দক্ষিণ সুদান আর পূর্ব তীমুর তো স্বাধীন করে দিলো,। এন.সি- ২৩২

দক্ষিণ সুদান আর পূর্ব তীমুর তো স্বাধীন করে দিলো,
Related image
দক্ষিণ সুদান আর পূর্ব তীমুর তো স্বাধীন করে দিলো,
এখন দেখা যাবে কাশ্মীরের বেলায় তথাকথিত আন্তর্জাতিক মহল কি করে।
কারণ কাশ্মীরের স্বাধীন হওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা ৩৭০ ধারা উঠে গেছে।
যে শর্তে কাশ্মীর ভারতের অংশ হিসেবে স্বীকৃত ছিলো, সেটাই নেই,
যেহেতু সেই শর্তই আর নেই, সেহেতু কাশ্মীরকে স্বাধীন করে দেয়ার কোন বাধা আর থাকতে পারে না।
তবে এখানে একটা বড় ভূমিকা থাকবে, কাশ্মীরী জনগণের।
তাদের শুরুতে অন্তত কিছু একটা করে দেখাতে হবে।
কিছু করে দেখানোর পর আন্তর্জাতিক মহল থেকে তাদের পক্ষে কাজ করা সহজ হবে।
আর সাধারণ কাশ্মীরীদের মনোভাবটাও বোঝা প্রয়োজন-
তারা কি ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে খুশি,
নাকি নিজস্ব স্বাধীন ভূমির প্রত্যাশী।
তবে নতুন নিয়ম করার কারণ সম্ভবত –
মোদি সরকার কাশ্মীরে তাদের অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করবে।
ফলে ইচ্ছা অনিচ্ছায় সেখানে অনেক মুসলিমের বাড়িঘর উচ্ছেদ হবে।
এক্ষেত্রে বেশি আক্রান্ত হবে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী কাশ্মীরীরা,
ফলে তাদের সাথে ভারত সরকারের দ্বন্দ্ব হওয়া স্বাভাবিক।
এক্ষেত্রে দেখার বিষয়- সেই সব স্থানীয় প্রভাবশালী কাশ্মীরীরা সরকারের দালালী করে থেমে যায়,
নাকি নতুন কিছু করার চিন্তা করে।
যাই হোক, আমি চিন্তা করতেছি অবশ্য অন্য বিষয়।
সম্ভবত ২০১১-১২ সালে যখন ভারতের সমস্ত হিন্দু সংগঠনগুলো একত্র হয়ে মোদিকে ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে বাছাই করে, তখন তারা মোদিকে ৩টি শর্ত দিয়েছিলো-
১) ক্ষমতায় গেলে কাশ্মীরের বিশেষ ধারা বিলোপ করতে হবে।
২) অভিন্ন দেওয়ানী আইন প্রবর্তন করতে হবে (৩ তালাক বিল পাশ হওয়া)
৩) রামমন্দির নির্মাণ করা।
গত কয়েকদিনে খুব কম সময়ের ব্যবধানে দেখা গেলো মোদি প্রথম দুটি ওয়াদা পূরণ করলো। এখন বাকি শুধু ৩য় শর্তটা। তবে বাবরী মসজিদের স্থলে রামমন্দির নির্মাণ এমন একটা ইস্যু, যখন এটা শুরু হয়, তখন শুধু অযোধ্যা না, পুরো ভারত জুড়ে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিলো। এমনকি বাংলাদেশেও তার হাওয়া এসে পড়ে। যদি মোদি খুব শিঘ্রই ৩য় ওয়াদাও পূরণ করতে চায়, তবে ভারত উপমহাদেশ জুড়ে একটা বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরী হওয়া খুব অত্যাসন্ন, তা অনুমান করা যায়। এক্ষেত্রে দাঙ্গার প্রধান ভিকটিম মুসলমানদের প্রস্তুত থাকাও তাই খুব জরুরী।