কিছু জিনিস আমার ভালো লাগে না,
বিদেশী শত্রুর বেলায় দেশী দলগুলোর কামড়াকামড়ি।
যেমন-
শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ট্যাটাসটা খুব সুন্দর হয়েছে,
কিন্তু লাস্টে এসে সে বিএনপি-জামাতের কথা নিয়ে এসেছে। এটা খুব খারাপ।
সম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বহু মানুষ আছে, তরুণ প্রজন্ম আছে,
জয় যখন সেটার বিরুদ্ধে বললোই, তখন অনেক তরুণ প্রজন্ম সেটাকে পজিটিভলি নিবে, সেখানে বিএনপি-জামাতের কর্মী থাকাও অস্বাভাবিক নয়।
কিন্তু জয় পুরো স্ট্যাটাস ভালো ভাবে বললেও, লাস্টে এসে রাজনৈতিক গোড়ামির কারণে আবার একা হয়ে গেলো।
বিদেশী শত্রুর বেলায় দেশী দলগুলোর কামড়াকামড়ি।
যেমন-
শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ট্যাটাসটা খুব সুন্দর হয়েছে,
কিন্তু লাস্টে এসে সে বিএনপি-জামাতের কথা নিয়ে এসেছে। এটা খুব খারাপ।
সম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বহু মানুষ আছে, তরুণ প্রজন্ম আছে,
জয় যখন সেটার বিরুদ্ধে বললোই, তখন অনেক তরুণ প্রজন্ম সেটাকে পজিটিভলি নিবে, সেখানে বিএনপি-জামাতের কর্মী থাকাও অস্বাভাবিক নয়।
কিন্তু জয় পুরো স্ট্যাটাস ভালো ভাবে বললেও, লাস্টে এসে রাজনৈতিক গোড়ামির কারণে আবার একা হয়ে গেলো।
একইভাবে প্রিয়া সাহার ঘটনা নিয়ে সম্ভবত বিএনপির এমপি ওলী আহাদের মেয়ে রুমিন ফারহানা একটা ট্রেন্ড তুলে দিলো, প্রিয়া সাহা কোন মন্ত্রীর সাথে গেছে সফরসঙ্গী হিসেবে সেটা নিয়ে। ঘটনা ছিলো প্রিয়া সাহা আর আমেরিকার দিকে, কিন্তু আলোচনা ঘুড়িয়ে দিলো আওয়ামীলীগের দিকে। ব্যস বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলো শুরু করে দিলো সেই বস্তাপচা সবক কপচানো।
আমরা ভারতকে খুব খারাপ বলি, কিন্তু ভারতের একটা জিনিস আমার খুব ভালো লাগে। সেটা হলো বহিঃশত্রুর ব্যাপারে তারা সব রাজনৈতিক দল এক। আমার মনে পরে, একবার ইতালির এক জাহাজ থেকে গুলি করে এক ভারতীয় জেলেকে মেরে ফেলছিলো। তখন সে ইস্যুতে ভারতীয় সংসদে তুমুল হট্টগোল। ইতালির জাহাজ আর দূতাবাসকে কত কঠিন শাস্তি দেয়া যায় দলমত নির্বিশেষে তার প্রতিযোগীতা চলতেছে। অথচ সেটা বাংলাদেশ হইলে তখন ইতালির বিরুদ্ধে বলা তো দূরের কথা, উল্টো দুই দল মারামারি লেগে যাইতো- ‘তুই দোষী’, ‘তুই দোষী’ বলে। এগুলো হলো ব্যক্তি বিদ্বেষ আর হিংসা। এগুলোর প্র্যাকটিস খুব খারাপ জিনিস। এগুলো দ্বারা ব্যক্তি হিংসা হাসিল করা যায়, কিন্তু দেশ ও জাতির ক্ষতি ছাড়া কল্যাণ হয় না।
একটা কথা মনে রাখবেন, দেশে অবশ্যই ভালো ও মেধাবী মাইন্ডের অনেক তরুণ তাছে। এরা দেশের স্বার্থে অনেক কিছু করতে চায়। কিন্তু তারা যখন দেখে, দেশী ইস্যুতে রাজনীতিকরা এমন হিংসা-বিদ্বেষ করতেছে, তখন তারা কেটে পড়ে। এ কারণে তারা কখনই রাজনীতির দিকে ঝুকতে চায় না। কারণ তারা ভাবে- রাজনীতি তো মেধা চর্চার যায়গা না, রাজনীতি হচ্ছে হিংসা চর্চার যায়গা।
পাশাপাশি বহিঃশত্রুর জন্য এটা খুব উর্বর পরিবেশ। কারণ বহিঃশত্রু সেখানেই আসে, যেখানের রাজনৈতিকদলগুলো নিজেদের মধ্যে মারামারি আর হিংসাতে ব্যস্ত।
পাশাপাশি বহিঃশত্রুর জন্য এটা খুব উর্বর পরিবেশ। কারণ বহিঃশত্রু সেখানেই আসে, যেখানের রাজনৈতিকদলগুলো নিজেদের মধ্যে মারামারি আর হিংসাতে ব্যস্ত।
আমি রাজনৈতিক দলগুলো প্রতি আহবান করবো-
আপনারা নিজেদের মধ্যে সারা দিন মারামারি করেন, সমস্যা নাই, অন্তত এমন আন্তর্জাতিক ইস্যু, যখন বহিঃশত্রু আমাদের হুমকি দিচ্ছে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে দেশ দখলের জন্য, তখন অন্তত নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি কইরেন না। এটা খুব খারাপ দেখায়, জঘণ্য দেখায়।
আপনারা নিজেদের মধ্যে সারা দিন মারামারি করেন, সমস্যা নাই, অন্তত এমন আন্তর্জাতিক ইস্যু, যখন বহিঃশত্রু আমাদের হুমকি দিচ্ছে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে দেশ দখলের জন্য, তখন অন্তত নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি কইরেন না। এটা খুব খারাপ দেখায়, জঘণ্য দেখায়।