সরকারকে বলে দিচ্ছি-
এবার ডেঙ্গু যেন হাটি হাটি করে ‘নির্ধারিত স্থানে কোরবানী’ করতে হবে- এই বক্তব্যে না পৌছায়।
এবার ডেঙ্গু যেন হাটি হাটি করে ‘নির্ধারিত স্থানে কোরবানী’ করতে হবে- এই বক্তব্যে না পৌছায়।
কারণ ডেঙ্গু এক জিনিস, আর ‘কোরবানীর স্পষ্ট’ অন্য জিনিস,
দুইটা এক করার চেষ্টা করলে সরকার নিজেকে প্রতি বছরের মত এবারও হাসির খোরাকে পরিণত করবে।
দুইটা এক করার চেষ্টা করলে সরকার নিজেকে প্রতি বছরের মত এবারও হাসির খোরাকে পরিণত করবে।
আর বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে নির্ধারিত স্থানে কোরবানী দেয়া কখনই সম্ভব না এবং সরকারের পক্ষেই সেই পরিস্থিতি সামাল দেয়াও সম্ভব না। কারণ-
১) সরকার যতগুলো কোরবানীর স্পষ্ট নির্ধারণ করবে, গড়ে প্রতি স্পটে ৩ থেকে ৫ হাজার কোরবানি করতে হবে। কিন্তু ছবিতে দেখতে পাচ্ছে, সরকারের নির্ধারিত স্থানে ৫টার বেশি কোরবানি করা সম্ভব না।
২) সরকারের শ্লোগান- “রাস্তায় কোরবানী করবেন না, নির্ধারিত স্থানে কোরবানী করবেন।” এটা একটা ভুয়া শ্লোগান। কারণ সিটি কর্পেরেশন থেকে নির্ধারিত স্পটগুলো দেখুন(https://bit.ly/2Yl9gpj), ৯৯% স্পটই হচ্ছে রাস্তা। এর কারণ ঢাকা শহরে আছেই কেবল রাস্তা, খালি যায়গা পাবেন কোথায়?
৩) কোরবানী কেন সরকার নির্ধারিত স্থানে দেয়া সম্ভব না, তার ব্যাখ্যা-(https://bit.ly/2SXTrz0)
৪) বাংলাদেশে কোরবানীর হাট ও পশু জবাইয়ের স্থান নিয়ে প্রথম প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র হয় ২০০৫ সালে। বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী উকিল মনজিল মোর্শেদ প্রথম হাইকোর্টে একটি রিট করে, হাটের সংখ্যা হ্রাস ও কোরবানীর স্থান নির্দ্দিষ্ট করতে। (https://bit.ly/2zLndkQ) ২০০৫ সালে করা রিটে কোর্ট থেকে রুল পায় ২০০৯ সালে। এরপর সেই রুলের দোহাই দিয়ে সিআইএপন্থী মিডিয়া দৈনিক প্রথম আলো থেকে শুরু করে অন্যান্য মিডিয়াগুলো নিউজ করতে থাকে। সাথে থাকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) এর মত সিআইএপন্থী এনজিওগুলো।
কথা হলো- জনগণ এখন এগুলো বুঝে, তাই নতুন করে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন না।
কথা হলো- জনগণ এখন এগুলো বুঝে, তাই নতুন করে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন না।
৫) দূর্গা পূজার সময় সারা দেশের রাস্তা বন্ধ করে ৩০ হাজার পূজা মণ্ডপ হয়। (https://bit.ly/2Kkppl8) সরকার কিন্তু সেখানে বাধা দেয় না, কিন্তু কোরবানী আসলে সেটা নিয়ে চুলকানি শুরু হয়ে যায়।
বলাবাহুল্য এ বছর এমনিতেই পাবলিক হিন্দুদের উপর চরম ক্ষেপে আছে। এর মধ্যে সরকার যদি কোরবানীর স্পট নিয়ে টানাটানি করে, তবে কিছুদিন পরই দূর্গা পূজা, তখন কিন্তু পাবলিক দূর্গা মণ্ডপ নিয়েও টানাটানি করবে। তাই বিষয়টি নিয়ে যেন সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির তৈরী না হয়, সে জন্য সরকারকে আগে থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কথা মাথায় রাখতে হবে।
বলাবাহুল্য এ বছর এমনিতেই পাবলিক হিন্দুদের উপর চরম ক্ষেপে আছে। এর মধ্যে সরকার যদি কোরবানীর স্পট নিয়ে টানাটানি করে, তবে কিছুদিন পরই দূর্গা পূজা, তখন কিন্তু পাবলিক দূর্গা মণ্ডপ নিয়েও টানাটানি করবে। তাই বিষয়টি নিয়ে যেন সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির তৈরী না হয়, সে জন্য সরকারকে আগে থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কথা মাথায় রাখতে হবে।
৬) কোরবানীতে পরিবেশ দূষণ হয় না, বরং পরিবেশ শুদ্ধ হয়। কারণ কোরবানীর বর্জ্য্ বলতে আমরা যে অংশগুলো বুঝি সবগুলোই প্রাকৃতিক জৈব বর্জ্য্, যা কখন পরিবেশ দূষণ করে না। পাশাপাশি কোরবানীর রক্ত পানিতে মিশে পানিতে মাছের খাদ্য তৈরী করে। (https://bit.ly/2MzA7XC)
অপরদিকে দূর্গা পূজার সময় ৩০ হাজার পূর্জা মণ্ডপে প্রায় ১০-১২ লক্ষ মূর্তি হয়, যা পানিতে ডুবানোর সময় পানি মারাত্মক দূষণের শিকার হয়। অথচ মিডিয়া, প্রশাসান বা হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। (https://bit.ly/317T3AT)
অপরদিকে দূর্গা পূজার সময় ৩০ হাজার পূর্জা মণ্ডপে প্রায় ১০-১২ লক্ষ মূর্তি হয়, যা পানিতে ডুবানোর সময় পানি মারাত্মক দূষণের শিকার হয়। অথচ মিডিয়া, প্রশাসান বা হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। (https://bit.ly/317T3AT)
তাই সরকার বর্জ্য্ অপসারনে নিজের সামর্থ্য্ বৃদ্ধি করুক, সমস্যা নাই, কিন্তু জনগণের কোরবানি নিয়ে যেন টানাহেচরা না করে।