ময়মনসিংহে এক নারী চিকিৎসক একবার করোনা টেস্ট করে পজিটিভ পেয়েছে,
এরপর আবার টেস্ট করে নেগেটিভ পেয়েছে ।
এর আগেও একই অভিযোগ নিয়ে ফেসবুকে অনেকে স্ট্যাটাস দেয়- https://bit.ly/2K67AGO
কথা হচ্ছে, বর্তমানে বিভিন্ন যায়গায় ল্যাব স্থাপন করে এই যে গণহারে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে, এবং প্রচুর করোনা রোগী দেখানো হচ্ছে, এরা কি আদৌ সঠিক করোনা রোগী ?
করোনা টেস্টের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য টেস্ট বলা হয় পিসিআর টেস্টকে। পিসিআর একটি জটিল ও সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া, যা খুব দক্ষ হাত না হলে করা সম্ভব না। তাই খুব কম সময়ের মধ্যে নামমাত্র ট্রেনিং দিয়ে বিভিন্ন জেলায় যে পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, সেগুলো কি আসলেই নির্ভরযোগ্য?
কারণ- পিসিআর টেস্টের সময়, বাহিরের নিউক্লিক এসিড বা রিয়েকশন কন্ডিশন এর কারনে অনেক সময় ফলস পজিটিভ আসতে পারে। নিউক্লিক এসিড এর কন্টামিনেশন হতে পারে আগের কোন স্যাম্পল থেকে, যার রেজাল্ট ছিল পজিটিভ। এখন নতুন এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে যদি আগেরটা চলে আসে, তাহলে সেখানেও ক্রস কন্টামিনেশনের ফলে পরবর্তি টেস্টে ফলস পজিটিভ আসতে পারে। আর যেই কিট গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানে এই কন্টামিনেট হচ্ছে কিনা সেটা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যায়। তবে পিসিআর টেস্টকে প্রায় নির্ভুল ধরা হয় এজন্য যে তার এরর মার্জিন কম। তাই যে টেস্টগুলো ব্যতিক্রম আসতেছে (১০-১৫% পজিটিভ) সেগুলোই প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাচ্ছে।
আমরা জানি-
বাংলাদেশ তো সেই দেশ, যেখানে ৬০ হাজার টন ফল ও মাছ ধ্বংস করার পর জানা গেলো, যে মেশিন দিয়ে ফরমালিন মাপা হয়েছে, সেই মেশিনেই ভুল ছিলো। (https://bit.ly/3bdG5XX)
কথা হচ্ছে, সরকারের বর্তমান পলিসি হচ্ছে তারা যে লকডাউন বৃদ্ধি করে চলেছে, সেটাকে হালাল করার জন্য এখন প্রচুর রোগী দেখানো প্রয়োজন। আর সেজন্যই হঠাৎ করে বাংলাদেশে রোগী বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। কিন্তু সেই রোগীগুলো যেন সত্যই প্রকৃত করোনা রোগী হয় সেটা খেয়াল রাখা দরকার। কারণ অযথা রোগী বৃদ্ধি দেখালে তার সাইড ইফেক্টও আছে। এ সম্পর্কে বিবিসি’র একটি রিপোর্টে মতামত প্রকাশ করেছে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা। রিপোর্টের শিরোনাম ছিলো Coronavirus: Why is India testing so little?
রিপোর্টতে দেখা যায়- Indian council of Medical Research (ICMR)এর প্রধান বলরাম ভারগ্রাভা বলেছে, “বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বেশি টেস্ট করাতে বলে, কিন্তু তাদের মতামত ভারতের প্রেক্ষাপটে মিলে না কারণ বেশি টেস্ট জনমনে অধিক ভীতি এবং দুঃচিন্তা ছড়াতে পারে।” একজন ভাইরোলজিস্ট বলেছে, বিচ্ছিন্নভাবে(Random)অন-ডিমান্ড টেস্টিং আতঙ্ক তৈরি করবে এবংতাদের দুর্বল পাবলিক হেলথ কাঠামোর উপর তীব্র চাপ দেবে । (https://bbc.in/2RKaXaN)
যে ভারতের হেলথ সেক্টরের উপর বাংলাদেশের জনগণ নির্ভরতা পায়, তাদের যদি এমন চিন্তাধারা থাকে, তবে বাংলাদেশের তা কেমন হওয়া উচিত ?
ঘটনা হইলো, জনগণের মাথা মিডিয়া আওলায় দিছে, তারা চাইছে করোনা ধরা পড়ুক, তাই সেই জনচাহিদাকে পূজি করে যদি কেউ ব্যবসা করতে চায়, তার এখন সুর্বণ সুযোগ। বাংলাদেশের বাস্তবতাও এর থেকে ব্যতিক্রম নয়।