দেশের যে কোন সমস্যা আসলে তরুণদের আগে এগিয়ে যেতে হয়।


ettcS2tp4 tAepornisoSrretdl 
দেশের যে কোন সমস্যা আসলে তরুণদের আগে এগিয়ে যেতে হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তরুণরা গেলো যুদ্ধে, দেশটা স্বাধীন করলো।
কিন্তু এই প্রথম করোনার ক্ষেত্রে দেখা গেলো উল্টো।
তরুণদের মিডিয়া এমন ভয় দেখালো, সব তরুণরা মিলে সব গর্তে লুকালো।
মিডিয়া একধাপ এগিয়ে তাদের শিখিয়ে দিলো- এর নামই নাকি কোভিড যুদ্ধ।
অর্থাৎ যে যত বেশি বাসার ভেতর লুকিয়ে কাপুরুষ হতে পারবে, সে নাকি তত বড় যোদ্ধা
অথচ বাংলাদেশে যে পরিমাণ সুস্থ তরুণ আছে (শিশু থেকে ২৯, মোট জনসংখ্যার ৬০%),
করোনায় তাদের জন্য কোন ভয় নেই। তারা করোনায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
এবং ভাইরাস তাদের নূন্যতম কাবু করতে পারে না, ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা থাকে লক্ষণহীন (অ্যা-সিমটোমেটিক)।
সুতরাং সুস্থ তরুণরা যদি করোনাকে ঠিক মত ফেস করতো, তবে হার্ড ইম্যুনিট এচিভ করে দেশ থেকে করোনাকে ধ্বংস করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু সেটা না করে তরুণ সমাজকে শিখিয়ে দেয়া হলো- “যার হয় করোনা, সে আর বাচেনা”।
ব্যস ! মিডিয়ার কথা শুনে তরুণ সমাজ পরিণত হলো সেই বিখ্যাত নন্দনালে।
নন্দনালের কবিতাটি সবার মনে আছে নিশ্চয়ই।
আমার মনে হয়, ঐ কবিতাটি (৩ প্যারা) এখন কাপুরুষ তরুণ সমাজের জাতীয় সংগীত/কবিতা।
“নন্দলাল তো একদা একটা করিল ভীষণ পণ -
স্বদেশের তরে, যা করেই হোক, রাখিবেই সে জীবন।
সকলে বলিল, 'আ-হা-হা কর কি, কর কি, নন্দলাল?'
নন্দ বলিল, 'বসিয়া বসিয়া রহিব কি চিরকাল?
আমি না করিলে কে করিবে আর উদ্ধার এই দেশ?'
তখন সকলে বলিল- 'বাহবা বাহবা বাহবা বেশ।'
নন্দর ভাই কলেরায় মরে, দেখিবে তারে কেবা!
সকলে বলিল, 'যাও না নন্দ, করো না ভায়ের সেবা'
নন্দ বলিল, ভায়ের জন্য জীবনটা যদি দিই-
না হয় দিলাম, -কিন্তু অভাগা দেশের হইবে কি?
বাঁচাটা আমার অতি দরকার, ভেবে দেখি চারিদিক'
তখন সকলে বলিল- 'হাঁ হাঁ হাঁ, তা বটে, তা বটে, ঠিক।'
নন্দ বাড়ির হ'ত না বাহির, কোথা কি ঘটে কি জানি;
চড়িত না গাড়ি, কি জানি কখন উল্টায় গাড়িখানি,
নৌকা ফি-সন ডুবিছে ভীষণ, রেলে 'কলিসন' হয়;
হাঁটতে সর্প, কুকুর আর গাড়ি-চাপা পড়া ভয়,
তাই শুয়ে শুয়ে, কষ্টে বাঁচিয়ে রহিল নন্দলাল
সকলে বলিল- 'ভ্যালা রে নন্দ, বেঁচে থাক্ চিরকাল।'