ইসকন নামক সংগঠনটি নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা বিরাট বিরূপ পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। এন.সি-২৭০

ইসকন নামক সংগঠনটি নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা বিরাট বিরূপ পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।

ইসকন নামক সংগঠনটি নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা বিরাট বিরূপ পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।
এক্ষেত্রে আমার মনে হয়, বাংলাদেশের হিন্দু নেতা ও সংগঠনগুলোর পরিস্থিতি সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত। তাদের অবস্থান পরিস্কার করে বলা উচিত, “ইসকন যে কাজ করেছে তার দায় বাংলাদেশের হিন্দুরা বহন করবে না এবং ইসকনের কাজ অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর পায়তারা”, প্রয়োজনে সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র করার জন্য হিন্দুনেতাদের উচিত ইসকনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া।
Image result for মরুভূমিআমার জানা মতে, ইসকন হিন্দু ধর্ম থেকে আগত কোন সংগঠন না এবং সংগঠনটি তৈরী হয়েছে আমেরিকা নিউইয়র্কে এবং সংগঠনটির প্রধানও খ্রিস্টান চার্চ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা এক ব্যক্তি। এই সংগঠনটি বাংলাদেশে সনাতন হিন্দুদের কাছে আতঙ্কস্বরূপ, কারণ এই সংগঠনটি যেখানেই যায়, সেখানেই সনাতন হিন্দুদের মন্দির দখল করতে উঠেপড়ে লাগে।
ঢাকার স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরটি আগে একটি সনাতন হিন্দু মন্দির। সেই মন্দিরের জমির মালিক সনাতন হিন্দু ব্যক্তিকে মামলা মোকাদ্দমা দিয়ে সেখানে তারা ইসকন মন্দির গড়ে তুলেছে। একইভাবে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকায় শ্রী শ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে সনাতনদের উপর অত্যাচার করে আসছে ইসকনীরা। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রশিক রায় জিউ মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে ইসকনপন্থি ও সনাতন ধর্মালম্বীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় ইসকন ভক্তদের হামলায় ফুলবাবু নামে একজন সনাতন নিহত হয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন মন্দির সিলগালা করে কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। তারপর থেকে ওই মন্দিরে পূজার সময় সংঘর্ষের আশঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। (https://bit.ly/30BPTVV)
ইসকন সংগঠনটি উগ্র ধরনের সংগঠন। বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করে, সেটা ভাঙ্গার জন্য বার বার চেষ্টা করে এই সংগঠনটি। যেহেতু পার্শ্ববর্তী ভারতে উগ্র হিন্দুরা সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর নির্যাতন করছে, সেহেতু বাংলাদেশে সেই সাম্প্রদায়িকতার উল্টা রেশ আনার জন্য প্রয়োজন এ অঞ্চলে মুসলিমবিরোধী বিভিন্ন কাজে ইন্ধন দেয়া, যেন মুসলমানরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর ক্ষেপে যায়। এ কাজটি বিভিন্ন সময় রুটিনওয়ার্ক হিসেবে দিয়ে থাকে ইসকন। যেমন-
১) ২০১৪ সালে স্বামীবাগে তারাবীর নামাজে বাধা দেয় ইসকন । সে সময় হিন্দু-মুসিলম সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পুরো দেশে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি বিরাজ করে। (https://bit.ly/2JKBWy4)
২) ২০১৬ সালে সিলেটে ইসকন মন্দির থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদের মুসল্লীদের উপর গুলি বর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইসকনীদের হামলায় ডজনখানেক মুসল্লী গুরতর আহত হয়। (https://bit.ly/2y1GVaq)
৩) ইসকনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ায় ২০১৬ সালে খুন হয় সিলেটের এক মসজিদের ইমাম।(https://bit.ly/2YZXBsu)
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এখানে হিন্দু-মুসলিম একত্রে শান্তিতে বাস করে, কিন্তু ইসকন নামক উড়ে এসে জুড়ে বসা সংগঠনটি সেই সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করে মুসলিম-হিন্দুর মধ্যে বড় ধরনের দাঙ্গা বাধাতে চায়, যার পরবর্তী সুবিধা নিবে ভারতের উগ্র বিজেপি ও রামভক্তরা। আর এটা মেনে নিতেই হবে, বাংলাদেশে দাঙ্গা হলে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে সখ্যালঘু সনাতন হিন্দুরা। তাই ভবিষ্যতে হিন্দুদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের স্বার্থেই বাংলাদেশে ইসকন নামক ভুইফোর সংগঠনটি নিষিদ্ধ করা উচিত