পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে গোপন চিঠি

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে গোপন চিঠি
বাংলাদেশের বিশাল ভূখন্ড পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে দেশীবিদেশী দাতা সংস্থা ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলোর সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে অাঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন পাহাড় জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন গহীন অরণ্যে বসে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের নিজেস্ব ভাষায় চক অাঁকছে কিভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে অালাদা স্বপ্নের জুমল্যান্ড নামক রাষ্ট্র গঠন করা যায়। সন্ত্রাসীদের লিখিত ভাষার মাধ্যমে পাহাড়ের কয়েকটি স্থানে জনসমর্থন অাদায় ও জুমল্যান্ড গঠনের জনমত তৈরির বার্তা দিচ্ছেন। জুমল্যান্ড গঠনের গোপন চিঠি প্রচার সম্পর্কে কয়েকজন উপজাতীয়’র সাথে কথা বলে জানা যাই, চিঠি গুলো অাঞ্চলিক দলের নেতারা দিয়েছে, তবে সর্বসাধারণে প্রকাশ করতে বারণ করেছে। গোপন চিঠিতে নিজেস্ব ভাষা ব্যবহারে কারণ হচ্ছে জুমল্যান্ড গঠনের কোন সাড়াশব্দ জেনো বাংলাদেশ সরকার প্রশাসন জানতে না পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কার্বারী জানান, প্রশাসনের অাড়ালে অনেক কিছু হচ্ছে, অামরা পাহাড়ের ভিতরে থাকি বিদায়ী কোন কিছু প্রকাশ করতে পারছি না। পানিতে থেকে কুমিরের সাথে পাল্লা দেওয়া কখনওই সম্ভব্য নয়, তাই অনেক কিছু দেখেও মুখ বুঝে সহ্য করতে হয় অামাদের। অামরা চাইলেও কিছু করতে পারি না, হাত পা বাধা থাকলে কি সাঁতার কাটা যায়? বর্তমানে পাহাড়ে অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। অামাদের গ্রামে অাগে কোন জামেলা হলে পাঠির লোক অাসতো, এখন জামেলা ছাড়া সবসময় পাঠির লোক পোষাক পড়ে অস্ত্র নিয়ে সরাসরি চলাফেরা করে। একটি গ্রুপে ২৫ জন থাকে। সেনাবাহিনীর মতো অস্ত্রগোলাবারুদ রয়েছে। হাতে রয়েছে সংযোগ রাখার ষন্ত্রপাতি। মাঝে দুর থেকে মনে হয় সেনাবাহিনী কিন্তু কাছে গেলে দেখি নাকবুচা অামাদের জাতি। খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি বান্দরবনের প্রত্যেক উপজেলায় যাতায়াতের জন্য অালাদা পাহাড়ি পথ রয়েছে। এসব পথে চলাফেরা করে পাঠির লোকজন। সেনাবাহিনী অাসলে তাদের কখনও পাবে না, তারা লোকালয় ও পাহাড়ি পথে স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়। অার সেনাবাহিনী অাসার খবর বাঙ্গালী সোর্স’রা দিয়ে দেয় তাই পাঠির অস্ত্রধারী লোকদের ধরা সম্ভব্য নয়।


নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কার্বারীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি।

উপজাতি সন্ত্রাসীরা তাদের সন্ত্রাসী রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলছে পাহাড়ের প্রতিটি স্থানকে। তাদের নিরাপদ অাবাসনের পাশাপাশি যুদ্ধের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প করে থাকার ব্যবস্থাও প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। গভীর অরণ্যে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের স্বর্গভূমি। যেখানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও প্রশাসন এখন পর্যন্তপ্রবেশ করতে পারিনি। বাঙালীকে অপহরণ করেচাঁদার দাবি করে এসব ক্যাম্পে অাটক রেখেনির্যাতন করে, বিশাল পরিমাণ চাঁদা অাদায় করকে ব্যর্থ হলে হত্যা করা হয়। তাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ সরকারের জন্য দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বড় হুমকি হয়ে দাড়াবে।

পার্বত্যভূমি থেকে বেশির ভাগ সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলে উপজাতি বাহিনী গুলোবাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে যে কোন ইস্যুতে।


সরকারের উচিৎ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা। সেনাক্যাম্প প্রত্যাহরের কারণে পাহাড়ের অনেক জায়গাতে সন্ত্রাসীরা সাংগঠনিক কার্যক্রম চাচ্ছে ভয়ভীতি ছাড়া। সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারকৃত স্থান দখল করে নিজেদের থাকার ক্যাম্প বানিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পুরো পাহাড় এখন সন্ত্রাসীদের গ্রাসের পরিণত হয়েছে।