বাংলাদেশের অায়োতনের ১০ভাগ এলাকা পাবর্ত্য চট্টগ্রাম একটি স্বাধীন জুম্মাল্যান্ড নামক রাষ্ট্র সৃষ্টির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
উপজাতি সন্ত্রাসীরা কালো শান্তিচুক্তি সাক্ষর করে দেশের সরকারকে বোকা বানিয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে তুলছে পাবর্ত্য খাগড়াছড়ি রাঙামাটি বান্দরবনে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান পার্বত্য চট্টগ্রামের। পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ৭৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সিমান্তে নেই কোন কাঁটা তাঁরের বেড়া। পাহাড় সিমান্তে দুই শত্রু দেশের সিমানা। দেশ দু’টি হচ্ছে ভারত ও মায়ানমার। যারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ’কে ঘিলে খাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক উসকানি সহ বিচ্ছিন্নতাবাদ দিয়ে উক্ত অঞ্চলে হানাহানি রক্তপাত বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। একটি শান্তস্বভাবের জাতিকে বেঅাইনি পরামর্শ ও অর্থযোগান দিয়ে ধ্বংস করছে।
পূর্বে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সামরিক পোশাকে সন্ত্রাসী। এধরণের অভিযান নিয়মিত করা হলে সন্ত্রাসী নির্মূল হবে অনেকাংশ।
ভারত, মায়ানমার বাংলাদেশের উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ ও সন্ত্রাসী সৈন্যদলের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশী এ দু’ই দেশ চক্রান্ত করে যাচ্ছে বাংলাদেশ’কে দু’খন্ডিত করে একটি অালাদা রাষ্ট্র গঠন করতে। তাই এই দেশ দু’টি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সকল ভরণপোষণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে দিয়েছে। তৈরি করেছে সমৃদ্ধ অাধুনিক অস্ত্রসস্ত্রসহ একটি বাহিনী। ভারত, মায়ানমার তাদের দেশে মাটি ব্যবহার করতে দিচ্ছে তাদের। কতিপয় দেশের তৈরি অস্ত্র বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘরে ঘরে। পাহাড়ের প্রতিটি স্থানে দিনে রাতে দেখা মিলে সশস্ত্র পোশাকে সন্ত্রাসীদের।
ভারত সরকারের পরোক্ষ মদদে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে হুমকি-দামকি দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক। স্বাধীন দেশের পরাশক্তি সামরিক বাহিনী ও বিশ্ব জয় করা সেনাবাহিনী’কে কিভাবে উপজাতি সশস্ত্র গোষ্ঠী যুদ্ধের হুমকি দিতে পারে? এতে পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃত্য গোষ্ঠীর একটি হিংস্র অংশ ভারতের মদদে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
অন্য দিকে দেশী-বিদেশী দাতা সংস্থা গুলো বার বার পাবর্ত্যে চট্টগ্রাম সফর করছে। সফরে গিয়ে প্রশাসনের উপস্থিতি ছাড়া উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সাথে বিভিন্ন গোপন অালোচনা ও অর্থ বল দিয়ে পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃত্য গোষ্ঠীকে অাদিবাসী শব্দ ব্যবহারের তাগিদ দিয়ে দেশ ভাগের ষড়ষন্ত্র করছে। অান্তর্জাতিক ও দেশের একশ্রেণীর জ্ঞানপাপী কুলাংগারদের চক্রান্তের শিকার পার্বত্য চট্টগ্রাম।
সন্ত্রাসীদের প্রস্তুতি ও হুমকি-দামকির পরেও বাংলাদেশ সরকার এ ব্যপারে কোন সচেতন বা সন্ত্রাসী মোকাবেলার করার মতো কোন কার্যক্রম, পদক্ষেপ নেয়নি। তাই সন্ত্রাসীরা দানা বেধে ক্রমাগত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন পাবর্ত্য বাঙালীদের হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, নির্যাতন, করে চলছে সন্ত্রাসীরা। এভাবে চলতে থাকলে ঠিক পরবর্তীকাল ইন্দেনেশিয়ার পূর্ব তিমিরের মতো একটি অালাদা রাষ্ট্রর পরিনত হবে বাংলার স্বর্গভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ হারাবে তার অায়োতনের ১৪ হাজার বর্গকিলোমিটার অংশ। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালী হবে রোহিঙ্গাদের মতো পরবাসী। স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে অস্ত্রবল নিয়ে এরা কারা? প্রশাসনের উচিৎ এসকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা।তাদের রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে বিচারের কাঠগড়া দাঁড় করানো। অথবা তাদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেওয়া।