বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার ও মিডিয়া বলতেছে- এবার নতুন ধরনের ডেঙ্গু আসছে,
এবং এই ডেঙ্গুটিতে আগে থেকে ভয়ঙ্কর।
এবং এই ডেঙ্গুটিতে আগে থেকে ভয়ঙ্কর।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, কেউ বলতেছে না, এই নতুন ডেঙ্গু জন্ম নিলো কিভাবে ?
কিংবা এই নতুন ডেঙ্গু জন্ম নেয়ার পেছনে কে দায়ী ?
কিংবা এই নতুন ডেঙ্গু জন্ম নেয়ার পেছনে কে দায়ী ?
অথচ এই বিষয়টি আজ থেকে প্রায় দেড় বছর আগে নিউ ইয়র্ক টাইমস, এবিএস-সিবিএন সহ অনেক আন্তর্জাতিক পত্রিকায় এসেছে।
খবর বলছে, ২০১৭ সালের শেষ দিকে ফিলিপাইনে ৮ লক্ষ শিশুর উপর পরীক্ষামূলকভাবে ডেঙ্গু ভ্যাক্সিন ‘ডেংভেক্সিয়া’ প্রয়োগ করে ফ্রেঞ্চ বহুজাতিক ঔষধ কোম্পানি স্যানোফি।
২০১৭ সালের ১৭ই ডিসেম্বরের নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, “If people who never had dengue are vaccinated and later become infected, the vaccine may provoke a much more severe form of the illness.”
অর্থাৎ যাদের আগে ডেঙ্গু হয় নাই, তাদের শরীরের যখন ডেংভেক্সিয়া’ ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়, তখন সেই ভ্যাক্সিন উৎসাহিত করে আরো কঠিন মাত্রার অসুস্থতা।
(https://nyti.ms/2kFhl1A)
অর্থাৎ যাদের আগে ডেঙ্গু হয় নাই, তাদের শরীরের যখন ডেংভেক্সিয়া’ ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়, তখন সেই ভ্যাক্সিন উৎসাহিত করে আরো কঠিন মাত্রার অসুস্থতা।
(https://nyti.ms/2kFhl1A)
২০১৮ সালের ১০ই জানুয়ারীর এবিএস সিবিএন নিউজ বলছে-
The Philippines late last year halted the vaccination of public school students with the vaccine Dengvaxia after French drug maker Sanofi disclosed that it might increase the risk of severe dengue in recipients not previously infected by the mosquito-borne virus.
অর্থাৎ যাদের শরীরে ডেঙ্গু আগে হয় নাই, এ ডেঙ্গু ভ্যাক্নিন দেয়ার ফলে আরো মারাত্মক ধরনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়।
The Philippines late last year halted the vaccination of public school students with the vaccine Dengvaxia after French drug maker Sanofi disclosed that it might increase the risk of severe dengue in recipients not previously infected by the mosquito-borne virus.
অর্থাৎ যাদের শরীরে ডেঙ্গু আগে হয় নাই, এ ডেঙ্গু ভ্যাক্নিন দেয়ার ফলে আরো মারাত্মক ধরনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়।
আরো বলা হচ্ছে-
Dr. Antonio Dans, an epidemiologist from the University of the Philippines, earlier warned that Dengvaxia could act like a primary infection for those who had never had dengue.
If they were bitten by a mosquito carrying the virus after the vaccination, it could allegedly be akin to getting dengue a second time, which often leads to far more severe symptoms and potentially death if bad cases are not treated quickly, he said.
অর্থাৎ Dr. Antonio Dans (epidemiologist) বলছে- যাদের শরীরে ডেঙ্গু হয় নাই তাদের জন্য এই ভ্যাক্সিনটি প্রাইমারী ইনফেকশন হিসেবে কাজ করবে। এরপর যদি তাকে ডেঙ্গু জীবানু বাহিত মশা কামড় দেয়, তখন তার মধ্যে মারাত্মক ধরনের ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এমনকি দ্রুত চিকিৎসা না করালে মৃত্যু হতে পারে।
Dr. Antonio Dans, an epidemiologist from the University of the Philippines, earlier warned that Dengvaxia could act like a primary infection for those who had never had dengue.
If they were bitten by a mosquito carrying the virus after the vaccination, it could allegedly be akin to getting dengue a second time, which often leads to far more severe symptoms and potentially death if bad cases are not treated quickly, he said.
অর্থাৎ Dr. Antonio Dans (epidemiologist) বলছে- যাদের শরীরে ডেঙ্গু হয় নাই তাদের জন্য এই ভ্যাক্সিনটি প্রাইমারী ইনফেকশন হিসেবে কাজ করবে। এরপর যদি তাকে ডেঙ্গু জীবানু বাহিত মশা কামড় দেয়, তখন তার মধ্যে মারাত্মক ধরনের ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এমনকি দ্রুত চিকিৎসা না করালে মৃত্যু হতে পারে।
এরপর ভ্যাকসিন দেয়ার পরবর্তী কি ঘটছে, সেখানে বলা হচ্ছে-
Dr. Erwin Erfe, head of the PAO Forensic Laboratory, said the 4 children they examined contracted dengue 6 months after receiving the vaccine.
The fatalities had internal bleeding, enlarged organs and petechial rashes. One of them died within 24 hours after experiencing dengue symptoms, he told radio DZMM.
ভ্যাক্সিন দেয়ার ৬ মাস ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া ৪ জন শিশুকে Dr. Erwin Erfeপরীক্ষা করেছে। মৃত্যুর কারণ অভ্যন্তরীণ রক্তপাত, অর্গানগুলো বড় হয়ে যাচ্ছে এবং লাল বর্ণের র্যাশ হচ্ছে।
(সূত্র: https://bit.ly/2YD43EV)
Dr. Erwin Erfe, head of the PAO Forensic Laboratory, said the 4 children they examined contracted dengue 6 months after receiving the vaccine.
The fatalities had internal bleeding, enlarged organs and petechial rashes. One of them died within 24 hours after experiencing dengue symptoms, he told radio DZMM.
ভ্যাক্সিন দেয়ার ৬ মাস ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া ৪ জন শিশুকে Dr. Erwin Erfeপরীক্ষা করেছে। মৃত্যুর কারণ অভ্যন্তরীণ রক্তপাত, অর্গানগুলো বড় হয়ে যাচ্ছে এবং লাল বর্ণের র্যাশ হচ্ছে।
(সূত্র: https://bit.ly/2YD43EV)
আমার ধারণা- নতুন ধরনের ডেঙ্গু তৈরী হওয়ার কারণ।ফিলিপাইনে ৮ লক্ষ বাচ্চার উপর স্যানোফি’র ভ্যাক্সিন টেস্ট, যার দরুণ এক বছরের মাথায় দেশটিতে ভয়ঙ্কর রকমের ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে, সরকারী হিসেবে আক্রান্ত হয় ১ লক্ষ এবং মারা গেছে প্রায় ৫শ’।
স্যানোফি’র ভ্যাক্সিনেশনের ফলে নতুন মাত্রায় জন্ম নেয়া ডেঙ্গুটি ভিয়েতনাম, কলোম্বিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, মায়ানমার হয়ে খুব কম সময়ের মধ্যে (এক থেকে দেড় বছর) বাংলাদেশে এসে পৌছেছে। খুব শিঘ্রই এটি বাংলাদেশকে অতিক্রম করে আরো পশ্চিমে যাবে।
স্যানোফি’র ভ্যাক্সিনেশনের ফলে নতুন মাত্রায় জন্ম নেয়া ডেঙ্গুটি ভিয়েতনাম, কলোম্বিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, মায়ানমার হয়ে খুব কম সময়ের মধ্যে (এক থেকে দেড় বছর) বাংলাদেশে এসে পৌছেছে। খুব শিঘ্রই এটি বাংলাদেশকে অতিক্রম করে আরো পশ্চিমে যাবে।
আমার কথা হলো, এই নতুন মাত্রার ডেঙ্গুটি যে এসেছে বা আসছে তা তো আজ থেকে দেড় বছর আগেই বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশ হয় এবং সেই নতুন জ্বরের লক্ষণগুলো কি হবে তাও প্রকাশ হয়ে যায়। এবং এই ঘটনার সাথে যে ফ্রেঞ্চ বহুজাতিক ঔষধ কোম্পানি স্যানোফি জড়িত সেটাও তো মোটামুটি প্রকাশ্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিষয়টি বাংলাদেশে কোন ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট বা সরকার-বিরোধীদল প্রকাশ করতেছে না কেন ?
আমি একটা জিনিস দেখেছি, কোন অপকর্মেযদি কোন বহুজাতিক কোম্পানি বা ইহুদীরা জড়িত থাকে (স্যানোফির প্রধান এক ইহুদী), তখন কেন যেন সবাই সেটা এড়িয়ে যায়, প্রকাশ করতে চায় না। আজ থেকে দেড় বছর আগেই যদি আমরা জানতাম, বহুজাতিক ওষধ কোম্পানি স্যানোফি টেস্টের ফলে এক নতুন ধরনের ডেঙ্গু জন্ম নিয়েছে এবং সেই ডেঙ্গুতে রোগির মধ্যে বিশেষ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে, তবে কি বাংলাদেশের মানুষ আগে থেকেই সচেতন হতে পারতো না ?
ছবি: স্যানোফির ডেঙ্গু ভ্যাক্সিন টেস্টের বিরুদ্ধ ফিলিপাইনে গণমানুষের বিক্ষোভ এবং (নিচে) ফিলিপাইন থেকে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, মায়ানমার হয়ে বাংলাদশে এসে পৌছেছে ভয়ঙ্কর মাত্রার ডেঙ্গু।