আজকে বাংলাদেশে করোনায় ৫০৩৮ জন মারা গেছে !


tSc4p sonestorhMaeayd
 
আজকে বাংলাদেশে করোনায় ৫০৩৮ জন মারা গেছে !
ভয় পাইয়েন না, এটা আমার কথা না। মার্চে এই কথিত গবেষনা প্রকাশ করে দাবী করা হয়ছিলো, আর কয়েকদিন বাংলাদেশে করোনা মহামারী তৈরী করবে। মানুষ মরবে লাখে লাখে।
কথিত গবেষনাটা তৈরী করছিলো বাংলাদেশের ৩ জন- মলয় কে মৃধা, রিনা রানি পাল, দীপক কে মিত্র এবং বিদেশী ২ জন- অ্যালাইন ল্যাবরিক ও ইফ্যান ঝু নামক মোট ৫ ব্যক্তি। তাদের এই ভবিষ্যতবাণী সৃষ্টিকর্তার নাজিল করা বাণীর মত করে প্রচার করছিলো বাংলাদেশের ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের সদস্যরা।
তাদের দাবী অনুসারে, আজকে ৪ঠা মে, বাংলাদেশে মোট করোনা রোগী হওয়ার কথা ৬ কোটি ৬২ লক্ষ, এর মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ হবে ১ কোটি ৬৬ লক্ষের, হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে ২ লক্ষ ১৩ হাজারকে। এর মধ্যে ক্রিটিকাল কেইস (আইসিইউ উপযোগী) হবে ১০ হাজার লোক এবং আজকে মারা যাবে ৫ হাজার ৩৮ জন। তাদের হিসেবে এই সংখ্যাটা দ্রুত বাড়বে এবং আর মাত্র ৩ সপ্তাহ পর শুধু ২৮শে মে তারিখেই বাংলাদেশে করোনায় মারা যাবে ৫০ হাজার লোক।
(পুরোটার পিডিএফ পেতে-https://tinyurl.com/ya6ur9gu)
তবে আমার কাছে আশ্চর্য লেগেছে একটা বিষয়-
যারা আধুনিক বলে সব সময় দাবী করে, যারা মুখ দিয়ে বিজ্ঞান বিজ্ঞান করে ফ্যানা তুলে ফেলে, তারা কিভাবে করে এ ধরনের একটি আজগুবি ভবিষ্যতবাণীকে প্রচার করতে পারে ? কিভাবে পারে সেই ভবিষ্যতবাণীকে পূজি করে আতঙ্কের মাধ্যমে গণমানুষের জীবন-জীবিকা বন্ধ করে দিতে ? কিভাবে ভেঙ্গে ফেলতে পারে চিকিৎসা ব্যবস্থা, শিকেয় তুলতে পারে শিক্ষা ব্যবস্থা ? এত বিস্তৃতি ভয় দেখানো বা পাওয়ার উদাহরণ আদিম কোন কুসংষ্কারাচ্ছন্ন জংলী সমাজেও কি ছিলো ??
Image may contain: text that says "Total cases 20461050 cases umulative) Cases needing hospitalization Cases needing critical care umulative) Death 30265614 36809531 44768349 54447991 66220530 80538483 97952209 9267896 11271765 13708903 118700 144365 175580 6916 29994794 36480154 384164 89120161 1512142 35676 43389 21-May 3037393 78057 94935 115461 25-May 26-May 27-May 28-May 623884 696595 307248 373680 454475 507442"
এতদিন যে আজগুবি তথ্য দিয়ে করোনা ভাইরাসকে সুপার পাওয়ার বলে প্রচার করা হচ্ছিলো, সেগুলো ধিরে ধিরে ফাঁস হচ্ছে।

t

Sl4n cpeonMasodyreds 
এতদিন যে আজগুবি তথ্য দিয়ে করোনা ভাইরাসকে সুপার পাওয়ার বলে প্রচার করা হচ্ছিলো, সেগুলো ধিরে ধিরে ফাঁস হচ্ছে।
এ ধরনের এক আজগুবি প্রচার ছিলো – করোনা ভাইরাস দিয়ে নাকি মানুষ একাধিক বার আক্রমণের শিকার হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) নিজেই সেই প্রচারের নেতৃত্ব দিয়ে বলেছিলো-
মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নাকি দীর্ঘমেয়াদে করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় না।
এমনকি সেই দাবী থেকে একধাপ এগিয়ে তারা এও দাবী করছিলো- মানুষের ইম্যুনিটি যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকেই সুরক্ষা দেয় না, সেই ভাইরাসের বিপক্ষে কিভাবে হার্ড ইম্যুনিটি এচিভ হতে পারে?
কিন্তু এবার হু ও তার অনুসারীদের সেই আজগুবি দাবী নাকচ করে দিলো দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা। তারা নিশ্চিত হলো- করোনা কখনই মানুষকে দ্বিতীয় বার আক্রমণ করে না।
উল্লেখ্য, এর আগে দক্ষিণ কোরিয়াতে ২৭৭ জন রোগী পাওয়া যায়, যাদের দ্বিতীয়বার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তাদের এই বক্তব্যের পর বিশ্বজুড়ে অনেকে প্রচার করা শুরু করে, করোনা দ্বিতীয় বার হওয়ার সম্ভবনা আছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা দ্বিতীয়বার সেই সমস্ত অসুস্থ রোগীকে নিয়ে গবেষনা করে নিশ্চিত হয়, আসলে করোনা দ্বিতীয়বার হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই।
আসলে দ্বিতীয়বার পিসিআর টেস্টে করোনা ধরা পরার মূল কারণ হচ্ছে-
মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা করোনা ভাইরাসকে ডিটেক্ট করে সেগুলো ধ্বংস করে। কিন্তু মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন রকম থাকে। কিছু থাকে ক্ষতি করার যোগ্যতা সম্পন্ন করোনা ভাইরাস (actual particles), আর কিছু থাকে ক্ষতি করার যোগ্যতাহীন করোনা ভাইরাসের মৃতদেহ (harmless dead samples)। মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এত শক্তিশালী ও সূক্ষদর্শী যে, সেই পার্থক্য সে ধরতে পারে এবং ক্ষতিকরগুলো ধ্বংস করে, কিন্তু অক্ষতিকর মৃতদেহগুলোকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু পিসিআর টেস্টের মেশিন সেই পার্থক্যটা ধরতে পারে না। অর্থাৎ শরীরে ক্ষতিকার ভাইরাসগুলো চলে যাওয়ার পর অ-ক্ষতিকর মৃতদেহগুলোকে চিহ্নিত করে এবং পজিটিভ বলে দাবী করতে থাকে। ফলে একটা মানুষ দৃশ্যত্ব সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও আবার যখন করোনা ভাইরাস টেস্ট করায় তখনও তার করোনা পজিটিভ দেখায়।
বিজ্ঞানীরা আরো বলে, এইচআইভি এবং চিকেনপক্সের মত ভাইরাসের মত কিছু ভাইরাস আছে, যা মানবকোষের নিউক্লিয়াস ভেদ করে থাকতে পারে এবং পুনরায় জাগ্রত হয়ে আক্রমণ করে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সেই যোগ্যতা নেই। এ ভাইরাসটি কোষের নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থান করে। ফলে করোনা ভাইরাস দীর্ঘমেয়াদে বা একাধিকবার আক্রমণ করার কোন সুযোগই নেই।
বিজ্ঞানীদের মতে, মৃত বা অপ্রয়োজনী ভাইরাসের টুকরাগুলো মানুষের শরীরে কয়েক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে, যা ফলস পজিটিভ দেখাবে, যদিও ঐ ব্যক্তি সুস্থ হোক না কেন।
এদিকেও বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা পক্ষ থেকেও বিষয় স্বীকার করে নেয়া হয়েছে, দ্বিতীয়বার করোনায় পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি ঘটছিলো করোনা ভাইরাসের অ-ক্ষতিকর মৃতদেহের কারণেই।
তবে এই খবর পড়ে, আমার একটি কথা মনে হচ্ছে- কোরিয়ার বিজ্ঞানীদের এমন তথ্য তো পিসিআর টেস্টের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করলো। কারণ পিসিআর টেস্ট করে যে উপসর্গহীনদের এতদিন করোনায় আক্রান্ত বলা হচ্ছে, কিংবা দ্বিতীয়বার টেস্ট করে সুস্থ-অসুস্থ ঘোষণা করা হচ্ছে, সেটাও তো প্রশ্নবিদ্ধ হলো। কারণ পিসিআর তো করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর-অক্ষতিকর পার্থক্য করে না, অ-ক্ষতিকরগুলোকে ধরে, ফলে তখন পজিটিভ রেজাল্ট আসে। তাই উপসর্গহীন করোনা এবং সুস্থতার সংখ্যা কম, দুটোই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
আজকে নাকি জাহানারা ইমামের জন্মবাষির্কী, এ উপলক্ষে কয়েকটা কথা না বললেই না।
tSl3n cpeonMasodyreds 
আজকে নাকি জাহানারা ইমামের জন্মবাষির্কী, এ উপলক্ষে কয়েকটা কথা না বললেই না।
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধটা ছিলো বেসিক্যালী পূর্ব পাকিস্তানী বাঙালী সেনাদের সামরিক অভ্যূথান। এবং সেটাতে ফোর্স দিতো সোভিয়েত ব্লক। অপরদিকে রিপাবলিকান ব্লক ছিলো পাকিস্তানের পক্ষে এবং ডেমোক্র্যাটিক ব্লক ছিলো (দৃশ্যত্ব) বাংলাদেশের পক্ষে। তবে ডেমোক্র্যাটিক ব্লক মুক্তিযুদ্ধের কৃতত্বটা সোভিয়েতদের ঘর থেকে নিয়ে নিজের ঘরে দেখাতে চায়। এজন্য তারা মুক্তিযুদ্ধতে সেনাবাহিনীর কৃতিত্বটা আড়াল করে সিভিলিয়ানদের কৃতত্বটা বেশি হাইলাইট করে। সেই হাইলাইট করতে ব্যবহৃত একটি চরিত্রের নাম হলো রুমি। এবং সেই রুমির মা হলো জাহানারা ইমাম।
আজকে বাংলাদেশে যে ‘স্বাধীনতা চেতনা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ কথা আমরা শুনি তার বাস্তবতা কতটুকু মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলো সেটা ঐতিহাসিকভাবে পর্যালোচনার বিষয়। আমি সে তর্কে যাবো না। তবে প্রকৃত সত্য হলো এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রথম শুরু করেছিলো কিন্তু এই জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালে গণআদালত প্রতিষ্ঠা করে এবং ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাদের বিচার দাবী তার সেই শুরুটা হয়। ১৯৯৪ তে তার মৃত্যুর পর, তার বানানো সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নাটক, সিনেমা আর গল্পের মাধ্যমে চাষবাস করে বড় করে ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের লেখক হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবালরা। তার সেই চেতনার উপর ভিত্তি করে ২০১৩ সালে ডেমোক্র্যাটিক ব্লক সদস্যরা শাহবাগে তৈরী করে গণজাগরণ মঞ্চ।
এ পর্যন্ত ইতিহাসে আমার কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হলো ২০১৩ সালেই সেই গণজাগরণ মঞ্চ করে ডেমোক্র্যাটিক ব্লকরা যখন বিরাট একটা চেতনা তৈরী করে, ঠিক তখন সেটাকে হ্যাইজ্যাক করে আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ ডেমোক্র্যাটিকদের বানানো এতদিনের চেতনার চালকের আসনে বসে সেখান থেকে ফায়দা নেয়া শুরু করে এবং ঐ মঞ্চ থেকেই ডেমোক্র্যাটিকদের ঘাড় ধরে ভাগিয়ে দেয়। ঐ সময় এত কষ্টের জিনিস হারিয়ে রাগে দুঃখে কান্নাকাটি করে অনেক ডেমোক্র্যাটিক ব্লক সদস্য। পরবর্তীতে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অতিরিক্ত চেপে বারোটা বাজিয়ে দেয় আওয়ামীলীগ। ফলে এখন পাবলিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা শুনলেই গালাগালি করে।
যাই হোক, এত আলোচনা-সমালোচনা করলাম, কারণ-
সম্প্রতি করোনা নিয়ে একই ইতিহাসের পুরনাবৃত্তি দেখলাম। বাংলাদেশে করোনা ভীতি প্রাথমিক সূচনা কিন্তু করেছিলো ডেমোক্র্যাটিক ব্লক সদস্যরা, মিডিয়া ও ফেসবুকে। কিন্তু পরবর্তীতে সেটাকে হাইজ্যাক করে আওয়ামীলীগ নিজ স্বার্থে ব্যবহার করা শুরু করে। ১ মাস আগে আমি এক পোস্টে বলেছিলাম- “কারা বাড়া ভাত কে খায় ?”। ঘটনাক্রমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মত করোনাকেও এমনভাবে চাপাচাপি করতেছে, ঠিক যেভাব লেবুকে বেশি চিপলে তিতা হয়ে যায়। কয়েকদিন পর দেখবেন, করোনার চেতনারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মত হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা শুনলে যেমন পাবলিক গালাগালি করে, ঠিক তেমনি করোনা/লকডাউন এগুলো শুনলেও পাবলিক গালাগালি করে মারতে আসবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে পিপিই নামক পোষাক পরার বিরুদ্ধে।

t

Sl3n cpeonMasodyreds 
আমি ব্যক্তিগতভাবে পিপিই নামক পোষাক পরার বিরুদ্ধে।
পিপিই পোষাক কতটুকু কোভিড-১৯ থেকে সেইফটি দিয়েছে, সেই বিষয়ে আমি তর্কে যেতে চাই না,
তবে আমার কথা হলো- এই পোষাকটির মধ্যে এক প্রকার ভীতি আছে।
হ্যা, আইসিইউ বা অপরেশন থিয়েটারে ডাক্তাররা বিভিন্ন পোষাক পরে, সেটা অন্য বিষয়,
কিন্তু সেখান থেকে বের হলেই খুলে রাখা দরকার।
আর সাধারণ জনসম্মুক্ষে পরাকে কখনই সাপোর্ট করি না।
বিশেষ করে গণহারে প্রশাসনসহ সর্বত্র এই পোষাক পরে ঘুরে বেড়ানো,
কিংবা এই পোষাক পরে লাশ জানাজা-দাফন করানো, মিডিয়ায় বার বার প্রচার,
এগুলোর মাধ্যমে এক প্রকার ভীতি ছড়ানো হচ্ছে বলে আমার কাছে মনে হয়।
আসলে একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে,
কোভিড-১৯ কিন্তু দুনিয়াতে একমাত্র রোগ/সমস্যা না,
আরো অনেক রোগ/সমস্যা আছে।
সুইডেন কেন লকডাউন দেয়নি, এটা নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছে।
কিন্তু একবারে শুরু দিকে সুইডেনের যারা নীতিনির্ধারক তারা এ বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা করেছে,
তাদের অন্যতম বক্তব্য ছিলো, তারা এসব লকডাউন দিয়ে জাতিকে মানসিকভাবে দুর্বল বা ভীত করতে চায় না।
এই যে লকডাউন/সোশ্যাল ডিসটেন্সিং/পিপিই যাই বলেন,
এগুলো মধ্যে কিন্তু এক ধরনের ভীতি আছে।
এই যে আপনি পুরো একটি জাতিকে ভয় দেখালেন, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি ?
অনেকে লকডাউনের অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়ে কথা বলছে,
না, শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি না, আমার মনে হয় এই করোনা ভীতির কারনে জাতির মানসিক যে ক্ষতি হয়েছে, তা অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে অনেক বেশি।
একটা জাতি বহু বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে এই ভয় দেখিয়ে।
ছোটবেলায় এইডসের একটা গান প্রচার হইতো টিভিতে,
শিরোনাম ছিলো- শোনো মানুষ !”
ছোটবেলায় সেই গানের সুর, কালোবিড়াল আর রোগীর একাকিত্বের ছবি দেখে আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙ্গে পড়েছিলাম। প্রতি রাতে আমার সেই কথাগুলো মনে করে ভয় লাগতো।
একডস কি তা বুঝতাম না, কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনের ভয় আমাকে তাড়িয়ে বেড়াতো।
কথা হচ্ছে, রোগ শোক অনেক আছে এবং থাকবে।
কিন্তু সেটা নিয়ে ভয়ের চাষ করতে হবে কেন ?
মানুষ যখন ভয় পায়, তখন সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে,
এতে যে সে নানান শারীরিক অুসস্থতায় আক্রান্ত হতে পারে তাই নয়,
বরং যে সাহস দিয়ে একটি জাতি এগিয়ে, সেই সাহসকে কিন্তু এই ভয় নষ্ট করে দিতে পারে।
একটা জাতিকে পুরোপুরি মানসিক ডেস্ট্রাকশনের দিকে ঠেলে দিতে পারে এই ভয়ের চাষ।
একটা সময়- ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের লোকেরা মুসলমান নারীদের বোরকার বিরুদ্ধে বলতো, ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনের বিরুদ্ধে বলতো। তাদের কথা হলো- এইগুলো দেখে মানুষ ভয় পায়। এগুলোর মধ্যে ভয়ের কথা আছে। ঠিকই আছে। সৃষ্টিকর্তার ভয়েই মুসলমানরা এগুলো পড়ে। মৃত্যুর পর শাস্তির ভয়ে সে ভালো কাজ করে, এবং খারাপ কাজ থেকে বেচে থাকে। দীর্ঘদিনের এই নির্দেশনা মেনেই সমাজ তৈরী হয়েছে। এখানে সৃষ্টিকর্তার কিন্তু দৃশ্যত্ব কোন লাভ ক্ষতি নেই। মানুষ ভয় পেয়ে নিজেই নিজের ভালো করছে, সমাজের ভালো করছে।
কথা হচ্ছে, ডেমোক্র্যাটিকরা ধর্মের বিরুদ্ধে বলে এখন ধর্ম থেকে পলিসি চুরি করেছে।
তাদের তো সৃষ্টিকর্তা নেই, কি দিয়ে ভয় দেখাবে ?
তাই ইবোলা, সার্স, মার্স, এইডস, কোভিড-১৯ সহ নানান রোগকে সুপার ন্যাচারাল বানিয়ে মানুষকে অত্যাধিক ভয় দেখাচ্ছে।
মানুষ যখন ভয় দেখে উপায় খুজছে, তখন সেটার উপশম হিসেবে নিজেদের নিয়মনীতি (উদা: সোশ্যাল ডিসটেন্সিং) ছড়িয়ে দিচ্ছে, ডেমোক্র্যাটিক ধর্ম তৈরী করছে, নিজেদের অর্থনৈতিক লাভ হয় এমন জিনিস কেনাচ্ছে। অর্থাৎ অপরকে ভয় দেখিয়ে নিজের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক লভ্যাংশ তৈরী করা।
অনেকটা রাস্তায় দাড়িয়ে যৌন রোগের ওষুধ বিক্রি করা ক্যানভাসারদের মত।
তারা তাদের পণ্য বিক্রি করার সময় এমন লক্ষণ বলে ভয় দেখায়,
যেন আপনার মনে হয়- কত বড় ভয়ঙ্কর যৌন সমস্যায় ভুগছেন আপনি।
অথচ যে লক্ষণগুলোর কথা সে বললো- এগুলো স্বাভাবিক বিষয়। মানুষভেদে স্বাভাবিক লক্ষণ।
কিন্তু আপনি হয়ত বিষয়গুলো জানেন না। আর সে আপনার সেই অজ্ঞতাকে পূজি করেই,
তার পণ্য বিক্রির সুযোগটা নিলো।
এগুলো আসলে খুব খারাপ জিনিস । সাধারণ মানুষ হয়ত সব বুঝতে পারে না,
কিন্তু সবার চোখ সব কিছু এড়িয়ে যায় না।
“সুইডেন লকডাউন দেয়নি, হার্ড ইম্যুনিটির এচিভ করতে চায়”-
tS3mp MaooufnsyorSetd
 
“সুইডেন লকডাউন দেয়নি, হার্ড ইম্যুনিটির এচিভ করতে চায়”-
এ প্রসঙ্গ আসতেই জাহিদুর রহমান নামক এক ডাক্তার ফেসবুকে বলে বেড়াচ্ছে,
“সুইডিশরা খুব সভ্য জাতি, তারা লকডাউন না করেও শক্ত সোশ্যাল ডিসটেন্সিং করে আক্রান্তের হার নিয়ন্ত্রণে রাখছে। আমাদের পক্ষে সেটা সম্ভব না। আমাদের লকডাউন দিয়ে জোর করে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং করাতে হবে।”
আসলে জাহিদুর রহমানের এমন কথা তিনি কোন সূত্র থেকে বলছেন তা আমার জানা নাই।
আমার মনে হয়, সবচেয়ে ভালো হয়, তিনি যদি ডাইরেক্ট সুইডেন চলে আসেন এবং তিনি নিজ চোখে দেখেন, আদৌ সুইডিশরা লকডাউন কতটুকু মানতেছে ? রেস্ট্রুরেন্ট, পার্ক, দোকানগুলোতে কি আদৌ সোশ্যাল ডিসটেন্সিং হচ্ছে ? সকাল বেলা বাস-ট্রেনে ভীড়, কিংবা বাচ্চাদের স্কুলগুলো দেখলে সে বুঝবে তার কথার সত্যতা কতটুকু। এমনকি সুইডিশরা যে ১০০ জনেও ১ জন মাস্ক পরে না, এটাও ডাক্তার জাহিদুর রহমানের দেখে যাওয়া উচিত।
তারপরও তিনি যদি সুইডেনে না আসতে পারেন, তবে যেন ১লা মে, তারিখে প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের ইউরোপ প্রতিনিধির এ ভিডিওটা দেখে নেয়। আশাকরি তিনি উত্তর পেয়ে যাবে। তবুও ডাক্তার আর ভাইরোলজিস্ট তকমা লাগায় জাহিদুর রহমান যেন এ ধরনের আজগুবি তথ্য না ছড়ান।