দেশে হঠাৎ গুজব বেড়ে গেছে, এ কথা শোনা যাচ্ছে। এন.সি-২৪৭

দেশে হঠাৎ গুজব বেড়ে গেছে, এ কথা শোনা যাচ্ছে।
Image result for বিল্ডিং
দেশে হঠাৎ গুজব বেড়ে গেছে, এ কথা শোনা যাচ্ছে।
এর মানে নতুন কোন গুজব পার্টি বের হইছে।
কথা হইলো - হঠাৎ এই নতুন গুজব পার্টিটা কারা ?
আপনাদের বলে রাখি, এটা আমার সম্পূর্ণ নিজস্ব এ্যানালাইসিস,
তবে কোন দলিল এখনই দিতে পারবো না।
আমার ধারণা-
আন্তর্জাতিক এ্যানালাইসিস করার সময় আমি যাদেরকে বাংলাদেশের মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লকের সদস্য বলি, তাদের কিছু নতুন নিয়োগ দেয়া সদস্য বাংলাদেশের ফেসবুক কমিউনিটিতে ঢুকছে। বিশ্বজুড়ে মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লকের সদস্যরা গুজব স্পেশালিস্ট, সেই আন্তর্জাতিক ট্রেনিং প্রাপ্ত সদস্যরা বাংলাদেশে এসেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ঢুকেছে, সেই কারণেই হঠাৎ ‘গুজব’ ‘গুজব’ রব উঠেছে।
আমাদের জানার জন্য বলছি-
শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক মিডিয়াজগত (টিভি, রেডিও, পত্রিকা) জগত অনেক আগে থেকেই মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লকের সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষ করে নিউজরুমগুলো তাদেরই নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশে ব্লগ সিস্টেমটাকে জনপ্রিয় করেছে তাদের সদস্যরাই ‘সামহোয়্যার ইন ব্লগ’ ইন এর মাধ্যমে। কিন্তু বাংলাদেশে জনপ্রিয় স্যোশাল মিডিয়া ফেসবুকে মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লকের সদস্যরা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারছিলো না। এর কারণও আছে। কারণ হইলো ডেমোক্র্যাট ব্লকের সদস্যরা ভাবছিলো তাদের স্টাডি আর গবেষনা দিয়ে তারা সাধারণ জনগণের মধ্যে যারা বুঝদার, তাদের মাথাগুলো খুব সহজে কব্জা করতে পারবে। আর মাথা যখন কব্জা হয়ে যাবে, তখন তারাই দেশকে মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের স্বার্থের দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, মার্কিন ডেমোক্র্যাট ব্লকের সদস্যরা যতটুকু গবেষনা পূজি করে মাঠে নামছিলো বাঙালী অতি সক্রিয় ফেসবুক পোলাপাইন তার থেকে ঢের গবেষণা কইরা পুরা ফেসবুক ইউটিউব সয়লাব করে ফালাইছে। ফলে ডেমোক্র্যাটদের যে সব গবেষক স্যোশাল মিডিয়া কন্ট্রোল করতে নিয়োগ পাইছিলো, তারা মোটামুটি পশ্চাতে লাত্থি খেয়ে ইস্তফা দিছে।
এখন তারা তাদের প্রজেক্ট বদলাইছে। তারা এখন জনগণের মাথা বা বুঝদার কমিউনিটিকে টার্গেট করতেছে না। তারা এই বুঝদার কমিউনিটিকে পাশ কাটায় ফিল্ড পর্যায়ে যে ম্যাস হুজুগে মাতাল পাবলিক আছে, তাদের টার্গেট করছে। আর ঝামেলাটা শুরু হইছে তখনই।
আমার ধারণা, গত ১-২ বছরের মধ্যে তারা নতুন প্রজেক্ট নিয়ে বাংলাদেশের স্যোশাল মিডিয়া জগতে নতুন ট্রেনিংপ্রাপ্ত আইটি সেল নিয়োগ দিছে, তবে সেই প্রবেশ করানোটা উন্মুক্তভাবে নয়, মানে পেইজ বা নিজস্ব আইডি টাইমলাইনে নয়, কমিউনিটি বেইজ গ্রুপগুলোতে। সেই কমিউনিটি বেইজ গ্রুপগুলোতেই তাদের সদস্যরা কেউ লক আইডি দিয়ে, অথবা কেউ রিয়েল আইডি দিয়ে প্রয়োজন মত গুজব ছড়িয়ে দেয়। এই গুজবেরও কিছু ক্যাটাগরি আছে (কিছু স্বল্প মেয়াদী, কিছু দীর্ঘ মেয়াদী, এর ব্যাখ্যা পরে করবো)। এক্ষেত্রে একটি অদৃশ্য আইটি সেল কাজ করছে বুঝা যায় এবং তারা ইস্যুগুলোকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে ছড়িয়ে দিয়ে কেটে পড়ে। অর্থাৎ জনগণ তখন গুজবের ধারক বাহক হয়ে যায়, কিন্তু আসল গুজব তৈরীকারী আড়ালে চলে যায়।
আপনারা যারা বহু আগে থেকে ফেসবুক ব্যবহার করেন, তারা জানেন, ফেসবুকে সব সময় অনেক ইস্যুতে গরম হয়, আবার নরম হয়। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। গত ১৩ বছরের ইতিহাসে বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে এমন অনেক ইস্যু বা গুজব রটেছে যা চিন্তা করলেও হাসতে লাগে। কিন্তু কথা হলো, এইবারের গুজব ইস্যুটা এতটা গরম হয়ে উঠলো কেন ?
কারণ এবার মেইনস্ট্রিম মিডিয়া গুজবকে হাইলাইট করে উপরে উঠায় দিছে।
যেহেতু দুটোই মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের, তাই এখানে একটি সমন্বয় কাজ করছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এছাড়া ফিল্ড পর্যায়ে দুই একটা ঘটনা ঘটিয়ে মিডিয়াতে বাস্তবরূপ দেয়ার জন্য সমন্বয়ক থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
যদিও মেইনস্ট্রিম মিডিয়া মুখে অস্বীকার করছে, তাদের কার্যকলাপ বলে দিচ্ছে, গুজব ভীতি ছড়াক এটা তাড়াও চায়।
গুজব নিয়ে অনেক অ্যানালাইসিস বা গবেষণার প্রয়োজন বলে আমার মনে হচ্ছে। বিশেষ করে অস্ত্র যখন শত্রুর হাতে, তখন তা অবশ্যই ভয়ঙ্কর। আর যেহেতু বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ হুজুগে মাতাল, মিডিয়ার অন্ধ ভক্ত, তাই এই হুজুগকে কেন্দ্র করে এই গ্রুপটি দেশের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করতে পারে। এক্ষেত্রে-
১) গুজব তৈরী করবে ডেমোক্র্যাটিক ব্লক,
২) সাধারণ পাবালিককে গিয়ে গণপিটুনী দেওয়াবে,
৩) ক্ষতিগ্রস্ত হবে ডেমোক্রাটিক ব্লকদের শত্রুরা / তারা যে সব জিনিস পছন্দ করে না সেগুলো।।
তবে এ বিষয়টি বুঝার আগে আমার মনে হয়-
ডেমোক্র্যাটদের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড জর্জ সরস কর্তৃক ফেইক নিউজ (গুজব) দিয়ে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক অরাজকতা তৈরী নিয়ে স্টাডি করা দরকার। আমার ধারণা, ডেমোক্র্যাটদের নতুন এই চাল যদি বাংলাদেশের মানুষকে বুঝানো যায়, তখন তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাওয়া খুব একটা সফল হবে না।