ডেঙ্গু মোকাবেলায় ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনবে বাংলাদেশ। এন.সি-২৩৯

ডেঙ্গু মোকাবেলায় ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনবে বাংলাদেশ।
Related image
ডেঙ্গু মোকাবেলায় ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দুধ পরীক্ষা করতে ভারতের ল্যাবরেটরিতে পাঠালো সরকার।
কেন ভাই ?
স্বাধীনতার ৪৮ বছর হয়ে গেলো,
দেশ উন্নয়নের চরম শিখরে পৌছালো,
মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চললো,
দেশ প্যারিস লস অ্যাঞ্জেলস হলো,
কিন্তু এতদিনেও একটা ভালো ল্যাবরেটরি বানাতে পারলো না বাংলাদেশ ?
তাহলে এত এত বড় স্থাপনা করে কি লাভ?
যদি একটা সামান্য মশার কাছে আপনারা কুপোকাত হতে হয়?
সত্যিই বলতে, আমার মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে বড় মাপের কোন জীবাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে কেউ ।
সেই জীবাণুর কারণে বাংলাদেশে অধিকাংশ জনগণ ব্যতিক্রমধর্মী জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে, যা আগে কখন দেখা যায় নাই।
অনেকে ডেঙ্গু ডেঙ্গু বলে ভীত হচ্ছে, কিন্তু আমার মনে হয় শুধু ডেঙ্গুর কথা বললে পুরো জিনিসটা আড়াল হয়ে যাবে।
কারণ ডেঙ্গু্ এর আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে।
মূল কথা হলো- শুধু ডেঙ্গু নয়, বরং আরো বেশ কয়েকটি ভাইরাস এ্যাটাক হতে পারে।
এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রে (সেটা ডেঙ্গু হোক অন্য ভাইরাস জ্বর হোক) পুরোটাই ব্যতিক্রমধর্মী, যার লক্ষণগুলো আগে কখন দেখা যায় নি।
এবং সম্ভবত তিন থেকে সাড়ে তিন মাস ধরে এর আক্রমণ চলছে বাংলাদেশ জুড়ে।
((বিস্তারিত জানতে কমেন্টসহ পড়ুন- https://bit.ly/2KsVszE))
গত পরশু পশ্চিমবঙ্গের মমতাকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো- পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গু সম্পর্কে, সে নির্দ্দিধায় বলে দিলো- এটা বাংলাদেশী মশা। বাংলাদেশ থেকে এসেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতেও তো এর আগেও ডেঙ্গু হয়েছে, কিন্তু এবারের ডেঙ্গু বাংলাদেশের মশার দ্বারাই হয়েছে, এটা কেন বললো মমতা ?
নাকি তার জানাই ছিলো বাংলাদেশে এবার জীবাণু অস্ত্র ছড়ানো হয়েছে,
যা হয়ত কোনভাবে পৌছে গেছে কলকাতা।তাই এ কথা বললো মমতা।
কিছুদিন আগে দেখলাম, “ডেঙ্গু জ্বর জীবাণু অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়েছে” এই মর্মে বাংলাদেশের এক আইনজীবি স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় এবং সিটি কর্পোরেশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে। নোটিশে আইনজীবি মাহমুদুল হাসান বলেন, শত্রুভাবাপন্ন কোনো দেশ বা গোষ্ঠী ডেঙ্গু জ্বরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার, প্রয়োগ কিংবা পরীক্ষা চালাতে পারে। এ কাজে মশাকে রোগ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। একটি গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে এ আইনজীবী নোটিসে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অপারেশনের (পিএক্স) নামে জাপান ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগের ভাইরাসকে জীবাণু অস্ত্রে রূপান্তর করে আমেরিকা আক্রমণ করে। ”( https://bit.ly/2YnO2ak)
আমার কাছে মনে হয়, “বাংলাদেশে কোন জীবাণু অস্ত্রের আক্রমণ হয়েছ “, এমন সন্দেহ হলেই আগে মহাখালীর আইসিডিডিআরবি’কে ধরা উচিত। এই সংস্থাটা বিদেশী টাকায় চলা এক ইহুদী সংস্থা। এরাই বাংলাদেশে জীবাণু নিয়ে ব্যাপক পর্যায়ে গবেষণা চালায়। বাইরে থেকে যদি কোন জীবাণু বাংলাদেশে ঢুকাতেই চায়, তবে আইসিসিডিডিআরবি’র সমন্বয় ছাড়া ঢুকাতে পারবে না। বাংলাদেশে কিভাবে এই নতুন জীবাণু ঢুকলো, তার ব্যাখ্যা আইসিডিডিআরবি’র কাছে চাওয়া উচিত।
আরেকটি কথা,
যেহেতু বাংলাদেশ আমেরিকা ও চীনের প্রক্সি ওয়ার জোনের মধ্যে পড়ে গেছে,
চীন চাচ্ছে বেল্ট রোড ইনেশিয়েটিভ বা স্ট্রিং অব পালর্স করে আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে,
আর আমেরিকা-ভারত চাইছে কোন মতেই যেন চীন দাড়াতে না পারে।
তাই চীন যে দেশগুলোর মাধ্যম দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চাইবে, সে দেশগুলোর উপর আঘাত আসা খুব স্বাভাবিক। যেহেতু বাংলাদেশ চীনের প্রজেক্ট সহযোগী, তাই বাংলাদেশ যে নতুন নতুন সম্রাজ্যবাদী ঝামেলায় পড়বে, তা আমাদের জনগণকে মেনে নিতে হবে। এবং কিভাবে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা যায়, সেটা নিজেদেরকেই চিন্তা করে বের করতে হবে। বিশেষ করে জীবাণুগুলো বাংলাদেশে যত উপায়ে ঢুকতে পারে, সবগুলোর মধ্যে বাধা তৈরী করতে হবে।
যেমন- গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে একজন জানাচ্ছে- কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশে নাকি বিশাল পরিমাণ ভারতীয় গরু ঢোকার প্রস্তুতি হচ্ছে, যে কোন সময় ভারতীয় গরু জোয়ারের মত প্রবেশ করবে।। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে বাংলাদেশ মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয় কোরবানী উপলক্ষে ভারত থেকে সমস্ত গরু প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক ১৬ই জুলাই, ২০১৯)
কিন্তু সরকার মুখে মুখে এ আইন করলেও ঈদের ঠিক আগ মুহুর্তে সীমান্ত খুলে দেয়ার একটা প্ল্যান তাদের আছে। এ ক্ষেত্রে যতক্ষণ সিমান্ত উন্মুক্ত থাকবে, ততক্ষন ঘণ্টা হিসেবে টাকা দিতে হবে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের। বিজিবিসহ সরকারের কয়েকটি মন্ত্রনালয় এর ভাগ পাবে।
আরো উল্লেখ্য, ভারতীয় গরুগুলো যেহেতু রাজস্থানসহ বিভিন্ন দূরদূরান্ত এলাকা থেকে আসে, তাই এসব গরুকে বাচিয়ে রাখতে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এই ওষুধের কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে জবাই করা ভারতীয় গরুর মাংশে ক্ষতিকর পদার্থ থেকে যায়, যার দরুণ, কিডনী, লিভার ফেইলরসহ বিভিন্ন ক্রোনিক ডিজিজের সম্ভবনা তৈরী হয়। তখন বাংলাদেশীদেরকে চিকিৎসা নিতে দৌড়াতে হবে ভারতে।
তাছাড়া ভারতীয়রা শত্রুতা করে যদি গরুর শরীরে বিভিন্ন ইনফেকসাস জীবাণু পুশ করিয়েই দেয়, তবে তা বাংলাদেশীদের শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়াও অস্বাভাবিক নয়। এবং সেটাই প্রস্তুতি চলছে।
আমি আবার বলছি,
বাংলাদেশের জনগণকে এই জীবাণু অস্ত্রের ব্যাপারে ভীতি নয়, বরং সচেতন হতে হবে। এবং বিদেশী যত মাধ্যম হয়ে তা বাংলাদেশে প্রবেশ ঘটতে পারে, তার সবগুলো আগেই আটকে দিতে হবে।