১৮ বছরের নিচে বিয়ে দেওয়া যাবেনা কিন্তু ১৮ বছরের নিচে কিশোরীদের পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স দেয়া যাবে!!!


Image result for বাল্যবিবাহ
বাল্যবিবাহের কারণে শিশু মৃত্যুর প্রচারণা মূলত পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষীদের নির্ঝলা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা

ইউনিসেফ দাবি করেছে বাল্যবিবাহের কারণে বাংলাদেশে ২৩ হাজার শিশু মারা যায়। অপরদিকে বাংলাদেশ সরকারের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় ১৪ জন শিশু মারা যায়। সে হিসেবে বছরে মারা যায়, ১ লক্ষ ২২ হাজার ৬৪০ জন। ইউনিসেফের দাবি অনুযায়ী, অল্প বয়সে বিয়ে করলে যদি ২৩ হাজার শিশু মারা যায়, তবে বাকি ৯৯,৬৪০ জন শিশু মারা যায় কেন? তারা তো বাল্যবিবাহের ফলে মারা যায়নি। সুতরাং বাল্যবিবাহের কারণে শিশু মৃত্যুর প্রচারণা মূলত পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষীদের নির্ঝলা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা।
এছাড়া বাল্যবিবাহ রোধে আইন প্রণয়ণ করা হলো কিন্তু দেশে কথিত বাল্যবিবাহে শিশুমৃত্যুর ৪ গুণেরও বেশী শিশু মৃত্যু হচ্ছে সেজন্য তো কোন আইন প্রণয়ণ না হওয়া সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মূলত সুন্নতি বাল্যবিবাহের বিরোধীতা করা।

মেয়েরা বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পর বিবাহ বৈজ্ঞানিকভাবে সমর্থিত
তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সমাজ নারীবাদী তথা প্রগতিবাদীদের দৃষ্টিতে ১৮ বছরের আগে কেউ বিচার, বুদ্ধি-বিবেচনাবোধসম্পন্ন হতে পারে না। অথচ নারীবাদীদের পৃষ্ঠপোষক ইউরোপ-আমেরিকার বহু দেশেই ১৮ বছরের নীচে বিয়ে দেয়া ও করা সম্পুর্ণ বৈধ এবং তারা বিচার, বুদ্ধি-বিবেচনাবোধসম্পন্ন হিসেবে স্বীকৃত। এক্ষেত্রে তারা আপত্তি জানাতে ব্যর্থ।

নারীবাদীদের পৃষ্ঠপোষক দেশগুলো ১৬ বা ১৮ বছর বয়সের নীচে বিবাহকেই অনুমতি দিচ্ছে না বরং অবৈধ কুমারী মাতাকেও স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাদের অবৈধ সন্তানের ভরণ-পোষণও করছে। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা চাইল্ড ট্রেডর সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ জরিপ অনুযায়ী নারীবাদীদের পৃষ্ঠপোষক আমেরিকায় ২০০৯ সালে কুমারী মায়ের সংখ্যা ছিল ৪১ শতাংশ।

গত ৫ দশকে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী কুমারী মায়ের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। তাছাড়া ইউএস সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সমীক্ষা অনুযায়ী আমেরিকায় প্রতি সপ্তাহে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ১ হাজার ৭০০ কিশোরী মা হচ্ছে। সেন্টার ফর সোশ্যাল জাস্টিজের (সিএসজে) গবেষণায় দেখা গেছে ব্রিটেনে, ৪৬ শতাংশ শিশু জন্ম নেয় কুমারী মায়ের গর্ভে। অথচ এসব দেশের বিরুদ্ধে তথাকথিত নারীবাদীদের প্রতিবাদ নেই। কুমারী মাতা নামক এসব অবৈধ সর্ম্পকের প্রতিকারে জাতিসংঘে তাদের কোন আবেদন নিবেদনও নেই। বরং বাংলাদেশের মতো মুসলমান দেশগুলোতেই তাদের সব অপতৎপরতা।

১৮ বছরের নিচে বিয়ে দেওয়া যাবেনা কিন্তু ১৮ বছরের নিচে কিশোরীদের পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স দেয়া যাবে!!!

বাল্যবিয়ে নাকি বাংলাদেশের আইনত নিষিদ্ধ। একজন নারী-পুরুষ পরস্পর সম্মতিতে বৈধ উপায়ে বিয়ে করবে, এটা মানতে পারেন না বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু সরকার-ই কিন্তু ১৮ বছরের নিচে বহু নারীকে পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স দেয়।
বাংলাদেশের সংবিধানে বড় করে লেখা আছে- গণিকাবৃত্তি নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (অনুচ্ছেদ ১৮(২))
কিন্তু তারপরও সরকার অনুমোদিত বাংলাদেশে ১৪ থেকে ১৮টি গনিকা বা পতিতালয় আছে। এগুলোর মধ্যে টাঙ্গাইল শহরের বেবীস্ট্যান্ড কান্দাপাড়া পতিতালয়, রাজবাড়ি জেলার দৌলতদিয়া পতিতালয়, খুলনার সুন্দরবন সংলগ্ন বানীশান্তা পতিতালয়, যশোরের বাবু বাজার পতিতালয়, মাড়োয়ারী মন্দির প পতিতালয়, ঝালাইপট্রি পতিতালয়, ফরিদপুর শহরের রথখোলা পতিতালয়, ময়মনসিংহ গাঙ্গিনাপাড় পতিতালয়, জামালপুরের রাণীগঞ্জ পতিতালয় উল্লেখযোগ্য। এসব পতিতালয়ে সরকার অনুমোদিত লাইসেন্সধারী পতিতা রয়েছে।

এই সব লাইসেন্সধারী পতিতাদের একটি বড় অংশ হচ্ছে ১৮ বছরের নিচে। এরা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের থেকে লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছে। The Global March Against Child Labour - এর হিসেব মতে বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। ২০০৫ সালে মার্কিন সরকারের মানবাধিকার রিপোর্ট অনুসারে অবশ্য ১৮ এর নিচে পতিতার সংখ্যা ছিলো ২৯ হাজারের বেশি। এসব শিশু পতিতারা শরীরবৃদ্ধির জন্য গরু মোটতাজাকরণ ট্যাবলেট খায় এবং দৈনিক ১৫-২০ জন পুরুষের সাথে ব্যবিচারে লিপ্ত হয়।
কেউ ফোন করে যদি বলে ১৮ বছর বয়সের নিচে কোন মেয়ের বিয়ে হচ্ছে, তা শুনে ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট দৌড় দিয়ে যায় বিয়ে ভাঙ্গতে। এরপর ঐ মেয়ের সাথে পোজ দিয়ে ছবিতুলে সেই ছবি দেশজুড়ে ছড়িয়ে কৃতিত্ব জাহির করে। কিন্তু বিদেশী মিডিয়ায় যখন সেই টাঙ্গাইল জেলার ১৪ বছর , ১৭ বছর , ১৫ বছর বয়সের পতিতাদের দেখা যায় খদ্দেরকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় তখন কেন প্রশাসন দৌড়ে যায়না?

গত ২০১৬ সালের ৩১শে অক্টোবর ব্রিটেনের ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার কান্দাপাড়া পতিতালয় নিয়ে একটি রিপোর্ট করে। রিপোর্টে সাংবাদিক জানায়, এ পতিতালয়ে একটি নারী প্রবেশ করে ১২-১৪ বছর বয়সে।
বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রায় আইন প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু শিশু পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে আইন আছে। বিধির ৩৭২, ৩৭৩, ৩৬৪.ক ও ৩৬৬.ক ধারায় বেশ্যাবৃত্তির জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্রয় ও বিক্রয়ের শাস্তির বিধান বর্ণিত হইয়াছে। এসব আইন অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তির ১০-১৪ বছরের জেল হতে পারে। এই আইন গুলো কেন প্রশাসন প্রয়োগ করে না ???
বৈধ বিয়ে হলে কেন তাদের এত কষ্ট, কেন এত আইন ?
আ্ইনগুলো কেন পতিতাপল্লীর শিশু পতিতাদের জন্য বন্ধ থাকে ?

ষ্টেরয়েড ট্যাবলেট খেয়ে কিশোরী বয়সে প্রতিদিন ১০ এর অধিক পুরুষের মণোরঞ্জন করা যাবে কিন্তু বিয়ে নয় !!!

খবরে প্রকাশ , বাংলাদেশের পতিতালয়সমুহে -
৭% মেয়ের বয়স ১০ বছরের নীচে ,
৫৭% মেয়ে ১০-১৬ বছর বয়সে পতিতাবৃত্তি শুরু করে,
৬০% মেয়ের বয়স হলো ১৮ বছরের নীচে।
৮% মেয়ের বয়স ২০ বছরের মতো ,
২৬% হলো ১৬-২০ বছর ,
১৫-২০ হাজার ভাসমান কিশোরী পতিতা ,
অর্থাৎ বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতাদের সংখ্যা ৬৪%
এবং তারা আরো জানাচ্ছে, ৯০% পতিতা তাদের দেহব্যবসা শুরু করে শিশু বয়স থেকেই।
এই  ১০-১২ বছরের মেয়েরা কাষ্টমারের সামনে নিজেকে সাস্থ্যকর দেখাতে  ক্ষতিকর ষ্টেরয়েড ব্যবহার করে
পল্লীর মালিক নতুন আসা যৌনকর্মীদের স্টেরয়েড ট্যাবলেট সেবনে বাধ্য করে, যা সাধারণত গরুকে খাওয়ানো হয়৷ গরুর স্বাস্থ্য বাড়াতে ব্যবহার করা এই ট্যাবলেট মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর৷
একটি সূত্র জানাচ্ছে-
সরকার কর্তৃক লাইসেন্স দেওয়া পতিতা সংখ্যা ১ লক্ষ এবং সব মিলিয়ে পতিতা সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ
সে হিসেবে ১৮ বছর নিচে-
মোট পতিতার সংখ্যা ৩ লক্ষ ২০ হাজার,
এবং মোট পতিতার ৪ লক্ষ ৫০ হাজার,
যারা ১৮ বছরের নিচেই দেহব্যবসা শুরু করে।
কি
প্রশাসন রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ন হয়ে ১৮ বছরের নীচে মেয়েদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করাচ্ছে
এই যে কিশোরীরের ভয়ংকর জীবন তা নিয়ে নারীবাদী , প্রশাসন কোন কার্য্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেনা।
অথচ এরাই আবার কোন কিশোরীর বিয়ে হলে প্রশাসনসহ উপস্থিত হয় বিয়ে বন্ধ করার জন্য!

বাল্য বিয়ে নয়, বাল্য পতিতাবৃত্তি বন্ধ করুন

সরকার কুফরি বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন প্রণয়ন করেছে। অথচ বাল্য বয়সে হাজার হাজার মেয়ে পতিতাবৃত্তিতে কঠিন মানবেতর জীবনযাপন করছে।যার কিছু কিছু খবর পত্রিকায় আসলেও অধিকাংশ খবর রয়ে যায় অজানা।
১.রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পতিতালয়ে শিশু ও কিশোরী পতিতার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দালালরা প্রতিমাসে প্রায় ২০ জন নতুন শিশু ও কিশোরীকে নিষিদ্ধপল্লীর বাসিন্দায় পরিণত করছে। আর এভাবেই বেড়ে চলেছে পতিতার সংখ্যা। বেড়েই চলেছে পতিতালয়ের অভিশপ্ত জীবন।
২. বাংলাদেশ জাতীয় উইমেন লইয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ফাহিমা নাসরিন  জানায়, সারাদেশে অন্তত ২০ হাজার শিশুকন্যা রাস্তায় পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত।
৩. পরিণত বয়স না হলেও কিশোরীদের মাসিরা রাতারাতি বড় করে তুলছে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যবহৃত ওষুধ খাইয়ে। এর ফলে খুব দ্রুত শরীরের বৃদ্ধি ঘটে। তাতে আকৃষ্ট হয় খদ্দের। 
৪. ময়মনসিংহ পতিতাপল্লীতে রয়েছে বহু কিশোরী
৫. ফরিদপুরের পতিতাপল্লীতে রয়েছে অনেক কিশোরী
৬.  পতিতালয়ের ৬০ শতাংশের বেশি শিশু পতিতা
এমন হাজার হাজার কিশোরী বাধ্য হয়ে আজ পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখাচ্ছে।
অথচ কি মিডিয়া,কি নারীবাদী, কি চুষিল সমাজ কেউ এদের নিয়ে কিছু বলছেনা!
দেশের কোন এক অজপাড়া গায়ে কোন এক কিশোরীর বিয়ে হচ্ছে তা পত্রিকার পাতায় আসে এবং প্রশাসন পাগলের মত ছুটে যেয়ে বিয়ে বন্ধ করে।
কিন্তু এ সকল কিশোরী-ই তাদের নাকের ঢকা দিয়ে যখন পতিতা পল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয় তখন কিন্তু তারা পুরাই বোবার ভূমিকা পালন করে!
কারন এরাই তো তাদের খদ্দের।
এসকল চুষিল , মিডিয়া সারাদিন বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে বলে কিন্তু রাতের বেলায় কিশোরী-ই খুঁজে বেড়ায়!
একজন কিশোরী বিয়ে করে সম্মানজনক জীবন যাপন করবে তা তাদের সহ্য হয়না কিন্তু পতিতা পল্লীতে গেলে এদের কোন কষ্ট হয়না!
যেসকল কিশোরী পতিতা পল্লীতে আছে-
এখন কি তাদের স্বাস্থ্যহানি হয়না?
এখন কি ১০-১৫ জন পুরুষকে সামাল দিতে তাদের কষ্ট হয়না?
এখন কি মেয়ে মৃত্যুর হার বাড়েনা ?
এখন কেন সংসদে আইন পাশ করে কিশোরী পতিতা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হছেনা ?
মূলত চিকিৎসা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে বাল্য বিয়ের বিরোধীতা করা আর কিছুই নয়, কেবলমাত্র ইসলামের বিরোধীতা করা।

বাল্য বিয়ে নিরোধ আইনের কুফলে কিশোরী কুমারী মায়ের সংখ্যা বাড়ছে

বিভিন্ন এনজিও কর্তৃক বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে অব্যাহত তথ্যসন্ত্রাসের শিকার হয়ে অনৈতিক বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করেছে সরকার। অথচ দেশে ১৮ বছরের নীচের ছেলে মেয়েদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ফলে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েই চলে অবৈধ গর্ভপাত, ভ্রুণহত্যা ও কুমারী মাতার পরিমাণ। সে নিয়ে মুসলিম বিদ্বেষী এনজিও বা সরকারের কোন মাথাব্যাথা নেই।

বাংলাদেশে বছরে কত সংখ্যক গর্ভপাত হয় তার একটি জরিপ করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুতম্যাকার ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশে তাদের সঙ্গে গবেষণার কাজটি করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রিভেনশন অব সেপটিক অ্যাবরশন বাংলাদেশ (বাপসা) গুতম্যাকার ইনস্টিটিউটের জরিপে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে ১১ লাখ ৯৪ হাজার অবৈধ গর্ভপাত হয়েছে। এ হিসাবে গড়ে দিনে ৩ হাজার ২৭১টি গর্ভপাত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা গাটমেচারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৬ লাখের বেশি অবৈধ গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। এদিকে আইসিডিডিআরবির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অধিকাংশ গর্ভপাতের ঘটনাই ঘটে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কের কারণে। বৈধ ও শরীয়তসম্মত বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বললেও ১৮ বছরের নীচের টিনেজ ছেলে মেয়েদের লাখ লাখ অবৈধ গর্ভপাতকে সমর্থন করছে বাল্যবিবাহ বিরোধীরা। অথচ বাংলাদেশের প্যানাল কোড অনুযায়ী বিবাহবহির্ভূত গর্ভপাত অবৈধ।

যমুনা টিভির এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসেছে, বছরে বাংলাদেশে প্রায় ৫ লক্ষ ভ্রুণ শিশু হত্যা করা হচ্ছে। বলাবাহুল্য এর অধিকাংশ হচ্ছে ১৮ বছরের নিচের কুমারী মাতাদের অবৈধ ফসল। এনজিও, নারীবাদী এবং সরকার অবৈধভাবে কুমারী মাতা হতে সমর্থন করছে তাই এর বিরুদ্ধে কিছু বলছে না। এমনকি আইন প্রণয়নও করছে না। কিন্তু বৈধ বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
দেশে ১৮ বছরের নীচে ছেলে-মেয়ের অবৈধ্য একান্তবাস করার বিরুদ্ধে আইন নেই; কিন্তু বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আইন করা হয়েছে। এতে সামাজিক অস্থিরতা ও অবক্ষয় আরো বাড়ছে। তাই বাল্যবিবাহ বিরোধী ইসলাম বিদ্বেষী এনজিওসহ জড়িতদের সনাক্ত করতে হবে। অবিলম্বে বাল্যবিবাহ নিরোধ নামক কুফরী আইন প্রত্যাহার করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অবমাননার কারণে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।

গবেষকদের মতে বাল্য বিয়ের অনেক সুবিধা

গবেষকরা বাল্যবিবাহের উপকারিতা স্বীকার করেছেযুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক গবেষণা করে দেখেছে যে, যারা অল্প বয়সে বিয়ে করে তারা দীর্ঘ আয়ু লাভ করে। বিয়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার এই গবেষণা চালায়। গবেষনায় বলা হয়- অল্পবয়সে বিয়ে করলে দীর্ঘ জীবন বেঁচে থাকা যায়। মৃত্যু ঝুঁকিকেও অনেকাংশে কমে যায় বলে জানিয়েছে গবেষক ইলিনসিয়ে গলার ও তার সহযোগীরা।
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি।
সুখী দম্পতিদের ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়ার মত অসুখ বিশুক তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হয়
গবেষনায় এসেছে অল্প বয়সে বিয়ের উপকারিতা পাওয়া যায় মানসিক ও শারীরিক উভয়দিক থেকেই যেমন-
১) স্বামী স্ত্রী একেক অপরের জীবন এবং ব্যক্তিত্ব গড়তে সাহায্য করেন, ফলে তাদের মাঝে ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষ কম হয়।
২) এই বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সহজেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং এই বন্ধুত্ব বজায় থাকে সারাজীবন।
৩) হাতে হাত রেখে জীবনের অনেক বড় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়ে দুজনকে। ফলে একটা বোঝাপড়া গড়ে ওঠে তাদের মাঝে।
৪) এই বয়সে পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন, ভাবেন পাশে প্রেরণা দেবার একজন মানুষ থাকলে ভালো হলো। বিয়ে করে থাকলে এই মানুষটি সর্বক্ষণই আপনার পাশে থাকবেন।
৫) কম বয়সে সবাই ই থাকেন বেশ টানাটানির মধ্যে। বিলাসিতা ছাড়া এভাবে জীবন শুরু করে একটা সময়ে সচ্ছলতার মুখ দেখেন দুজনেই। এর ফলে একজনের প্রতি আরেকজনের আস্থা তৈরি হয়।
৬) আপনার যদি সন্তানের ইচ্ছে থাকে, তবে অল্প বয়সে সন্তান নেওয়া সুবিধা। কারণ এ সময়ে শরীর সন্তান ধারণের জন্য উপযুক্ত থাকে।
৭) কম বয়স থেকেই নিজের জীবন দুজনের জন্য মানিয়ে নিয়ে তৈরি করলে কখনোই সমস্যা হয় না দুজনের মাঝে।
৮) কম বয়সে বিয়ে করলে জীবনের বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সামলে একই সাথে কিছু সাফল্যের স্বাদ নেওয়া যায়। পরে বিয়ে করলে আর এই সুখটা পাওয়া যায় না।
৯) স্বার্থপর কোনো অভ্যাস গড়ে ওঠে না দুজনের কারও মাঝেই।
১০) দুজনে একসাথে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করাটা সহজ হয়।
১১) একে অন্যকে জানার সুযোগ পায়, পরষ্পরের প্রতি মুহব্বত বৃদ্ধি পায় , সহনশীল হন। পারষ্পরিক সহযোগীতা করার মনোভাব বৃদ্ধি পায়ঃ এরা সক্রিয় এবং একে অন্যকে সহযোগিতা করার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়।
১২) একসাথে অনেক বছর জীবন কাটানোর সুযোগ পায়। সন্তান জন্মদানে বেশি সক্ষম থাকে
১৩) ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে।
১৪) বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ অস্টিওপরোসিসহওয়ার ঝুঁকি কমায়।
১৫) চরিত্র ভালো থাকে। ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই চারিত্রিক অধপতন হওয়ার সুযোগ থাকেনা। কেননা দুইটি পরিবার তাদের দিকে নজর রাখে। এছাড়া স্বামী- স্ত্রীর দিকে এবং স্ত্রী- স্বামীর দিকে খেয়াল রাখে।
১৬) ক্যারিয়ার গড়তে দুটি পরিবারের পক্ষ থেকে সহযোগীতা।
১৭) একটি মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে হলে সে ইভটিজিং, সম্ভ্রমহরণসহ নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যায়।
২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি।
তাই দেরী নয়, সঠিক সময়ে বিয়ে করুন, ভালো থাকুন