শেখ হাসিনা পূত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আজ তার স্ট্যাটাসে স্বীকার করেছে, “প্রিয়া সাহার ঘটনা বাংলাদেশের আমেরিকান সেনা অভিযানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা”।এন.সি-২৬৫

শেখ হাসিনা পূত্র সজীব ওয়াজেদ জয়
 আজ তার স্ট্যাটাসে স্বীকার করেছে, “প্রিয়া সাহার ঘটনা বাংলাদেশের আমেরিকান সেনা অভিযানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা”।

Image result for মরুভূমি
শেখ হাসিনা পূত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আজ তার স্ট্যাটাসে স্বীকার করেছে, “প্রিয়া সাহার ঘটনা বাংলাদেশের আমেরিকান সেনা অভিযানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা”।
তবে গতকালই আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশে আমেরিকান সৈন্য আসা সম্ভব তখন হবে, যখন বাংলাদেশ থেকে একটা বিদ্রোহী গোষ্ঠী দাড়িয়ে আমেরিকানদের ডাকবে, ঠিক যেভাবে লিবিয়াতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আমেরিকানদের ডেকে এনেছিলো।
এজন্য বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আলাদা নজরদারির খুব দরকার বলে মনে হয়।
আমি জানি, বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলমানের বিশ্বাস-
“দূর হিন্দুরা আবার কি করবে ?”
আমার মনে হয়, কোন পাত্রের ছিদ্রকে কখন ছোট করে দেখতে নেই। কোন ছিদ্রকে যদি ছোট থাকতেই খেয়াল দেওয়া হয়,তবে সেই ছিদ্র বড় হতে পারে না। আর ছিদ্র বড় হয়ে গেলে সেই পাত্রই বাতিল হয়ে পড়তে পারে।
আমার কাছে একটি বিষয় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, গত ২০১৭ সালে মোদি সরকারের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশে ভারতীয় ফান্ডিং এ বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধন করেছিলো, এর মধ্যে ৫টি ছিলো হিন্দু ধর্মীয় আবাসন প্রকল্প (https://bit.ly/2O9vmXa)। যেমন-
১) ঢাকার রমনা কালি মন্দিরের ভেতরে ৫ তলা গেস্ট হাউস
২) সাভারের ইস্কন মন্দিরের ভেতরে বহুতল আশ্রম ভবন নির্মাণ
৩) ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের ভেতরে হোস্টেল নির্মাণ
৪) সিলেটে ইস্কন মন্দিরে ৫ তলা হোস্টেল নির্মাণ (https://bit.ly/2YYM9gJ)
৫) ময়মনসিংহের রামকৃষ্ণ মিশনে ৫ তলা বিশিষ্ট হোস্টেল নির্মাণ
আমার কাছে তখনই মনে হয়েছে, ভারতীয় অর্থায়নে হিন্দু ধর্মীয় এই হোস্টেল, গেস্ট হাউস বা হলগুলো এক সময় হিন্দু উগ্রবাদীদের মিনি ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। এখানে অস্ত্র মজুদ বা প্রশিক্ষণ চলবে। এবং লোক জমায়েত করে হামলা করাও অস্বাভাবিক নয়।
আরেকটি বিষয় হলো, বাংলাদেশের একটি প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, মুসলমানরা সন্ত্রাসী হতে পারে, মুসলমানরা বোমা বানায়, বোমা ফুটায়। কিন্তু হিন্দুরা বোমা বানায় বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারে, এ ধরনের বিশ্বাস এখনও বাংলাদেশে জন্ম নেয়নি। এ সম্পর্কে সপ্তাহ খানেক আগে একটি খবর মিডিয়াতে আসে- নড়াইলে বোমাসহ আটক ৩
নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮টি বোমা ও বোমা তৈরির উপকরণসহ তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১০টার দিকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন চন্ডিবরপুর গ্রামের মন্টু সরকারের ছেলে কালু সরকার (৫৫), কালিপদ সাহার ছেলে বিশ্বজিত সাহা (৫১) ও দুলাল বিশ্বাসের ছেলে সাগর বিশ্বাস (২৮)। এছাড়া রবি বিশ্বাস নামে তাদের এক সহযোগী পালিয়ে যায়। র‌্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার মেজর শামীম সরকারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোর ৫টা থেকে নড়াইল সদরের চন্ডিবরপুর গ্রামের বিশ্বজিত সাহার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই বাড়ি থেকে আটটি বোমা এবং বোমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ডিভাইস, গানপাউডার, সার্কিট, তার, ২০টি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির ৫০টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই চক্রটি বোমা তৈরি করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী চক্রের কাছে বিক্রি করে আসছিল। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান। (https://bit.ly/2SqvRKY)
যাই হোক, আরেকটি তথ্য দিতে চাই,
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার তো মুসলমানদের পাঠ্যবই থেকে জিহাদ অধ্যায় বাদ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এ সুযোগে হিন্দুরা কিন্তু অন্য উদ্যোগ নিয়েছে। হিন্দুদের জিহাদ (কুরুক্ষেত্র) শেখানোর ধর্মীয় গ্রন্থ হলো গীতা। গীতার মাধ্যমে হিন্দু ধর্মীয় যুদ্ধে উব্ধুদ্ধ করা হয়। হিন্দুদের মধ্যে ধর্মযুদ্ধের বিষয়টি ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশের প্রত্যেক গ্রাম ভিত্তিক হিন্দুরা গীতা স্কুল স্থাপনের টার্গেট নিয়েছে, যেখানে ছোট ছোট হিন্দু বাচ্চাদের ধর্মীয় যুদ্ধের আগ্রহী করে তোলা হয়।
যেমন-
১) হবিগঞ্জ শহরে ২টি শারদাঞ্জলি গীতা নিকেতন গীতা স্কুল উদ্বোধন (https://bit.ly/2fKSAAW)
২) মানিকগঞ্জের ঘিওরে গীতা স্কুল উদ্বোধণ (https://bit.ly/2O96Lly)
৩) খুলনার কয়রায় গীতা স্কুলের উদ্বোধন (https://bit.ly/30Sd7qZ)
৪) বগুড়ায় গীতা স্কুল ও ধর্মচর্চা কেন্দ্র উদ্বোধন (https://bit.ly/2JUfIKa)
৫) চট্টগ্রামের কানুনগোপাড়ায় গীতা শিক্ষা স্কুলের উদ্বোধন (https://bit.ly/2XWZoBY )
উল্লেখ্য, শারোঞ্জলি ফোরাম, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদসহ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই স্কুলগুলোর পেছনে কাজ করছে।
অনেকে হয়ত বলতে পারেন, দূর ভাই হিন্দুদের এত শক্তি নাই, মুসলমানদের কত শক্তি।
যারা এ ধরনের বিশ্বাসের রোগে ভুগেন, আমি তাদের জন্য দুঃখিত। এদের খরেগোশ আর কচ্ছপের গল্প থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। তাছাড়া, হিন্দু সংখ্যায় কম হলেও তারা সুসংগঠিত এবং ধর্মীয় চেতনায় উব্ধুদ্ধ, যা সেক্যুলার মুসলমানদের মধ্যে বিন্দুমাত্র নেই। মুসলমানরা কোন ঘটনা ঘটলে আগে নিজেরা মারামারি করে, অপরদিকে হিন্দুরা এত জাতেপাতে ভাগ হলেও মুসলমানদের বিরুদ্ধে তারা এক থাকার চেষ্টা করে। তাছাড়া এখন তাদের কাজ- ছোট করে হলেও একটা ঘটনা ঘটনা ঘটিয়ে পাশের ভারত আর আমেরিকাকে ডাক দেয়া। আর বাংলাদেশে হিন্দুদের কোন ঘটনা ঘটলে ভারতের বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আর ভারতীয় সেনা প্রধানের অনেক বড় ধরনের হুমকি আগে থেকেই দেয়া আছে। হতে পারে সব কিছু ক্যালকুলেশন করেই হচ্ছে। তবে চোখ বন্ধ করে ‘কিচ্ছু হবে না’ বলার থেকে কিছু প্রতিকার করে তারপর ‘কিচ্ছু হবে না', বলার পক্ষপাতি আমি।