গত ১৬ই জুলাই দেশী দুধের উপর পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে গিয়েছিলো। এন.সি-২৪৬
গত ১৬ই জুলাই দেশী দুধের উপর পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে গিয়েছিলো। 
(ক)
Image result for জাহাজগত ১৬ই জুলাই দেশী দুধের উপর পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে গিয়েছিলো। সেখানে তারা কিছু রিপোর্ট পেশ করে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। আদালতে উপস্থাপনের পর ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন-
“তরল দুধের ৫০টি নমুনা, ১১টি পাস্তুরিত দুধের ১১টি নমুনা ও ৬টি গোখাদ্য তিনটি সরকারি সংস্থার ল্যাব ও তিনটি বেসরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। মোটামুটি সবক’টি দুধের নমুনায় গ্রহণযোগ্য মাত্রার বেশি সীসা ও ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে। তবে গোখাদ্যে মাত্রাতিরিক্ত কিছু পাওয়া যায়নি।”
পাঠক পয়েন্ট নোট করুন-
“দুধের মধ্যে ‘সীসা ও ক্যাডমিয়াম’ পাওয়া গেছে, কিন্তু গোখাদ্যে পাওয়া যায়নি।”
প্রশ্ন আসছে- গোখাদ্যে যদি ভারি ধাতু পাওয়া না যায়, তবে পাস্তুরিত দুধের মধ্যে সীসা-ক্যাডমিয়াম আসলো কিভাবে ?
(খ)
২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসের ঘটনা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ভয়াবহ মাত্রায় হেভি মেটাল (লেড) পায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। গুঁড়া দুধে সিসার সহনীয় মাত্রা হচ্ছে প্রতি কেজিতে ০.০২ মিলিগ্রাম। অথচ পরীক্ষায় পাওয়া গেছে সহনীয় মাত্রার ৫০ থেকে ২০০ গুণ বেশি পরিমাণে সিসা। তখন কাস্টম হাউসগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়, তারা যেন আমদানি করা গুড়া দুধগুলো পরীক্ষা করে তারপর ছাড়েন।
(https://bit.ly/2ZnEN6G)
প্রশ্ন হচ্ছে, আসলেই কি প্রতিটি আমাদানি করা দুধের চালান কাস্টমস হাউস থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়া হচ্ছে ?
নাকি কমিশন নিয়ে কাস্টমস হাউসগুলো দেশে ঢুকিয়ে দিচ্ছে ২০০ গুন বেশি সিসা সমৃদ্ধ গুড়া দুধ ?
পাঠক, আমি সব সময় একটা কথা বলি, সমস্যা ঠিক যায়গায় চিহ্নিত করা দরকার। রোগ নির্নয় করে যেমন মূল সমস্যা চিহ্নিত করতে হয়, ঠিক তেমনি দুধ নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, আসলে সমস্যাটা কোথায় সেটাও চিহ্নিত করা জরুরী।
একটা জিনিস সবার জানা দরকার-
স্বাভাবিক ভাবে বিভিন্ন কোম্পানিগুলো দেশী খামারিদের থেকে দুধ কিনে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু কোম্পানিগুলো যদি বিদেশী আমদানি করা গুড়া দুধ পানিতে গুলায় তরল দুধ বানায়, তখন ১ কেজি দুধের দাম পড়ে মাত্র ১০ টাকা। অর্থাৎ ৪ গুন বেশি লাভ হয়। এ কারণে খামারিদের থেকে কিছু দুধ কিনে, সেখানে বিদেশী গুড়া দুধ মিশিয়ে দুধের পরিমাণ বেশি করে কোম্পানিগুলো।
এ প্রসঙ্গে দৈনিক ইত্তেফাক ২১শে আগস্ট, ২০১৫ তারিখে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয়-
গুঁড়া দুধ থেকে তৈরি হচ্ছে পাস্তুরিত তরল দুধ!
খবরের ভেতরে বলছে-
“অধিক লাভের আশায় কিছু দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান গুঁড়া দুধ থেকে পাস্তুরিত তরল দুধ তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছে। কিন্তু এভাবে গুঁড়া দুধ থেকে তরল দুধ তৈরিতে দুধে গুণগত মান বজায় থাকে না। যা স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে দু’ভাবে দুধ বাজারজাত করা হয়। একটি তরল, অন্যটি গুঁড়া দুধ। কোম্পানিগুলো চিলিং সেন্টারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গোয়ালা এবং সমিতির মাধ্যমে দুধ সংগ্রহ করে। এরপর চিলিং সেন্টার থেকে কুলিং ট্যাংকার (শিতলীকরণ)-এর মাধ্যমে দুধকে দুই ডিগ্রি তাপমাত্রায় নিয়ে আসা হয়। ওই দুই ডিগ্রি তাপমাত্রার দুধ কুলিং ট্রাকে করে ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রক্রিয়াজাত কারখানায় দুধকে কয়েকটি প্রক্রিয়ার পর প্যাকেটজাত করে বাজারে সরবরাহ করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছর রমজানসহ বিভিন্ন উত্সব-পার্বণে যখন তরল দুধের চাহিদা বেশি থাকে, মূলত তখনই অধিক মুনাফার আশায় গুঁড়া দুধ থেকে তরল দুধ তৈরি করে কিছু কোম্পানি।”
(https://bit.ly/2GEw2hd)
লক্ষ্য করুন-
১. যদি খামারিদের দুধে ভারি ধাতু থাকতো, তবে গোখাদ্যে আরো ভয়াবহ মাত্রার লেড-ক্যাডমিয়াম থাকতো। কিন্তু সেটা নেই। তারমানে গো-খাদ্য নয়, ভারি ধাতু ঢুকছে অন্য স্থান দিয়ে।
২. বিদেশী আমদানি করা গুড়া দুধের মধ্যে ৫০-২০০ গুন বেশি মাত্রার ক্ষতিকারক ধাতু আছে। আর সেটা টেস্টের দায়িত্ব হলো কাস্টমস হাউসের, বিএসটিআই’র। আমার মনে হয় না, তারা সঠিকভাবে পরীক্ষা করে সেটা ছাড়ে। শুধুমাত্র কমিশন পেলেই তারা গুড়া দুধগুলো ছেড়ে দিচ্ছে। দেশী গুড়া দুধগুলো যেমন সরকারী সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থায় পরীক্ষা করে দেখা হলো, গুড়া দুধগুলোও তেমন বিভিন্ন ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা উচিত। আমার ধারণা- দেশী কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদন বাড়তে দেশী খামারীদের থেকে দুধ নেয়ার সাথে সাথে বিদেশী আমদানি করা গুড়া দুধও মিক্সড করতেছে, আর সেখান থেকেই ভারি ধাতু ঢুকতেছে পাস্তুরিত দুধে।
৩. আজকে দৈনিক প্রথম আলো খবর করছে- “তরলের বিপদ, গুঁড়ার সুসময়।”
খবরের ভেতরের তথ্য- গুড়া দুধের বিক্রি বাড়ছে, তরল দুধের বিক্রি কমে গেছে।
(https://bit.ly/2YAWhv0)
আমার এক মুসলিম বন্ধু দৈনিক প্রথম আলোকে তাদের ধর্মে বর্ণিত ‘ইবলিশ শয়তান’ বলে ডাকতো। ইবলিশ শয়তান নাকি মানুষকে খারাপ কাজে নামায় দিয়ে কেটে পড়ে। দূরে গিয়ে বলে, -আমি এর কিছু জানি না, আমার কোন দোষ নাই।” প্রথম আলো নাকি তার সেকরম মনে হয়।
আজকে প্রথম আলোর খবর দেখে আমার সে কথাটা মনে পড়লো। দুধ নিয়ে বর্তমানে যে সংকট তৈরী হয়েছে, তার মূলে রয়েছে দৈনিক প্রথম আলো। সেই অরলা ফুড (ডানো)’র হয়ে গত ১ বছর ধরে বাংলাদেশে দুগ্ধ শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য নানান প্ল্যান/মিটিং করেছে।
৪. হাইকোর্ট যখন দেশের ১৩টি দুগ্ধ কোম্পানিকে বন্ধ করে দিলো, তখন কিন্তু আমি বলেছিলাম, কোন যায়গা দিয়ে ক্ষতিকর বস্তু ঢুকছে, সেটা চিহ্নিত করতে হবে। নয়ত মানুষ লাভের থেকে লোকশানে বেশি পড়বে। যেমন- দুধের ভারি ধাতু যদি গোখাদ্য দিয়ে না এসে, গুড়া ‍দুধ দিয়ে আসে, তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। মানে- দেশী কোম্পানির দুধের ২ গুন বেশি লেডের ভয়ে ২০০ গুন বেশি লেড খেয়ে ফেলবে, ফলে খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে বহু শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে।
৫. আমি একটা কথা বলছি- গুজব খুব খারাপ জিনিস। গুজব বলতে যদি আপনি শুধু ১০টা লোককে পিটিয়ে মারাকে বুঝান, তবে ভুল করবেন। বরং তার থেকে ভয়ঙ্কর গুজব হচ্ছে, দেশী তরল দুধের সম্পর্কে গুজব রটিয়ে বিদেশী গুড়া ‍দুধ শিশুদের মুখে তুলে দেয়া। এতে একদিকে যেমন প্রায় ১ কোটি লোক বেকার হয়ে যাবে, অন্যদিকে বিদেশী আমদানি করা গুড়া দুধ খেয়ে কোটি কোটি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে।
৬. গুড়া ‍দুধ পরীক্ষায় সমস্যা কোথায় ?
গত ২৯শে জুলাই গুড়া নিয়ে হাইকোর্টে কথোপকথন খেয়াল করুন-
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইনজীবী আদালতের কাছে বাজারের গুঁড়ো দুধ পরীক্ষা করতে আদালতের নির্দেশনা চান। কিন্তু দুধ (গুঁড়ো) পরীক্ষার দায়িত্ব নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বিএসটিআইএ'র বলে মন্তব্য করে আদালত বলেন, আপনারা (নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ) কেন পরীক্ষা করছেন না?
জবাবে আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা পরীক্ষা করলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলবে, কেন আমরা তা পরীক্ষা করছি? তবে আদালত আদেশ দিলে সেই প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকবে না।
বলাবাহুল্য হাইকোর্ট আইনজীবির এত আগ্রহ দেখেও ঐ দিন গুড়া দুধ পরীক্ষা সম্পর্কে কোন আদেশ না দিয়ে হাইকোর্ট এ বিষয়ে আলোচনা ২ মাস পিছিয়ে দেন। (https://bit.ly/2MtdlRq)
নোট করুন- তারমানে বিদেশী গুড়া দুধ পরীক্ষা করতে অনেক বাধা বিপত্তি আছে।
প্রশ্ন আসে- কিন্তু কেন ? বিদেশী গুড়া দুধের এমন কি আছে, যার কারণে তা পরীক্ষা করতে সমস্যা ? কারা পেছনে কলকাঠি নাড়ছে ?
৮. ২০০৮ সালে যখন চীনে গুড়া দুধে মেলামাইন পাওয়ার কারণে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হয়, তখন বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্ব নড়েচড়ে বসে। তখন বাংলাদেশের ৮টি ব্রান্ডের আমাদানি করা গুড়া দুধে মেলামাইন টেস্ট এর দায়িত্ব পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর নিলুফার ম্যাডামের উপর। High Performance Liquid Chromatography(HPLC) এবং Atomic Absorption Spectroscopy(AAS) এবং Gas Chromatography Mass Spectroscopy (GCMS) প্রযুক্তি দিয়ে খুব সহজেই নির্ণয় হলো বাংলাদেশে আমদানি করা গুড়া দুধে মেলামাইন আছে। সেটা প্রেস ব্রিফিং করে প্রকাশ করাও হলো, সারা দেশের সকল মিডিয়া সেটা প্রকাশ করলেও দৈনিক প্রথম আলো সেই খবর প্রকাশ করলো না। তখন সারা দেশজুড়ে প্রথম আলোর এহেন বিদেশী দালালি সম্পর্কে ছি: ছি: রব উঠেছিলো।
৯. ২০০৮ সালে সেনাশাসনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগকে মেলামাইনের বিষয়টি প্রকাশ করায় প্রচুর চাপের মধ্যে পড়তে হয়। রসায়ন বিভাগ গবেষনা করে বাংলাদেশে প্রচলিত ডানো ফুলক্রীম, নিডো ফর্টিফায়েড, রেডকাউ, ডিপ্লোমা, এনলিন, এবং চীনের ৩টি কোম্পানি য়াশলী-১ , ইয়াশলী-২ এবং সুইট বেবী মোট ৮টি মধ্যে মেলামাইন পায়। কিন্তু সে সময় সেনা সরকার তা অস্বীকার করে। তারা জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা(ফাও) এর রেফারেন্স দিয়ে বলে, চীনের তিনটি কোম্পানিতে মেলামাইন আছে, কিন্তু ডানো, নিডো, রেডকাউ, ডিপ্লোমা ও এনলিনের মধ্যে কোন ক্ষতিকারক মেলামাইন নেই।
(বিস্তারিত পড়তে-https://bbc.in/2Yj3YuI)
পাঠক, এটা স্পষ্ট বাংলাদেশের তরল দুধ ও আমদানি করা গুড়া দুধের দ্বন্দ্ব একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এখানে দোষটা আমাদানি করা গুড়া দুধের, কিন্তু চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে দেশী খামারিদের উপর। অথচ দেশি খামারিরা বন্ধ হয়ে গেলে আমদানি করা গুড়া দুধ একচেটিয়ে ব্যবসা করতে পারবে এবং ইতিমধ্যে শুরুও করেছে। এক্ষেত্রে মিডিয়াগুলো মীর জাফরের ভুমিকায় অবর্তীণ হয়েছে। ভয়ের কথা হলো, যদি দূষিত বস্তু গুড়া দুধ থেকেই এসে থাকে, তবে জাতির লাভ নয় বরং জাতিকে ঠেলে দেয়া হলো আরো ভয়ঙ্কর কিছুর মধ্যে। আমার ধারণা এর সাথে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকগুলো মহল জড়িত। বিদেশী গুড়া দুধ যত চলবে, ক্যান্সারের কেমোথেরাপির ব্যবসাও তত বাড়বে। তাই বিদেশী গুড়া দুধ কোম্পানির সাথে আন্তর্জাতিক কেমোথেরাপির ব্যবসায়ীরাও যদি পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ে, তবেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ফারুক স্যারের পরীক্ষা নিরীক্ষাকে অনেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন,। এন.সি- ২৪৫
ফারুক স্যারের পরীক্ষা নিরীক্ষাকে অনেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন,
Related image
ফারুক স্যারের পরীক্ষা নিরীক্ষাকে অনেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন,
কিন্তু তিনি যে কথাগুলো বলেছেন- সেটার ভেতরে কিন্তু ঢুকেননি, অনেকেই এড়িয়ে গেছেন।
তিনি একটি প্রশ্ন করেছেন- “আমাদের দেশে যারা তরল দুধ বিক্রি করেন আমরা গবেষণা করে পেলাম যে তারা গুড়া দুধ কেনেন, কিন্তু কেন? আমরা গবেষণায় পেয়েছি দুধের মধ্যে আখের চিনি। দুধে তো থাকার কথা দুধের চিনি, যেটার নাম ল্যাকটোজ। কিন্তু দুধে আখের চিনি কোথা থেকে আসলো। এটা আমরা ঠিক মিলাতে পারলাম না ।“ (https://bit.ly/2YtWFzF)
এর খুব সহজ কারণ হতে পারে, পাস্তুরিত দুধ কোম্পানিগুলো খামারীদের থেকে পাওয়া দুধ থেকে মেশিন দিয়ে ক্রিম তুলে নিয়ে অন্য প্রডাক্ট বানাচ্ছে। এরপর সেই পাতলা দুধ গাঢ় করার জন্য আমদানি করা গুড়া দুধ মেশাচ্ছে, চিনি মেশাচ্ছে। আর সেই আমদানি করা গুড়া দুধের থেকে ক্ষতিকারক ধাতু সীসা চলে আসছে পাস্তুরিত দুধের মধ্যে।
উল্লেখ্য এ বছরের মার্চ মাসে চট্টগ্রামের ভ্রাম্যমান আদালত একটি তরল দুধের কারখানার সন্ধান পায়, যারা ১ কেজি গুড়া দুধে ১০ কেজি তরল দুধ তৈরী করে । (https://bit.ly/2ywxSvW)
আরো উল্লেখ্য ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে আমদানি করা গুড়া দুধে স্বাভাবিকের তুলনায় ২০০ গুন বেশি সীসা ধরে পারে। তখন কাস্টমস হাউসকে তা আমদানি করা গুড়া দুধের চালান পরীক্ষা করে তারপর ছাড়তে বলা হয় (https://bit.ly/2ZnEN6G)। কিন্তু কাস্টমস হাউস আমদানি করা গুড়া দুধের চালান কতটুকু পরীক্ষা করে তারপর ছাড়ে তা সত্যিই চিন্তার বিষয়।
বর্তমানে দুধের মধ্যে ক্ষতিকারক ধাতু আছে বলে শোরগোল উঠতেছে, এর মূল কারণ পাস্তুরিত দুধ কোম্পানিগুলো তাদের দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সেখানে আমদানি করা বিষাক্ত গুড়া দুধ মিক্সড করতেছে, কিন্তু এ কথাটা কেউ বলতে পারতেছে না। সবাই খামারীদের দিকে আঙ্গুল তুলছে। কারণ মূল গোমর ফাস করে দিলে কোম্পানিগুলো মিডিয়াতে প্রচুর পরিমাণে বিজ্ঞাপন দেয়, সেটা দিবে না। আবার খামারীরাও কথাটা বলতে পারতেছে না, কারণ দেশী কোম্পানিগুলোই তাদের দুধ কিনে। তারা যদি মিডিয়ার সামনে এই গোমর ফাঁস করে,তবে তাদের উপর থ্রেট আসবে। কোম্পানিরা সেই সব খামারীদের থেকে দুধ নিবে না। তাদের প্রত্যেকের লুকোচুরির কারণে মূল দূষণটা আসলে কোথায়, সেটা জনগণ ধরতে পারতেছে না।
এখানে বোঝার বিষয় হলো, যদি গরুর খাবার থেকেই ভারি ধাতু আসতো, তবে সেটা আসতো মাটি, পানি, বায়ু থেকে। তাহলে সেখানে তো মানুষও কৃষজ পন্য উৎপাদন করে খাচ্ছে। গরুর খাবার থেকে দুধে ভারি ধাতু নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, মানুষ যে কৃষজ পণ্য শাক সবজী খাচ্ছে, সেখানে তো আরো হাজারগুন বেশি ভারি ধাতু থাকার কথা। কিন্তু সেটা নিয়ে তো আলোচনা হচ্ছে না। সবকিছু পাশ কাটিয়ে গরু হয়ে দুধে ভারি ধাতু আছে বলে রব তোলা হচ্ছে, এটা সত্যিই রহস্যজনক।
তাহলে উপায় কি ? ভেজাল দুধের দেশী কোম্পানিগুলো বন্ধ করে দেয়া ?
না দেশী কোম্পানি বন্ধ করা যাবে না, কারণ তাদের মাধ্যমেই খামারিদের দুধ সকল জনগণের কাছে আসে। খামারীদের দুধ বন্ধ করলে পাবলিক সেই বিষাক্ত গুড়া দুধই বাজার থেকে কিনে খাবে, তখন হিতে বিপরীত হবে। বর্তমানে হাইকোর্টে অদূরদর্শী আদেশের কারণে ঠিক সেটাই হয়েছে। (https://bit.ly/2YAWhv0)
তাই মূল যায়গায় সমস্যা চিহ্নিত করে মূল যায়গায় আঘাত করতে হবে। অর্থাৎ পাস্তুরিত দুধ কোম্পানিগুলোতে র‌্যাবের সারোয়ার আলমকে অভিজান চালাতে হবে । কোম্পানিগুলো আসলেই আসলেই গুড়া দুধ মিক্সড করে তরল দুধ তৈরী করছে কি না, সেটা সরেজমিনে দেখতে হবে। দেখতে পেলে মোটা অংকের জরিমানা করতে হবে।
আরেকটা সহজ উপায় আছে। কোম্পানিগুলোর তরল দুধে গুড়া দুধের ভেজাল মিক্সড করার মূল কারণ যেহেতু আর্থিক সাশ্রয়, সেহেতু সরকার যদি আমদানি করা গুড়া দুধের উপর ট্যাক্স বাড়িয়ে ৫০-১০০% পর্যন্ত করে, তখন তারা ভুলেও ভেজাল মিশ্রণ করবে না, বরং নিজেরাই এড়িয়ে যাবে।
পাশাপাশি, আমদানি করা গুড়া দুধের পরীক্ষা করা এখন সবচেয়ে জরুরী বিষয়। প্রয়োজনে ১-২টি নয় এক ডজন পরীক্ষাগারে আমদানি করা গুড়া দুধ পরীক্ষা করা উচিত। কোন চালানে ক্ষতিকর কিছু পেলেই যে কোম্পানি থেকে গুড়া দুধ আসছে, তার থেকে সকল আমদানি বন্ধ করে দিতে হবে।
২০০৮ সালে বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রেডকাউ, ডানো, নিডো, এ্যানলিন ও ডিপ্লোমা গুড়া দুধ পরীক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ কি সমস্যায় পড়েছিলো ? এন.সি-২৪৪
২০০৮ সালে বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রেডকাউ, ডানো, নিডো, এ্যানলিন ও ডিপ্লোমা গুড়া দুধ পরীক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ 
কি সমস্যায় পড়েছিলো ?

Image result for জাহাজ
২০০৮ সালে বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রেডকাউ, ডানো, নিডো, এ্যানলিন ও ডিপ্লোমা গুড়া দুধ পরীক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ কি সমস্যায় পড়েছিলো ?
২০০৮ সালে বিশ্বজুড়ে ‘দুধ’ নিয়ে এক ভয়াবহ সংবাদ শোনা যায়। দুধের মধ্যে নাকি বিষাক্ত মেলামাইন মেশানো হয়। মেলামাইন এক ধরনের নাইট্রোজেন যৌগ, ভেজাল দুধে এটা মেশালে দুধ পরীক্ষার সময় তা প্রোটিন সমৃদ্ধ বলে যানান দেয়। অধিক লাভের আশায় বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এই অপকর্ম করে বসে। এতে চীনে কিছুদিনের মধ্যে প্রায় ৬৩ হাজার শিশু দুধে মেলামাইনে আক্রান্ত হয়ে কিডনী জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়, অনেকে মারা যায়।
২০০৮ সালে বাংলাদেশে তখন বিতর্কিত সেনা শাসন নির্ভর তত্ত্বাবাধয়ক সরকারের শেষ পর্যায়। বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া বিদেশী গুড়া দুধগুলোতে মেলামাইন আছে না নাই, তা পরীক্ষায় জোরালো দাবী উঠে। এক পর্যায়ে সরকার ৮টি বিদেশী কোম্পানির গুড়া দুধ (ডানো ফুলক্রীম, নিডো ফর্টিফায়েড, রেডকাউ, ডিপ্লোমা, এনলিন, এবং চীনের ৩টি কোম্পানি য়াশলী-১ , ইয়াশলী-২ এবং সুইট বেবী) পরীক্ষা করতে সাইন্সল্যাব, বিএসটিআই, আনবিক শক্তি কমিশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে পাঠায়। এই পরীক্ষায় ঢাকার রসায়ন বিভাগের টেস্টে বিদেশী গুড়া দুধগুলোর মধ্যে অতি উচ্চমাত্রায় মেলামাইন পাওয়া যায়। বিশেষ করে রেড কাউয়ে সহনীয় মাত্রা (0.1mg/kg) এর ২৩০০ গুন, ডিপ্লোমায় ৩০০০ গুন, ডানোতে ৪০০ গুন, নিডোতে ৪৫০০ গুন পর্যন্ত পাওয়া যায়। আনবিক শক্তি কমিশনের পরীক্ষায় রসায়ন বিভাগের পরীক্ষার তুলনায় তুলনামূলক কম হলেও মেলাইমানের দূষণের অস্তিত্ব মিলে। যার পরিমাণ যথাক্রমে নিডোতে ১৭০০ গুন, ডিপ্লোমায় ২৮৭০ গুন এবং ডানোতে ৭৪০ গুন সহনীয় মাত্রার বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু সাইন্সল্যাব ও বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় তা নির্ণন করা যায় নাই।
সে সময় রসায়ন বিভাগের অনেকেই দাবী করেন, তাদের মেলাইন পরীক্ষার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ছিলো যা অন্য ল্যাবরেটরিগুলোতে ছিলো না।
বিশেষ করে রসায়ন বিভাগে জাপানি সরকারের সহযোগিতায় প্রাপ্ত High Performance Liquid Chromatography(HPLC) এবং Atomic Absorption Spectroscopy(AAS) এবং Sweden Upsala University -র সহযোগিতায় প্রাপ্ত Gas Chromatography Mass Spectroscopy (GCMS) (যা ঐ সময় Compound Detection Related সর্বাধুনিক প্রযুক্তি) নামের কোটি টাকার প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কোন Element কে খুব সহজেই disintegrate করা যায়।
কিন্তু এই পরীক্ষার পরই ঢাবির রাসায়ন বিভাগের উপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ আসতে থাকে। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এএমএম শওকত আলী রসায়ন বিভাগের পরীক্ষা অস্বীকার করে করে বলেন, “ঢাবির রসায়ন বিভাগের পরীক্ষাগার অনুমোদিত নয়, তাই গুড়া দুধের মেলামাইন পাওয়ার তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়।”
উপদেষ্টার বক্তব্যের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুধে মেলামাইন পরীক্ষা কমিটির গবেষক ড. নিলুফার নাহার বলেন- “সরকার যে অনুমোদনের কথা বলছে, বিএসটিআই ছাড়া সে রকম কোন অনুমোদিত ল্যাবরেটরি নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সরকার অনুমোদিত একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এখানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু আমাদের গবেষণার ফলাফলের ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। আর আমাদের ল্যাবরেটরি যদি অনুমোদিত নাই হয়, তবে আমাদের কাছে পরীক্ষার জন্য সেম্পল পাঠানো হলো কেন?”
সরকার দেশীয় পরীক্ষা অস্বীকার করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) মাধ্যম হয়ে জার্মানির হামবুর্গের ইয়রোফিন্স জিএমবিএইচ পরীক্ষাগারে ৮টি দুধের সেম্পল পরীক্ষার জন্য পাঠায়। তারা দাবী করে, চীনা ৩টি কোম্পানির দুধে ক্ষতিকর মাত্রায় মেলামাইন আছে, কিন্তু অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আর ডেনমার্কের ৫টি গুড়া দুধের মধ্যে কোন সমস্যা নেই।
তাদের রিপোর্ট অনুসারে সরকার ও হাইকোর্ট চীনা ৩টি কোম্পানি নিষিদ্ধ করে, কিন্তু ডানো, রেডকাউ, নিডো, ডিপ্লোমা এবং এনলিন গুড়া দুধের খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই বলে রাষ্ট্রীয় ঘোষণা দেয়।
এক্ষেত্রে ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কোম্পানিগুলোর পক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও)কে নিকৃষ্ট দালালি করতে দেখা যায়। আর এভাবে করেই আন্তর্জাতিক বিশেষ শক্তিবলে বেচে যায় রেডকাউ, ডানো, নিডো, এ্যানলিন ও ডিপ্লোমা গুড়া দুধ। এরপর থেকে বিদেশী গুড়া দুধের শুদ্ধতা যাচাই নিয়ে কোন সরকারকে আর শক্ত অবস্থানে যেতে দেখা যায় নাই।
ছবি: ২০০৮ সালে দেশের বিভিন্ন ল্যাবে ৮টি বিদেশী গুড়া দুধে মেলামাইন পরীক্ষার রিপোর্ট।
ডেনমার্কের জিল্যান-পোস্টেন পত্রিকায় মুসলমানদের শেষ নবীর ব্যঙ্গ কার্টুনের কথা মনে আছে ? এন.সি-২৪৩
ডেনমার্কের জিল্যান-পোস্টেন পত্রিকায় মুসলমানদের শেষ নবীর ব্যঙ্গ কার্টুনের কথা মনে আছে ?
Image result for জাহাজ
ডেনমার্কের জিল্যান-পোস্টেন পত্রিকায় মুসলমানদের শেষ নবীর ব্যঙ্গ কার্টুনের কথা মনে আছে ?
২০০৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ১২টি কার্টুন ছাপা হয়েছিলো মুসলমানদের নবীকে ব্যঙ্গ করে।
সম্ভবত ২০০১ এর আমেরিকান সম্রাজ্যবাদের ‘ওয়্যার অন টেরর’ শুরুর পর এটাই মুসলমানদের ধর্মকে ব্যঙ্গ করার সূচনা। সেই ডেনমার্কের হাত ধরে একে একে অন্যান্য অমুসলিম রাষ্ট্রগুলো (নেদারল্যান্ডের গ্রিট উইল্ডারর্স, ফ্রান্সের শার্লি হেবদো, অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য উইকঅ্যান্ড অস্ট্রেলিয়া’) মুসলমানদের শেষ নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ ছবি ও মুভি তৈরী শুরু করে।
আমার মনে আছে, সে সময় সারা বিশ্বের মুসলমানরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলো। কিন্তু তারপরও মন গলেনি ডেনমার্ক সরকারের। এ ঘটনায় তারা কাউকে শাস্তি দেয়নি। সারা বিশ্বজুড়ে ডেনমার্কের দূতাবাসের সামনে মুসলমানরা প্রতিবাদ করে। পুরো বিশ্বে এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে কমপক্ষে ২০০ মুসলমান নিহত হয়।
এ ঘটনায় সারা বিশ্ব জুড়ে মুসলমানদের মধ্যে ড্যানিশ পণ্য বর্জনের ডাক উঠে। ডানো (অরলা ফুড), নভো নরডিস্ক (ওষুধ কোম্পানি) ও ড্যানিস্কো বর্জনের ডাক দেয় মুসলমানরা। এ কারণে ২০০৬ এর ফেব্রুয়ারী থেকে জুনের মধ্যে ডেনমার্কের মোট রফতানি ১৫.৫% শতাংশ নেমে যায়। কয়েক মাসের মধ্যে ডেনমার্কের ক্ষতি হয় প্রায় ১৩৪ মিলিয়ন ইউরো বা ১৩শ’ কোটি টাকা। আমার মনে আছে, ঐ সময় বাংলাদেশের মুসলমানরাও ড্যানিশ পন্য বর্জনের ডাক দিয়েছিলো।
কিন্তু আজকে আমার অবাক লাগে, যখন দেখি বাংলাদেশের তরল দুধ নিয়ে এত বড় একটা ষড়যন্ত্রের ঘটনা ঘটে গেলো, যা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়লো ডেনমার্কের ডানো (অরলা ফুড)। অথচ হুজুগে মাতাল মানুষ সেই ডেনমার্কের ডানো (অরলা ফুড) ষড়যন্ত্রকেই সমর্থন দিলো !!
এই অরলা (ডানো) বেশ কয়েক মাস যাবত দৈনিক প্রথম আলো, কিছু ভার্সিটির শিক্ষক এবং নিরাপদ খাদ্যের কিছু সদস্য নিয়ে দেশী দুগ্ধ শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলো, মিটিং সেমিনার করছিলো। সর্বশেষ দেশী দুগ্ধ খামারীরা প্রতিবাদ করে সরকারকে চাপ দিয়ে বিদেশী গুড়া দুধের উপর ট্যাক্স ৫ থেকে ১০% করার পর থেকেই তাদের ষড়যন্ত্র তুঙ্গে উঠে। তারা হাইকার্টের মাধ্যম দিয়ে দেশী দুগ্ধ শিল্পকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র চালায়। যার ফল আপনারা দেখেছেন হাইকোর্টের অর্ডারে দেশী দুগ্ধ কোম্পানি বন্ধের কারণে ৩ দিনে খামারীদের ক্ষতি হয়ে গেছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা (সূত্র: সময় নিউজ)।
ভাবতেই অবাক লাগে, ২০০৫ সালে নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করার কারণে ডেনমার্কের অরলা (ডানো)কে যে মুসলমানরা নাকানি চুবানি খাওয়ালো, সেই ডানো কি না গুজব রটিয়ে বাংলাদেশের ১ কোটি লোকের শিল্পকে ধ্বংস করে দিতে চায়, দেশী দুধ বিক্রি বন্ধ করে তাদের ডানোর বিক্রি বাড়াতে চায়!
এখন তো খুব ভালো হলো- মুসলমানরা বেশি করে ডানো কিনবে, আর সেই ডানোর বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে ডেনমার্ক আরো বেশি করে ব্যঙ্গ কাটুর্ন আর সিনেমা বানাবে। মুসলমানরাই হবে নবীর ব্যঙ্গ কার্টন ছাপানোর আর্থিক যোগানাদাতা। উফ ! ভাবতেই ভালো লাগে। একটা শ্লোগান হবে-
“এক গ্লাস ডানো দুধ খাও, নবীর একটা ব্যঙ্গ কার্টুনের সওয়াব নাও।”
এবার ডেঙ্গু যেন হাটি হাটি করে ‘নির্ধারিত স্থানে কোরবানী’ করতে হবে- এই বক্তব্যে না পৌছায়। এন.সি-২৪২
এবার ডেঙ্গু যেন হাটি হাটি করে ‘নির্ধারিত স্থানে কোরবানী’ করতে হবে- এই বক্তব্যে না পৌছায়।

Image result for জাহাজ
সরকারকে বলে দিচ্ছি-
এবার ডেঙ্গু যেন হাটি হাটি করে ‘নির্ধারিত স্থানে কোরবানী’ করতে হবে- এই বক্তব্যে না পৌছায়।
কারণ ডেঙ্গু এক জিনিস, আর ‘কোরবানীর স্পষ্ট’ অন্য জিনিস,
দুইটা এক করার চেষ্টা করলে সরকার নিজেকে প্রতি বছরের মত এবারও হাসির খোরাকে পরিণত করবে।
আর বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে নির্ধারিত স্থানে কোরবানী দেয়া কখনই সম্ভব না এবং সরকারের পক্ষেই সেই পরিস্থিতি সামাল দেয়াও সম্ভব না। কারণ-
১) সরকার যতগুলো কোরবানীর স্পষ্ট নির্ধারণ করবে, গড়ে প্রতি স্পটে ৩ থেকে ৫ হাজার কোরবানি করতে হবে। কিন্তু ছবিতে দেখতে পাচ্ছে, সরকারের নির্ধারিত স্থানে ৫টার বেশি কোরবানি করা সম্ভব না।
২) সরকারের শ্লোগান- “রাস্তায় কোরবানী করবেন না, নির্ধারিত স্থানে কোরবানী করবেন।” এটা একটা ভুয়া শ্লোগান। কারণ সিটি কর্পেরেশন থেকে নির্ধারিত স্পটগুলো দেখুন(https://bit.ly/2Yl9gpj), ৯৯% স্পটই হচ্ছে রাস্তা। এর কারণ ঢাকা শহরে আছেই কেবল রাস্তা, খালি যায়গা পাবেন কোথায়?
৩) কোরবানী কেন সরকার নির্ধারিত স্থানে দেয়া সম্ভব না, তার ব্যাখ্যা-(https://bit.ly/2SXTrz0)
৪) বাংলাদেশে কোরবানীর হাট ও পশু জবাইয়ের স্থান নিয়ে প্রথম প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র হয় ২০০৫ সালে। বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী উকিল মনজিল মোর্শেদ প্রথম হাইকোর্টে একটি রিট করে, হাটের সংখ্যা হ্রাস ও কোরবানীর স্থান নির্দ্দিষ্ট করতে। (https://bit.ly/2zLndkQ) ২০০৫ সালে করা রিটে কোর্ট থেকে রুল পায় ২০০৯ সালে। এরপর সেই রুলের দোহাই দিয়ে সিআইএপন্থী মিডিয়া দৈনিক প্রথম আলো থেকে শুরু করে অন্যান্য মিডিয়াগুলো নিউজ করতে থাকে। সাথে থাকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) এর মত সিআইএপন্থী এনজিওগুলো।
কথা হলো- জনগণ এখন এগুলো বুঝে, তাই নতুন করে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন না।
৫) দূর্গা পূজার সময় সারা দেশের রাস্তা বন্ধ করে ৩০ হাজার পূজা মণ্ডপ হয়। (https://bit.ly/2Kkppl8) সরকার কিন্তু সেখানে বাধা দেয় না, কিন্তু কোরবানী আসলে সেটা নিয়ে চুলকানি শুরু হয়ে যায়।
বলাবাহুল্য এ বছর এমনিতেই পাবলিক হিন্দুদের উপর চরম ক্ষেপে আছে। এর মধ্যে সরকার যদি কোরবানীর স্পট নিয়ে টানাটানি করে, তবে কিছুদিন পরই দূর্গা পূজা, তখন কিন্তু পাবলিক দূর্গা মণ্ডপ নিয়েও টানাটানি করবে। তাই বিষয়টি নিয়ে যেন সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির তৈরী না হয়, সে জন্য সরকারকে আগে থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কথা মাথায় রাখতে হবে।
৬) কোরবানীতে পরিবেশ দূষণ হয় না, বরং পরিবেশ শুদ্ধ হয়। কারণ কোরবানীর বর্জ্য্ বলতে আমরা যে অংশগুলো বুঝি সবগুলোই প্রাকৃতিক জৈব বর্জ্য্, যা কখন পরিবেশ দূষণ করে না। পাশাপাশি কোরবানীর রক্ত পানিতে মিশে পানিতে মাছের খাদ্য তৈরী করে। (https://bit.ly/2MzA7XC)
অপরদিকে দূর্গা পূজার সময় ৩০ হাজার পূর্জা মণ্ডপে প্রায় ১০-১২ লক্ষ মূর্তি হয়, যা পানিতে ডুবানোর সময় পানি মারাত্মক দূষণের শিকার হয়। অথচ মিডিয়া, প্রশাসান বা হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। (https://bit.ly/317T3AT)
তাই সরকার বর্জ্য্ অপসারনে নিজের সামর্থ্য্ বৃদ্ধি করুক, সমস্যা নাই, কিন্তু জনগণের কোরবানি নিয়ে যেন টানাহেচরা না করে।
হঠাৎ দেখলাম জাতীয় সংগীত নিয়ে বেশ তর্ক হচ্ছে। এন.সি- ২৪১
হঠাৎ দেখলাম জাতীয় সংগীত নিয়ে বেশ তর্ক হচ্ছে।
Image result for জাহাজ
হঠাৎ দেখলাম জাতীয় সংগীত নিয়ে বেশ তর্ক হচ্ছে। এগুলো নিয়ে লেখালেখি অনেক আগেই শেষ করেছি। তারপরও নতুনদের উদ্দেশ্য করে এ লেখাটা লিখলাম-
আমি কেন বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় সংগীত পরিবর্তন চাই
১) বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় সংগীত ভারতীয় জাতীয় কবির লেখা। বাংলাদেশে কি জাতীয় কবি নেই? বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাংলাদেশের জাতীয় কবির লেখা হওয়া উচিত।
২) পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা সব সময় একটা কথা বলে, “দাও দুই বাংলা এক করে দাও”। পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের বিশ্বাস অবশ্যই কখন না কখনও আবার ভারতের (হিন্দুত্ববাদদের) ছায়াতলে দুই বাংলা এক হবে। এই বিশ্বাসটা ততদিন আমাদের বিশ্বাসের মধ্যে থাকবে যতদিন রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ থাকবে। কারণ এই গানের মূল থিউরী হলো- “দাও দুই বাংলা এক করে দাও”।
৩) রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি মোট ২৫ লাইনের। কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে প্রথম ১০ লাইন। তারমানে বাকি ১৫ লাইনের মধ্যে এমন কোন ঝামেলা আছে, যার কারণে তা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এর ঝামেলাগুলো হলো-
--ক) “তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে”
মন্তব্য: হিন্দু ধর্মে সন্ধাকালে ঘরে দীপ জ্বালানো ধর্মীয় পূজার অংশ।
--খ) “ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে”
মন্তব্য: হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের বিশ্বাসে একটা পার্থক্য আছে। হিন্দু ধর্মে তারা স্বদেশকে দেবী দূর্গা, কালী বা অন্নপূর্ণা হিসেবে কল্পনা করে। রবীন্দ্রনাথ তার “আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে” হতে কবিতায় বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। অপরদিকে মুসলমানরা মাতৃভূমি বলতে মায়ের ভূমি বোঝায়, কোন ব্যক্তি বা দেবতা হিসেব কল্পনা করে না। অর্থাৎ স্বদেশ নিয়ে হিন্দু ও মুসলিম বিশ্বাস এক নয়। সেই হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই রবীন্দ্রনাথ মায়ের চরনে মাথা পেতে দেয়ার কথা লিখেছে, যা মুসলিম ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে যায় না।
--গ) “ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে”
মন্তব্য: এটাও হিন্দুদের ধর্মীয় পূজার অংশ। অর্থাৎ দেবীর পায়ের নিচে সম্পদ ভোগে দেয়া হয়, এখানে সেটাই বলা আছে।
--ঘ) “ মা, তোর ভূষণ ব'লে গলার ফাঁসি”
মন্তব্য: দূর্গা বা কালীর গলায় বিভিন্ন ‘মালা’ দেয়া হয়, এগুলো ‘ভূষণ’ বলে। হিন্দুত্ববাদীরা এই ভূষণ বা মালাকে গলার ফাঁসি দেয়ার জন্য ব্যবহার করে পূণ্য পেতে চায়।
৪) একটা দেশের জাতীয় সংগীতের সাথে ঐ জাতির চেতনা নির্ভর করে। বাংলাদেশীরা এমন এক জাতি, যারা কখন বহিঃশত্রুকে মেনে নেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে বিতাড়িত করেছে। তাই তাদের জাতীয় সংগীত সেই চেতনার বহিঃপ্রকাশে হওয়া দরকার ছিলো। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত এমন একটা গান নির্ধারণ করা হয়েছে, যাকে “ঘুম পাড়ানির মাসি পিসির গান” বললে ভুল হবে না। এই গান শুনলে চেতনা জাগ্রহ হওয়া তো দূরের কথা, উল্টা সবাই ঘুমিয়ে যাবে। আমেরিকা জাতীয় সংগীত শুনেন, সেখানে আছে যুদ্ধের ডাক, শুনলেই গা গরম হয়ে যাবে। ফ্রান্সের জাতীয় সংগীত শুনেন, সেখানে শত্রুর মাথা কেটে নেয়ার আহবান আছে। অথচ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শুনলে ঘুম আসে, তাই এ গান দিয়ে আমাদের মূল জাতীয় চেতনা জাগ্রত হওয়া দূরের কথা, ঘুমিয়ে যাবে।
৫) ভারতের জাতীয় সংগীতও রবীন্দ্রনাথের লেখা। সম্প্রতি ভারতের কথা উঠেছে- “রবীন্দ্রনাথ ছিলো ব্রিটিশ দালাল। ভারতের জন্য লেখা জাতীয় সংগীতে ব্রিটিশ প্রভুত্ব ষ্পষ্ট করে ফুটে উঠেছে। তাই ভারতীয়দের মধ্যে অনেকে বলেছে-একটা বহিঃশত্রুর দালালের লেখা জাতীয় সংগীত কিভাবে ভারতের জাতীয় সংগীত হতে পারে?” তাই অনেক ভারতী তাদের জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন চায়। লিঙ্কের ভিডিওতে দেখুন- ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সদস্যরা রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত শুনে সংসদ ভবন থেকে ওয়াক আউট করছে। (https://youtu.be/XPLMvzcrZ-g)
ভারতে যদি রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের ডাক আসতে পারে, তবে বাংলাদেশে উঠলে সমস্যা কোথায় ?
৬) রবীন্দ্রনাথ ছিলো ফ্রি মেসনের সদস্য। এই লিঙ্কে ফ্রি মেসন সদস্যদের লিস্টে গেলে T অক্ষরে গেলে ৩ নম্বরে রবীন্দ্রনাথের নাম পাবেন (https://bit.ly/31eFijN)।
কথা হলো- একজন ফ্রি মেসন সদস্যের লেখা জাতীয় সংগীত কিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হতে পারে?
৭) রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক ব্যবসা ছিলো পতিতালয়ের ব্যবসা। রবীন্দ্রনাথ পরিবারের পতিতালয়ের ঠিকানা ২৩৫-২৩৬ বউবাজার স্ট্রিট, কলকাতা। সেখানে ছিলো ৪৩টি ঘর, যার ভাড়া ১৪০ রুপি।
এছাড়া কলকাতার সোনাগাছি পতিতাপল্লীতে তাদের দুইটি ঘর ছিলো বলে ইতিহাসে উল্লেখ পাওয়া যায় ।
(Calcutta: Myths and History, S N Mukherjee, page-101; Under the Raj: Prostitution in Colonial Bengal, Sumanta Banerjee Page 72)
এখন হয়ত জোরজবরদস্তি করে রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সংগীত হিসেবে চালিয়ে দিলেন। কিন্তু ভবিষ্যত প্রজন্ম কিন্তু এটা নিয়ে হাসবে। বলবে একটা পতিতা ব্যবসায়ীর লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত করা হয়েছে। হিঃ হিঃ।
৮) বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ যেহেতু মুসলমান, তাই জাতীয় সংগীত কে লিখেছে তা একটা বড় ফ্যাক্টর। রবীন্দ্রনাথ অনেক সাহিত্য লিখেছে, সেটা ঠিক, কিন্তু সেগুলোর অনেকগুলোর মধ্যে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে করে যাচ্ছেতাই বলে গালাগালি করেছে। যবন, জারজ, চোর, খুনি ও অবৈধ প্রণয় আকাঙ্খিণী এমন কোন গালি নেই, যা রবীন্দ্রনাথ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে করে সাহিত্য রচনার নাম করে দেয়নি। আবার মুসলমানের শেষ নবী সম্পর্কেও রবীন্দ্রনাথের উক্তি ভালো নয়। যেমন- মোতাহের হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করেছিল “আপনার লেখায় ইসলাম ও বিশ্বনবী সম্পর্কে কোন লেখা নেই কেন? উত্তরে কবি বলেছিল, “কুরআন পড়তে শুরু করেছিলুম, কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারিনি, আর তোমাদের রসুলের জীবন চরিতও ভাল লাগেনি”। (দ্র: বিতণ্ডা : সৈয়দ মুজিব উল্লাহ, পৃ. ২২৯)।
৯) বাংলাদেশের ভাষা যেহেতু ‘বাংলা’, তাই বাংলাকে ভালোবাসেন, এমন কবির জাতীয় সংগীত নির্বাচন করা উচিত। ইতিহাস বলছে- রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষাকে নয়, হিন্দি ভাষাকে বেশি ভালোবাসতো। ১৯১৮ সালে বিশ্বভারতী’তে রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে “ভারতের জাতীয় ভাষা কি হবে” এই বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় হিন্দি ভাষার পক্ষে ওকালতি করে রবীন্দ্রনাথ। তখন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন, ‘ভাষাতাত্ত্বিক দিক থেকে বাংলা ভাষা হিন্দি অপেক্ষা উন্নততর এবং বাংলাকেই ভারতের সাধারণ ভাষায় পরিণত করা উচিত।
স্বাধীনতা পেলে ভারতবর্ষের জাতীয় ভাষা বা রাষ্ট্রভাষা নির্ধারণ সম্পর্কে জানতে চেয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে একটা পত্র লিখেছিলো গান্ধী।
তখন গান্ধীর পত্রের জবাবে হিন্দির পক্ষে অভিমত দিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন:
The only possible national language for inter-provincial intercourse is Hindi in India. অর্থাৎ, আন্তঃ প্রাদেশিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারতের একমাত্র সম্ভাব্য জাতীয় ভাষা হতে পারে হিন্দি। (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্র বর্ষপঞ্জী, কলকাতা, ১৯৬৮, পৃষ্ঠা-৭৮)।
১০) গত কয়েকদিন ধরে দেখতেছি- বাংলাদেশী একটা ছেলে কলকাতায় গিয়ে জাতীয় সংগীতের বিরোধীতা করায় কেউ কেউ ছেলেটার বিরুদ্ধে বলছে। তাদের অধিকাংশের অভিযোগ হলো – ছেলেটা নাকি নকলবাজ।
অথচ ঐ গ্রুপটি ভুলেই যায়, যে রবীন্দ্রনাথের পক্ষ তারা নিচ্ছে, সেই রবীন্দ্রনাথ ছিলো সবচেয়ে বড় নকলবাজ। তার অনেক সাহিত্য আরবি, ফারসী ও ইংরেজী সাহিত্য থেকে চুরি করা। রবীন্দ্রনাথ যে কবিতার জন্য নোবেল পায়, সেই গীতাঞ্জলি নিয়ে আছে অনেক নকলবাজির অভিযোগ আছে। তাঁর "দ্য সং অফারিংস" (গীতাঞ্জলী) এর ২৬ নং কবিতা ও ইংরেজী বাইবেলের "সং অফ সলোমন" এর ৫:২৬ নং শ্লোক এবং গীতাঞ্জলীর ৮৬ নং কবিতা ও খ্রীষ্টিও গান "Canticle" এর হুবহু মিল দেখা যায়।
রবীন্দ্রনাথের প্রমাণিত একটি নকল কবিতা হলো "ভারত তীর্থ"। যা ফারসী কবি "জালালুদ্দিন রুমি"র একটি কবিতার হুবহু নকল।
জালালুদ্দিন রুমি’র লেখা কবিতা-
বায্ আঁ,বায্ আঁ
হর আচে হাস্তী বায্ আঁ।
গর কাফির হর গবরওয়া
বোত পরস্তি বায্ আঁ।
ই দরগাহ মা দরগাহে
ন-উম্মিদ নীস্ত
শতবার গর তাওবাহ শিকস্তী বায্ আঁ
-জালালুদ্দিন রুমি
যার অর্থ-
“ফিরে আসো। ফিরে আসো।
তুমি ‘কাফির’ হও কিংবা অগ্নিউপাসক হও,
কিংবা মূর্তিপূজারীও যদি হও, তুমি আল্লাহ’র দরবারে ফিরে এসো।
এই দরবার আশার দরবার, এখানে কেউ আশ্রয়হীন নয়।
যদি শতবার গুনাহ কর তারপরও তওবা করে ফিরে এসো।”
এই কবিতার (ভাব) নকল করে রবীন্দ্রনাথের কবিতাটি হলো-
এসো হে আর্য,এসো হে অনার্য-
হিন্দু মুসলমান,
এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ
এসো এসো খ্রীষ্টান।
মা'র অভিষেকে এসো এসো ত্বরা
মঙ্গলঘট হয়নি যে ভরা-
সবার পরশে পবিত্র করা তীর্থ নীরে
এই ভারতের সাগরতীরে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন- “ইতিহাস কখন লুকিয়ে রাখা যায় না”
এক দিন না একদিন সত্য প্রকাশিত হবেই।
আজকে রবীন্দ্রনাথকে ভালো সাজিয়ে হয়ত রবীন্দ্রনাথের গান বাংলাদেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দিলেন।
কিন্তু সত্য ইতিহাসটা একদিন না একদিন প্রকাশ হবেই। তখন আপনাদের সবাই ছিঃ ছি বলে ধিক্কার দিবে।
তখন ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবেন না।
না এই ছবি দেখে, কেউ চীনের ‘স্ট্রিং অব পালর্স’ ভেবে ভুল করবেন না। এন.সি-২৪০
না এই ছবি দেখে, কেউ চীনের ‘স্ট্রিং অব পালর্স’ ভেবে ভুল করবেন না।
না এই ছবি দেখে, কেউ চীনের ‘স্ট্রিং অব পালর্স’ ভেবে ভুল করবেন না।
এটা এ বছর যে সব দেশে ডেঙ্গু জ্বর মহামারি আকারে ছড়িয়েছে তাদের চিহ্নিত করণ।
Image result for জাহাজআমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন ডাক্তারের সাথে আলাপ করলাম,
তাদের কারো কারো বক্তব্য, গত ৩ মাস যাবত বাংলাদেশে ব্যতিক্রম ধর্মী জ্বরের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।
অনেকের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু বলা হচ্ছে, আবার অনেকের ক্ষেত্রে সাধারণ ভাইরাস জ্বর হিসেবে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
তবে সবার বক্তব্য হলো, অনেক ভাইরাস জ্বর বা ডেঙ্গু রোগি আমরা দেখেছি,
কিন্তু এবারের জ্বরের লক্ষণগুলো সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম, যা আগের সাথে মিলছে না।
হয়ত এখন ‘ডেঙ্গু’ নামে মিডিয়াতে খবর ছড়ানোর পর হাসপাতালে মানুষ আসছে,
কিন্তু গত তিন মাসে এই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ বাসায় ট্রিটমেন্ট নিয়েছে।
তাদের সবার অভিজ্ঞতা- এবারে ভাইরাস জ্বরের লক্ষণগুলো ভিন্নতর।
আমি জানি না, এখানে অন্য কোন বিষয় আছে কি না,
তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখার দরকার-
বাংলাদেশের ভিআইপিরা বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছেন কি না।
কারণ অনেকের কাছে হয়ত নতুন আগত ভাইরাসটির খবর থাকতে পারে।
এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের কাছে জানতে চাই,
গত ৩ মাসে ডেঙ্গু হোক বা অন্য ভাইরাস জ্বর হোক,
ব্যতিক্রমধর্মী কোন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন কি না ?
ডেঙ্গু মোকাবেলায় ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনবে বাংলাদেশ। এন.সি-২৩৯
ডেঙ্গু মোকাবেলায় ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনবে বাংলাদেশ।
Related image
ডেঙ্গু মোকাবেলায় ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দুধ পরীক্ষা করতে ভারতের ল্যাবরেটরিতে পাঠালো সরকার।
কেন ভাই ?
স্বাধীনতার ৪৮ বছর হয়ে গেলো,
দেশ উন্নয়নের চরম শিখরে পৌছালো,
মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চললো,
দেশ প্যারিস লস অ্যাঞ্জেলস হলো,
কিন্তু এতদিনেও একটা ভালো ল্যাবরেটরি বানাতে পারলো না বাংলাদেশ ?
তাহলে এত এত বড় স্থাপনা করে কি লাভ?
যদি একটা সামান্য মশার কাছে আপনারা কুপোকাত হতে হয়?
সত্যিই বলতে, আমার মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে বড় মাপের কোন জীবাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে কেউ ।
সেই জীবাণুর কারণে বাংলাদেশে অধিকাংশ জনগণ ব্যতিক্রমধর্মী জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে, যা আগে কখন দেখা যায় নাই।
অনেকে ডেঙ্গু ডেঙ্গু বলে ভীত হচ্ছে, কিন্তু আমার মনে হয় শুধু ডেঙ্গুর কথা বললে পুরো জিনিসটা আড়াল হয়ে যাবে।
কারণ ডেঙ্গু্ এর আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে।
মূল কথা হলো- শুধু ডেঙ্গু নয়, বরং আরো বেশ কয়েকটি ভাইরাস এ্যাটাক হতে পারে।
এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রে (সেটা ডেঙ্গু হোক অন্য ভাইরাস জ্বর হোক) পুরোটাই ব্যতিক্রমধর্মী, যার লক্ষণগুলো আগে কখন দেখা যায় নি।
এবং সম্ভবত তিন থেকে সাড়ে তিন মাস ধরে এর আক্রমণ চলছে বাংলাদেশ জুড়ে।
((বিস্তারিত জানতে কমেন্টসহ পড়ুন- https://bit.ly/2KsVszE))
গত পরশু পশ্চিমবঙ্গের মমতাকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো- পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গু সম্পর্কে, সে নির্দ্দিধায় বলে দিলো- এটা বাংলাদেশী মশা। বাংলাদেশ থেকে এসেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতেও তো এর আগেও ডেঙ্গু হয়েছে, কিন্তু এবারের ডেঙ্গু বাংলাদেশের মশার দ্বারাই হয়েছে, এটা কেন বললো মমতা ?
নাকি তার জানাই ছিলো বাংলাদেশে এবার জীবাণু অস্ত্র ছড়ানো হয়েছে,
যা হয়ত কোনভাবে পৌছে গেছে কলকাতা।তাই এ কথা বললো মমতা।
কিছুদিন আগে দেখলাম, “ডেঙ্গু জ্বর জীবাণু অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়েছে” এই মর্মে বাংলাদেশের এক আইনজীবি স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় এবং সিটি কর্পোরেশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে। নোটিশে আইনজীবি মাহমুদুল হাসান বলেন, শত্রুভাবাপন্ন কোনো দেশ বা গোষ্ঠী ডেঙ্গু জ্বরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার, প্রয়োগ কিংবা পরীক্ষা চালাতে পারে। এ কাজে মশাকে রোগ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। একটি গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে এ আইনজীবী নোটিসে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অপারেশনের (পিএক্স) নামে জাপান ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগের ভাইরাসকে জীবাণু অস্ত্রে রূপান্তর করে আমেরিকা আক্রমণ করে। ”( https://bit.ly/2YnO2ak)
আমার কাছে মনে হয়, “বাংলাদেশে কোন জীবাণু অস্ত্রের আক্রমণ হয়েছ “, এমন সন্দেহ হলেই আগে মহাখালীর আইসিডিডিআরবি’কে ধরা উচিত। এই সংস্থাটা বিদেশী টাকায় চলা এক ইহুদী সংস্থা। এরাই বাংলাদেশে জীবাণু নিয়ে ব্যাপক পর্যায়ে গবেষণা চালায়। বাইরে থেকে যদি কোন জীবাণু বাংলাদেশে ঢুকাতেই চায়, তবে আইসিসিডিডিআরবি’র সমন্বয় ছাড়া ঢুকাতে পারবে না। বাংলাদেশে কিভাবে এই নতুন জীবাণু ঢুকলো, তার ব্যাখ্যা আইসিডিডিআরবি’র কাছে চাওয়া উচিত।
আরেকটি কথা,
যেহেতু বাংলাদেশ আমেরিকা ও চীনের প্রক্সি ওয়ার জোনের মধ্যে পড়ে গেছে,
চীন চাচ্ছে বেল্ট রোড ইনেশিয়েটিভ বা স্ট্রিং অব পালর্স করে আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে,
আর আমেরিকা-ভারত চাইছে কোন মতেই যেন চীন দাড়াতে না পারে।
তাই চীন যে দেশগুলোর মাধ্যম দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চাইবে, সে দেশগুলোর উপর আঘাত আসা খুব স্বাভাবিক। যেহেতু বাংলাদেশ চীনের প্রজেক্ট সহযোগী, তাই বাংলাদেশ যে নতুন নতুন সম্রাজ্যবাদী ঝামেলায় পড়বে, তা আমাদের জনগণকে মেনে নিতে হবে। এবং কিভাবে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা যায়, সেটা নিজেদেরকেই চিন্তা করে বের করতে হবে। বিশেষ করে জীবাণুগুলো বাংলাদেশে যত উপায়ে ঢুকতে পারে, সবগুলোর মধ্যে বাধা তৈরী করতে হবে।
যেমন- গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে একজন জানাচ্ছে- কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশে নাকি বিশাল পরিমাণ ভারতীয় গরু ঢোকার প্রস্তুতি হচ্ছে, যে কোন সময় ভারতীয় গরু জোয়ারের মত প্রবেশ করবে।। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে বাংলাদেশ মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয় কোরবানী উপলক্ষে ভারত থেকে সমস্ত গরু প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক ১৬ই জুলাই, ২০১৯)
কিন্তু সরকার মুখে মুখে এ আইন করলেও ঈদের ঠিক আগ মুহুর্তে সীমান্ত খুলে দেয়ার একটা প্ল্যান তাদের আছে। এ ক্ষেত্রে যতক্ষণ সিমান্ত উন্মুক্ত থাকবে, ততক্ষন ঘণ্টা হিসেবে টাকা দিতে হবে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের। বিজিবিসহ সরকারের কয়েকটি মন্ত্রনালয় এর ভাগ পাবে।
আরো উল্লেখ্য, ভারতীয় গরুগুলো যেহেতু রাজস্থানসহ বিভিন্ন দূরদূরান্ত এলাকা থেকে আসে, তাই এসব গরুকে বাচিয়ে রাখতে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এই ওষুধের কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে জবাই করা ভারতীয় গরুর মাংশে ক্ষতিকর পদার্থ থেকে যায়, যার দরুণ, কিডনী, লিভার ফেইলরসহ বিভিন্ন ক্রোনিক ডিজিজের সম্ভবনা তৈরী হয়। তখন বাংলাদেশীদেরকে চিকিৎসা নিতে দৌড়াতে হবে ভারতে।
তাছাড়া ভারতীয়রা শত্রুতা করে যদি গরুর শরীরে বিভিন্ন ইনফেকসাস জীবাণু পুশ করিয়েই দেয়, তবে তা বাংলাদেশীদের শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়াও অস্বাভাবিক নয়। এবং সেটাই প্রস্তুতি চলছে।
আমি আবার বলছি,
বাংলাদেশের জনগণকে এই জীবাণু অস্ত্রের ব্যাপারে ভীতি নয়, বরং সচেতন হতে হবে। এবং বিদেশী যত মাধ্যম হয়ে তা বাংলাদেশে প্রবেশ ঘটতে পারে, তার সবগুলো আগেই আটকে দিতে হবে।