেকে অসুর হিসেবে কল্পনা করুন, আর হিন্দুরা নিজেদের দেবতা হিসেবে কল্পনা করুক, তাহলেই বুঝতে পারবেন- কি উদ্দেশ্য এই লাল সূতা বাধা হচ্ছে।
তবে অনেক হিন্দু হয়ত দাবী করে বসতে পারে, বিপত্তারিণীর পুজোর সময় এই সময় এই লাল সূতা বাধা হয়।
তাহলে এখানে কথা আছে, এই পূজা তো অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে, তাহলে আগে তো এত লাল সূতা বাধা হিন্দু দেখা যেতো না, কিন্তু গত ৫-৬ বছর যাবত হঠাৎ করে দেশে হু হু করে হাতে লাল সূতা পরিহিত হিন্দু নর-নারীর সংখ্যা বাড়লো কেন ?
তাহলে এখানে কথা আছে, এই পূজা তো অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে, তাহলে আগে তো এত লাল সূতা বাধা হিন্দু দেখা যেতো না, কিন্তু গত ৫-৬ বছর যাবত হঠাৎ করে দেশে হু হু করে হাতে লাল সূতা পরিহিত হিন্দু নর-নারীর সংখ্যা বাড়লো কেন ?
আমি আগেও আপনাদের বলেছি, গত ২০১৪ সালে ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার ২-১ বছর আগে থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের মধ্যে পলিটিকাল ওরিয়েন্টটেশন শুরু হয়েছে। তারা সংখ্যালঘু তত্ত্ব বাদ দিয়ে উগ্রবাদী মতাদর্শ গ্রহণ করেছে, আলাদা হিন্দুত্ববাদী টার্গেট নিয়ে কাজ করছে। উল্লেখ্য, ভারতের উগ্রবাদী শিবসেনা বা সমমনা উগ্র দলগুলো এভাবে হাতে লাল সূতা পরে, তাদের অনুকরণেই ৫-৬ বছর যাবত বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যে লাল সূতা পরার হিড়িক পড়ে যায়।
সম্ভবত হিন্দুদের হাতে লাল সূতা পরার কারণ হতে পারে-
১) গোপন শপথ
২) গোপন এজেন্ডা
৩) গোপন কার্যক্রম
৪) মুসলিম বিরোধীতায় ঐক্য
১) গোপন শপথ
২) গোপন এজেন্ডা
৩) গোপন কার্যক্রম
৪) মুসলিম বিরোধীতায় ঐক্য
বাংলাদেশের মুসলিমদের বলবো- ডান হাতে লাল সূতা পরিহিত হিন্দু ছেলে এবং বাম হাতে লাল সূতা পরিহিতা হিন্দু মেয়েদের প্রতি নজর রাখুন, দেখবেন তাদের অনেক গোপন এজেন্ডা সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
[আপনার এলাকায় হিন্দু ছেলেদের ডান হাতে লাল সূতা এবং হিন্দু মেয়েদের বাম হাতে লাল সূতা পরা দেখে থাকলে কমেন্টে জানান]