অনেকে স্কুলের শিক্ষকদের কোচিং এর বিরুদ্ধে বলে।
এ প্রেক্ষিতে আমার একটা কথা মনে হয়-
মৌলিক চাহিদা বলা হয় ৫টি বিষয়কে- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা।
শিক্ষা বাদে, আমরা যদি বাকি ৪টি বিষয় মানে খাদ্য, বস্ত্র,বাসস্থান ও চিকিৎসা সম্পর্কে যদি ধারণা করি, “সরকার যা দিবে, আমরা শুধু ততটুকু গ্রহণ করবো, এর বাইরে কিছু গ্রহণ করবো না।”
তবে কি আমরা বাঁচতে পারবো ?
সরকার কি সবার খাদ্য দিতে পারবে ? বস্ত্র ? বাসস্থান ? চিকিৎসা ?
পারবে না, সরকারের পক্ষে এত বড় কাজ করা সম্ভব হবে না, প্রাইভেটাইজেশন লাগবে।
যদি সরকার বাকি ৪টি মৌলিক চাহিদা পূরণ না করতে পারে,তবে আমরা কিভাবে মনে করি- শিক্ষার বিষয়টি সরকারকে একা সামাল দিতে হবে ?
সরকার শিক্ষক দেবে, বই দেবে, পরীক্ষা নিবে (জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি)। আর যে শিক্ষককে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হবে, তারাই ক্লাসে সব পড়িয়ে দেবে ।
আমার মনে হয়, এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা সেকেলে।
শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন ধরনের বাধন দেয়া ঠিক না। যে যেখান থেকে পারুক শিক্ষা নিক।
স্কুলে শিক্ষক ঠিক মত ক্লাস নিচ্ছে কি না, সেটার জন্য তদরকি করতে পারেন,
কিন্তু সেটা না করে, “তার কোচিং বন্ধ করে দিলে সে ক্লাসে ঠিক মত ক্লাস নিবে”, এগুলো আজগুবি টাইপের চিন্তাভাবনা।
মৌলিক চাহিদা বলা হয় ৫টি বিষয়কে- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা।
শিক্ষা বাদে, আমরা যদি বাকি ৪টি বিষয় মানে খাদ্য, বস্ত্র,বাসস্থান ও চিকিৎসা সম্পর্কে যদি ধারণা করি, “সরকার যা দিবে, আমরা শুধু ততটুকু গ্রহণ করবো, এর বাইরে কিছু গ্রহণ করবো না।”
তবে কি আমরা বাঁচতে পারবো ?
সরকার কি সবার খাদ্য দিতে পারবে ? বস্ত্র ? বাসস্থান ? চিকিৎসা ?
পারবে না, সরকারের পক্ষে এত বড় কাজ করা সম্ভব হবে না, প্রাইভেটাইজেশন লাগবে।
যদি সরকার বাকি ৪টি মৌলিক চাহিদা পূরণ না করতে পারে,তবে আমরা কিভাবে মনে করি- শিক্ষার বিষয়টি সরকারকে একা সামাল দিতে হবে ?
সরকার শিক্ষক দেবে, বই দেবে, পরীক্ষা নিবে (জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি)। আর যে শিক্ষককে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হবে, তারাই ক্লাসে সব পড়িয়ে দেবে ।
আমার মনে হয়, এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা সেকেলে।
শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন ধরনের বাধন দেয়া ঠিক না। যে যেখান থেকে পারুক শিক্ষা নিক।
স্কুলে শিক্ষক ঠিক মত ক্লাস নিচ্ছে কি না, সেটার জন্য তদরকি করতে পারেন,
কিন্তু সেটা না করে, “তার কোচিং বন্ধ করে দিলে সে ক্লাসে ঠিক মত ক্লাস নিবে”, এগুলো আজগুবি টাইপের চিন্তাভাবনা।
বর্তমান আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় অনেক শিক্ষকের ২৫ হাজার টাকা বেতনে সংসার চলে না, সে যদি বাড়তি ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে, তবে সমস্যা কোথায় ? সে তার চাকুরীর ৮ ঘণ্টা ঠিকমত ডিউটি করলো কি না, সেটা দেখা বিশেষ জরুরী, এর বাইরে নয়।
আমি তো বলবো- এই বাড়তি ইনকামের সুযোগ থাকায় অনেক মেধাবী ছেলে শিক্ষকতা পেশায় ঢুকবে। এখনও ধারণা আছে, মেধাবীরা শুধু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে। শিক্ষক হবে পেছনের বেঞ্চের স্টুডেন্ট। কিন্তু বাস্তবে শিক্ষকদের সবচেয়ে মেধাবী হওয়া দরকার। যখন দেখবে, শিক্ষকতা পেশায় ভালো ইনকামের সুযোগ আছে, তখন মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে, ছাত্ররা ভালো কিছু শিখতে পারবে, কিন্তু নিয়ম কানুন দিয়ে শিক্ষকদের ইনকাম বন্ধ করে দিলে মেধাবীরা অন্য পেশায় চলে যাবে। আমার মনে আছে, আমি যখন পড়তাম, নটরডেম কলেজের শিক্ষকরা তখন লাখ টাকা বেতন পেতো, ঐ সময় বিসিএসরাও তার চারভাগের একভাগও পেতো না। ফলে অনেক বিসিএস বাদ দিয়ে নটরডেমের শিক্ষক হতো। ফলে নটরডেম কলেজের শিক্ষকরা অন্য কলেজের শিক্ষকদের তুলনায় অনেক মেধাবী হতো। যার ফলশ্রুতিতে ছাত্রদের মধ্যে সেই প্রভাব দেখা যেতো।
যেহেতু বাংলাদেশের স্কুলগুলো (সম্ভবত এমপিওভূক্ত) শিক্ষকদের বেতন সরকার কর্তৃক দেয়া হয় এবং সরকারের পক্ষে লক্ষ টাকা বেতন দেয়া সম্ভব না, তাই তাদেরকে অতিরিক্ত ইনকাম করতে সুযোগ দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে মেধাবীরা শিক্ষকতায় পেশায় আসবে। তবে ক্লাসে ঠিকমত পড়ালো কি না, সেটার জন্য আলাদা মনিটরিং ব্যবস্থা করতে হবে অবশ্যই।
আমি তো বলবো- এই বাড়তি ইনকামের সুযোগ থাকায় অনেক মেধাবী ছেলে শিক্ষকতা পেশায় ঢুকবে। এখনও ধারণা আছে, মেধাবীরা শুধু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে। শিক্ষক হবে পেছনের বেঞ্চের স্টুডেন্ট। কিন্তু বাস্তবে শিক্ষকদের সবচেয়ে মেধাবী হওয়া দরকার। যখন দেখবে, শিক্ষকতা পেশায় ভালো ইনকামের সুযোগ আছে, তখন মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে, ছাত্ররা ভালো কিছু শিখতে পারবে, কিন্তু নিয়ম কানুন দিয়ে শিক্ষকদের ইনকাম বন্ধ করে দিলে মেধাবীরা অন্য পেশায় চলে যাবে। আমার মনে আছে, আমি যখন পড়তাম, নটরডেম কলেজের শিক্ষকরা তখন লাখ টাকা বেতন পেতো, ঐ সময় বিসিএসরাও তার চারভাগের একভাগও পেতো না। ফলে অনেক বিসিএস বাদ দিয়ে নটরডেমের শিক্ষক হতো। ফলে নটরডেম কলেজের শিক্ষকরা অন্য কলেজের শিক্ষকদের তুলনায় অনেক মেধাবী হতো। যার ফলশ্রুতিতে ছাত্রদের মধ্যে সেই প্রভাব দেখা যেতো।
যেহেতু বাংলাদেশের স্কুলগুলো (সম্ভবত এমপিওভূক্ত) শিক্ষকদের বেতন সরকার কর্তৃক দেয়া হয় এবং সরকারের পক্ষে লক্ষ টাকা বেতন দেয়া সম্ভব না, তাই তাদেরকে অতিরিক্ত ইনকাম করতে সুযোগ দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে মেধাবীরা শিক্ষকতায় পেশায় আসবে। তবে ক্লাসে ঠিকমত পড়ালো কি না, সেটার জন্য আলাদা মনিটরিং ব্যবস্থা করতে হবে অবশ্যই।
শুরু করেছিলাম, শিক্ষার বেসরকারীকরণ নিয়ে।
আমার মতে, জাতিকে উন্নয়নের জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাইভেটাইজেশন দরকার। কারণ সরকার যে বই দিচ্ছে, আমরা সেই বই পড়ে ভাবতেছি খুব শিক্ষিত হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু সরকার যদি শিক্ষার বদলে অন্য কিছু দেয়, তবে পাশ করার জন্য আমরা সেটা পড়তে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু সরকারি বোর্ডের পাশাপাশি যদি কয়েকটি বেসরকারী বোর্ড থাকতো, তবে সরকারের একঘেয়েমি থেকে বের হওয়ার সুযোগ ছিলো। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে একটা দিক নির্দেশনা থাকতো- “পাঠ্য বইয়ে অমুক অমুক শিক্ষা থাকতে হবে। তবে বোর্ডগুলো নিজ নিজ বই প্রণয়ন করতে পারবে” , ব্যস এতটুকুই।
এক্ষেত্রে দেখা যেতো, বেসরকারী বোর্ডগুলোর মধ্যে প্রতিযোগীতার কারণে পড়ালেখা মান অনেক উন্নত হওয়া সম্ভব হতো।
কিন্তু এখন সরকারী বোর্ডে সরকারী বই পড়ে পরীক্ষা দেয়ার কারণে সরকার যা দিচ্ছে আমাদের শিশুদেরকে সেটাই মুখবুঝে গলাধঃকরণ করতে হচ্ছে। অথচ বইগুলো ভর্তি থাকছে সরকারী দলের রাজনৈতিক পলিসি এবং ঋণদাতা আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীদের শিখিয়ে দেয়া বুলিতে। এগুলো পড়ে আমরা মন মগজে তাদের চিন্তাধারাযুক্ত হয়ে পড়ছি। ফলে শিক্ষিত হলেও দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে পারছি না।
আমার মতে, জাতিকে উন্নয়নের জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাইভেটাইজেশন দরকার। কারণ সরকার যে বই দিচ্ছে, আমরা সেই বই পড়ে ভাবতেছি খুব শিক্ষিত হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু সরকার যদি শিক্ষার বদলে অন্য কিছু দেয়, তবে পাশ করার জন্য আমরা সেটা পড়তে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু সরকারি বোর্ডের পাশাপাশি যদি কয়েকটি বেসরকারী বোর্ড থাকতো, তবে সরকারের একঘেয়েমি থেকে বের হওয়ার সুযোগ ছিলো। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে একটা দিক নির্দেশনা থাকতো- “পাঠ্য বইয়ে অমুক অমুক শিক্ষা থাকতে হবে। তবে বোর্ডগুলো নিজ নিজ বই প্রণয়ন করতে পারবে” , ব্যস এতটুকুই।
এক্ষেত্রে দেখা যেতো, বেসরকারী বোর্ডগুলোর মধ্যে প্রতিযোগীতার কারণে পড়ালেখা মান অনেক উন্নত হওয়া সম্ভব হতো।
কিন্তু এখন সরকারী বোর্ডে সরকারী বই পড়ে পরীক্ষা দেয়ার কারণে সরকার যা দিচ্ছে আমাদের শিশুদেরকে সেটাই মুখবুঝে গলাধঃকরণ করতে হচ্ছে। অথচ বইগুলো ভর্তি থাকছে সরকারী দলের রাজনৈতিক পলিসি এবং ঋণদাতা আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীদের শিখিয়ে দেয়া বুলিতে। এগুলো পড়ে আমরা মন মগজে তাদের চিন্তাধারাযুক্ত হয়ে পড়ছি। ফলে শিক্ষিত হলেও দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে পারছি না।
কিছুদিন আগে খবরে দেখলাম, সবাই একটা খবর খুব ছড়াচ্ছে। খবরটা হলো- বাংলাদেশী বাংশোদ্ভূত এক ৯ বছরের ছেলে আমেরিকাতে ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস করতেছে।
খবরটা আমরা বাঙালীরা খুব গর্বের সাথে ছড়াচ্ছি।
আচ্ছা, একটু চিন্তা করুন তো, যে বাংলাদেশী ছেলেটা ৯ বছর বয়সে আমেরিকাতে গিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হচ্ছে, সে কি বাংলাদেশে থাকলে ৯ বছর বয়সে ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারতো ?
কখনই পারতো না। কারণ তাকে ক্লাস ৫ এ পিএসসি, ৮ এ জেএসসি, ১০ এ এসএসসি, ১২তে এইচএসসি দিতে হতো। একটা না দিলে সে কিছুতেই পরের পরীক্ষাটা দিতে পারতো না। তাহলে সে যতই জ্ঞানই হোক, কমপক্ষে তাকে ভার্সিটিতে ভর্তি হতে ১৬ বছর বয়স লাগতো।
কিন্তু আমেরিকার ক্ষেত্রে এত খণ্ড খন্ড পরীক্ষা দিতে হয় না। সম্ভবত স্যাট-একট পরীক্ষা দিয়ে যে কেউ ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারে, সে ক্লাস ওয়ান-টু-থ্রি পড়লো কি পড়লো না, এটা তারা দেখবে না। শুধু ঐ দুটি পরীক্ষায় উত্তির্ণ হলেই হলো। একারণে ৯ বছর বয়সে তাদের অনেক ছেলে ভার্সিটিতে পড়তে পারতেছে।
খবরটা আমরা বাঙালীরা খুব গর্বের সাথে ছড়াচ্ছি।
আচ্ছা, একটু চিন্তা করুন তো, যে বাংলাদেশী ছেলেটা ৯ বছর বয়সে আমেরিকাতে গিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হচ্ছে, সে কি বাংলাদেশে থাকলে ৯ বছর বয়সে ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারতো ?
কখনই পারতো না। কারণ তাকে ক্লাস ৫ এ পিএসসি, ৮ এ জেএসসি, ১০ এ এসএসসি, ১২তে এইচএসসি দিতে হতো। একটা না দিলে সে কিছুতেই পরের পরীক্ষাটা দিতে পারতো না। তাহলে সে যতই জ্ঞানই হোক, কমপক্ষে তাকে ভার্সিটিতে ভর্তি হতে ১৬ বছর বয়স লাগতো।
কিন্তু আমেরিকার ক্ষেত্রে এত খণ্ড খন্ড পরীক্ষা দিতে হয় না। সম্ভবত স্যাট-একট পরীক্ষা দিয়ে যে কেউ ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারে, সে ক্লাস ওয়ান-টু-থ্রি পড়লো কি পড়লো না, এটা তারা দেখবে না। শুধু ঐ দুটি পরীক্ষায় উত্তির্ণ হলেই হলো। একারণে ৯ বছর বয়সে তাদের অনেক ছেলে ভার্সিটিতে পড়তে পারতেছে।
এই কথাটা আমি বার বার বলতেছি, শিক্ষাকে কোন বাধন দিয়ে আটকানো ঠিক না। একটা মানুষ কত বছর বাচে ?
৪০-৫০-৬০। এর মধ্যে শিক্ষা নিতে নিতে যদি তার ৩০ বছর শেষ হয়ে যায়,তবে বাকি জীবনটা সে কি করবে ? কখন বিয়ে করবে, কখন বাচ্চাকাচ্চা নিবে, কখন ক্রিয়েটিভ কিছু করবে। তার জীবনটাই হয়ে পড়ছে সার্টিফিকেট শিকলে আটকানো।
হ্যা কেউ যদি ৩০ বছরের শিক্ষা ২০ বছরে নিতে পারে, তবে সমস্যা কোথায় ?
আমার মনে আছে, ছোট বেলায় ক্লাসে কিছু সহপাঠীদের দেখতাম, বাসায় শিক্ষক রেখে ফেব্রুয়ারী-মার্চের মধ্যে বই শেষ করে ফেলতো। যে ছেলেটা দ্রুত পড়তে পারে, তাকে কেন সময়ের বাধন দিতে হবে?
তাছাড়া একটা ছেলে যত কম বয়সে নিয়মতান্ত্রিক লেখাপড়া শেখ করতে পারবে, তত তাড়াতাড়ি সে ক্রিয়েটিভ কিছু করতে পারবে, কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক লেখাপড়া করতেই যদি বুড়ো হয়ে যেতে হয়, পরিবারের প্রেসার এসে পড়ে, তখন জীবিকার দিকে লক্ষ্য চলে যায়, ক্রিয়েটিভ চিন্তা করা সম্ভব হয় না, এর ফল ভোগ করতে হয় পুরো জাতিকে, আন্তর্জাতিকভাবে দেশের শিক্ষার অবস্থা ঠেকে তলানিতে। এবস্থা থেকে উত্তরণে পুরো সিস্টেমটাইতে পরিবর্তন আনা জরুরী বলে মনে করছি।
৪০-৫০-৬০। এর মধ্যে শিক্ষা নিতে নিতে যদি তার ৩০ বছর শেষ হয়ে যায়,তবে বাকি জীবনটা সে কি করবে ? কখন বিয়ে করবে, কখন বাচ্চাকাচ্চা নিবে, কখন ক্রিয়েটিভ কিছু করবে। তার জীবনটাই হয়ে পড়ছে সার্টিফিকেট শিকলে আটকানো।
হ্যা কেউ যদি ৩০ বছরের শিক্ষা ২০ বছরে নিতে পারে, তবে সমস্যা কোথায় ?
আমার মনে আছে, ছোট বেলায় ক্লাসে কিছু সহপাঠীদের দেখতাম, বাসায় শিক্ষক রেখে ফেব্রুয়ারী-মার্চের মধ্যে বই শেষ করে ফেলতো। যে ছেলেটা দ্রুত পড়তে পারে, তাকে কেন সময়ের বাধন দিতে হবে?
তাছাড়া একটা ছেলে যত কম বয়সে নিয়মতান্ত্রিক লেখাপড়া শেখ করতে পারবে, তত তাড়াতাড়ি সে ক্রিয়েটিভ কিছু করতে পারবে, কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক লেখাপড়া করতেই যদি বুড়ো হয়ে যেতে হয়, পরিবারের প্রেসার এসে পড়ে, তখন জীবিকার দিকে লক্ষ্য চলে যায়, ক্রিয়েটিভ চিন্তা করা সম্ভব হয় না, এর ফল ভোগ করতে হয় পুরো জাতিকে, আন্তর্জাতিকভাবে দেশের শিক্ষার অবস্থা ঠেকে তলানিতে। এবস্থা থেকে উত্তরণে পুরো সিস্টেমটাইতে পরিবর্তন আনা জরুরী বলে মনে করছি।
বি: দ্র: আমি শারীরিকভাবে বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থ হওয়ার কারণে আগের মত একটু গুছিয়ে লিখতে পারছি না, অনেক দলিল-প্রমাণ হয়ত ডাইরেক্ট দিতে পারতেছি না, এতে অনেক পাঠক কষ্ট পেতে পারেন। একবার ভেবেছিলাম, কয়েক সপ্তাহ বিশ্রাম নেই, তারপর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে খেটে খুটে লিখবো। কিন্তু পরে ভাবলাম, ১৫-২০ দিন লেখা বন্ধ রাখলে অনেক ইস্যু হারিয়ে যেতে পারে। তাই বিস্তারিত না বলে, কোন মতে কনসেপ্টগুলো শেয়ার করে ফেসবুকে লিখাটা অব্যাহত রাখতে চাই, কেউ কষ্ট পেলে ক্ষমা করবেন।