গতকাল ‘সুমন কুমার দাস নামক এক হিন্দু শিক্ষক, এন.সি-২৫৫

গতকাল ‘সুমন কুমার দাস নামক এক হিন্দু শিক্ষক
গতকাল ‘সুমন কুমার দাস নামক এক হিন্দু শিক্ষক (খুলনার ফুলতলা রিইউনিয়ন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের লেকচারার, সাবেক ঢাবি স্টুডেন্ট) ‘সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ’ নামক সোয়া এক লক্ষ হিন্দুর গোপন গ্রুপে স্ট্যাটাস দিয়েছিলো- হিন্দুদের একটি বা দুইটি বিভাগে মাইগ্রেট হয়ে জড়ো হওয়ার জন্য।
Related imageতার স্ট্যাটাসটা ছিলো-
“গতকাল " বাংলাদেশের হিন্দুরা যদি দেশ ত্যাগের পরিবর্তে একটি বিভাগে মাইগ্রেট হতে পারে তাহলে হিন্দুদের ৯৯% সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যায়" মর্মে উপরোক্ত পোষ্টটি করেছিলাম। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি যাদের সমর্থন পেলাম এবং সুচিন্তিত মতামতও পেলাম। কিন্তু অল্প কিছু সংখ্যক মানুষের মন্তব্য দারুনভাবে ব্যাথিত করেছে। এই প্রস্তবের পক্ষে বিপক্ষে কারা আছেন সে বিষয়ে একটি জরিপ চালানো আবশ্যক মনে করছি। বিভাগ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিভাগে হিন্দুদের সংখ্যা এবং স্থাবর সম্পদ(জমি) বেশি সেটি বিবেচনায় নেওয়া দরকার। একটির পরিবর্তে দুটি বিভাগও বেছে নেওয়া যেতে পারে। আমার সুনিদৃষ্ট প্রস্তাব হলো, খুলনা বিভাগের সকল জেলা + ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদরীপুর, রাজবাড়ী জেলা + বরিশাল বিভাগের কয়েকটি জেলা। এবিষয়ে শ্রী Kushal Chakraborty (সহকারী অধ্যাপক চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি) কে অনুরোধ করব একটি Create poll করতে। পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে আমরা সকল হিন্দুরা যথাযোগ্য সম্মান এবং ন্যায্য অধিকার নিয়ে বসবাস করতে চাই। জয় হোক সত্য সুন্দর ও সনাতনের। (স্ট্যাটাসটির স্ক্রিন শট দেখতে- https://bit.ly/2K6Nw6J)
আজকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু নেতা দেবতনু ভট্টাচার্য প্রায় একই স্ট্যাটাস দিলো, এবং পুরোটা উদ্দেশ্য খোলাসা করে এক বা দুইবিভাগে হিন্দুদের জড়ো হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলো। দেবতনুর স্ট্যাটাসটা হুবুহু দিলাম-
“ বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। আমার সাধারণ বুদ্ধিতে ওখানে হিন্দুর শেষ হয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। ভারত সরকার হয়তো পাশেই চিনের উপস্থিতির কথা ভেবে বাংলাদেশের হাসিনা সরকারকে ফেভার করছে। কিন্তু সেখানকার হিন্দুদের নিরাপত্তা বলে আর কিছুই নেই।
একটা আন্তর্জাতিক চাপকে সামনে রেখেই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব। তারজন্য এপারে পালিয়ে আসা হিন্দুদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি।
এদেরকে ভারতে একটা হলফনামা দিয়ে স্বীকার করতে হবে যে তারা ওপারে ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে অত্যাচারিত হয়ে অথবা সম্ভাব্য অত্যাচারের আশঙ্কায় ভারতে এসেছে।
কয়েক লাখ হলফনামাকে ভিত্তি করে একটা বিরাট আন্তর্জাতিক চাপ বাংলাদেশ সরকারের উপরে সৃষ্টি করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যুতে চিনের হস্তক্ষেপকেও আটকানো যেতে পারে। তখন অনেকগুলো বিকল্প পথ হিন্দুদের সামনে খুলে যাবে বলে আমার ধারণা -
১) হিন্দুদের জন্য কয়েকটি স্বায়ত্বশাসিত জেলা এবং সেই জেলাগুলোতে ভারতীয় সেনার উপস্থিতি।
২) বাংলাদেশ ভেঙে হিন্দুদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন, পরে ভারতের অন্তর্ভূক্তি।
আজকে অবাস্তব মনে হলেও একেবারে অসম্ভব নয়। কিন্তু বাঙালি হিন্দু নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কতটা মরিয়া হয়ে উঠতে পারবে, সবটাই তার উপরে নির্ভর করছে।
(লিঙ্ক- https://bit.ly/2ZfhqMr, আর্কাইভ-http://archive.fo/tu10z)
বাংলাদেশের হিন্দুদের যে বাংলাদেশকে ভেঙ্গে পৃথক ভূমি করার ইচ্ছা আছে, সেটা আজ থেকে ১ সপ্তাহ আগের স্ট্যাটাসে আমি বলেছিলাম (https://bit.ly/2MqB0lc)
আমি বলছি না- বাংলাদের হিন্দুদের সাহায্য করতে ভারত কিছু করবে, কিন্তু ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতারা বাংলাদেশের হিন্দুদের উস্কাবে কিছু করতে এবং টোপ দিয়ে বলবে- তোমরা কিছু শুরু করো, তাহলে আমরা তোমাদের সাহায্যে আসবো।
সেই জিনিসটি আমি বলেছি- কোন ঘটনা ঘটানোর আগেই হিন্দুদের উপর একটি নজরদারি চালানো। বিশেষ করে বাংলাদেশে যে উগ্রহিন্দুত্ববাদী সংগঠন বা ব্যক্তি সাধারণ হিন্দুদের নষ্ট করে উগ্রবাদী বানাচ্ছে তাদের ব্ল্যাক লিস্টেড করা এবং সরকারী-বেসরকারী চাকুরীতে ঢুকে পড়া হিন্দুদের মধ্যে উগ্রবাদী কানেকশন চেক করে ওএসডি-চাকুরীচ্যূত করা। আশাকরি এতটুকু করলেই হিন্দুরা অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।
তবে হিন্দুদের এ ধরনের দাবী দেখে বাংলাদেশ ও ভারতের মুসলমানদেরও একটা দাবী তোলা উচিত।
ভারতের মুসলমানদের দাবীটা হলো-
“যেহেতু ভারতের মুসলমানদের উপর চরমমাত্রায় নিগ্রহ হচ্ছে, তাই ভারতের মুলসমান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে (যেমন-পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তেলেঙ্গানা) মুসলমানদের স্বায়ত্বশাসন বা পৃথক ভূমি দেয়া।”
আর বাংলাদেশের মুসলমানদের দাবী হলো-
``বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা নিয়ে যে ‘আসল বাংলা’ সেটা পৃথক করে পুনরায় ‍মুসলমানদের ফিরিয়ে দেয়া হোক।"