“বিদেশি ব্র্যান্ডের দুধ কেন শঙ্কামুক্ত”। এন.সি- ২৪৯

“বিদেশি ব্র্যান্ডের দুধ কেন শঙ্কামুক্ত”
Image result for বিল্ডিং
কি বুঝলেন ?
যুগান্তরে আজকের খবরের হেডিং দেখে ?
“বিদেশি ব্র্যান্ডের দুধ কেন শঙ্কামুক্ত”
কি সুন্দর ! গতকাল দেশী দুধ বন্ধ করে,
আজকে বলছে বিদেশী দুধ শঙ্কামুক্ত।
আমি আপনাদের গত ৩ বছর যাবত বলে আসছি,
দেশী শিল্প ধ্বংস করে বিদেশী শিল্প আসবে,
দেশের মানুষকে তারা উৎপাদক নয়, শ্রমিক বানাবে।
আপনার তখন বুঝেন নাই। আজকে এক ‘দুধ’ দিয়ে বিষয়টি বুঝলেন ?
বিদেশীরা দেশে তাদের দালাল সিন্ডিকেট বানিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিবে।
একারণে দেখবেন-
মিডিয়া শুধু দেশী কোম্পানির খারাপ দিক নিয়ে বলবে,
মাহবুব কবির মিলন শুধু দেশী বিষয়গুলোর নিয়ে বিষেদগার করবে,
আ ব ম ফারুক শুধু দেশী কোম্পানি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে,
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ শুধু দেশী কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দিবে,
হাইকোর্ট শুধু দেশী কোম্পানিকে বন্ধ করে দিবে,
র‌্যাবের সারোয়ার আলম শুধু দেশী কোম্পানিকে জরিমানা করে সিলগালা করবে।
অথচ দেশে এত এত বিদেশী জিনিস আসে, কিন্তু রহস্যজনক কারণে তারা সেগুলোর কথা বেমালুম ভুলে যাবে, স্মরণই করতে পারবে না।
“মুখে লোক দেখানোর জন্য মাঝে মাঝে কিছু বলে নিরপেক্ষ সাজতে পারে, কিন্তু তাদের মিশন অনুযায়ী তারা কাজ চালাবে।”
কিন্তু অতি দুঃখজনক দেশের গুজবে বিশ্বাসী মানুষ এই বিদেশীদের ভাড়া খাটা সিন্ডিকেটের কথায় দেশের উৎপাদনকে ছুড়ে ফেলে বিদেশীদের গ্রহণ করবে। এভাবেই একটা দেশ পরাধীন হয়।
আমি আপনাদেরকে অনেক আগেই কর্পোরেটোক্রেসি নিয়ে সাবধান করেছিলাম। বলেছিলাম- দেশী উৎপাদন বন্ধ করে বিদেশী পন্য আসবে। আর তখন বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক হবে, তখন ঐ সব বিদেশীরা বাংলাদেশে কারখানাখুলে নামমাত্র মূলে দাস নিতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশে যদি উৎপাদন খাতগুলো চালু থাকে, তবে তারা এত স্বল্পমূল্যে শ্রমিক পাবে না। আবার তাদের পণ্যের ব্যবসাও হবে না।
আমি জানি, তারপরও একদল গুজবে বিশ্বাসী মানুষ বলবে-
“তাহলে কি আপনি চান, আমাদের সন্তানদের মুখে বিষ তুলে দেই।
দেশীরা যদি খারাপ হয় আর বিদেশী যদি ভালো হয়,
তবে বিদেশীটা গ্রহণ করতে সমস্যা কোথায় ?”
আহারে গুজবে বিশ্বাসী মানুষ !!
যুগান্তরের খবরটাই দেখুন- সেখানে বলছে-
“বিদেশি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন গুঁড়ো দুধ নিরাপদ ও শঙ্কামুক্ত। এসব দুধে থাকে পুষ্টির নিশ্চয়তা। মূলত তিন কারণে এই দুধকে নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এগুলো হল- প্রাকৃতিক খাদ্য ও নিবিড় যত্নে পালনকৃত গরু থেকে সংগ্রহ করা হয় দুধ; ইউরোপে নিজস্ব গরুর খামার থেকে দুধ সংগৃহীত; প্রতিটি ধাপে ইউরোপিয়ান স্টান্ডার্ড মেনে গুঁড়ো দুধ প্রস্তুত করা হয়। ”
(https://bit.ly/2YdnpVQ)
এই কথাটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। বিদেশী ব্র্যান্ডের গুড়া দুধ সম্পূর্ণরূপে গরু থেকে সংগ্রহ করা হয়, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। যদি গুড়া দুধ ১০০% খাটি হইতো, তবে এর দাম আরো বহুগুন হইতো, এত কম দামে দিতে পারতো না। এজন্য তারা আসল গুড়া দুধের সাথে কৃত্তিম গুড়া দুধ মিশায়। এটাকে সম্ভবত ‘সাবস্টিটিউট মিল্ক’ বলে। এটা প্রকৃত গুড়া দুধ না, ভেজিটেবল ফ্যাট থেকে বানানো কৃত্তিম দুধ। অনেক আগে একবার যমুনা টিভি’র প্রতিবেদনে দেখাইছিলো বাংলাদেশে কিছু কিছু খামারি কৃত্তিম দুধ বানায়, সয়াবিন তেল আরো অনেক কিছু মিশায়। তখন এটা দেখে সবাই ছি ছি করছে। অথচ বিদেশী গুড়া দুধ কোম্পানিগুলো এটা নিয়ম মাফিক করে এমনকি তাদের প্যাকেটের পেছনে এই ‘সাবস্টিটিউট মিল্ক’ এর কথা লেখাও থাকে, সম্ভবত গুড়া দুধের অর্ধেকই হলো কৃত্তিম বা ভেজাল। কিন্তু বাঙালী সেটা বুঝতে পারে না। বিদেশীটাকেই অমৃত মনে করে।
যাই হোক, বাংলাদেশীরা নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরে পঙ্গু হয়ে যাক, তাতে আমার কি ??
যারা দেশের দুধ খারাপ মনে করে, আর বিদেশ থেকে আমদানি করা গুড়া দুধ (বাংলাদেশে দাম কম হওয়ায় আসে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক নিম্ন মানের দুধ) ভালো মনে করে, তাদের মত মূর্খ মনে হয় দুইটা নেই। কয়েকদিন পর যখন দেশের বাচ্চাদের গণহারে ক্যান্সার শুরু হব, তখন বুঝবে।