উপজাতিদের আদিবাসী আখ্যা না দেওয়ার নির্দেশ

উপজাতিদের আদিবাসী আখ্যা না দেওয়ার নির্দেশ

পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিক সনদে ও দাপ্তরিক কাজে উপজাতীয় বাসিন্দাদের আদিবাসী আখ্যা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর পরিবর্তে সংবিধানে উল্লিখিত ‘উপজাতি’, ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’, ‘নৃগোষ্ঠী’ ও ‘সম্প্রদায়’ হিসেবে উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৩ অক্টোবর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সার্কুলারে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক, তিন পার্বত্য সার্কেল চিফকে এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।Image result for উপজাতি

জানা যায়, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মং সার্কেল চিফ তাঁর ব্যবহৃত স্থায়ী নাগরিক সনদে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় বাসিন্দাদের ‘আদিবাসী’ বলে উল্লেখ করতে শুরু করেছিলেন। এ বিষয়ে চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  

বিষয়টি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের অফিস থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনায় বলা হয়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি তথা শান্তিচুক্তির ‘খ’ খণ্ডের ১ নম্বর ধারার পরিষদের আইনে ‘উপজাতি’ শব্দটি বলবৎ থাকবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।
http://www.kalerkantho.com/online/2nd-capital/2017/11/03/560970
শান্তি বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা এম এন লারমা ছিল রাজাকার
শান্তি বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা এম এন লারমা ছিল রাজাকার
পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসের পরিক্রমা পরিবর্তনে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ওরফে এমএন লারমা একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ।
এমএন লারমা বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ পূনর্গঠনে ব্যস্ত তৎকালীন সরকারকে তাদের দাবি দাওয়া সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট সময় না দিয়ে, সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক পথ অর্থাৎ সশস্ত্র দল গঠন করে স্বাধীন দেশের স্বাধীন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারণ জনগনের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের সূচনা করেছিল ।
তার জন্ম ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সালে রাঙ্গামাটি’র চাকমা উপজাতির একটি পরিবারে । ১৯৫৬ সালে রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে । পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৬৩ সালে একই কলেজ থেকে বিএ পাশ করে। ১৯৬৮ সালে কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে থেকে বিএড ডিগ্রী অর্জন করে ।
পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করে এবং চট্টগ্রাম জেলা বার এর একজন সদস্য আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে।

৯৫৬ সালে “জুমিয়া স্টুডেন্ট মুভমেন্ট” গঠনে ভূমিকা রাখে এবং পরবর্তিতে ১৯৬২ সালে পার্বত্য অঞ্চলের যুবকদের নিয়ে একটি সংগঠন “পাহাড়ি ছাত্র সমিতি” গঠন করে ।
তাকে ১৯৬৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী তারিখে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তার বিতর্কিত ভূমিকার কারণে গ্রেফতার করে ।
পরবর্তীতে দুই বছর পর ৮ মার্চ ১৯৬৫ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে উপজাতিদের অধিকার সমুন্নত রাখার আন্দোলনে রাজনৈতিকভাবে তার অনুসারীদের এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থানরত বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে সচেষ্ট হয়।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চাকমা সম্প্রদায়ের বিতর্কিত ভূমিকা সর্বজনবিদিত । তৎকালীন চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে রাজাকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল । সে চাকমা সম্প্রদায়ের অধিবাসীদের বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
সে প্রেক্ষিতে এমএন লারমা চাকমা জনগোষ্ঠীর একজন সদস্য হিসেবে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এমনকি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর চাকমা এলাকাগুলোতে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলিত হতে থাকে । পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের জানুয়ারীতে মুক্তিযোদ্ধাগণ সেখানে গিয়ে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে, বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ১০ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসেন । দেশে ফেরার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করে একযোগে কাজ করা শুরু করেন । পুরো জাতি যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনগঠনে ব্যস্ত তখন এমএন লারমা ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ সালে “পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি” দল গঠন করে ।
নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির এই পরিক্রমায় হঠাৎ করেই এমএন লারমা ১৯৭৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির একটি সশস্ত্র শাখা “শান্তিবাহিনী” গঠন করে । বিষয়টি নিয়ে একটি জনশ্রুতি ছিল যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক গঠিত পিস কমিটির কমিটির চিন্তাধারা থেকেই এর বাংলা প্রতিশব্দ “শান্তিবাহিনী” নামটির উৎপত্তি হতে পারে ।

এমএন লারমা গোপনে “শান্তিবাহিনীর” সশস্ত্র দলের প্রস্তুতির পাশাপাশি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিও চালিয়ে যাচ্ছিল । ১৯৭৩ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল।

১০ ডিসেম্বর ১৯৮৩ সালে সীমান্তের ওপারে ইমারা গ্রামের বাঘমারা নামক স্থানে শান্তিবাহিনীর কল্যাণপুর ক্যাম্পে প্রীতি গ্রুপের সদস্যদের হামলায় এমএন লারমা নিহত হয় ।
কল্যাণপুর ক্যাম্পের অপারেশন এর ঘটনা সম্পর্কে যতদূর জানা যায়, প্রীতি গ্রুপের ক্যাপ্টেন এলিন এর নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র দল লারমা গ্রুপের ক্যাম্পে অতর্কিত সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে উক্ত ঘটনা ঘটায় । ঐ সময়কার ঘটনাবলী সম্পর্কে আরও জানা যায়, একই দিনে মতিবান পুলিশ ক্যাম্প হতে ১ মাইল পূর্বে প্রীতি গ্রুপ এমএন লারমার মামার বাড়িতে অবস্থানরত শান্তিবাহিনীর সদস্যদের উপরও আক্রমণ চালায়, যদিও এ আক্রমণে কেউ হতাহত হয়নি ।
এমএন লারমা হত্যাকাণ্ডে পর তার অনুজ সন্তু লারমা জন সংহতি সমিতির দায়িত্বভার গ্রহণ করে । তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আজ অবধি কোথাও কোন মামলা হয়নি অথবা লারমা গ্রুপ থেকেও উল্লেখযোগ্য কোন প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি । এমএন লারমাকে হত্যা করার বিষয়টির সত্যতা থাকার পরও এ বিষয়ে কোন আন্দোলন অথবা প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেনি ।
অন্যদিকে কল্পনা চাকমার বিষয়টির প্রচারিত গল্পের কোন সত্যতা বা ভিত্তি না থাকলেও বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর কল্পনা চাকমা অপহরণ দিবস ও বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে যা উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর স্ববিরোধী ভূমিকারই বহিঃপ্রকাশ ।

এমএন লারমার জীবনের সার্বিক বিষয় মূল্যায়নে বলা যায় সে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব যিনি দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে একটি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্ম দিয়েছে, যার প্রতিফল হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশকে চরমভাবে মূল্য দিতে হয়েছে এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ।
রানী কালিন্দির বৃটিশ প্রেম এবং রাজাকার ত্রিদিভ রায়

রানী কালিন্দির বৃটিশ প্রেম এবং রাজাকার ত্রিদিভ রায়


জমিদারী মুসলমানদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর থেকে জমিদারীতে ইংরেজ এবং প্রভাবশালী হিন্দুদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়াও, ভারতবর্ষ জুড়েই মোগলরা ইংরেজদের চক্ষুশূলে পরিণত হওয়ায় এখানেও তার প্রভাব পড়ে। দূরদর্শী রাণী কালিন্দী দেবীও এটা খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছিল বিধায়  ইংরেজদের সহযোগিতায় ঐতিহ্যবাহী এই জমিদারীর প্রকৃত ন্যায়সঙ্গত দাবীদার মোগলদের বঞ্চিত এবং নির্মূল করে নিজের ক্ষমতাকে জোরকদমে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল। 
আর বিনিময়ে ইংরেজদেরকে খুশি করার ক্ষেত্রেও রাণীকে নানা কৌশল এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছিলো। এর মধ্যে সবচেয়ে লক্ষণীয় পদক্ষেপ ছিলো, ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। রাণী কালিন্দী তখন ব্রিটিশদের মনোতোষণের জন্যই স্বাধীনতাকামী দেশপ্রেমিক সিপাহীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে এবং তাদের গ্রেফতার করে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেয়। মোহাম্মদ ওয়াজিউল্লাহ তাঁর ‘আমাদের মুক্তি-সংগ্রাম,’ ১৯৬৭, (পৃষ্ঠা-১০৩)-এ লিখেছেন, রাণী কালিন্দী দেবীর পূর্বে প্রত্যক্ষভাবে চাকমাদের সাথে ব্রিটিশ কোম্পানির তেমন কোন বিশেষ সম্পর্ক ছিলো না। কৌশলী ও সুচতুর রাণী কালিন্দী দেবী আনুগত্য লাভে ব্রিটিশ সরকারকে বিশেষভাবে সহযোগিতা প্রদান করে। এমনকি চট্টগ্রামে ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহকালে বিদ্রোহী সৈনিকরা পার্বত্য অঞ্চলে আত্মগোপন করলে, রাণী কালিন্দী তাদেরকে ধৃত করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করেছিলে। 
সিপাহী বিদ্রোহের পলাতক সৈনিকদের বিরুদ্ধে এমন দায়িত্ব পালনে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে রাণী কালিন্দী দেবীকে বার্ষিক ১১৪৩ টাকা কর্ণফুলী নদীর বার্ষিক জলকর মওকুফ করে দেয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময়ে কিছু উপজাতীয় নেতা রাঙ্গামাটিতে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করে পাকিস্তানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। পাকিস্তানের স্বাধীনতা বিরোধিতায় তৎকালীন চাকমা রাজা সরাসরি নেতৃত্ব না দিলেও অনেকে ধারণা করেন, এতে রাজপরিবারের ইন্ধন ছিলো। 
তারপর, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন চাকমা রাজা ত্রিবিদ রায় নিজেই রাজাকার বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানী হানাদারদের পরাজয় ঘনিয়ে এলে ত্রিদিব রায় তার পরিণতি আন্দাজ করতে পেরে নভেম্বর মাসে মায়ানমার হয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। ত্রিদিব রায় কোনদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করত না আর  পাকিস্তানেই বসবাস করত এবং ২০১৩ সালে পাকিস্তানেই মারা যায়।  
ত্রিদিব রায় রাজাকার ছিলেন বিধায় তার লাশও বাংলাদেশে আনতে দেয়া হয়নি। মারা যাওয়ার কয়েক বছর আগে ত্রিদিব রায় তার প্রকাশিত বিতর্কিত গ্রন্থ , ‘The Departed Melody’-তে লিখেছে, ‘১৯৭১ সালের ১৬ই এপ্রিল সকালে   ত্রিদিব রায় তার ভগ্নিপতি কর্নেল হিউম, ম্যাজিস্ট্রেট মোনায়েম চৌধুরী, মোঃ হজরত আলী এবং আরো কয়েকজন বাঙালি মুসলিম লীগ নেতাসহ চট্টগ্রামের নতুন পাড়ায় অবস্থিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেন্টার-এর পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে। পাকিস্তানীদের সাথে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে ম্যাজিস্ট্রেট মোনায়েম চৌধুরী এবং রাজা ত্রিদিব রায়ের সঙ্গে আসা আরো কয়েকজন ঢাকা থেকে আসা জুনিয়র অফিসারকে সঙ্গে করে কাপ্তাইয়ে যাবেন। ঠিক সেদিনই বিকেলে কাপ্তাই থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল কয়েকটি লঞ্চ এবং স্পিডবোট নিয়ে রাঙ্গামাটি আসে এবং বিনা প্রতিরোধে দখল করে নেয়!’
গ্রন্থণা ও সম্পাদনাঃ অভিলাষ খান
ধানমন্ডি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
তথ্যসূত্রঃ
০১. পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস-মোঃ জামাল উদ্দিন এবং
০২. চাকমা জাতির ইতিহাস বিচার -অশোক কুমার দেওয়ান।
আলোকচিত্রঃ চাকমা রাজা নলিনাক্ষ রায়










উপজাতি কিশোরীদের ধর্ষণ করেছে পাহাড়ের সন্ত্রাসীরা,সেনাবাহিনী নয়
উপজাতি কিশোরীদের ধর্ষণ করেছে পাহাড়ের সন্ত্রাসীরা,সেনাবাহিনী নয়

"আমি দিপংকর দত্ত দিপু ফারুয়া বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক, ফারয়া শ্রী শ্রী হরি মন্দির কমিটির সভাপতি, বাজারের উপরে ফারুয়া আর্মি ক্যাম্প। ফারুয়ার বতমানে যে সমস্ত সেনা সদস্য রয়েছেন তারা অতান্ত সৎ এবং ধার্মিক। এছাড়া সবার সাথে অথাৎ জাতী ধর্ম নির্বিশেষে এরা দেশপ্রেমিক। এ ক্যাম্প থাকাতে ফারুয়ার সন্ত্রাসী’রা এখানে সুবিধা করতে পারছে না। তার মধ্যে সুবেদার মিজান সাহেব অতান্ত ভালো লোক ও ধর্ম পরায়ন তার নেতৃত্বে এমন কাজ কখনো হবে না। এটা এলাকাবাসীর সবার বিশ্বাস আছে। এটা ফারুয়ার সন্ত্রাসীদের একটি বানোয়াট কাহিনি, আমার ধারনা ঐ মেয়েগুলো’কে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এই উপজাতীয় সন্তাসী’রা ধর্ষন করে সেনাবাহিনী নাম বলার জন্য চাপ সূষ্টি করতে পারে। আপনারা এ বানোয়াট খবর কেও বিশ্বাস করবেন না।"

দিপংকর দত্ত দিপুর বক্তব্য ও মতামতের ধারণা অনুযায়ী বুঝা যায় ধর্ষণকারী হচ্ছে উপজাতীয় সন্ত্রাসী। সেনাবাহিনীর মানহানি করার জন্য সন্ত্রাসীরা একই পরিবারের দুই বোনকে স্বার্থসাধনের জন্য ব্যবহার করে।


কথিত এমন একটি ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা ও রাজপথে উপজাতীয় অাঞ্চলিক দলগুলো মানববন্ধনের মতো কর্মসূচী করেছে। দেশের সংবাদমাধ্যম এই নিয়ে একাদিক সংবাদ প্রচার করেছে।

গতকাল ২৪ জানুয়ারি ধর্ষিতাদের পরিবারবর্গ কর্তৃক রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেনাবাহিনী কর্তৃক ধর্ষক হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদকর্মীদের।

বর্তমানে উপজাতীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম গুলো সহ তাদের ফেসবুক ইউজারেরা এখনও সেনাবাহিনী ধর্ষণ করেছে বলে একাদিক প্রপাগন্ডা ছড়াচ্ছে।


উল্লৈখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের অাঞ্চলিক সংগঠন গুলো কয়েকদিন ধরে অভিযোগ ও সংবাদমাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ফারুয়া ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর সদস্যরা একটি গ্রামে ডুকে একই পরিবারের দু’বোনকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এতে পিতা-মাতা বাধা দিলে সেনাসদস্যরা অস্ত্র দিয়ে বাধা প্রদান করে।

উপজাতি সন্ত্রাসী এবং তার দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক
পাহাড়ে নির্যাতিত কিশোরীর মা-বাবাই বলছে সেনাবাহীনি সম্ভ্রমহানী করেনি
পাহাড়ে নির্যাতিত কিশোরীর মা-বাবাই বলছে সেনাবাহীনি সম্ভ্রমহানী করেনি
সেনাবাহিনী পাহাড়ি কিশোরী ধর্ষক এমন একটি অভিযোগ তুলে ব্যাপক অপপ্রচার করে একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল। সেনাবাহিনীর মানহানি করতে তৎপর রয়েছে মহলটি। এই নিয়ে দেশবিদেশে সেনাবাহিনীর মানসম্মান ক্ষুণ্ণ করে।


পার্বত্য রাঙামাটি জেলার দুর্গম বিলাইছড়িতে দুই কিশোরকে ধর্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে গত দু’দিনে পাহাড়ে যে ধরনের অপপ্রচার করা হয়েছে, এতে করে উক্ত দুই কিশোরীর পরিবার অত্যন্ত বিব্রতবোধ করছে। পার্বত্যঞ্চলের আঞ্চলিক সংগঠন গুলো হতদরিদ্র জুমিয়া পরিবারকে নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মেতেছে জানিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছে উক্ত দুই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। বুধবার দুপুরে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নের নির্যাতিত পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত কিশোরীর বাবা উ সুই শিং মারা, মা সুই ক্রা চিং মারমা ও ভাই অংসিং থোয়াই মারমাসহ তাদের অভিভাবক রাসেল মারমা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দুই কিশোরীর পিতা-মাতা উভয়েই জানিয়েছেন, আমাদের মেয়েদের ধর্ষণের যে ঘটনা চাউর করে প্রচার করা হচ্ছে এতে আমরা খুবই বিব্রতবোধ করছি। তারা বলেন, ঘটনার একদিন আগেই জুমের কাজে বাসার বাইরে ছিলাম। পরদিন ২১শে জানুয়ারি গভীর রাতে আমাদের এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিয়ে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে অপরিচিত একদল লোক আমাদের বাসায় প্রবেশ করে এসময় আমার মেয়েরা চিৎকার করলে এলাকাবাসি আসলে তারা পালিয়ে যায়। তারা কারা ছিলো আমরা বাড়িতে নাথাকার কারনে সেটি নিশ্চিত হতে পারিনি।


সংবাদ সম্মেলনে উক্ত দুই কিশোরীর পিতা-মাতা ও তাদের অভিভাবক মারমা সাংস্কৃতিক সংগঠন মাসাস এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্ঠা রাসেল মারমা বলেন, আমরা ঘটনার পর উক্ত এলাকায় আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি টিমকে পাঠিয়েছি। তারা সরেজমিনে তদন্ত করে সেখানে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে উক্ত দুই কিশোরী ধর্ষিত হয়েছে এই ধরনের কোনো তথ্য প্রমান খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আমরা আমাদের মেয়েদেরকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিনি। কে বা কাহারা কিভাবে ভর্তি করিয়েছে আমরা জানিনা।

সংবাদ সম্মেলনে দুই কিশোরীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা আপনারা সকলেই অবগত আছেন। এখানকার আঞ্চলিক দলগুলো নানা ধরনের খেলায় মেতে উঠে। ফারুয়ার উক্ত দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে যে প্রপাঘান্ডা ছড়ানো হচ্ছে সেটিও সেই নোংরা রাজনীতিরই অংশ বলেও দাবি তাদের।

কোনো প্রকার তথ্য-প্রমান ছাড়াই আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে উক্ত ঘটনাকে রং লাগানো হচ্ছে। এমতাবস্থায় উক্ত দুই কিশোরী ও তাদের পরিবার-স্বজনরা বর্তমানে খুবই বিব্রত এবং অপমানজনক অবস্থায় দিনানীপাত করছে উল্লেখ করে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে নাপারে সেলক্ষ্যে সকলের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ফারুয়া ইউনিয়নের ২১ জানুয়ারি ২০১৮ রাতে বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের একদল সেনাসদস্য সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে নতুন বাবু তঞ্চঙ্গ্যা (৩৪) ও ভন্দ তঞ্চঙ্গ্যা (৩৩) নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এই অভিযানের পরপরই উক্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এক কিশোরী ধর্ষিত হয়েছে উল্লেখ করে গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস।

এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক অপপ্রচার করে একটি মহল।http://archive.is/TBsUG



১৪ হাজার বর্গকিলোমিটার পার্বত্য জুড়ে সামরিক পোশাক পরিহিত অস্ত্রবল নিয়ে এরা কারা ?
১৪ হাজার বর্গকিলোমিটার পার্বত্য জুড়ে সামরিক পোশাক পরিহিত অস্ত্রবল নিয়ে এরা কারা ?
বাংলাদেশের অায়োতনের ১০ভাগ এলাকা পাবর্ত্য চট্টগ্রাম একটি স্বাধীন জুম্মাল্যান্ড নামক রাষ্ট্র সৃষ্টির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
উপজাতি সন্ত্রাসীরা কালো শান্তিচুক্তি সাক্ষর করে দেশের সরকারকে বোকা বানিয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে তুলছে পাবর্ত্য খাগড়াছড়ি রাঙামাটি বান্দরবনে।

বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান পার্বত্য চট্টগ্রামের। পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ৭৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সিমান্তে নেই কোন কাঁটা তাঁরের বেড়া। পাহাড় সিমান্তে দুই শত্রু দেশের সিমানা। দেশ দু’টি হচ্ছে ভারত ও মায়ানমার। যারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ’কে ঘিলে খাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক উসকানি সহ বিচ্ছিন্নতাবাদ দিয়ে উক্ত অঞ্চলে হানাহানি রক্তপাত বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। একটি শান্তস্বভাবের জাতিকে বেঅাইনি পরামর্শ ও অর্থযোগান দিয়ে ধ্বংস করছে।


পূর্বে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সামরিক পোশাকে সন্ত্রাসী। এধরণের অভিযান নিয়মিত করা হলে সন্ত্রাসী নির্মূল হবে অনেকাংশ।

ভারত, মায়ানমার বাংলাদেশের উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ ও সন্ত্রাসী সৈন্যদলের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশী এ দু’ই দেশ চক্রান্ত করে যাচ্ছে বাংলাদেশ’কে দু’খন্ডিত করে একটি অালাদা রাষ্ট্র গঠন করতে। তাই এই দেশ দু’টি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সকল ভরণপোষণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে দিয়েছে। তৈরি করেছে সমৃদ্ধ অাধুনিক অস্ত্রসস্ত্রসহ একটি বাহিনী। ভারত, মায়ানমার তাদের দেশে মাটি ব্যবহার করতে দিচ্ছে তাদের। কতিপয় দেশের তৈরি অস্ত্র বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘরে ঘরে। পাহাড়ের প্রতিটি স্থানে দিনে রাতে দেখা মিলে সশস্ত্র পোশাকে সন্ত্রাসীদের।

ভারত সরকারের পরোক্ষ মদদে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে হুমকি-দামকি দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক। স্বাধীন দেশের পরাশক্তি সামরিক বাহিনী ও বিশ্ব জয় করা সেনাবাহিনী’কে কিভাবে উপজাতি সশস্ত্র গোষ্ঠী যুদ্ধের হুমকি দিতে পারে? এতে পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃত্য গোষ্ঠীর একটি হিংস্র অংশ ভারতের মদদে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।


অন্য দিকে দেশী-বিদেশী দাতা সংস্থা গুলো বার বার পাবর্ত্যে চট্টগ্রাম সফর করছে। সফরে গিয়ে প্রশাসনের উপস্থিতি ছাড়া উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সাথে বিভিন্ন গোপন অালোচনা ও অর্থ বল দিয়ে পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃত্য গোষ্ঠীকে অাদিবাসী শব্দ ব্যবহারের তাগিদ দিয়ে দেশ ভাগের ষড়ষন্ত্র করছে। অান্তর্জাতিক ও দেশের একশ্রেণীর জ্ঞানপাপী কুলাংগারদের চক্রান্তের শিকার পার্বত্য চট্টগ্রাম।


সন্ত্রাসীদের প্রস্তুতি ও হুমকি-দামকির পরেও বাংলাদেশ সরকার এ ব্যপারে কোন সচেতন বা সন্ত্রাসী মোকাবেলার করার মতো কোন কার্যক্রম, পদক্ষেপ নেয়নি। তাই সন্ত্রাসীরা দানা বেধে ক্রমাগত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন পাবর্ত্য বাঙালীদের হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, নির্যাতন, করে চলছে সন্ত্রাসীরা। এভাবে চলতে থাকলে ঠিক পরবর্তীকাল ইন্দেনেশিয়ার পূর্ব তিমিরের মতো একটি অালাদা রাষ্ট্রর পরিনত হবে বাংলার স্বর্গভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ হারাবে তার অায়োতনের ১৪ হাজার বর্গকিলোমিটার অংশ। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালী হবে রোহিঙ্গাদের মতো পরবাসী। স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে অস্ত্রবল নিয়ে এরা কারা? প্রশাসনের উচিৎ এসকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা।তাদের রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে বিচারের কাঠগড়া দাঁড় করানো। অথবা তাদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেওয়া।
পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে গোপন চিঠি
পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে গোপন চিঠি
বাংলাদেশের বিশাল ভূখন্ড পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে দেশীবিদেশী দাতা সংস্থা ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলোর সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে অাঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন পাহাড় জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন গহীন অরণ্যে বসে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের নিজেস্ব ভাষায় চক অাঁকছে কিভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে অালাদা স্বপ্নের জুমল্যান্ড নামক রাষ্ট্র গঠন করা যায়। সন্ত্রাসীদের লিখিত ভাষার মাধ্যমে পাহাড়ের কয়েকটি স্থানে জনসমর্থন অাদায় ও জুমল্যান্ড গঠনের জনমত তৈরির বার্তা দিচ্ছেন। জুমল্যান্ড গঠনের গোপন চিঠি প্রচার সম্পর্কে কয়েকজন উপজাতীয়’র সাথে কথা বলে জানা যাই, চিঠি গুলো অাঞ্চলিক দলের নেতারা দিয়েছে, তবে সর্বসাধারণে প্রকাশ করতে বারণ করেছে। গোপন চিঠিতে নিজেস্ব ভাষা ব্যবহারে কারণ হচ্ছে জুমল্যান্ড গঠনের কোন সাড়াশব্দ জেনো বাংলাদেশ সরকার প্রশাসন জানতে না পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কার্বারী জানান, প্রশাসনের অাড়ালে অনেক কিছু হচ্ছে, অামরা পাহাড়ের ভিতরে থাকি বিদায়ী কোন কিছু প্রকাশ করতে পারছি না। পানিতে থেকে কুমিরের সাথে পাল্লা দেওয়া কখনওই সম্ভব্য নয়, তাই অনেক কিছু দেখেও মুখ বুঝে সহ্য করতে হয় অামাদের। অামরা চাইলেও কিছু করতে পারি না, হাত পা বাধা থাকলে কি সাঁতার কাটা যায়? বর্তমানে পাহাড়ে অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। অামাদের গ্রামে অাগে কোন জামেলা হলে পাঠির লোক অাসতো, এখন জামেলা ছাড়া সবসময় পাঠির লোক পোষাক পড়ে অস্ত্র নিয়ে সরাসরি চলাফেরা করে। একটি গ্রুপে ২৫ জন থাকে। সেনাবাহিনীর মতো অস্ত্রগোলাবারুদ রয়েছে। হাতে রয়েছে সংযোগ রাখার ষন্ত্রপাতি। মাঝে দুর থেকে মনে হয় সেনাবাহিনী কিন্তু কাছে গেলে দেখি নাকবুচা অামাদের জাতি। খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি বান্দরবনের প্রত্যেক উপজেলায় যাতায়াতের জন্য অালাদা পাহাড়ি পথ রয়েছে। এসব পথে চলাফেরা করে পাঠির লোকজন। সেনাবাহিনী অাসলে তাদের কখনও পাবে না, তারা লোকালয় ও পাহাড়ি পথে স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়। অার সেনাবাহিনী অাসার খবর বাঙ্গালী সোর্স’রা দিয়ে দেয় তাই পাঠির অস্ত্রধারী লোকদের ধরা সম্ভব্য নয়।


নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কার্বারীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি।

উপজাতি সন্ত্রাসীরা তাদের সন্ত্রাসী রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলছে পাহাড়ের প্রতিটি স্থানকে। তাদের নিরাপদ অাবাসনের পাশাপাশি যুদ্ধের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প করে থাকার ব্যবস্থাও প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। গভীর অরণ্যে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের স্বর্গভূমি। যেখানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও প্রশাসন এখন পর্যন্তপ্রবেশ করতে পারিনি। বাঙালীকে অপহরণ করেচাঁদার দাবি করে এসব ক্যাম্পে অাটক রেখেনির্যাতন করে, বিশাল পরিমাণ চাঁদা অাদায় করকে ব্যর্থ হলে হত্যা করা হয়। তাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ সরকারের জন্য দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বড় হুমকি হয়ে দাড়াবে।

পার্বত্যভূমি থেকে বেশির ভাগ সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলে উপজাতি বাহিনী গুলোবাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে যে কোন ইস্যুতে।


সরকারের উচিৎ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা। সেনাক্যাম্প প্রত্যাহরের কারণে পাহাড়ের অনেক জায়গাতে সন্ত্রাসীরা সাংগঠনিক কার্যক্রম চাচ্ছে ভয়ভীতি ছাড়া। সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারকৃত স্থান দখল করে নিজেদের থাকার ক্যাম্প বানিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পুরো পাহাড় এখন সন্ত্রাসীদের গ্রাসের পরিণত হয়েছে।



উপজাতি দালাল অধ্যাপক মেজবাহর কাছে উপভোগ্য হলো উপজাতীয় নারী আর মদ।
উপজাতি দালাল অধ্যাপক মেজবাহর কাছে উপভোগ্য হলো উপজাতীয় নারী আর মদ।
"উপজাতি দালালদের কাছে সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য হলো উপজাতীয় নারী। বিশ্বাস হচ্ছে না?
এইতো সেদিন ২০১৫ সালের ঘটনা। দিন তারিখটা মনে পড়ছে না। তবে মনে আছে সেদিনের কোলাহলটা। সন্ধার পরে মেসবাহ কামাল স্যার উঠল রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজে। স্যারেরা পাহাড়ে আসলে আপ্যায়নের অন্ত রাখে না শন্তু বাবুরা। বাংলা মদের সাথে সুন্দরী উপজাতীয় নারীর সংমিশ্রন স্যারদের বিবেককে ভূলিয়ে বশ করে ফেলে। এটাই স্যারদের দখলে নিতে শন্তু বাবুর প্রধান হাতিয়ার। সেদিন সার্কিট হাউজে স্যারের আপ্যায়নে ছিলেন এক উপজাতীয় নারী। রাত তখন আনুমানিক দশটা। স্যারের আপ্যায়নে উপজাতীয় মেয়েকে রেখে নিচেই ছিলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ছেলেরা। হঠাৎ উপর থেকে চিৎকারের শব্দ ভেসে আসলো। দৌড়ে আসলেন সেনা সদস্যরা, দৌড়ে গেলেন নীচে অবস্থান নেওয়া উপজাতীয় যুবকেরা। সবাই গিয়ে দেখেন স্যারের কান্ড। সেদিন যে মেয়েটিকে স্যারের কাছে পাঠানো হয়েছিলো সেই মেয়েটি আসল বিষয়টা পূর্বে আন্দাজ করতে পারেনি। তাকে যে স্যারের ভোগ বিলাশের জন্য পাঠানো হয়েছে তা সম্পর্কে মেয়েটি অজ্ঞাত ছিলো, নতুবা স্যারের জন্য উপঠৌকন অন্য মেয়ে ছিলো। এদিকে স্যার ধরে নিয়েছিলো নিত্য বারের মতোই হয়তো মেয়েটি তাকে উঝার করে দিবেন সব। কিন্তু, স্যারের আশায় গুরেবালী। ঘটে গেল ব্যতিক্রম ঘটনা। মেয়েটির চিৎকারে বেধে গেলো গোলমাল।


চিৎকার শুনে যদি সেখানে সেনাবাহিনী না পৌছাতো তবে হয়তো সেদিন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চাপে মেয়েটির জীবন স্যারের লালশায় পুড়ে ধ্বংস হয়ে যেতো। সারাটা জীবন হৃদয়ে বয়ে রেড়াতে হতো কলঙ্ক। বেচে গেলো সেদিন সতী উপজাতীয় নারীর ইজ্জত। এদিকে এই ঘটনায় সবার সামনে স্যারের মাথা কাটা যাওয়ার উপক্রম। লজ্জায় প্রহর গুনছিলেন কখন রাঙ্গামাটি ছাড়বেন। সেদিন স্যার সূর্য উঠার আগেই রাঙ্গামাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।


এটাই হলো, আমাদের প্রিয় স্যার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামালের পাহাড়ে আগমনের সর্বশেষ কাহিনী। যে কাহিনী শুধু সেদিন লোকমুখে ছিলো, স্থান পায়নি কাগজের পাতায়। আমিও একজন উপজাতি মেয়ে, কিন্ত এই লজ্জা কোথায় রাখবো? কার নিকট নালিশ করবো? কে এর বিচার করবে?

এই সংগঠনগুলো আমাদের স্বাধীনতার লোভ দেখিয়ে আমাদের ইজ্জৎ কেড়ে নিচ্ছে! বিনিময় ওরা হচ্ছে হাজার কোটি টাকার মালিক! আর কিছু ফায়দা লুটে নিচ্ছে সুলতানা কামাল গং! ভগবান এর বিচার করুক, ওরা যেন নরকবাস হয়।
http://archive.is/NZuLv
উপজাতীয় তরুণীদের পছন্দ বাঙালি যুবকরা , বাধা উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন

উপজাতীয় তরুণীদের পছন্দ বাঙালি যুবকরা , বাধা উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন


‘ভালোবাসা’ মানে না কোন বাধা, মানে না ধর্ম, বর্ণ বা জাতের ভেদাভেদ। সুযোগ পেলেই বাঙালি ছেলেদের প্রেমে পড়ে যায় পাহাড়ী উপজাতীয় তরুণীরা। অবশেষে ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে বন্ধনেও আবদ্ধ হয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় কথিত আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। ভালোবাসায় বিচ্ছেদ ঘটাতে ভিলেনের ভূমিকায় অবর্তীণ হয় এসব সংগঠনের সন্ত্রাসীরা। নিজেদের জাত রক্ষার নামে উভয় পরিবারের উপর নির্যাতন চালায়, কখনো কখনো তরুণীদের অপহরণ করে ধর্ষণ করে। হত্যার হুমকী ধমকী দেয়। এসব বাধা উপেক্ষা করেই পাহাড়ী তরুণীরা বাঙালি ছেলেদের বিয়ে করে চলছে। এ হার দিন দিন বেড়েই চলছে।

আজ থেকে ১২ বছর আগে বাঙালী তরুণ জামাল উদ্দিনের প্রেমে পড়ে মারমা তরুণী মিনিরওজা মারমা। অবশেষে ভালোবেসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। সেই সাথে নাম তার নাম পরির্তন করে আয়েশা সিদ্দিকা রাখা হয়। বর্তমানে তাদের দু‘টি সন্তান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছর পরও তাদের এ বিয়ে ও ভালোবাসাকে মেনে নিতে পারেনি কথিত আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসীরা।

গত ৮ নভেম্বর স্থানীয় গিলাছড়ি বাজার থেকে এই নারীকে তুলে নিয়ে যায় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। তাকে নিয়ে ১দিন, ১ রাত আটকে রেখেছে। তার গলায় শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে। কেন সে মুসলিম হয়েছে? কেন বাঙালিকে বিয়ে করেছে? এসব প্রশ্নে জর্জরিত করেছে তাকে। গলায় ছুরি ধরে তার কাছ থেকে মিথ্যা বিবৃতি রেকর্ড করেছে।


স্বামী-শ্বশুর তাকে নির্যাতন করে একথা বলতে বাধ্য করেছে। আর এসব কথা রেকর্ড করেছে। অবশেষে নিরাপত্তা বাহিনীর চাপে সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু ভয়ে এ বিষয়ে থানায় কোন মামলাও দায়ের করা হয়নি। সন্ত্রাসীরা তাতেও ক্ষান্ত হয়নি, তার শশুরের আনারস বাগানের প্রায় ৮২ হাজার আনারস কেটে নষ্ট করে দিয়েছে। তবু বাঙালি ছেলেদের ভালোবাসে পাহাড়ের উপজাতি নারীরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাহাড়ী  নারীরা রাত দিন পরিশ্রম করে সংসারে ঘানি টানে। আর পুরুষরা ঘুরে বেড়ায়, ঘরে বসে হুক্কা টানে। সকল কাজ করে নারীরা। পুরুষরা শুধুই আরাম আয়েশ করে। তারউপর আবার নানা রকম নির্যাতনও সহ্য করতে হয় তাদের। আর বাঙালিদের সংসারে সকল কাজ করে পুরুষরা, নারীরা শুধু সংসার ঘুছানোর সহজ কাজগুলোই করে।

সেইসাথে বাঙালি সংস্কৃতিতে পরিচ্ছন্ন জীবনে উন্নত ভালোবাসা পেয়ে সুখী সংসার করে তারা। এসব খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় পাহাড়ের উপজাতি অধিকাংশ তরুণীরই প্রথম পছন্দ হয়ে উঠে বাঙালি তরুণরা। তাই ভালোবেসে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু পাহাড়ের কথিত আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর ছেলেদেরকে মেয়েরা পছন্দ না করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। ভালোবাসা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়ে নারীদের ধর্ষণ করার জন্য ভিলেনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করতেও পারছে না।

জানা যায়, এর আগে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে ভালবেসে এক বাঙালি ছেলেকে বিয়ে করার অপরাধে খাগড়াছড়ির গুইমারার এক মারমা তরুণী ও তার পরিবারকে নির্যাতন ভোগ করাসহ মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হয়। ওই তরুণীকে একটি কক্ষে বেঁধে অমানসিক নির্যাতন করা হয়। অন্য একটি ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের শুরুর দিকে ভালবেসে এক চাকমা মেয়েকে বিয়ে করাই কাল হয় একটি প্রথম শ্রেণীর জাতীয় পত্রিকার স্টাফ আলোকচিত্র সাংবাদিকের, হারাতে হয় চাকরি । অপরদিকে ভালবাসার মানুষকে ভুলে যেতে ওই চাকমা তরুণীর উপর চলে মধ্যযুগীয় র্ববরতা। তোলা হয় নিলামে। যা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে গণমাধ্যমে।


সবচেয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা ঘটনা ঘটে গত বছরের এপ্রিলে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায়। উপজেলার এক ত্রিপুরা মেয়ে ভালবেসে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার আহমদ কবীরের ছেলে মো. আবদুল হান্নানের (২৪) সাথে। এক সময় প্রেমিক হান্নানের হাত ধরে পালানোর সময় বাস থেকে নামিয়ে ওই ত্রিপুরা মেয়ে ও হান্নানকে অপহরণ করে পিসিপির কর্মীরা।

অপহরণের পর একটি ঝুম ঘরে আটক করে ত্রিপুরা মেয়েটিকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে পিসিপির স্থানীয় কয়েকজন নেতাকর্মী। গণধর্ষণের পর গভীর রাত পর্যন্ত মেয়েটিকে নিয়ে উল্লাস করে এসব সন্ত্রাসী। পুরো গণধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করা হয়। এ ঘটনায় আটক ইউপিডিএফ সমর্থিত পিসিপির নেতা সজীব ত্রিপুরা (২২) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানায়।

এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি মুসলিম ছেলেকে ভালবেসে বিয়ে করার কারণে মাটিরাঙা, রাঙামাটির কুতুকছড়ি ও রামগড়ের কয়েকটি ঘটনাসহ এরকম আরও অসংখ্য পাহাড়ি মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাসহ বিভিন্ন নারকীয় অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছে।

সম্প্রতি পাহাড়ি তরুণীদের নিজ জাতি-গোষ্ঠীর লোকদের হাতে এরূপ নির্বিচারে গণধর্ষণের শিকার হওয়া নিয়ে গবেষণাধর্মী উপন্যাস বের করেন লেখিকা রোকেয়া লিটা। চলতি বছরের শুরুর দিকে ‘ডুমুরের ফুল’ নামে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ বইটি বের করলে ধর্ষণ করে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় লেখিকাকে।


রাঙামাটির বিলাইছড়ির কেরণছড়ি মৌজা কার্বারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অংচাখই কার্বারী জানান, কোনো পাহাড়ি মেয়ে বাঙালি ছেলেকে বিয়ে করলে উপজাতিদের সামাজিক নিয়মে কোনো শাস্তির বিধান নেই। তবে আমরা এ ক্ষেত্রে কার্বারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সাধারণত ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে থাকি। এরপর তাদের একত্রে বসবাসে সমস্যা নেই।


স্থানীয়রা মনে করেন, পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের মেয়েরা পছন্দ করে না, ভালোবাসে না। তাই ভিলেনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে মেয়েদের অপহরণে লিপ্ত হয়েছে তারা।