অনেককে দেখেছি মসজিদের ইংরেজী Mosque বলতে নারাজ।


eStS7fspo nsoASpdriirgecdld
 
অনেককে দেখেছি মসজিদের ইংরেজী Mosque বলতে নারাজ।
তাদের দাবী Mosque শব্দের সাথে Mosquito-র মিল আছে। ইউরোপীয়রা মসজিদকে Mosque বলে ডাকে, কারণ মসজিদকে তারা মশা বা রক্তচোষাদের ঘর বলতে চায়।
করোনা ভাইরাস আসার পর ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া কিন্তু মানুষের মনে এটা ঢুকাতে পেরেছে মসজিদ হলো করোনা ভাইরাসের আবাসস্থল। মসজিদে গেলেই করোনা ভাইরাস হবে, সঠিক নিয়মে দাড়িয়ে জামাত করলে করোনা ভাইরাস ধরবে।
কথা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস অনেক স্থানেই ধরেছে, হাট-বাজার, ব্যাংক, হাসপাতাল, অফিস-আদালত কিন্তু দোষ পড়েছে কিন্তু মসজিদের। এ কারণে হাটবাজার খোলা, ব্যাংক খোলা, গার্মেন্টস খোলা, ত্রাণের লাইন খোলা, রাাস্তাঘাটও খোলা। শুধু মসজিদে না। কারণ মসজিদের হলো এখন করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল।
যারা করোনা নিয়ে লাফালাফি করছে, তারা নিজেরাও জানে না, করোনা কি? করোনার চিকিৎসা কি? কি করলে করোনা দমন হবে, করোনা কতদূর চলবে, কিছুই তাদের জানা নেই। সব গবেষণা চলছে, এক্সপেরিমেন্ট চলমান, এখনও তথ্য সম্পূর্ণ নয়। অর্থাৎ তাদের কোন কিছুতেই নিশ্চয়তা নেই, কিন্তু সেই অনিশ্চয়তা নিয়েও তারা মসজিদ কিন্তু বন্ধ করে দিয়েছে এবং মুসলমানরা সেই অনিশ্চয়তার উপর ভরসা করে তাদের মসজিদ বন্ধও মেনে নিয়েছে।
এতদিন বাংলাদেশের হুজুর শ্রেণী বহুত অহংকার করতো, “আমরা এত কোটি মুসল্লী, এত লক্ষ মসজিদ, আমাদের এত হাজার আলেম-ওলামা। আমাদের ধর্মে কেউ আঘাত করতে আসলে আমরা সবাই ঝাপায় পড়বো, জীবন দেবো, কেউ মসজিদ বন্ধ করতে পারবে না। ইত্যাদি ইত্যাদি। ”
সব শেষ। এক ভাইরাসের ভয় দেখিয়ে সবাই কুপোকাত, নিজেরাই মসজিদে কপাট এটে ঘরে লুকিয়ে আছে সেই বীর মুসলিম জনতা।
আচ্ছা ! মসজিদ বন্ধ করে রাখলে মুসলমানরা করোনা থেকে বাচতে পারবে তো ??