আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণে বাংলাদেশের ভেতর জমি চাওয়ার কি কারণ থাকতে পারে ?
অনেকভাবে চিন্তা করলাম, দু’টি কারণ হতে পারে। প্রথমটির সম্ভবনা জোড়ালো, দ্বিতীয়টি জোড়ালো না হলেও হতে পারে-
প্রথম কারণ:
বাংলাদেশের হিন্দুদের ঢাকা এয়ারপোর্ট এভয়েড করানো। বাংলাদেশের যেসব হিন্দুরা বিমান চলাচলে অভ্যস্ত, তারা ঢাকা এয়ারপোর্টের মাধ্যমে যাতায়াতে নিজেদের গোপনিয়তার লঙ্ঘন বলে মনে করছে। হয়ত তারা এমন জিনিস বহন করছে, যা ঢাকা এয়ারপোর্টের মাধ্যম হয়ে গেলে একদিন না একদিন ফাঁস হয়ে যেতে যেতে পারে। যেমন ধরুন, কয়েকদিন আগে কারাগারের প্রিজন পার্থ গোপাল বণিক গ্রেফতার হলো টাকার বস্তা নিয়ে। তার সম্পর্কে পাওয়া তথ্য বলছে তার দৈনিক ইনকাম ছিলো ১০ লক্ষ টাকা। এরকম লক্ষ লক্ষ হিন্দু আছে, যারা বাংলাদেশকে বিভিন্ন সেক্টরে চুষে দৈনিক লক্ষ কোটি টাকা ইনকাম করছে। এরা সাধারণত বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে টাকা জমা রাখে না কিংবা কোন সম্পদও ক্রয় করে না। এরা ঘরের ভেতর বস্তায় ভরে টাকা রাখে এবং যেহেতু তারা বাংলাদেশকে সেকেন্ড হোম ভাবে, ভারতকে ভাবে ফার্স্ট হোম, সেহেতু তারা টাকার বস্তাটা কোন ভাবে ভারতে নিয়ে যেতে যায়। এতদিন হয়ত কোন না কোন সিস্টেম করে চলে এসেছে, কিন্তু অতি সম্প্রতি দুদকের নজরদারি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সরকারের সাথে উগ্রহিন্দুদের দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকায়, তারা অনুভব করছে, হয়ত অদূর ভবিষ্যতে তাদের ভারত যাওয়ার উপর বিশেষ নজরদারি হতে পারে। আর এতেই ফাঁস হয়ে যেতে পারে বড় ধরনের টাকা পাচারের ঘটনা। এ বিষয়গুলো এড়ানোর জন্য তারা দেশের মধ্যে তাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে একটা বিমান বন্দর চায়, যার মাধ্যমে কোন বাধা ছাড়াই তারা ভারতের উদ্দেশ্যে ‘টেক অফ’ করতে পারে।
বাংলাদেশের হিন্দুদের ঢাকা এয়ারপোর্ট এভয়েড করানো। বাংলাদেশের যেসব হিন্দুরা বিমান চলাচলে অভ্যস্ত, তারা ঢাকা এয়ারপোর্টের মাধ্যমে যাতায়াতে নিজেদের গোপনিয়তার লঙ্ঘন বলে মনে করছে। হয়ত তারা এমন জিনিস বহন করছে, যা ঢাকা এয়ারপোর্টের মাধ্যম হয়ে গেলে একদিন না একদিন ফাঁস হয়ে যেতে যেতে পারে। যেমন ধরুন, কয়েকদিন আগে কারাগারের প্রিজন পার্থ গোপাল বণিক গ্রেফতার হলো টাকার বস্তা নিয়ে। তার সম্পর্কে পাওয়া তথ্য বলছে তার দৈনিক ইনকাম ছিলো ১০ লক্ষ টাকা। এরকম লক্ষ লক্ষ হিন্দু আছে, যারা বাংলাদেশকে বিভিন্ন সেক্টরে চুষে দৈনিক লক্ষ কোটি টাকা ইনকাম করছে। এরা সাধারণত বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে টাকা জমা রাখে না কিংবা কোন সম্পদও ক্রয় করে না। এরা ঘরের ভেতর বস্তায় ভরে টাকা রাখে এবং যেহেতু তারা বাংলাদেশকে সেকেন্ড হোম ভাবে, ভারতকে ভাবে ফার্স্ট হোম, সেহেতু তারা টাকার বস্তাটা কোন ভাবে ভারতে নিয়ে যেতে যায়। এতদিন হয়ত কোন না কোন সিস্টেম করে চলে এসেছে, কিন্তু অতি সম্প্রতি দুদকের নজরদারি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সরকারের সাথে উগ্রহিন্দুদের দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকায়, তারা অনুভব করছে, হয়ত অদূর ভবিষ্যতে তাদের ভারত যাওয়ার উপর বিশেষ নজরদারি হতে পারে। আর এতেই ফাঁস হয়ে যেতে পারে বড় ধরনের টাকা পাচারের ঘটনা। এ বিষয়গুলো এড়ানোর জন্য তারা দেশের মধ্যে তাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে একটা বিমান বন্দর চায়, যার মাধ্যমে কোন বাধা ছাড়াই তারা ভারতের উদ্দেশ্যে ‘টেক অফ’ করতে পারে।
দ্বিতীয় কারণ (হতেও পারে):
বিমানবন্দরের যায়গা চাওয়া হয়েছে আগরতলার সীমান্ত ঘেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। ঐ এলাকার আশেপাশে অনেকগুলো গ্যাসফিল্ড আছে। তিতাসগ্যাস ফিল্ড, সাহজিবাজার গ্যাস ফিল্ড, হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ড। ঐ গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকেই দেশের গ্যাসের একটা বড় অংশ সরবরাহ করা হয়। স্বাভাবিকভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমানা ঘেষে এমন আরো স্থান থাকতে পারে, যেখানে বড় ধরনের গ্যাস মজুদ থাকতে পারেবলে ভারতের কাছে খবর আছে। দেখা যাবে, ভারত বাংলাদেশের ভেতর সেরকম কোন স্থান পছন্দ করেছে, যার নিচে আছে বড় গাসের মজুদ। ঐ স্থানে বিমানবন্দর হলে সেই গ্যাস মজুদের স্থানটি এমনিতেই ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
বিমানবন্দরের যায়গা চাওয়া হয়েছে আগরতলার সীমান্ত ঘেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। ঐ এলাকার আশেপাশে অনেকগুলো গ্যাসফিল্ড আছে। তিতাসগ্যাস ফিল্ড, সাহজিবাজার গ্যাস ফিল্ড, হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ড। ঐ গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকেই দেশের গ্যাসের একটা বড় অংশ সরবরাহ করা হয়। স্বাভাবিকভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমানা ঘেষে এমন আরো স্থান থাকতে পারে, যেখানে বড় ধরনের গ্যাস মজুদ থাকতে পারেবলে ভারতের কাছে খবর আছে। দেখা যাবে, ভারত বাংলাদেশের ভেতর সেরকম কোন স্থান পছন্দ করেছে, যার নিচে আছে বড় গাসের মজুদ। ঐ স্থানে বিমানবন্দর হলে সেই গ্যাস মজুদের স্থানটি এমনিতেই ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
এ দুটি কারণ ছাড়া আরো যদি কোন কারণ থাকতে পারে বলে আপনাদের কাছে মনে হয়, তবে কমেন্টে লিখতে পারেন।