মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করবে তুরস্ক, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া। এন.সি -২৩৩

মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে একসঙ্গে কাজ 
করবে তুরস্ক, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া

জুলাই মাসের শেষ দিকে একটা খবর মিডিয়াতে আসে,
মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করবে তুরস্ক, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া
Related imageখবরের ভেতর বলছে-
মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে এক সাথে কাজ করার একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মাহাথির মোহাম্মাদের মধ্যে। অন্য দিকে তাদের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান।
সরকারি সফরে বর্তমানে তুরস্কে অবস্থান করছেন মাহাথির মোহাম্মাদ। আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট প্রসাদে রজব তাইয়েব এরদোগানের একান্ত বৈঠকের পর দুই নেতা হাজির হন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, বিবৃতি দেয়া খুব সহজ। কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। তাই মুসলিম উম্মার স্বার্থে তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানের একসাথে কাজ করা জরুরি।
এরদোগানের সাথে সুর মিলিয়ে মাহাথির মোহাম্মাদ বলেন, মুসলিম উম্মাহকে অন্যদের অধীনস্ততা থেকে মুক্ত করতে হবে। এর জন্য মুসলিম বিশ্বের মধ্যে ঐক্য অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে এই তিনটি দেশকে (তুরস্ক, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া)।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এ কারণেই আমি এই তিনটি মুসলিম দেশের পারস্পারিক ঐক্য ও সহযোগিতার ওপর জোর দিচ্ছি। অন্তত এই তিনটি দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত যাতে আমরা প্রতিরক্ষাসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে জোর গলায় কথা বলতে পারি। (https://bit.ly/2YHSHn3)
এ খবরটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, কিন্তু অবাক করার বিষয়-
বাংলাদেশের স্যোশাল মিডিয়াতে খবরটা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা দেখি নাই।
আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষ ‘ঐক্য’ নামক বিষয়টি ভুলে গেছে।
যেহেতু ৩টি মুসলিম দেশ একত্র হয়েছে মুসলমান নির্যাতনের বিরুদ্ধে,
যেহেতু বাংলাদেশেরও এখানে সমর্থন বা যোগ দেয়া উচিত।
হ্যা এটা ঠিক, হাসিনা সরকার হয়ত সেই ঐক্যে যোগ দিতে চাইবে না।
কিন্তু জনগণের পক্ষ থেকে অন্তত একটা জোড়ালো দাবী তো উঠতে পারে।
আমি দেখেছি কোন ইস্যুতে যদি জনগণ শক্ত ভূমিকায় অবর্তীণ হতে পারে, তবে অবশ্যই সরকারের সেখানে সাড়া মিলে। কিন্তু জনগণকে হতে হবে অবশ্যই শক্ত।
এরকম ৫-৭টা মুসলিম দেশের একটি সম্মিলিত সেনাবাহিনী থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সেখানে থাকতে পারে।
তুর্কিরা ন্যাটো ট্রেনিং প্রাপ্ত, তাদের থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।
কোন স্থানে মুসলিম নির্যাতন হলে, সেই বাহিনীর ভূমিকা থাকবে।
আর হ্যা এই সম্মিলিত বাহিনীর যদি অর্থ প্রয়োজন হয়, তবে সেখানেও বাংলাদেশ যোগান দিতে পারে।
সেটা বাংলাদেশ সরকারকে দিতে হবে না, এই সম্মিলিত বাহিনী যদি মুসলিমদের পক্ষে কাজ করে,
তবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে তার রক্ত বিক্রি করে সেই বাহিনীর জন্য অর্থ খরচ করবে।
আমি জানি, বাংলাদেশে অনেক ধরনের মানুষ আছে।
তারা কেউ এই ঐক্যের কোন সদস্যের পক্ষ-বিপক্ষে মত থাকতে পারে।
কিন্তু সত্য বলতে কি জানেন, সকল ইস্যুতে সকল মানুষের সাথে কখন ঐক্য হয় না।
সাধারণত ঐক্য হয় দুইভাবে-
১) কোন ইস্যুর পক্ষে।
২) কোন ইস্যুর বিপক্ষে।
সারা বিশ্বজুড়ে মুসলিম নির্যাতন হচ্ছে এটা নিয়ে নিশ্চয়ই কারো দ্বিমত নাই। কেউ ভিন্ন মতের থাকতে পারে, কারো ব্যক্তিগত কাজকর্ম নিয়েও কারো মধ্যে সন্দেহ থাকতে পারে। এমনকি কারো কোন পলিসি নিয়েও দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে তো বিরোধ থাকার কথা না। সুতরাং সেই ইস্যুতে অন্তত ঐক্য করা যায় এবং বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে তা অবশ্যই জরুরী।
মনে রাখবেন – এখন কাশ্মীর নির্যাতন হচ্ছে, রোহিঙ্গারা নির্যাতিত হচ্ছে, খুব শিঘ্রই হয়ত আসামে নির্যাতন শুরু হবে। কয়েকদিন পর আপনিও বাংলাদেশে বিদেশী শক্তি দ্বারা নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। তখন যদি একটি আন্তর্জাতিক মুসলিম শক্তির সাথে বাংলাদেশের সংযোগ থাকে, তবে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় অুমসলিম শক্তিগুলো বাংলাদেশে কোন ঘটনা ঘটাতে ১০ বার চিন্তা করবে। আমার মনে হয়, তিনটি দেশের মধ্যে যে ঐক্য হচ্ছে, এটার পক্ষে বাংলাদেশের জনগণের প্রচারণা চালানো উচিত এবং বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে সরকারের প্রতি দাবী তোলা- “সরকার যেন এই ঐক্যের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।”
Image may contain: 3 people, text